মুখোশের আড়ালে যিনি………………

আসসালামুয়ালাইকুম... ঈদ মুবারক সবাইকে। কেমন আছেন সবাই ??আশা করি ভাল আছেন। আমার সম্বন্ধে আপনারা অনেকেই জানেন। গত ২৮ই অগাস্ট হতে আমার টেকটিউনে পথ চলা শুরু। আমার অনেক বড় ভাই এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমার কাছ থেকে নতুন কিছু পাবার প্রত্যাশা করেছেন। আমিও চেষ্টা করে যাব আপনাদের নতুন কিছু দেয়ার।

আমাদের সমাজজীবনে এমন কিছু লোক থাকে যারা আমাদের সমাজকে অনেক দূর নিয়ে যায় কিন্তু তারা সবসময় মুখোশের আড়ালে থাকে। এমন একজন মানুষকে নিয়েই আমার আজকের টিউন।

আমরা যারা নেট ব্যবহার করি আমরা তারা সবাই WWW শব্দটির সাথে পরিচিত। WWW এর পূর্ণাঙ্গ অর্থ হল - WORLD WIDE WEB। নেটে কোন কিছু অনুসন্ধান করতে গেলে এটার প্রয়োজন হয়। এর উদ্ভাবনের পিছে যে ব্যাক্তিটি আছেন তিনি হলেন.tim berners lee

                                                                                                                                                                                                 'টিম বার্নার্স-লি' বা 'স্যার টিমোথি জন "টিম" জন বার্নার্স-লি'(ইংরেজি:Tim Berners-Lee) (জন্ম জুন ৮,১৯৫৫), এবং "TimBL" নামেও যিনি পরিচিত, যিনি পেশায় একজন ব্রিটীশ পদার্থবিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞানী, MIT অধ্যাপক, এবং (ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের ডিরেক্টর। ওনার সম্বন্ধে কিছু জানার আগে আসুন WWW এর কাজ জেনে নেয়া যাক।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (সংক্ষিপ্তরূপ দি ওয়েব) হল ইন্টারনেট দিয়ে দর্শনযোগ্য আন্তঃসংযোগকৃত তথ্যাদির একটি ভাণ্ডার। একটি ওয়েব ব্রাউজারের সহায়তা নিয়ে একজন দর্শক ওয়েবপাতা বা ওয়েবপেজ দেখতে পারে এবং সংযোগ বা হাইপারলিঙ্ক ব্যবহার করে নির্দেশনা গ্রহণ ও প্রদান করতে পারে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হাইপার টেক্সট ডকুমেন্টগুলো নিয়ে কাজ করার পক্রিয়ায় ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত। হাইপার লিংকের সাহায্যে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে,[২] ওয়েব পেইজ দেখা যায়, যা টেক্সট, চিত্র, ভিডিও ও অন্যান্য মাণ্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ হতে পারে। ১৯৮৯ সালের মার্চে ইংরেজ পদার্থবিদ টিম বার্নাস লি, বর্তমানে যিনি ওয়ার্ণ্ড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের ডাইরেক্টর, পূর্ববর্তী হাইপারটেক্সট সিস্টেম হতে ধারণা নিয়ে, যে প্রস্তাবনা লেখেন তা হতেই উপত্তি ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের।[১] পরবর্তীতে এ কাজে লি'র সাথে যোগ দেন বেলজিয়ান বিজ্ঞানী রবার্ট কাইলিয়াউ। এসময় তারা উভয়েই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সের্নে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯০ এর ডিসেম্বরে তাদের প্রকাশিত এক প্রস্তাবনায় তারা উল্লেখ করেন,‍“ হাইপারটেক্সট্-কে লিংক ও ওয়েব হতে নানবিধ তথ্যের সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে একজন ব্যাবহারকারি তার মর্জিমাফিক ওয়েব পরিভ্রমণ করতে পারবে।”বর্তমান ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে, অন্যান্য ওয়েব সাইট তৈরি হয়েছিল, সারা বিশ্বব্যাপী, ডোমেইন এর নাম ও এইচটিএমল এর ক্ষেত্রে আর্ন্তজাতিক মান স্থাপিত হয়েছিল। তখন থেকেই বার্নাস লি ওয়েব স্টান্ডার্ড এর ব্যাপারে তার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন(যেমন, ওয়েব পেই্জ তৈরীতে কোন মার্কআপ ভাষা ব্যবহার করা হবেওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সহজে ব্যবহার যোগ্য ও সাবলীল পক্রিয়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সমূহের প্রসার বা বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। আর এভাবেই তারা ইন্টারনেটকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছেন। অনেক সময় সাধারণত এদের অর্থকে গুলিয়ে ফেলা হয় যদিও ইন্টারনেট কখনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিশব্দ নয়। ওয়েব হল মূলত ইন্টারনেটের উপর ভিত্তিকরে গড়ে ওঠা একটা এপ্লিকেশন মাত্র।

