কেন বাংলাদেশ VS মায়ানমার সাইবার ওয়ার এবং কিছু প্রশ্নোত্তর !

প্রথম কথা হচ্ছে বস, অবস্থা কইলাম সুবিধার না। কেন?

অনেকেই দেখেছেন এর আগে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া সাইবার ওয়ার নিয়ে আমি একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। এরপর বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে আরেক নতুন সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। " অপারেশন রোহিঙ্গা "। মায়ানমার সাইবার আর্মি, মায়ানমার হ্যাকার ইউনিটিম সহ আরো অনেক গুলো হ্যাকার দল এই অপারেশন এ অংশ নিয়েছে যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ এর সাইবার স্পেস ধ্বংস করা। এবং বাংলাদেশ সাইবার আর্মির অ্যানালাইসিস এ দেখা গেছে, এবং অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, মায়ানমার এর হ্যাকার দের সহায়তা দিচ্ছে ভারতীয় হ্যাকার দল গুলো, স্পেশালী ইন্ডিশেল।

কেন এই সাইবার ওয়ার এবং কি এর মূল উদ্দেশ্য, সেটা জানতে হলে আমাদের পেছনে ফিরে যেতে হবে কয়েকমাস।

সূত্রপাতঃ 

এর আগেও একবার মায়ানমার আমাদের সাইবার স্পেসে আক্রমন চালায়। সে সময় তাদের ইস্যু ছিলো আমাদের সমুদ্র বিজয়। এটা নিয়ে তারা ক্ষ্রুদ্ধ হয়ে বেশ কিছু সরকারী সাইট হ্যাক করে। সেই সময় বাংলাদেশ সাইবার আর্মির পক্ষে থেকেও পালটা হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশ সাইবার আর্মির একজন ক্রু ওদের একটা মেজর হোষ্টিং কোম্পানীর সাইট হ্যাক করে, এর পর আমাদের পক্ষে থেকে একটা সতর্কবানী দেয়া হয় যে যদি তারা বাংলাদেশী সাইট হ্যাকিং বন্ধ না করে, তবে আমরা মায়ানমার এর সাইবার স্পেস গুড়িয়ে দেবো। তখন তারা আমাদের এর সতর্কবানী আমলে নিয়ে তখনকার মতো হ্যাকিং বন্ধ রাখে ।

এরপর হটাৎ করেই রোহিঙ্গা ইস্যূ নিয়ে পরিস্থিতি গরম হয়ে যায়। মায়ানমার এ রোহিঙ্গা এবং আরকান পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। নিউজ, মিডিয়া এবং ব্লগের কল্যান এ সবাই সবকিছু জানেন। এরপর পরই হটাৎ প্রচন্ড আক্রমন এর সম্মুখিন হয় বাংলাদেশ এর সাইবার স্পেস। মায়ানমার এর হ্যাকিং গ্রুপ গুলো আবার আক্রমন চালায়। তাদের আক্রমন এ বাংলাদেশের পায় ৭০% সরকারী বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, এবং ৬৪ জেলার সব গুলো ডিসি অফিসের সাইট হ্যাক হয়েছে। এখানে একটা অসম্পূর্ন লিষ্ট আছেঃ http://pastebin.com/RCZJaenj

তাদের দাবীঃ 

এই ব্যাপারটা বড়ই আজব। তাদের দাবী মায়ানমার এ বসবাস করা রোহিঙ্গারা আসলে বাংলাদেশের অধিবাসী। তারা অবৈধ ভাবে মায়ানমার এ বসবাস করছে। এবং তারা চায়, বাংলাদেশ তাদের ফেরত নিয়ে যাক নিজের ভূখন্ডে। কি আজব একটা দাবী। এখানের শেষ নয়, তাদের দাবীর আরো অংশ হলো, সমুদ্র জয় এ বাংলাদেশ সরকার কারচুপী করেছে, তারা অন্যায় ভাবে এই মামলা জিতেছে। তাই মায়ানমার এর হ্যাকার রা এইটার প্রতিবাদ এ সাইট হ্যাক করেছে। আরো একটা ইস্যু আছে।

Ago.gov.bd এই সরকারী সাইট টা হ্যাক করার পর তারা সেখানে একটা ছবি দেয়। সেই ছবিটাতে একটা শুয়োর একটা বই লিখছে। শুয়োরের গায়ে লেখা মুহাম্মদ এবং বইয়ের গায়ে লেখা কোরান। স্পষ্ট ভাষার ইসলাম ধর্মকে অপমান।

