আবার একটা টিউন নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আজ আমি আপনাদের দিব ৭টি সফটওয়্যার । অনেকে হয়ত ব্যাবহার করেছেন , আবার অনেকে হয়ত করেননি। তবে আমি নিশ্চিত একটা না একটা আপনার ভাল/কাজে লাগবেই।
তো আসুন কথা না বারিয়ে সফটওয়্যার গুলর সাথে পরিচিত হই।
১। ক্যাম স্টুডিও
আপনি একটি ভিডিও টিউটরিয়াল বানাতে চান। অথবা আপনার ডেস্কটপের কোনো সমস্যা ভিডিও করে কাউকে দেখাতে চান। ভাবছেন এ জন্য ক্যামেরা লাগবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ক্যামেরা ছাড়াই ভিডিওটি করা যাবে। এ জন্য আপনাকে বিশেষ একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে। এটি আপনার ডেস্কটপের ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবে। ইন্টারনেটে এ ধরনের বেশ কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন থাকলেও এগুলোর বেশির ভাগই ডেমো (অসম্পূর্ণ সংস্করণ)। ফলে ভিডিওর ওপর নির্মাতার নাম থেকে যায় বা এর ছবির মান অনেক খারাপ হয়। কিন্তু আপনি যদি 'ক্যাম স্টুডিও' অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে ক্যাপচার করেন, তাহলে এ ধরনের সমস্যা হবে না।
ওপেনসোর্স এবং বিনামূল্যে এই অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে ছবি ও শব্দ দুই-ই রেকর্ড করা যায়। মাইক্রোফোনে কণ্ঠ (ভয়েস) দিয়ে এর মাধ্যমে ভিডিও টিউটরিয়ালও বানাতে পারবেন। সাধারণ ফরম্যাটের পাশাপাশি ঝডঋ মুডে ভিডিওটি সংরক্ষণ করা যাবে। এখানে থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি নিখরচায় ডাউনলোড করা যাবে।
২। ডেস্কটপে স্বচ্ছ ক্যালেন্ডার
ডেস্কটপে রাখার মতো অনেক রকমের ক্যালেন্ডার আছে। কিন্তু 'রেইনলেন্ডার' যেন একটু অন্য রকম। ক্যালেন্ডারটি ডেস্কটপের ওপর স্বচ্ছ হিসেবে রাখা যাবে। অর্থাৎ এর ভেতর দিয়ে ডেস্কটপের অন্য সব দেখা যাবে। স্বচ্ছতা প্রয়োজন অনুযায়ী কমানো-বাড়ানোর সুযোগও আছে। এতে ইভেন্ট ও টুডু (সময় অনুযায়ী কাজের তালিকা) যোগ করা, ডিজিটাল ঘড়ি এবং অ্যালার্ম ব্যবহারও করার সুযোগ আছে। ৩০টির বেশি ভাষায় ক্যালেন্ডারটি ব্যবহার করা যায়। এখানে থেকে বিনা মূল্যে রেইনলেন্ডার ডাউনলোড করা যাবে।
৩। অডিও ভিডিও টুলস
অডিও বা ভিডিওর ফরম্যাট রূপান্তর, ভিডিও থেকে অডিও আলাদা করা, বড় ভিডিও থেকে কিছু অংশ কেটে সংরক্ষণ (সেভ) করা, ভিডিও থেকে স্থিরছবি নেওয়া, ইউটিউব থেকে ডিডিও ডাউনলোড করা, সিডিতে রাইট করা_অডিও-ভিডিও নিয়ে কত কিছুই না করতে হয়। এসব কাজের সুযোগ যদি এক সূত্র থেকে পাওয়া যায়, তাহলে কেমন হয়! এমনই এক অ্যাপ্লিকেশন 'ফ্রি স্টুডিও ম্যানেজার'। এতে ইউটিউব ডাউনলোড, ভিডিও কনভার্ট, ভিডিও থেকে ছবি কনভার্ট, অডিও সিডি বার্নার, ডিস্ক বার্নারসহ ২০টি টুল আছে। ৬৬.১১ মেগাবাইটের অ্যাপ্লিকেশনটি এখানে থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
৪। সিক্লিনার
