মানুষের চোখ কত Megapixel এর ?

আমরা বাজারে যত ডিজিটাল ক্যামেরা দেখি সবগুলোর ক্ষমতাই megapixel দিয়ে প্রকাশ করা হয় (৭, ৮, ১০, ১২ ইত্যাদি ইত্যাদি)। কোনো কোনো ক্যামেরার মেগাপিক্সেল এত বেশি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ছবিগূলোও বোঝা যায়। আমার এক দূর সম্পর্কের ভাই (ছবিটবি নিয়ে professionally কাজ করেন) বললেন ৪০ megapixel এর ক্যামেরাও নাকি পাওয়া যায়! শুনে তো আমি থ!

আমার প্রশ্নটা হলঃ মানুষের চোখের ক্ষমতাকে কি megapixel দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা কি বলেন?

Level 0

আমি মোহিত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

টেকটিউন্স জিন্দাবাদ !


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

মানুষের চোখ উপরওয়ালার অন্যন সৃষ্টি। তাকে megapixel এর ক্ষমতা দিয়ে পরিমাপ না করাই শ্রেয়। আমার মনে হয় আমারা সাধারণ দৃষ্টি দিয়ে যা দেখি তা ৪০ কেন ৮০ মেগাপিক্সেল দিয়ে দেখা সম্বভ নয়। আমার এই মন্তব্য মোহিত ভাইকে ছোট করার উদ্দেশ্য নয়।

মানুষের চোখের ক্ষমতা আসলে মেগা পিক্সেল দিয়ে করা যাবে না। কারণ? মানুষ চোখে যেটা দেখে সেটা প্রিন্ট করা যায় না। আর ক্যামার ক্ষেত্রে মেগা পিক্সেল কিন্তু ক্যামেরার বা ক্যামেরার লেন্সের কোন ক্ষমতা না। বরং ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার পর তোলা সেই ছবিটা কত পিক্সেল বিশিষ্ট হবে তার পরিমাপ। যত বেশি পিক্সেল তত বেশি ঝকঝকে ছবি।

ধন্যবাদ প্রযুক্তিবিদ ভাই (আসল নামটা জানি না !)। পিক্সেলের এই ব্যপারটা আমি জানতাম না।

ইমতিয়াজ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্যও ধন্যবাদ।

@ প্রযুক্তিবিদ – ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

আসলে যেহেতু এটা একটা টেকনিক্যাল ব্লগ তাই আমার মনে হয় একটু টেকনিক্যাল কথা হওয়াই উচিত।

আসলে মেগাপিক্সেল কি? যখন একটা পিকচার টিউব ডিজাইন করা হয় তখন স্ক্রিনের অপর পিঠে যেখানে ইলেক্ট্রন গানের বীমটা পড়ে সেখানে ফোটোসেনসটিভ ম্যাটেরিয়াল যেখানে বিভিন্ন পরিমানের ইলেক্ট্রন প্রবাহের ফলে বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো নির্গত হয়।আর স্ক্রিনের উপর পার্শ্বে আর বাম-ডান পার্শ্বে কয়েল থাকে যা দিয়ে হরিজনটাল স্ক্রিনিং আর ভার্টিক্যাল স্ক্রিনিং এর কথাটা এসে পড়ে।তবে পিক্সেল ইউনিট টার্মটি আসে ডিজিটাল টিভি বা মনিটরের ক্ষেত্রে এবং এটাকে বলা হয় প্রতিটি ক্ষুদ্রতম ডট কে বুঝানো হয় যেখান দিয়ে একটি নির্দিস্ট মানের ইলেক্ট্রনের ঘনত্বের বীম পড়বার ফলে একটা নির্দিস্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো নিরগমনে সক্ষম।উল্লেখ্য টিভিতে সাধারন লাল, হলুদ আর নীল আলোর কম্বিনেশনে সকল রং তৈরী হয়।
যাই হোক, পিক্সেল নির্ণয়ের উপায় হলো আপনার স্ক্রীনের রেজ্যুলেশন কত? এটা 64064646466464000640*480 অথবা 1280*1000 ধরা হয়।এখানে মূল প্রশ্নটি হওয়া উচিত ছিলো বাস্তবে আমরা যা দেখি তা কত পিক্সেলের? সাধারনত ইলেক্ট্রিনিক ডিজাইন বা গ্রাফিক্যা;ল সফটওয়্যার ডিজাইনের ক্ষেত্রে (ওপেন জিএল বা ডাইরেক্টি এক্স নিয়ে যারা কাজ করেন) বাস্তবের পিক্সেল রেট হলো ইনফিনিট।আর যেহেতু আমাদের চোখের অসাধারন ক্ষমতা তাই বলা যায় এর পিক্সেল রেটও অনেক বেশী তবে এটা ইনফিনিটি নয়।কারন চোখে যখন মাইওপিয়া বা অন্যান্য দৃস্টি প্রখরতা সম্পর্কিত অসুখ হয় তখন এর পিক্সেল ধারন করার ক্ষমতা অবশ্যই কমে যায়।আর এটা অনুভব করার ক্ষমতা কিন্তু ব্রেন।অবশ্য দৃস্টি প্রখরতা সম্পর্কিত চোখের সমস্যায় এখন লেজার বীমের মাধ্যমে এটার ফোকাসিং ডিসট্ন্স বাড়িয়ে এর চিকিৎসা করা হয়!

