সাইবার ওয়ার এবং আমরা…।।সাথে নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা

২০১২ এর কথা।মূলত তখনই বাংলাদেশে হ্যাকার আছে বলে মানুষ প্রথম বিশ্বাস করা শুরু করল।জ্বী হ্যাঁ,বাংলাদেশের সাথে ইন্ডিয়ার সাইবার ওয়ারের কথাই বলতেছি।হ্যাকাররা ডিডস অ্যাটাক এ হেল্প পাওয়ার আশায় নিজেদেরকে ওপেনে নিয়ে আসে।যদিও ওই ওপেনে আনা আর না আনা একই কথা।সবার প্রোফাইল পিক কি বিদঘুটে মুখুশ পরা একটা ছবি দেওয়া!! তবে যাই হোক এই সাইবার ওয়ার বাংলাদেশের আইটি জগতে বিশাল ইমপ্যাক্ট ফেলে।যার প্রভাব আমরা দেখতেই আছি।

তো মূল যেই কারণে স্ট্যাটাস দেওয়া।
কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ার সাথে আবারও লাগার পর এবার লাগা হয়েছি পাকিস্তানের সাথে।বেশ ভাল কথা।তবে আমি এখন একটা জিনিষ বুঝি।এগুলা আসলে সাইবার ওয়ার না।ডিফেস ওয়ার।কারণ সাইবার ওয়ার্ল্ডটা আসলে কি?শুধুই কি একটা ওয়েবসাইট?মোটেও না। যেমন আমরা যদি বড় কোন সাইবার ওয়ার দেখি তখন দেখে তখন দেখি এক দেশ আরেক দেশের নিউক্লিয়ার সিস্টেমকেও বাদ দেয়নি।কিন্তু আমরা যখন সাইবার ওয়ার করি তখন কি দেখি?কে কত ওয়েবসাইট ডিফেস করতে পেরেছে।তো এটাকে সাইবার ওয়ার বলাই চলে না।বরং বলা যায় এলাকার চিপায় চাপায় যেমন গেঞ্জাম লাগে,এটাও তেমন গেঞ্জাম লাগার মতই।ছোট খাটো ব্যাপার আর কি।
কেউ আবার বলবেন না যে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ শুরু হয়েছে আর আমার এই স্ট্যাটাস এর মানে কি।আমি পাকি প্রেমী নই।বলে রাখলাম আগেই
এর পরেও যেহেতু আমাদের মূল যুদ্ধটা আসলে ওই ওয়েব বেজেই থেকেই যাচ্ছে তো আমি কিছু টিপস দেওয়ার ট্রাই করতে পারি

১/নিজের সাইবার স্পেসের সুরক্ষা করুনঃ- নিজেই ইনডেক্সে "রিকভার্ড বাই লুল মিয়া" না দিয়ে ঠিক কোন বাগের কারণে এবং ঠিক কোন কোডটার কারণে এই দশা হয়েছে তা বের করে সল্ভ করুন।

২/গ্রুপ ওয়াইজ কাজ করুনঃ- একাই একশ ভাববেন না নিজেকে।চরম স্লো হয়ে যাবেন তাহলে।ধরুন আপনি এস্কিউএল ভাল পারেন তবে রুটিংটাও পারেন।তবে তেমন না।তাহলে নিজে ট্রাই না করে যে পারে তাকে দ্রুত দিয়ে দিবেন।মনে রাখবেন সাইবার ওয়ারের বড় কন্ডিশন হল কারা কত তাড়াতাড়ি আরেকজনের স্পেস ধসিয়ে দিতে পারে।সুতরাং এক্সপ্লইটিং,রুটিং,ডিফেসিং ইত্যাদি এর জন্য আলাদা সিক্রেট গ্রুপ খুলে ফেলুন।এমন অবস্থা করুন যাতে একজন না জানে আরেকজনের গ্রুপ কি।কারণ জানলেই ঢুঁ মেরে সময় নষ্ট করবে।

৩/শো অফ করার দরকার নেই,কলসি এমনেই বেজে উঠবে।তবে হ্যাঁ ডিডসের পরিকল্পনা থাকলে ভিন্ন হিসাব।তখন মানুষ জোগাড় করতে একটু দেখাতেই হয়।