এটা অবশ্য অনেকেই ব্যাবহার করেন। কম্পিউটারে প্রতিনিয়ত 'টেম্পোরারি ফাইল' তৈরি হয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে জমা হয় 'হিস্টোরি ফাইল' আর 'কুকিজ'। এগুলো উইন্ডোজে জমে কম্পিউটারের গতি ধীর করে দেয়। অনেক সময় কম্পিউটার হ্যাংও করে। অনেকে হাতে হাতে (ম্যানুয়ালি) এসব ফাইল মুছে থাকেন। এতে অনেক সময় ব্যয় হয়। এসব টেম্পোরারি ইন্টারনেট ফাইল, কুকিজ ও হিস্টোরি মুছে ফেলার দায়িত্ব তুলে দিতে পারেন অ্যাপ্লিকেশনের কাঁধে। 'সিক্লিনার' নামের এ অ্যাপ্লিকেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সব পরিষ্কার করে দেবে। এখানে থেকে এটি ডাউনলোড করা যাবে।
৫। রেকুভা
ভুলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মুছে দিয়েছেন অথবা সিস্টেম ক্রাশ করার পর গুরুত্বপূর্ণ ছবি বা গান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এগুলো খুব ব্যয়বহুল। ভালোমানের এ ধরনের একটি অ্যাপ্লিকেশনের দাম দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে 'রেকুভা' হচ্ছে এমন একটি নিখরচার টুলস, যেটি আপনার কম্পিউটারের যেকোনো ড্রাইভ 'ডিপ স্ক্যান' করে বলে দেবে মুছে যাওয়া ফাইলটি পুনরুদ্ধার সম্ভব কি না। যদি পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়, তাহলে রেকুভার Recover বাটনটি ক্লিক করে ফাইলটি ফিরিয়েও আনা যাবে। এটি শুধু হার্ডড্রাইভ নয়, পেনড্রাইভ, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং এক্সটারনাল হার্ডড্রাইভের ক্ষেত্রেও কার্যকর। এখানে থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যাবে।
৬। ডিফ্রাগলার
উইন্ডোজ সেটআপের অনেক দিন পরও কম্পিউটারের গতি (পারফরম্যান্স) ধরে রাখতে হলে আপনাকে নিয়মিত স্ক্যানডিস্ক বা ডিফ্রাগমেন্ট করতে হয়। কিন্তু উইন্ডোজ তার সিস্টেম ফাইল যেমন 'পেইজ ফাইল' বা 'রেজিস্ট্রি' ডিফ্রাগ করতে পারে না। 'ডিফ্রাগলার' এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন, যা উইন্ডোজের ডিফ্রাগমেন্টে সহায়তা করে। এটি দিয়ে নির্দিষ্ট একটি ড্রাইভও ডিফ্রাগ করা যাবে। এখানে থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যাবে।
৭। উইন্ডোজে অ্যাপল ডিজাইন
অ্যাপলের ইউজার ইন্টারফেইস সব সময়ই নজরকাড়া হয়। তাই এর এত চাহিদা। তবে বাজারের সমমানের পণ্যের চেয়ে অ্যাপল পণ্যের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি। অনেকের তাই সাধ থাকলেও অ্যাপল ব্যবহারের সাধ্য হয় না। তবে সুখবর হচ্ছে, উইন্ডোজ ব্যবহারকারী চাইলে তাঁর কম্পিউটারে অ্যাপলের ইন্টারফেইস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনাকে সাহায্য করবে 'আইপ্যাডিয়ান'। এখানে থেকে প্রথমে উইন্ডোজের আইপ্যাড সিমুলেটর ডাউনলোড করতে হবে। আপ্লিকেশনটি পোর্টেবল, তাই এতে ইনস্টল করার ঝামেলা নেই। শুধু iPadian.exe ফাইলে ক্লিক করলেই এটি কাজ শুরু করবে।
৮। স্পেসি (বোনাস)
এটি দিয়ে আপনি আপনার কম্পিউটারের নারি-নক্ষত্র সব জানতে পারবেন। এখানে
আমি এম.এইচ.রিয়াদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 144 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
০১৯৪৩৭১৫৭১৭
ধন্যবাদ 🙂