আমাদের বক্তব্যঃ 

তাদের দাবী গুলো প্রতিটা ক্ষেত্রেই অযৌক্তিক। ৪৭ এর দেশ ভাগের পরে কোন অবস্থাতেই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ এর অন্তর্ভূক্ত নয়। এবং বাংলাদেশ তাদের পুশ ইন ও করে নাই। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা গুলোর সবচেয়ে নিকটে সবচেয়ে বড় মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হলো বাংলাদেশ। তার মানে এই নয় যে রোহিঙ্গারা আমাদের অংশ ছিলো বা হবে।

সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা প্রতিস্থিতির জন্ম হয়েছে তিন রোহিঙ্গা যুবক কর্তৃক এক মেয়েকে ধর্ষনের কারনে। এখানে স্বাভাবিক ভাবে কোন মেয়েকে ধর্ষন করা হোক এটা কারো কাম্য নয়। যেহেতু ঘটনাটা ঘটেছে, সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে যেটা আশা করা হয়েছিলো যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু তারপর দেখা গেলো ব্যাপারটা জাতীগত দাঙ্গায় পরিনত হয়েছে। এবং অত্যাচার এর কারনে প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গা নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তাদের পুশ ব্যাক করে। কিছু কিছুক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবার দেয়ার পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এখানে যে বিষয়টি ভুললে চলবে না যে রোহিঙ্গারা মায়ানমার এর অধিবাসী। সে দেশের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার সেই দেশে বসবাস করা। কিন্তু আন্তর্জাতিক মাথামোটা কমিউনিটি বাংলাদেশ সরকার কে চাপ দিয়েছে সীমান্ত খোলার জন্য, কিন্তু মাথামোটাদের লীডার জাতিসংঘ মায়ানমার সরকার এর ওপর চাপ সৃষ্টি করেনাই এই জাতীগত দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য।

উলটো মায়ানমার এর হ্যাকার রা আমাদের সরকারী এবং বেসরকারী সেক্টর এর অনেক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে উলটো আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য।

সমুদ্র বিজয়ের কারনে বাংলাদেশ এর অর্জন যাই হোক না কেন, স্পষ্টত সেটা আইনগত ভাবেই হয়েছে। এখানে কোন ধরনের কারচুপি কিংবা সরকারী চাপের অবকাশ ছিলোনা।

তাদের এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ গুলোর পক্ষ থেকে সাইবার ওয়ার ঘোষনা করা হয়।

সাইবার ওয়ার এবং ওয়ার ষ্ট্রাটেজিঃ

প্রাথমিক ভাবে মায়ানমার এর পক্ষ থেকে প্রথম আক্রমন হলেও বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে প্রধান হ্যাকার গ্রুপ গুলো একটু সময় নিয়ে রেসপন্স করে। এর কারন ছিলো পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারনা পাওয়া। তাছাড়া সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে কি বক্তব্য দেবে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্ট ছিলো এই সাইবার ওয়ারে। সরকার এর বক্তব্যের পর সব কিছু পরিস্কার হয়ে যায়। এর মধ্যেই কিছু কিছু অপেক্ষাকৃত ছোট হ্যাকার গ্রুপ মায়ানমার এর ওপর ডিডস অ্যাট্যাক চালাতে থাকে। এরপর বাংলাদেশ সাইবার আর্মি এবং বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স সাইবার ওয়ারে পূর্ন শক্তিতে যোগদান করে। বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকার্স ও একদিন আগে যোগদান করেছে। বাংলাদেশ এর অপর হ্যাকার গ্রুপ এক্সপায়ার সাইবার আর্মি অজ্ঞাত কোন কারনে এই সাইবার ওয়ারে অংশগ্রহন করে নাই। উলটো তারা নাগরিক ব্লগে একটা পোষ্ট দিয়েছে এই সাইবার ওয়ার এর কিছু রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রভাব নিয়ে। কেন? সেটা পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করবো।

কিভাবে?