তো উপরের ৩টা জিনিষে আমি যা বুঝালাম তা হলঃ-

ধরুন সাইবার ওয়ার লেগে গেছে।পুরো স্কোয়াড নিয়ে মিটিঙে বসবেন।বসে ঠিক করবেন কিছু জিনিষঃ- কে সাইট কালেক্ট করবে,কে বাগ বের করবে,কে বাগ ফিক্স করবে (নিজের স্পেসের),কারা এক্সপ্লইট করবে সেই বাগ,কারা শেল আপ করবে এবং এরপর কারা সিম্লিঙ্ক অথবা রুটিং করবে এবং অবশ্যই অ্যাডমিনরা তো গ্রুপ মেইন্টেইনেই থাকবেন।

এভাবে কোন দেশের সাইবার সিস্টেমটাই যদি চালানো যায় তাহলে বেশ ভালই হত

এত কিছু যার জন্য লিখলাম এখন সেই কথায় যাই,আমার এই সম্পূর্ণ লেখাটি আমার ফেসবুকেরই একটি স্ট্যাটাস।এই লেখার পর সবাই আমাকেই বলেছিল,তবে ভাই আপনার হাত ধরে কিছু শুরু করুন।

তাই আমিও ভেবে চিন্তে শুরু করবই ভাবলাম।তবে আমি আমাদের কলুষিত সাইবার স্পেসের মেম্বার দিয়ে নয়,নতুন মানুষদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।কারণ তাহলে মাথায় কুটিল চিন্তা কম ঘুরে কাজের কথা ঘুরবে বেশি

আপনারা সবাই কম বেশি রিজওয়ান বিন সুলাইমান ভাই কে চিনেন।এমনকি উনিও আমার সাথে এই কাজে সংযুক্ত।

আমি কিছু ভাল মানের ওয়েব বেজ প্রোগ্রামার খুঁজছি,যারা কিনা দেশের স্বার্থে কাজ করবে।আপনাদের কাজ হবে যেসব ওয়েবসাইটে আপনাদের কাজ দেওয়া হবে সেই ওয়েবসাইটের যেই বাগটি আছে সেটি কিভাবে ফিক্স করা যায় তা দেখিয়ে দেওয়া।মনে রাখবেন যদি সুযোগ হয়ে যায় তবে সরাসরি আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকেই আমাদের এসব কাজে সাহায্য করা হতেও পারে যেহেতু এখন এসব দিক বিবেচনা বেশ ভাল ভাবেই করা হয় 🙂

তো যদি জয়েন দিতে চান তবে আমার সাথে কন্টাক্ট করতে পারেন,ফেসবুক আইডিঃ- হাসান শাহরিয়ার অথবা ডিরেক্ট গ্রুপে ঢুকতে, গ্রুপ লিঙ্কঃ- Team Crack Platoon

নোটঃ-যারা একদমই নতুন অথবা এসবের কিছু বুঝেন না তারা দয়া করে এড হয়ে বিভ্রান্তিতে ফালাবেন না 🙂 গ্রুপ ভালভাবে দাড়াতে পারলে আপনাদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে ইনশাল্লাহ।অভিজ্ঞ প্রোগ্রামার অথবা যারা টুকটাক কাজ করছেন তাদেরকে আমন্ত্রন রইল এবং কেউ যদি আমার উপরে উল্লেখ করা কাজগুলোর কোনটিতে একটু হলেও পারদর্শী হন,আপনাদেরও স্বাগতম 🙂

Level New

আমি হাসান শাহরিয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

ছোট থেকেই ভিন্ন স্বপ্ন দেখছি।এই শিক্ষা ব্যবস্থার বাঁধ ভেঙ্গে কিছু করে দেখাতে চাই।দেখাতে চাই বয়স কোন বাধা হতে পারেনা যদি ইচ্ছে থাকে।সমাজ ও পরিবেশের বিপরীতে চলতে থাকা আমি ছোট থেকেই টেকনোলজি আর এর সিকিউরিটির ব্যাপারে একটু একটু করে ঘাঁটাঘাঁটি করছি।জানিনা কবে বলতে পারবো এখন একটু পারি।তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।এখন এসেছি...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সুন্দর উদ্যোগ.. চালিয়ে যান।

taito 🙂 kothay mil ache…
uddog valo.

ভাই এই পোস্ট আগে দেখিছি ফেচবুক

    কোথাও শেয়ার হয়েছে এমন কিছু নাকি?আমারই করা পোস্ট এটা ফেসবুকে

আমরা যারা হ্যাকিং শিখতে আগ্রহী তাদের জন্য কি কোনো ব্যবস্থা নেই???

    গ্রুপটি একটি ভাল অবস্থানে গেলে ইনশাল্লাহ আমরা চেষ্টা করবো।আগে আমাদের নিজেদেরই সাহায্যের জন্য মানুষ দরকার 🙂