এটাই হলো সাইন্টিফিক যুক্তি। তবে চোখের মেগা পিক্সেল কত হতে পারে এটা নিয়ে কেউ এখনো গবেষনা করেনি বোধ হয়!

How many pixels can we process? It’s not an exact number, but if we assume our general response time is 30Hz and that there are 120 million rods and six-million cones in each eye, then that’s 252 million potential pixels sampling 30 times a second, which give us a 7.6 billion pixels/sec processing capacity.

http://www.jonpeddie.com/Back_Pages/2008/2008-09-15-so-many-pixels.shtml

মেহেদী ভাইয়ের লিংকটা ফাটাফাটি।তাহলে দেখা যাচ্ছে লজিক্যাল ওয়েতে চোখের দৃস্টি ধারন করার ক্ষমতা নির্ধারনও সম্ভব।তার মানে 777.6 গিগাপিক্সেল/সেকেন্ড হচ্ছে চোখের ক্যাপাসিটি।বাজারে আজকে দেখলাম 12 মেগাপিক্সেল এর ক্যানোন ক্যামেরা।বিশ্বের শক্তিশালী টেলিস্কোপের রেজ্যুলেশন ধারন করার ক্ষমতার কথা চিন্তা করলে অবশ্য চোখকে বেশ শিশুই মনে হবে!

777.6 গিগাপিক্সেল/সেকেন্ড !!!!!!!!! যাই, ঘুমাতে যাই, আমার মাথা ঘুরাচ্ছে !!

টেলিস্কোপের রেজ্যুলেশন:

হিসেবটা একটু অন্যরকম

চোখ 60 arcsec
Hubble Telescope 0.05 arcsec

Read Details Here:

http://hubblesite.org/the_telescope/nuts_.and._bolts/res101.php
http://www.licha.de/astro_article_mtf_telescope_resolution.php
http://www.faqs.org/faqs/astronomy/faq/part2/section-6.html

এর মানে Hubble Telescope এর রেজ্যুলেশন 911.25 Terapixel/sec. চোখের 1200 গুন।

মেহেদী ভাই, আমার কাছে কোনো রেফারেন্স নেই কেননা একমাত্র এই বিষয়ে আমি খুব দুর্বল। তবু কিছু ইনফো শেয়ার করি স্মৃতি ঘাইটা। অপটিক্যাল ফিজিক্সের টেলিস্কোপ সেকশনটা খুব প্রিসাইস ফলাফল নিয়ে কাজ করে তাই এই স্হানে আমি দুর্বল। তবে যতদূর জানি টেলিস্কোপিক মিরর গুলান যেগুলান আছে বর্তমানে বেশীরভাগ গয়াস বা মারকারি টাইপ পদার্ঠ দ্বারা পরিপূর্ন যেখানে প্রতিসরনের মান বড় একটা ফ্যাক্ট। এইসব এ্যাপারেচাস এর পিছনে যেই ক্যামেরাটা থাকে সেটা নয়ে আমার কথা। পিক্সেল বলটে মূলত নেগেটিভ বা যেখানে ছবিটা রাকাহ হবে সেখানে এর ডটসনহখয়া কত বেশী হবে মানে বাইরে দূর হতে কত গ্রাফিক্যাল তথ্য ঠিক মতো রাখতে পারবে।