ভারত বাংলাদেশ সাইবার ওয়ার নিয়ে গুজব উঠেছিলো যে আমাদের পেছনে নাকি বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী সহ নানা ধরনের ধর্ম ব্যবসাকারী গ্রুপ এর মদদ রয়েছে। কেউ কেউ তো পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই কেও টেনে এনেছিলো। যাদের মনে এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে, তাদের এই পোষ্টের শুরুতে দেওয়া লিঙ্কটা দেখার আমন্ত্রন জানাছি।

এই সাইবার ওয়ার শেষেও এমন কিছু একটা হবে। তাই আগে থেকেই কয়েকটা বিষয় পরিস্কার করে নেয়া ভালো।
বাংলাদেশ সাইবার আর্মির অ্যাডমিন সাদমান তানজিম এই নিয়ে আলোচনার সময় যা বলেছিলেন তা এখানে তুলে দিলামঃ

 “ এই ধরনের মদদ এর কথা আসার কারন হচ্ছে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী। তারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, আর তার ভূক্তভূগী হয় সাধারন মানুষ। এ ব্যাপারে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই যে, এই সাইবার ওয়ার এ বাংলাদেশ সাইবার আর্মি যা করছে নিজের দ্বায়িত্ব থেকে, নিজেদের সাইবার স্পেস কে রক্ষা করার জন্য। এর পেছনে কারো কোন ধরনের মদদ নেই। কোন ধরনের আর্থিক সাহায্য নেই। বাংলাদেশ সাইবার আর্মির ক্রুরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে দেশের সাইবার স্পেস কে রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এবং করে যাবে”

সাদমান ভাইয়ের বক্তব্য থেকে বাংলাদেশ সাইবার আর্মির অবস্থান টা পরিস্কার হয়। বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স এবং বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকার্সের বক্তব্যও কম বেশি একই রকম। তবে তাদের অফিশিয়াল মেম্বারদের কোন প্রেস রিলিজ না পাওয়ার কারনে সেটা কোট করা সম্ভব হলো না।

আপাতত আমাদের অর্জনঃ

বাংলাদেশ সাইবার আর্মির ক্রুরা দিন রাত খেটে চলেছেন এই সাইবার ওয়ারের জন্য। এর মধ্যে বাংলাদেশ সাইবার আর্মির ক্রুদের হাতে মায়ানমার এর শতাধিক সাইট হ্যাক হয়েছে। তবে সংখ্যাটা আরো বেশি হবার কথা, কারন এই পোষ্ট লেখার সময় আরো কিছু সাইট হ্যাক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সেগুলো এই পোষ্টে যোগ করা হয়নি।
আমাদের কথা হলো বাংলাদেশ এর সাইবার স্পেস ত্যাগ করো। আমাদের ওয়েবসাইট হ্যাক করা বন্ধ করো। ধর্মের নামে অযথা দাঙ্গা বন্ধ করো। ইসলাম ধর্মের অপমান বন্ধ করো। মায়ানমার এর রোহিঙ্গা ইস্যু তাদের আভ্যন্তরীন বিষয়। এটা তাদের দেশের সীমানার মধ্যেই রাখতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাথামোটা কমিউনিটিকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে যাতে এই ইস্যু মায়ানমার এর ভেতরেই সলভ হয়। সেটার জন্য যেন বাংলাদেশ এর ওপর চাপ দেয়া না হয়। এবং বাংলাদেশ কে ভূগতে না হয়।

সাইবার ওয়ারের ফিল্ড থেকে কিছু খবরঃ

এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স এর একটা প্রসংশনীয় পদক্ষেপ ছিলো নাকা ওয়ার্ম। তারা নাকা ওয়ার্ম নামের একটা ওয়ার্ম তৈরী করে এবং সেটা মায়ানমার এর সাইবার স্পেসে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করে। কিন্তু দূঃখ জনক ভাবে তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়। এটার ব্যার্থতার দায়ভার অবশ্য বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্সের ওপর কিছুটা বর্তায় কারন তাদের উচিৎ ছিলো এটাকে ছড়ানোর সময় কিভাবে ছড়াতে হবে সেটা সম্পর্কে কিছু ডাইরেকশন দেয়া। এছাড়া তারা ওয়ার্মের যে ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়েছিলো সেটার মাধ্যমে ওয়ার্ম তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেই ডাউনলোড হয়। যেটার কারনে ওয়ার্ম টা ছড়ানো মাত্র মায়ানমার এর হ্যাকার রা সেটা ধরে ফেলে।