এটি হল সেই কম্পিউটার জার মাধ্যমে টিম বারনার WWW এর সুচনা করেন।

ওয়েব পেজ দেখার প্রক্রিয়া সাধারণত কোন ব্রাউজারে ইউআরএল টাইপ করা বা কোন পাতা হতে হাইপারলিঙ্ক অনুসরণের মাধ্যমে শুরু হয়ে থাকে। এরপর ওয়েব ব্রাউজার যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কিছু বার্তা প্রদান শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে পরিশেষে পাতাটি দর্শনযোগ্য হয়ে ওঠে।

প্রথমেই ইউআরএল এর সার্ভার নামের অংশটি আইপি এ্যাড্রেস ধারণ করে। এজন্য এটি একটি বিশ্বজনীন ইণ্টারনেট ডাটাবেস বা তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করে যা ডোমেইন নেম সিস্টেম নামে পরিচিত। এই আইপি ঠিকানাটি ওয়েব সার্ভারে ডাটা প্যাকেট প্রেরণের জন্য জরুরী।

এরপর ব্রাউজার নির্দিষ্ট ঠিকানাটিকে একটি এইচটিটিপির আবেদন জানায় ওয়েব সার্ভারের কাছে। সাধারণ কোন ওয়েব পেজের বেলায়, পাতাটির এইচটিএমএল লেখার জন্য শুরুতে আবেদন জানানো হয়। এরপর ওয়েব ব্রাউজারটি ছবিসহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় ফাইলের জন্য আবেদন পৌছে দেয়।

ওয়েব সার্ভার থেকে আবেদনকৃত ফাইলসমূহ পাবার পর ওয়েব ব্রাউজারটি এইচটিএমএল, সিএসএস ও অন্যান্য ওয়েব ল্যাঙ্গুয়েজ অনুযায়ী পাতাটিকে স্ক্রিনে সাজিয়ে ফেলে। অধিকাংশ ওয়েব পাতাগুলোতে নিজস্ব হাইপারলিঙ্ক থাকে যাতে সংশ্লিষ্ট অন্যন্য পাতা এবং ডাউনলোডসহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্য উল্লেখিত থাকে। এই প্রয়োজনীয় ও পরষ্পর সংযুক্ত হাইপারলিঙ্কগুলোর সমুষ্টিই ওয়েব নামে পরিচিত। টিম বার্নার্স-লি সর্বপ্রথম একে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে নামাঙ্কিত করেন।

ইনি বর্তমানে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস এ কর্মরত আছেন। তিনি প্রফেসর সহ নাইট উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।। 

টিম বারনার লি সম্বন্ধে আর জানতে চাইলে http://en.wikipedia.org/wiki/Tim_Berners-Lee ক্লিক করুন। আর আমার টিউন কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফিজ।

Level 0

আমি শাহ্‌রিয়ার কবীর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 101 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

জানতে চাই, শিখতে চাই আর ভালবাসি টেকটিউন কে...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভালো লিখেছেন। টেকটিউনসের ভুবনে আপনাকে স্বাগতম।

Level 0

Onek valo post.
Thanks.

চমৎকার টিউন। আপনাকে টিটি’র টিউনার ভুবনে স্বাগতম। লিখে যান। 🙂

ভাল হয়েছে।
চালিয়ে যান। 🙂

Level 0

Welcome to techtunes 🙂

Level 0

কিভাবে যে বলি………
একটু ভিন্নভাবে বলি ………………
কুব ছুন্দর হইচে বাইয়া (খুব সুন্দর হইছে ভাইয়া)।

ধন্যবাদ

TT-তে স্বাগতম…
ভালো লিখেছেন…

আগ্রহীরা এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন – http://www.technologybasic.com/internet/www

ভালই লাগল। আরও এরকম তথ্যবহুল টিউন চাই।

এখন পড়ব না, তাই pdf করে রেখে দিলাম। আশা করি ভাল হবে। ধন্যবাদ।

Jene Valo Laglo.
Thanks.

nice tune…….