2000দুইহাজার বা দুই হাজার একের ফেব্রুয়ারীর দিকে এখটা প্রোজেক্ট চালু হয় গিগাপিক্সেল প্রোজেক্ট। কারন তখন দেখা যায় টেলিস্কোপ গুলানের ময়াপিং এর সময় প্রিসিশনের জন্য যতটা আর্কসেক বাই পিক্সেল নিয়ে কাজ করা হয় সেটা চিন্তা করতে গেলে ছবির রেজ্যুলেশন রিকোয়ারমেন্ট গিগা ছেড়ে যায়। তখন থেকেই সে উপযোগীইন্টারফেস আর কেবল ডিজাই ন করা হয় ডাটা পাসের জন্য।ইউবিসি/লেভেল 2দুইদশমিক সাত লেভেলের লিক্যুইড মিরর টেলিস্কোপ ডিজাইন সেরকম একটা প্রোজেক্ট ছচিলো মনে হয় সেসময়। তবে টেস্টিং এর জনয় তারা যেটা করে একটা মিউজিয়ামের বেশ কিছু বিখ্যাত ছবি তুলে সেগুলো পর্যবেক্ষনের জনয় পাঠানো হয়। তবে আমার যেটা কথা ছিলো টেলিস্কোপিক কাজে এট াবেশী ব্যাবহার হয় কেননা ব্ল্যাক হোল এ্যানালাইসিস বা সামনে সূর্য্যে অভিযানের প্রোজেক্টে এটা খুব কাজে লাগবে তবে প্রদঃান সমস্যা ঐ একটা ডাটা ট্রান্সফার।তবে এটাও নাকি শুনা যায় আমেরিকানরা স্পাইং কাাজেও এটা ব্যাবহার করে তবে এটা শিওর এটা নিশ্চয়ই আমাদের দেশের উপর লাগানো হয় নি!

ওখানে একটা কথা ভুলে গিয়েছি বোধ হয়েছে ফটোসেনসিটিভ ইলিমেন্টের ব্যাপারে ওটার নামটাও ভুলে গেছি যেটার উপর পড়লে বিভিন্ন কালারের লািট এমিট করতে পারে, খুব সম্ভবত ফসফরোসেন=ট হবে হয়তো।

ভালো থাকেন!

লেখা পরে তো দুর্বল মনে হলো না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

নারে ভাই, কিছু বিষয়ে আমি কাচা আমের মতো অসম্ভব কাচা, কথা কইয়া নিজের লগেই মৌজ পাই না।তা আবার আসলাম একটা ধারনাগত তুলনামত এ্যসাম্পশন দিতে। এটা এমন না যে এটাই একটা থিওরী হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আসলে আর্কসেকেন্ড কি? এটা হচ্ছে 1এক ডিগ্রিকে ভাগ করলাম ষাট মিনিটে তারপর প্রতিটা মিনিটকে ষাট সেকেন্ডে। তাহলে এক আর্কসেকেন্ড হলো এক বাই তিনহাজার ছয়শ।এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে এত কিছু থাকতে এ্যাস্ট্রোনোমাররা এটা পিছনে লাগলো কেন? আসলে এটা টেলিস্কোপের পাওয়ার বুঝাইতে লাগে। একটা টেলিস্কোপ তাহলে কি করে? ফটুক তুলে অনেক দূরের জিনিস। আকাশের প্রতিটা জিনিসের পুঙ্খানুপুঙ্খ জিনিসের ডিটেইল অবস্হান। কোনটার পরে কোনটা কত দূরত্বে আছে সেটার উপর। মানুষের চোখের আর্কসেকেন্ডের ক্ষমতা 60ষাট।

তাহলে একটা ঐকিক নিয়মে ফেলি (এখানে বলি টেলিস্কোপের আর্কসেকেন্ড আরও কম কারন যতকম হবে এটা তত সূক্ষ্ম হবে): ষাট আর্কসেকেন্ড যদি 7সাত দশমিক ছয় গিগাপিক্সেলের সমান হয় তাহলে হাবল এর পয়েন্ট জিরো ফাইভ কার সমান হবে?
ক্যালকুলেটর চিপলে একটু আজব হতে পারে!

আসলে এখানে আমরা এর এ্যাপারেচাস সম্পর্কে ধারনা পেতে পারি! কত এ্যাপারেচাসের সাথে কত শক্তি ইমেজ ক্যাপচারের ক্ষমতা!

তা একটা কুশ্চেন, ঈদ কবে কালকে না পরশু?

ভাই চোখের ক্ষমতা/পাওয়ার মাপা হয় ডাই-অপ্টার দিয়ে তাই জানি।

Level 0

diopter/d is the unit of refractive power of “LENS” not refractive power of “EYE”

আমার পূর্ববর্তি কমেন্টে ব্রাউজার ইওটি ঠিক মতো লোড না হবার কারনে কিছু ভুল হয়েছে! যেমন 777.6 এর জায়গায় 7.6 হবে! 64064646466464000640*480 এর জায়গায় 640*480 হবে!

আমার খুব ভালো লেগেছে ব্লগটা, ধন্যবাদ সবাইকে।

আমার খুব ভালো লেগেছে ব্লগটা তাই সদস্য হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

৭.৬ গিগাপিক্সেল/সেকেন্ড O.O !!!!!

Level 0

10000 গিগা পিক্সেল