এটা হলো বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্সের ওয়ার্ম এর রিলিজের অফিশিয়াল নোটঃ

এরপর দেখুন মায়ানমার এর হ্যাকারদের কাছে তারা কিভাবে ধরা খেয়েছেঃ

বিতরন কারীদের ভূল

বিতরন কারীদের কিছু ভূল চেষ্টা

এটা সবচেয়ে বেশি মজার

বিতরনকারীদের ট্যাকটিক্যাল মিষ্টেক

এই পর্যায়ে কিছু কথা না বললেও নয়। ভারতের সাথে সাইবার ওয়ারের সময় এই সরকারী সাইট গুলো হ্যাক হয়েছিলো। এতো দিন পর আবার হলো। সবার কাছে প্রশ্ন, সরকারী সাইট ডেভলপার রা কি করছিলো এতো দিন? কেন তারা সাইট গুলোর ত্রুটি গুলো ফিক্স করেনাই? বাংলাদেশ সাইবার আর্মির পক্ষে থেকে এতোবার সতর্ক করার পরও সরকারী ডেভেলপার দের ঘুম কেন ভাঙ্গে নি? কেন বাংলাদেশ এর সরকারী সাইট গুলো বার বার হ্যাক হয়? আমাদের পক্ষ থেকে সাইটের ত্রুটি চিহ্ণিত করে সেটা কিভাবে সমাধান করা যাবে সেটার বিস্তারিত লিখে মেইল করা হয়েছিলো। অর্ধক বাউন্স হয়েছে। বাকি গুলো আমলে নেয়া হয়নি। ফলে যা হবার তাই হয়েছে।

বাংলাদেশ সাইবার আর্মি এবং বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্সের কাছে মানুষের প্রচুর আশা। সরকারী সাইট হ্যাক হলে তারা আমাদের কাছে জবাব চায়। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিগত তিন দিনে প্রায় ১০০ জনের প্রশ্নের সম্মুখিন হয়েছি এ ব্যাপারে। কিন্তু সরকারী সাইটের ব্যাপারে আমরা কি করতে পারি? যেখানে ডেভলপার রা নিজেরাই ঘুমন্ত? সেই সাইট গুলো তো দূর থেকে আমাদের পক্ষে মেরামত করা সম্ভব নয়।

এই সাইবার ওয়ার নিয়ে অনেক রকম বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকেই অনেক কথা বলছে। আমারব্লগ ডট কম এ দেখলাম একজন ব্লগার ফেক একটা নারী আইডি নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছেন এ ব্যাপারে। মডারেশন এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি এ ব্যাপারে। যে কোন ব্লগে অথবা ওয়েব সাইটে যদি বাংলাদেশ সাইবার আর্মির পক্ষ থেকে কোন ধরনের বিবৃতি দেয়া হয়, সেটা অথেন্টিক আইডি থেকেই দেয়া হবে। বি সি এ'র অফিশিয়াল ক্রু ছাড়া অন্য কারো কোন ধরনের বক্তব্যে দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না। এই ওয়ারে প্রাথমিক ভাবে আমাদের ক্যাজুয়েলটিস বেশি হলেও আমরা পালটা আক্রমনে ফিরে এসেছি এবং এটাতেও আমরা জয়ী হবো। শুধু আপনারা আমাদের সাথে থাকুন। পাশে থাকুন।

বাংলাদেশ সাইবার আর্মি অফিশিয়াল গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/bdcyberarmy/

[ এক্সপায়ার সাইবার আর্মি সম্পর্কে একটা ছোট্ট নোট ]
এর আগে আমরা দেখেছি ফিলিস্তিনে মুসলিম দের ওপর ইহুদী অত্যাচার এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু সাইট হ্যাক করেছিলো এক্সপায়ার সাইবার আর্মি। তারা বরাবরই মুসলমান দের ওপর অত্যাচার এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু এই বার কেন তারা এগিয়ে এলো না তা বিষ্ময়কর বটে। উলটে তারা এর বিপক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছে। কেন তার জবাবা আমার অথবা বাংলাদেশ সাইবার আর্মির জানা নেই।

Level 0

আমি asas xcxc। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 139 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

