কম্পিউটার কে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং গতিসম্পন্ন রাখার সেরা কিছু টিপস

আমরা অনেকেই ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, অ্যাডওয়্যার, পিসি ধীরগতি হয়ে যাওয়া, হার্ড ড্রাইভ ফুল হয়ে যাওয়া, ওয়েবসাইট স্লো লোড হওয়া সহ অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। চলুন দেখে নেই কিছু টিপস যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের পারফরমেন্স বাড়িয়ে নিতে পারবেন এবং অনেক নিরাপদে রাখতে পারবেন।

১ সিকিউরিটি

এন্টিভাইরাস:

প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার কম্পিউটারে একটি এন্টিভাইরাস ইনস্টল করা আছে যা আপনার ইন্টারনেট ব্রউজিং আরো নিরাপদ করবে, ফায়ারওয়াল চালু রাখবে এবং প্রতিনিয়ত ভাইরাস ডিটেক্ট করার জন্য আপনার কম্পিউটার স্ক্যান করবে। আমি এক্ষেত্রে সাজেস্ট করব AVG Internet Security 2013 অথবা AVAST Antivirus. মনে রাখবেন কখনই দুটি এন্টিভাইরাস একসাথে ব্যবহার করবেন না। এতে করে কনফ্লিক্টের সৃষ্টি হতে পারে এবং সিস্টেম ক্র্যাশ করতে পারে।

avg internet security 2013

আন্টি ম্যালওয়্যার:

ইন্টারনেট থেকে কোনো ফাইল ডাউনলোড করলে এমনকি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিসিট করলেও আপনার কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে। ম্যালওয়্যার আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং ধীর, সিস্টেম স্পিড ধীর করে দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার যদি নিজস্ষ কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে তবে আপনি তাতে লগইন করার সাথে সাথে সেসকল ম্যালওয়্যার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে যা বেশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। এন্টিভাইরাস অনেক সময় ম্যালওয়্যারের জন্য পর্যাপ্ত না বিশেষ করে আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিসিট করে থাকেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার হচ্ছে Malwarebytes Anti-Malware.

malware byte anti malware

সেইফ ওয়েব ব্রাউসিং:

কোনো লিংকে ক্লিক করার আগে বা কোনো ওয়েবসাইতে প্রবেশ করার আগে জেনে নিন তা ক্ষতিকারক কিনা। এমনকি অনেক সময় পপ-আপ এর কারণে অটোমেটিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউসারে ওপেন হয়ে যায়। এসকল বিষয়ে সতর্ক হতে ব্যবহার করুন Wot ব্রাউসার প্লাগিন / এক্সটেনশন। Wot কমুনিটির ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ ওয়েবসাইটগুলোকে রেটিং আর রিভিউর মাধ্যমে লাল চিন্হিত করে থাকে। এসকল ওয়েবসাইটের লিঙ্কের পাশে একটি লাল মার্ক দেখতে পাবেন এবং ব্রাউসারে খোলার আগে আপনার কাছে পারমিশন চাইবে। তখন আপনি ইচ্ছে করলে প্রবেশ করা ক্যানসেল করে দিতে পারেন। এটি ফায়ারফক্স এবং গুগল ক্রমে কাজ করে। আর একটা বেপার সেইফ ব্রাউসিং এর জন্য সেইফ ব্রাউসার ব্যবহার করাও জরুরি। ফায়ারফক্স এবং গুগল ক্রম ২০১৩ সালের সবচেয়ে নিরাপদ দুটি ব্রাউসার

WOTlogo

২ ক্লিন-আপ এবং গতি (উইনডোজ ওএস ব্যবহারকারীদের জন্য)

 

ডিস্ক ক্লিন-আপ :

সাধারণত C Drive এ টেম্পোরারি ফাইল, উইনডোজ  আপডেট ব্যাকআপ, রেজিস্ট্রি এরর, জাঙ্ক ফাইল সহ বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমা হয়ে যায় যা কম্পিউটারের গতি বেশ কমিয়ে দেয়। তাই C ড্রাইভের প্রোপারটিসে গিয়ে ক্লিন আপে ক্লিক করুন। সেখান থেকে 'ক্লিন আপ সিস্টেম ফাইলস' এ যান। উপরে দেখবেন ২টা ট্যাব সেখান থেকে 'more option' ক্লিক করুন। এবার সেখানের দুই নম্বর অপসন ''system restore and shadow copies'' এ ''clean up'' ক্লিক করুন। ডিলিট করার কনফার্মেশন চাইবে। ডিলিট ক্লিক করুন। ১ দুই মিনিট সময় নিবে লোড হতে। লোড হয়ে গেলে ''OK'' ক্লিক করুন। আবার ডিলিট করার কনফার্মেশন চাইবে। 'Delete Data' ক্লিক করুন। এবার দেখুন সি ড্রাইভে কত গিগাবাইট জায়গা খালি হলো।

টিউন-আপ:

কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের পারফরমেন্স, সিস্টেম মেইনটেন্স, প্রটেকশন ইত্যাদির জন্য সবসময় এক্সট্রা কিছু কেয়ার প্রয়োজন হয়। আর এসব কিছুর পুরোটাই আপনাকে দিবে AVG PC TuneUP সফটওয়্যারটি। এতে আরো থাকছে ''One click maintenance'' সিস্টেম যার মাধ্যমে এক ক্লিকেই অনেক কিছু অপটিমাইজ আর ফিক্স করতে পারবেন।

avg pc tuneup

আশা করি আমার এই টিউনের মাধ্যমে টেক টিউনস কমিউনিটি উপকৃত হবে। ধন্যবাদ।

Level 0

আমি spyridon। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

AVG এর পন্য ভাল না। ALL time eat up everything.