আপনাদের প্রতি সবসময় আমাদের সমর্থন আগেও ছিল, এখনও আছে। এগিয়ে যান।

বাংলাদেশ সাইবার আর্মি এগিয়ে যাক। 🙂

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্যে। এখন অন্তত জানতে পারলাম যে মায়ানমার কেন আমাদের সাইটগুলোর উপর হামলা করছে।

আমরা সাথে আছি এবং থাকবো ইনশাল্লাহ।

খুব সুন্দর টিউন।ভালভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য ধন্যবাদ।3xp1r3 Cyber Group দের যে কথা তা সামান্য লিখলাম(তথ্যসূত্র tunerpage.com) –
। *আপনাদের (বাংলাদেশ সাইবার আর্মি) হ্যাকিং স্কিল সম্পকে খুব ভালো জানি, আপনাদের দৌড় কতদুর তা এই সাইবার ওয়ার এ আবার ও দেখতেছি ।১৮/২০ এ ওয়ার হতে কিন্তু ১৬/২০ নয় । তাই ওয়ার এর নামে পরোখ্য ভাবে (সচেতন অথবা অসচেতনতায়) মায়ানমার এর হ্যাকারদের দ্বারা বাংলাদেশী ওয়েব সাইট ধ্বংস করবেন না।এই ওয়ার আপনাদের গাদামির দায় ভার সাধারণ মানুষ দের নিতে হতে হবে ।*
এই কথা গুলোর দ্বারা আমি খুব হতাশ।এখন আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে তাহলে কী আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকব?আমি অবশ্যই বাংলাদেশ সাইবার আর্মিকে সাপোর্ট করব।এগিয়ে যাও তোমরা। ভুল হলে মাফ করবেন।

    @Homo sapiens:
    আপনি যে লেখাটা কোট করেছেন এটা প্রথমে নাগরিক ব্লগে এসেছে। ঐটার জবাব দিয়েই এই লেখাটা লেখেছি আমি। তাদের হতাশার কারন আমার জানা নেই। ভারতের মতো একটা দেশ, যারা কিনা পৃথিবীর সেরা কিছু প্রোগ্রামার ধারন করে, তাদের আমরা পরাজিত করেছি, সেখানে মায়ানমার এর মতো একটা দেশের ক্ষেত্রে তারা কিসের ভয় পাচ্ছে সেটা বোঝার ক্ষমতা আমার নেই। দেশের সাইবার স্পেসের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, সেটা ঠিক করতে এক্সপায়ার এর ফাঁপরবাজ দের বছর খানেক লেগে যাবে। আপনি হয়তো পোষ্টে একটা আইডিয়া পেয়েছেন কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে। এখন কি আমরা চুপ চাপ বসে থেকে দেখবো? দূঃখিত আমরা গান্ধী বাদী নই যে এক গালে চড় খেয়ে অন্য গাল এগিয়ে দেবো। ওরা শুরু করেছে, আমরা শেষ করবো। স জন্য এক্সপায়ার সাইবার আর্মির ফাঁপরবাজ রা যোগদান করুন কিংবা না করুন, We don’t care.

Level 0

ভাই এগিয়ে যান , আমরা আছি সবসময় সাহস যোগাতে ।আপনাদের সাথে ।

Level 0

খুব সুন্দর করে গুলিয়ে লিখেছেন অরিত্র ভাই। সহজেই সবাই এবার বুজতে পারবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে প্রকৃত সত্যটাকে তুলে ধরার জন্য। আপনার লিখনি আরো শক্তিশালী হোক এই কামনায়।

Go go go go go ahead Cyber army

বাংলাদেশ সাইবার আর্মির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যদি ভালো হয়, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন। প্রথমে শত্রুদেরকে সতর্ক করা এবং সতর্ক না হলে এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা যাতে উভয়ের জন্য কল্যান হয় নতুবা অতিরিক্ত কোনো কিছু আমাদের করা উচিত হবে না।
আল্লাহ আমাদেরকে এই বিষয়ে সঠিক এবং বিচক্ষন হওয়ার তৌফিক দান কর।(আমীন)

Level 0

সাইবার আর্মির ভাইরা তোমরা এগিয়ে যাও…আমরা আছি তোমাদের সাথে…!!!

Level 0

মায়ানমারের সাইবার স্পেস গুড়িয়ে দিন, মিটিয়ে দিন, ওদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিন

সুন্দর !

অরিত্র দাদা চমৎকার লিখেছেন আর সেইজন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক বেশী ভালোবাসা।এখানে আমি সামান্য কিছু যোগ করছি যেহেতু আপনিই বলেছেন :p
কথা সত্য সমুদ্র বিজয়কে কেন্দ্র করে তারা এ সাইবার ওয়্যার করছে,কিন্তু দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক ৯ এপ্রিল সোমবার তার সম্পাদকীয় কলামে এটিকে আষাঢ়ে গল্প উড়িয়ে দিয়েছে,তার ভাষ্যমতে কোন সমুদ্রবিজয় তো হয়নি উল্টো পরাজয় হয়েছে 😀 খিক খিক খিক।
সমুদ্র বিজয়ের পর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারের ওপর এবং আন্তর্জাতিক মহলেও চাপ দিতে থাকে।আর সেই চাপ প্রয়োগের মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় দাঙ্গা শুরু হওয়া কেমন জানি একটা ঘটনা তাই না!
আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা এই রিফিউজি কিন্তু আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাদের ব্যবসার বিরাট একটি অংশ,এদের শো করিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ এরা আয় করে কিন্তু বাংলাদেশের ভান্ডারে পৌছাতে পৌছাতে তা অর্ধেকেরেও বেশী কমে যায়।আবার বড় বড় মাফিয়াদের জন্য সীমান্ত পথে অবৈধ জিনিস পাচারে সহজলভ্য শ্রমিক এরাই।তাই যতই বাংলাদেশ এদের ফিরিয়ে দিতে চিবে ততই এরকম সংঘাত হবে।

যে হারামজাদা ঐ ছবি একেছে আর ঝুলিয়ে দিয়েছে তার কোন ধর্মই নাই,সে ধর্মহীন সুতরাং এখানে তারে যেহেতু হাতে পাবো না সেহেতু বীরবুলি না আওড়ানোই শ্রেয়।

শুধু অপারেশন ইন্ডিয়া কেন,যতদিন এই সরকারের আইটি সেক্টরসহ অন্যান্য কিছু খাতে প্রসিদ্ধ ও খ্যাতনামা খ্যাতরা থাকবে ততদিন এসব উপাধি পেয়ে যেতেই হবে,এই সরকার বলেই উপাধি জামাতি/রাজাকার অন্যসরকার থাকলে উপাধি হতো ভাদা (খিক খিক)।
তবে এখানে একটি এক্সট্রা আইটেম দেই সেটা হলো এনজিও সংস্থা “রাবিতা” এটা কাদের জানেন?(না জানলে নিজ উদ্দ্যোগে জেনে নিন) এই রাবিতার আয়ের বিশাল একটি অংশ আসে ঐ রিফিউজিদের দেখিয়ে।আর সেটি কোন খাতে ব্যয় হয় সেটি আশা করি বুঝে যাবেন।

দাদা হাসাইলেন মনে হচ্ছে! সরকারী সাইট ডেভেলপার করবো ফিক্স? না পিক্স? কুনডা?এসবের খাটি ও প্রকৃত উত্তর জানিতে বিটিভির পর্দায় জুব্বার কাকুর অনুষ্ঠানে চোখ রাখুন।কিছু না শিখতে পারেন কিন্তু হাসতে পারবেন ব্যাপুক।

ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনায়।

বিসিএ এর জন্য আমার যেই ডায়ালগঃ- জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।
এগিয়ে যাও বিসিএ তোমাদের পাশে ছায়া হয়ে আমারাও আছি।

বাংলাদেশ সাইবার আর্মি এগিয়ে যাক। 🙂

অরিত্র ভাই খুব ভাল লাগল আপনার post টি পেয়ে। খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। একটা জিনিস পরিষ্কার অন্যান্য জাতির নিজেদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই, তাদের মাথাব্যথা মুসলমানদের নিয়ে। কারন ইসলাম হক ধর্ম । মুসলমানদেরকি এখনো উপলব্দি করার সময় হয়নি যে অন্যান্য জাতি তাদের নিংড়ে রস বের করার কাজে ব্যস্ত । তবে তারা কেন একজনের কাজে অন্যজন সাহায্য করছে না।
বাংলাদেশ সাইবার আর্মি এগিয়ে যাক। সাথে আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ।