বায়োলোজি সহজে শিখি, মনে রাখি [পর্ব-০১] :: নিজেই হোন নিজের গৃহ শিক্ষক – বায়োলোজি টিউটর-অ্যানিমেশন, ভিডিও ও পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে বায়োলোজি পড়ি। সঙ্গে থাকছে টপার্স ফাইল। HSC পরীক্ষার্থীরা দেখতে ভুলবেন না।

টিউন বিভাগ এডুটিউনস
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

বায়োলজি সহজে শিখি, মনে রাখি

নিজেই হোন নিজের গৃহ শিক্ষক - বায়োলোজি  টিউটর -আসুন  একটানা বায়োলোজি মুখস্ত না করে   ফ্ল্যাশ , অ্যানিমেশন, ভিডিও ও পাওয়ার পয়েন্ট  দিয়ে বায়োলোজি পড়ি । সঙ্গে থাকছে টপার্স ফাইল ।HSC   পরীক্ষার্থীরা দেখতে ভুলবেন না। আপনি নিজে যদি পরীক্ষার্থী না ও হোন , যদি আপনার কোন আত্মীয় স্বজন থেকে থাকেন তবে তাদের জন্য নোটস টি সংগ্রহ করে রাখুন, দেখবেন তারা সত্যিই উপকৃত হবে ।

সঙ্গে থাকছে ডাউনলোড করার জন্য সম্পূর্ণ নোটস টির পিডি এফ ফাইল -মাত্র ৩৪৮ কেবির

বায়োলোজি বিষয়টিতে এমনিতেই বেশী মুখস্ত করতে হয়। তার সাথে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া হিসেবে দাঁত ভেঙে দেওয়ার মত একগাদা সায়েন্টিফিক নাম, সংজ্ঞা, অ্যাব্রিভিয়েশন ,চক্র , দশা, ব্লা ব্লা ব্লা .........

তাই HSC   পরিক্ষার্থী বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় যারা বসতে চলেছেন তাদের জন্য শুরু  করলাম  ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন অধ্যায়ের উপর  -আলোচনা । যাতে বিষয়টি সহজে বোধগম্য হয় বা সহজে মুখস্ত করা যায় তার জন্য থকছে বিভিন্ন ফ্ল্যাশ ফাইল , পাওয়ার পয়েন্ট এবং ভিডিও ও অ্যানিমেশন ।আমাদের আজকের বিষয় মেডিক্যাল জুলজি বা চিকিৎসা প্রানীবিজ্ঞানের অন্তর্গত –ম্যালেরিয়া ।আসুন শুরু করি বিষয়বস্তু-

ম্যালেরিয়া কথাটির অর্থ কি ?  

  Malaria  কথাটির দুটি অংশ Mala= bad  এবং  aria= air  কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল খারাপ বায়ু।ম্যালেরিয়া রোগজীবানু আবিষ্কারের পূর্বে মানুষের ধারনা ছিল যে খারাপ বা দূষিত বায়ুর জন্য ম্যালেরিয়া ঘটে, রোগটি দূষিত বায়ুতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মহা মারির আকার নেয়।

ম্যালেরিয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস –

কেকবেকি করেছেন ?
ল্যাভেরান (Laveran,1880)-ম্যালেরিয়া সংক্রামিত ব্যক্তির রক্তে প্রথম প্লাসমোডিয়ামের সন্ধান পান ।
 গলগি (Golgi ,1885 )-কোয়ার্টান ম্যালেরিয়া রোগের এরিথ্রোসাইটিক চক্র পর্যবেক্ষণ করেন
স্যার রোনাল্ড রস(Sir R. Ross, 1898)-স্যার রোনাল্ড রস ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে সর্বপ্রথম কলকাতার পিজি হাস্পাতালের গবেষণাগারে প্রমাণ করেন যে ম্যালেরিয়ার রোগজীবাণুর বাহক হল মশা। তিনি সর্ব প্রথম পাখীর ম্যালেরিয়াতে অ্যানোফিলিস মশার ভূমিকা নির্ণয় করেন।তিনি মশার দ্বারা ম্যালেরিয়ার রোগজীবানুর সংক্রমণ পদ্ধতি এবং তার বিভিন্ন দশা গুলি আবিষ্কার করেন এবং এই অসামান্য আবিষ্কারের জন্য তিনি  ১৯০২ সালে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন।
বিগনামি (Bignami,1898)-তিনি ম্যালেরিয়া পরজীবীর মশকী চক্র পর্যবেক্ষণ করেন।
 জিওভান্নি গ্রাসি ।  (Giovanni Grassi, 1898 )  ম্যালেরিয়া পরজীবীর মশকী চক্র পর্যবেক্ষণ করেন  এবং সুনির্দিষ্ট ভাবে মশারা তাদের গাট বা ক্রপের মধ্যে এই জীবানুর দশা বহন করে সে সম্পর্কে তথ্য দেন
সাউডিন (Schaudinn,1902)-প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স এর পরিস্ফূরনের বিভিন্ন পর্যায় পর্বেক্ষণ করেন ।
সর্ট ও গ্রানহাম (Short & Granham ,1948)প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স এর সাইজন্ট দশা ও সাইজোগনির উপর আর বিস্তৃত আলোচনা করেন ।

ম্যালেরিয়ার রোগজীবানু - প্লাস্‌মোডিয়াম (Plasmodium  নামক প্রোটোজোয়া বা আদ্যপ্রানীর বিভিন্ন প্রজাতি মানুষের দেহে বিভিন্ন প্রকার ম্যালেরিয়ার সৃষ্টি করে

প্রানী জগৎ এ প্লাসমোডিয়াম এর স্থান-( Systematic position of Plasmodium in the Animal Kingdom)-

পর্ব-প্রোটোজোয়া (Protozoa)

শ্রেনী-স্পোরোজোয়া (Sporozoa)

বর্গ-ককসিডিয়া (Coccidia)

উপবর্গ-সাইজোককসিডিয়া(Schizococcidia)

গোত্র-হিমোস্পোরিডি(Haemosporidae)

গণ-প্লাসমোডিয়াম (Plasmodium)

প্রজাতি- (i)ভাইভ্যাক্স(vivax)

(ii) ম্যালেরি(malariae)

(iii)ফ্যালসিপেরাম(falciparum)

(iv) ওভেল( ovale)

 LifeCycle Of   Plasmodium vivax:-

প্লাসমোডিয়াম হল একটি অন্তঃপরজীবী প্রোটজোয়া, স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা হল এদের প্রাথমিক বা নির্দিষ্ট পোষক আর মানুষ হল এদের গৌণ বা অন্তর্বর্তী পোষক। মানুষের দেহে প্লাসমোডিয়াম এর অযৌন জনন আর অ্যানোফিলিস মশকির দেহে যৌন জনন সম্পন্ন হয় ।এদের যথাক্রমে মনুষ্য চক্র এবং মশকী চক্র বলে ।

(A)    Human Cycle  বা মনুষ্য চক্র   : মানব দেহে যকৃতকোষ এবং লোহিত রক্ত কণিকার (RBC  বা  এরিথ্রোসাইট) কোষে  প্লাসমোডিয়াম এর অযৌন জনন বা সাইজোগনি (Schizogony)   সম্পন হয়।এই জননে চারটি পর্যায়ক্রমিক দশার মাধ্যমে স্পোরোজয়েট দশা থেকে মেরোজয়েট দশার সৃষ্টি হয়।প্লাসমোডিয়াম এর মনুষ্য চক্র টি চারটি পর্যায় এ বিভক্ত-

(ক) প্রি এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগোনি (  Pre erythrocytic schizogony) :-

 (i)এই দশায় আক্রান্ত স্ত্রী অ্যানোফিলিস  যখন মানুষের রক্ত পাণ করে তখন তার দেহ থেকে তার লালার মাধ্যমে মশার দেহের লালাগ্রন্থীতে অবস্থানকারী   প্লাসমোডিয়াম এর স্পোরোজয়েট গুলি সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে।

 (ii)স্পোরোজয়েট গুলি বেম বা মাকু আকৃতির হয়ে থাকে ,দৈর্ঘ্য ১০-১৫ um  প্রস্থ 1 um ।রক্তস্রোতের মাধ্যমে এরা যকৃতে পৌছায়।

(iii)মানব দেহে প্রবেশের ৩০ মিনিটের মধ্যেই এরা সক্রিয় ভাবে যকৃত এর হেপাটোসাইট কোষের(প্যারেনকাইমা কোষ) মধ্যে প্রবেশ করে সাইজোগোনি নামক  multiple fission   বা বহূবিভাজন (অযৌন জনন) পদ্ধতিতে সাইজন্ট( Schizont) গঠন করে।

(iv) সাইজন্ট গুলি আকৃতিতে গোলাকার এবং এদের আকৃতি ৩০-৭০ মাইক্রন (um), অসংখ্য নিক্লিয়াস যুক্তহয় ।  প্রতিটি সাইজন্ট থেকে ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ ক্রিপ্টোমেরোজয়েট (Cryptomerozoite)   বা ক্রিপ্টোজয়েট এর সৃষ্টি হয়  এদের আকৃতি 0.7 um   এবং এদের মধ্যে সাইটোপ্লাজম পরিবেষ্টিত একটি করে নিউক্লিয়াস happloid (n) থাকে ,  এরা যকৃতের সাইনুসয়েডের (যকৃতের অ্যাসিনাস কোষগুলির মধ্যবর্তী ফাঁকা তরল পদার্থ পূর্ণ স্থান)এর মধ্যে প্রথমে উন্মুক্ত হয় ।

(v) প্রি এরিথ্রোসাইটিক চক্র  সম্পূর্ণ হতে  Plasmodium vivax  এর  8 দিন  Plasmodium ovale এর  9 দিন      ও   Plasmodium falciparum এর  6  দিন , Plasmodium malariae  এর  15দিন সময়   লাগে

(vi) মুক্ত মেরোজয়েটগুলি বা ক্রিপ্টোমেরোজয়েট গুলি  এর পর লোহিত রক্তকণিকার কোষ   কে আক্রমন করে. প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রি এরিথ্রোসাইটিক চক্র চলাকালীন মানুষের দেহে কোনো রোগ লকশন প্রকাশ পায় না –এজন্য এই দশাকে অনেক সময় সাইলেন্ট স্টেজ ও বলা হয়।

(খ)   এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগোনি (  Erythrocytic schizogony)      :-

(i)                ক্রিপ্টোমেরোজয়েট গুলি সাইজন্ট থেকে মুক্ত হয়ে রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা গুলিকে আক্রমণ করে এই রক্ত কণিকা গুলির মধ্যে এরা গোলাকার আকার ধারণ করে ট্রোফোজয়েট (Trophozoite)  দশায় পরিনত হয়।

(ii)             ট্রোফোজয়েট গুলি দ্রুত লোহিত রক্ত কণিকার পরিধি বরাবর বর্ধিত হয় এই সময় ট্রোফোজয়েটগুলির মধ্যে একটি করে বড় অসংকোচী গহবরের সৃষ্টি হয়, এবং নিউক্লিয়াস টি একপ্রান্তে অবস্থান করে ফলে ট্রোফোজয়েট গুলিকে রিং বা আংটির ন্যায় দেখতে হয়, ট্রোফোজয়েট এর এই দশাকে সিগ্‌নেট রিং(Signet Ring)   বলে।সিগনেট রিং এর ব্যাস  2.5-3 um হয় ।এই সময় ট্রোফোজোয়েটের সাইটোপ্লাজমে একধরনের পীতাভ ধূসর দানা পরিলক্ষিত হয়েই দানা গুলিকে হিমোজয়েন  দানা বলে ।

(iii)           এরপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রোফোজয়েট গুলি আবার সাইজোগোনি(বহুবিভাজন-ইহা একপ্রকার অযৌন জনন ) পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গ   সাইজন্ট  গঠন করে । এই সাইজন্ট এর মধ্যে বহূবিভাজন পদ্ধতিতে ১২-২৪ টি (গড়ে ১৬ টি )অপত্য কোষ গঠন করে এদের মেরোজয়েট (Merozoite) বা এরিথ্রোসাইটিক মেরোজোয়েট বলা যা দৈর্ঘ্যে 1.5-1.75 um    প্রস্থে   0.5    um  হয়।

(iv)           সাইজন্ট বিদীর্ণ হলে মেরোজয়েট গুলি রক্তে মুক্ত হয় এবং পুনরায় নতুন কোনো লোহিত রক্ত কণিকার কোষকে আক্রমন করে এবং এই এরিথ্রো সাইটিক চক্রের পুনারাবৃত্তি ঘটে।এই চক্র  প্রতি ৪৮ ঘণ্ট অন্তর চলতে থাকে । মেরোজয়েট গুলি রক্তে মুক্ত হলে এই সময় মেরজয়েট এর দেহনিঃসৃত  টক্সিন বা অধিবিষের প্রভাবে পোষক অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে কাঁপুনি দিয়ে খুব জ্বর আসে। এই অধিবিষ রোগির দেহ হতে নির্গত হলে তখন তার দেহ থেকে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে।

(গ) এক্সো-এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগোনি (  Exo-erythrocytic schizogony) :-

(i)                যকৃত কোষে উৎপন্ন ক্রিপ্টোমেরোজয়েট গুলো রক্তে মুক্ত হওয়ার পর পুনরায় যকৃত কোষকে আক্রমণ করে তখন এই চক্রের শুরু হয় ।ক্রিপ্টোজয়েট গুলি (যা যক্ররতে প্রথম ধাপে তৈরী হয়েছিল) সাইজোগনি পদ্ধতিতে পুনারায় সাইজন্টে পরিনিত হয়,

(ii)             যাথেকে অসংখ্য এক্সোএরিথ্রোসাইটিক মেরোজয়েট বা  মেটা ক্রিপ্টোমেরোজয়েট (Metacryptomerozoite)  বা ফ্যানেরোজয়েট দশার সৃষ্টি হয় ।

(iii)           মেটা ক্রিপ্টোমেরোজয়েট গুলি মুক্ত হয়ে পুনরায় যকৃতের কোষে প্রবেশ করে অথবা লোহিত রক্ত কণিকা কে আক্রমন করে ।

(ঘ) গ্যামেটোগোনি (  Gametogony) :-

(i)                এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগোনিতে সৃষ্ট কিছু মেরোজোয়েট পুনরায় সাইজন্ট গঠন না করে  একটু ভিন্ন আচরণ করে, এরা ট্রোফোজয়েট দশা সমাপ্ত করে লোহিত রক্ত কণিকা থেকে নির্গত হয়  এবং গোল আকার ধারন করে গ্যামেটোসাইট ( Gametocyte)  এ রূপান্তরিত হয়

(ii)             ছোট আকারের গ্যামেটোসাইট গুলিকে  পুং গ্যামেটোসাইট বা মাইক্রো গ্যামেটোসাইট এবং বড় আকারের গ্যামেটোসাইট গুলিকে  স্ত্রী গ্যামেটোসাইট বা মাক্রো গ্যামেটোসাইট (অথবা মেগা গ্যামেটোসাইট ) বলে।

(iii)           মশার দ্বারা মানুষের দেহে প্লাসমোডিয়াম এর স্পোরোজয়েট দশা অনুপ্রবেশের ১৬ দিন পরে  মানব দেহের প্রান্তীয় রক্তে গ্যামেটোসাইট দশা দেখা যায়।

(iv)           মানুষের দেহের রক্তে গ্যামেটোসাইট দশা ৭ দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকে এর মধ্যে মশকী মানুষের রক্ত পাণ করলে মশকীর দেহে তারা প্রবেস করে এবং গ্যামেট গথন করে নতুবা এরা মারা যায়।

(B)    Mosquito Cycle বা  মশকীচক্র :-

(i)                অ্যানোফিলিস মশকীর দেহে প্লাসমোডিয়াম এর যৌন জনন সম্পন্ন হয়।এই প্রক্রিয়ায় অসংখ্য স্পোরোজয়েট উৎপন্ন হয় তাই এই দশাকে স্পোরোগোনি বলে ।

(ii)             ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত মানষের রক্ত স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশকী পাণ করলে প্লাসমোডিয়াম এর পুং গ্যামেটোসাইট বা মাইক্রো গ্যামেটোসাইট এবং স্ত্রী গ্যামেটোসাইট বা মাক্রো গ্যামেটোসাইট দশা মশকীর খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে।

(iii)          এখানে মনে রাখা দরকার যে মশকির দেহে গ্যামেটোসাইট দশা ছাড়া ম্যালেরিয়া পরজীবীর অন্যান্য দশা প্রবেশ করলে , অন্যান্য দশা গুলির মৃত্যু ঘটে ।এরপর প্রতিটি স্ত্রী গ্যামেটোসাইট থেকে একটি করে স্ত্রী গ্যামেট বা ম্যাক্রো গ্যামেট উৎপন্ন হয়।

(iv)           অপরদিকে প্রতিটি পুং গ্যামেটোসাইট  এক্স ফ্লাজেলেশন পদ্ধতিতে ৪-৮ টি সঞ্চরণ শীল ফ্ল্যাজেলার মত অঙ্গানু তৈরী হয় এবং একটি মাইক্রোগ্যামেট এরপর বিভক্ত হয়ে থেকে ৪-৮ টি পুং গ্যামেট বা মাইক্রো গ্যামেট উৎপন্ন করে ।

(v)             এরপর পুং গ্যামেট গুলি স্ত্রী গ্যামেটগুলির দিকে ধাবিত হয় অবশেষে একটি মাত্র মাইক্রোগ্যামেট একটি ম্যাক্রো গ্যামেট কে নিষিক্ত করে।

(vi)           মশকীর দেহে গ্যামেটের প্রবেশের ১০ মিনিটের মধ্যেই নিষেক প্রক্রিয়া টি সম্পন্ন হয়। নিষেকের ফলে সৃষ্টি হয় জাইগোট (2n)এর ।

(vii)        এই জাইগোট গুলি  নিষেকের ২৪ ঘণ্টার  পরে লম্বাটে আকার ধারন করে ঊকাইনেট (Ookinete)  গঠন করে। কেচোর মত দেখতে হয় বলে এদের ভার্মিকিঊল ও বলে ।

(viii)      উকাইনেট গুলি শীঘ্রই পাকস্থলীর অন্তঃআবরনী ভেদ করে এপিথেলিয়াল ও সাব এপিথেলিয়াল কলার মাঝখানে  অবস্থান করে ।  

(ix)           এই স্থানে উকাইনেট গোলাকার ধারন করে এবং একটি আবরনী বা সিস্ট দ্বারা আবৃত হয় তখন এই দশাকে উসিস্ট (Oocyst) বা স্পোরোন্ট বলে।

(x)             গ্যামেটোসাইট মশকীর দেহে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা র মধ্যে উসিস্ট দশার সৃষ্টি হয় উসিস্ট গুলি আয়তনে 6-12 um  হয় এবং এতে একতি করে নিউক্লিয়াস থাকে ।একটি মশকীর দেহে ৫০ থকে ৫০০০ পর্যন্ত উসিস্ট  গঠিত হতে পারে ।পরিনত উসিস্ট গুলি পরিণত হয়ে 60 um পর্যন্ত হয় এবং উসিসটের নিক্লিয়াস টি বহুবিভাজন পদ্ধতিতে বার বার বিভাজিত হয়ে অসংখ্য(কয়েক শো থেকে কয়েক হাজার ) নিক্লিয়াস গঠন করে ।

(xi)           প্রতিটি নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজম বেষ্টিত হয়ে স্পোরোব্লাস্ট(Sporoblast) গঠন করে ।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উসিস্টের নিক্লিয়াসটির (2n) প্রথম বিভাজন্টি মিয়োসিস  পধতিতে ঘটে ফলে ডিপ্লয়েড নিক্লিয়াস –থেকে হ্যাপ্লয়েড (n) এর সৃষ্টি হয়।

(xii)        উসিস্ট থেকে স্পোরোব্লাস্ট সৃষ্টির পদ্ধতিকে স্পোরোগোনি বলে। এর পর প্রতিটি স্পোরোব্লাস্ট সরু ও লম্বাটে কাস্তে আকার ধারন করে  এদের স্পোরোজয়েট বলে ।

(xiii)      উসিস্ট বিদীর্ণ হয় এবং স্পোরোজোয়েট গুলি মশার হিমোসিলে মুক্ত হয় ও সেখান থেকে পরিশেষে মশকীর লালাগ্রন্থীতে এসে অবস্থান করে।

(xiv)      এইভাবে  স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশকীর দেহে প্লাসমোডিয়ামের যৌন জনন চক্রটি সম্পূর্ণ হতে ২-৪ সপ্তাহ সময় লাগে । এর পর যখন ঐ মশকী কোন সুস্থ মানুষএর রক্ত পান করে তখন তার দেহে এই স্পোরোজয়েট গুলি প্রবেশ করে ম্যালেরিয়া রোগের সৃষ্টি করে ।

ম্যালেরিয়ার প্রকার ভেদ

 

প্রকার ভেদজীবানুবৈশিষ্ট্য
বিনাইন টার্সিয়ান ম্যালেরিয়াPlasmodium vivaxআক্রান্ত ব্যাক্তির দেহে ৪৮ ঘন্টা অন্তর জ্বর আসে
কোয়ার্টান ম্যালেরিয়াPlasmodium malariaeআক্রান্ত ব্যাক্তির দেহে ৭২ ঘন্টা অন্তর জ্বর আসে
ম্যালিগন্যান্ট টার্সিয়ান ম্যালেরিয়াPlasmodium falciparumআক্রান্ত ব্যাক্তির দেহে ২৪-৪৮ ঘন্টা অন্তর জ্বর আসে
মাইল্ড টার্সিয়ান ম্যালেরিয়াPlasmodium ovaleআক্রান্ত ব্যাক্তির দেহে ৪৮ ঘন্টা অন্তর জ্বর আসে

 ম্যালেরিয়ার লক্ষণ- 

ক) কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা- ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে প্রথমে শীতভাব অনুভূত হয়-তারপর প্রচন্ড কাঁপুনি দিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর জ্বর আসে। একে শিত দশা (cold stage) বলে। এর স্থায়িত্ব ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা।

)উচ্চ তাপমাত্রা- ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে অল্প সময়ের মধ্যে প্রবল জ্বর(105 105 0F0F  -1060F1060  F) আসে।একে উত্তাপ দশা (Hothot stage  stage)বলে ,এর স্থায়িত্ব ১-৪ ঘন্টা

গ) ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া-জ্বর আসার কয়েক ঘন্টা পর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে। একে ঘাম দশা (SweatSweat stage  stage) বলে, এর স্থায়িত্ব ২-৩ ঘন্টা

এই তিনটি উপসর্গ কে একত্রে- ফেব্রাইল পেরোক্সিজোম ও বলে।

এছাড়াও ম্যালেরিয়া রোগীর দেহে প্রচন্ড মাথার যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব। পেশির খিঁচুনি , রক্তাল্পতা ইত্যাদি রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়।

ম্যালেরিয়া জ্বরে রোগী ঠক ঠক করে কাঁপে কেন ?

 ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে প্লাসমোডিয়াম এর অসংখ্য মেরোজয়েট দশার সৃষ্টি হয়। লোহিত রক্ত কণিকার প্রাচীর বিদীর্ণ করে এই মেরোজয়েট গুলি যখন রক্ত রসে (প্লাজমা) মুক্ত হয় তখন একপ্রকার টক্সিন বা অধিবিষ রক্তে মিস্রিত হয়। এর ফলে রগির দেহে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মেরোজয়েট থেকে ক্ষরিত টক্সিক পদার্থ রক্তরসে মিশলেই তার অ্যান্টিবডির সাথে  ওই টক্সিক পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে।দ্রুত লয়ে সংঘটিত এই এই রাসায়নিক সংঘাতটি এক্সোথার্মিক (তাপ উৎপাদী ) । এই বিক্রিয়ায় স্নায়ুতে যে আবেগের  (ইমপালস্‌)সৃষ্টি হয় যাদ্রত গতিতে স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তীষ্কে পৌছায়, এর প্রভাবে মস্তিষ্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, ফলে পেশী দ্রুত সংকুচিত ও প্রসারিত হতে থাকে ।এতে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগী ঠক ঠক করে কাঁপতে থাকে।

স্প্লিনোমেগালী কী? (What is Spleenomegaly ?)

 ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে প্লীহা বা স্প্লিনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। ম্যালেরিয়া রোগাক্রান্ত মানুষের প্লীহা আকারে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। প্লীহার এই অবস্থাকে স্প্লিনামেগালী বলে।প্লীহার কাজ হল রক্ত থেকে ম্যালেরিয়ার জীবানুকে পরিস্রুত করা। এই জন্য প্লীহার জীবানু ধ্বংস কারী কোষগুলি জীবানু এবং হিমোজোইন কনিকা আত্মসাৎ করে। ফলে প্লিহা তার অতিরিক্ত কাজের জন্য আকারে বৃধি পায় । তবে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর রোগের উপশম হলে তার দেহের এই অস্বাভাবিক ভাবে বেরে যাওয়া প্লীহাটি ধীরে ধীরে ছোট হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে ।

ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে রোগীর দেহে যকৃতের উপর কি প্রভাব পড়ে?

 ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর যক্ররত আকারে বেরে যায়। যকৃতের RE   বা রেটিকিঊলো এন্ডোথেলিয়াল কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং রক্তবাহ গুলি বন্ধ হওয়ার দরুন যকৃত বৃহৎ আকৃতি ধারন করে । যকৃতের কুফার কষের সংখ্যা বৃধি পায় ।কোশ গুলি প্লাসমোডিয়ামের ক্রিপ্টোমেরোজাইট দসা এবং হিমজোইন নামক টক্সিক পদার্থে পূর্ন থাকে ।

কি কারনে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর দেহে রক্তাল্পতা দেখা যায়  

ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগির দেহে প্লাসমডিয়ামের ক্রিপ্টোমেরজয়েট দসা যকৃত কোষ থেকে হয়ে রক্তের লোহিত রক্তকণিকাগুলিকে আক্রমণ করে। এরা লোহিত রক্তকনিকার মধ্যে ট্রোফোজয়েট , সিগনেট রিং এবং সেষে মেরোজইট দশায়  রূপান্তরিত হয়। এরা পুষ্টির জন্য  লোহিত রক্তকণিকার কোষগুলির হিমোগ্লোবিনকে  গ্রহণ  করে। পরে লোহিত রক্তকণিকার কোষগুলিকে বিদির্ন করে মেরোজয়েট  গুলি রক্তরসে মেশে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর দেহে প্লাসমোডিয়ামের উল্লেখিত দশা লোহিত রক্তকনিকা কে ক্রমাগত আক্রমণ করে এবং বিনষ্ট করে । এর ফলে রোগীর রক্তে লহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা ক্রমাগত কমতে থাকে ও রোগীর দেহে রক্তাল্পতা (Anemia) দেখা যায়।

সুফনার্স ডট কাকে বলে (SchuffnerSchuffner’s Dot dot   )?

ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগির রক্তে   প্লাসমোডিয়ামের  ট্রোফোজয়েট দশাযুক্ত লোহিত রক্ত কণিকার সাইটোপ্লাজমে কতগুলি দানা বা বিন্দুর উপস্থিতি দেখা যায়। এইগুলিকে সুফনার্স ডট বলে।

Hypnozoites  কাদের বলে ? 

P. vivax  ও P. ovale  প্রজাতির জীবানুর কিছু কিছু ক্ষেত্রে মশার দেহ থেকে স্পোরজয়েট মানুশের দেহে প্রবেশের পর ঐ জীবানু অনেক সময় কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর dormant  বা নিষ্ক্রিয় অবস্থায়  কাটিয়ে দেয় । এদের হিপনোজয়েট বলে , এরা মানব দেহে বিলম্বিত বা relapse of Malaria এর জন্য দায়ী

রোজেট দশা কাকে বলে ?  

লোহিত রক্ত কণিকায় যে সাইজন্ট গঠিত হয় সেটি লোহিত রক্ত কনিকা কে বিদীর্ন করে নির্গত হওয়ার পূর্বে তার মধ্যে একাদিক নিক্লিয়াস এবং তাদের কে পরিবৃত করে সাইটোপ্লাসমের আস্তরন সহ অবস্থান করে , দেখে অনেকতা গলাপ ফুলের পাপড়ির মত সজ্জিত লাগে এই অবস্থা কে রোজেট দশা বলা হয় ।

প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম  এর মারাত্মক ম্যালিগ্ন্যান্ট ম্যালেরিয়া  সৃষ্টির পিছনে মূল কারন কি ?

এই প্রজাতির জীবানুরা যখন মেরোজাইট তৈরী করে তার সংখ্যা অন্যান্য প্রজাতির থেকে অপেক্ষাকৃত বেশী , প্রতি ঘণ মিলি রক্তে জিবানুর  সংখ্যাও অনেক বেশি (৬০ হাজার থেকে ১.৫ লক্ষ)

এর প্রধান কারন হল প্লাসমোডিয়াম এর বিভিন্ন দশা রক্তস্রোতের মাধমে আমাদের দেহের প্লীহা তে পৌছলে । প্লীহা তার স্বাভাবিক অনাক্রমনতা জনিত কার্যের দ্বারা সেই ইনফেক্‌টেড লহিত রক্ত কনিকা গুলিকে ধংস করে এই জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই চালায়, কিন্তু ফ্যালসিপ্যারাম প্রজাতির জীবানুরা   তাদের দেহ থকে লোহিত রক্ত কনিকার পৃষ্ঠে এক ধরনের আঠালো প্রোটীন নির্গত করে যার ফলে এই লোহিত রক্ত কণিকা গুলি সরু সরু রক্তবাহিকার গায়ে আতকে যায়, এবং জমা হতে হতে বাহিকা গুলি বন্ধ হয়ে যায় ,এর থেকে হেমারেজ বা রক্ত ক্ষরণ পর্যন্ত হয়।   এমনকি এই জীবানুর দসা আমাদের ব্লাড-ব্রেন ব্যারিয়ার ও অতিক্রম করতে পারে সেই অবস্থায় রোগীরা কোমাতে চলে যান ।

প্লাসমডিয়ামের বিভিন্ন প্রজাতির দ্বারা সৃষ্ট ম্যালেরিয়া রোগের পার্থক্য-

বৈশিষ্ট্য Plasmodium vivaxPlasmodium falciparumPlasmodium malariePlasmodium ovale
উপসর্গএই পরজীবী আক্রান্ত ম্যালেরিয়া রোগের ক্ষেত্রে প্লিহার বৃদ্ধি, যকৃতের বৃদ্ধি,অ্যানিমিয়া ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশিত হয়এই পরজীবী আক্রান্ত ম্যালেরিয়া রোগের ক্ষেত্রে প্রবল জ্বর সহ ভূল বকা,প্রচন্ড মাথা ব্যাথা,অ্যানিমিয়া , হিমোলাইটিক জন্ডিস ,প্লিহার বৃদ্ধি, যকৃতের বৃদ্ধি,অন্ত্রের অস্বাভাবিক উপসর্গ ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশিত হয়মনে রাখতে হবে ম্যালেরিয়ার মধ্য এটি ই সবথেকে মারাত্মক।P vivax  এর লক্ষনের মত অনুরূপ লক্ষণ প্রকাশিত হয়P vivax  এর লক্ষনের মত অনুরূপ লক্ষণ প্রকাশিত হয়
জ্বর আসার সময়48 ঘন্টা অন্তর জ্বর আসে24 থেকে 48 ঘন্টা অন্তর জ্বর আসে72  ঘন্টা অন্তর জ্বর আসে48 ঘন্টা অন্তর জ্বর আসে
প্রি এরিথ্রোসাইটিক চক্রের সময়কাল  8 দিন 6 দিন15 দিন9 দিন
ট্রোফোজয়েট (আকার)2.5um1.25-1.50 um2.5 um2.5 um
সাইজন্ট (আকার)9-10 um4.5-5 um6.5-7 um6.2 um
মেরোজয়েট (সংখ্যা)12-24     টি18-24 টি6-12 টি6-12 টি
মাইক্রোগ্যামেটোসাইটগোলাকারঅর্ধচন্দ্রাকারগোলাকারগোলাকার
ম্যাক্রোগ্যামেটসাইটগোলাকারঅর্ধচন্দ্রাকারগোলাকারগোলাকার
হিমোজয়েন দানাহলদে বাদামিকালচে বাদামিকালচে বাদামিকালচে হলুদাভ বাদামি
মশার দেহে পরিস্ফূরনের সময় কাল10 দিন10-12 দিন 25-28 দিন 14 দিন
ম্যালেরিয়ার প্রকারবিনাইন টার্সিয়ান ম্যালেরিয়াম্যালিগন্যান্ট টার্সিয়ান ম্যালেরিয়াকোয়ার্টান ম্যালেরিয়ামাইল্ড অর ওভাল টার্সিয়ান ম্যালেরিয়া
সুপ্তিকাল (রোগের লক্ষণ প্রকাস হতে সময় ) 11-14 দিন 9-10 দিন18-40 দিন10-14  দিন
প্রতি ঘন মিলি রক্তে জীবানুর সংখ্যা20-40,00060-1,50,0005-10,00050-1,00,000

ম্যালেরিয়া পরজীবীর বাহক-

স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবীর বাহক তথা ভেক্টর ।অ্যানোফিলিস মশার প্রজাতি গুলি হল –

(i)                 Anopheles  stephensi

(ii)                       A.     culicifacies

(iii)                     A.     minimus

(iv)                     A.     fluviatilis

এর মধ্যে   Anopheles  stephensi -   এটি সাধারনত প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম কে বহন করে এবং ভয়ঙ্কর ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার    কারন )

পার্থক্য লিখ- সাইজোগনি ও স্পোরোগোনি বা ম্যালেরিয়া পরজীবীর অযৌন ও যৌন চক্রের মধ্যে পার্থক্য লিখ ।

          পার্থক্যের ভিত্তি         অযৌন চক্র            যৌন চক্র
পোষকের দেহের কোন অংশে ঘটেমানুষের যকৃতের প্যারেনকাইমা কোশে এবং লোহিত রক্ত কণিকার কোষেস্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার ক্রপের মধ্যে এবং হিমোসিল এ।
অন্তর্বতী দশা সমুহমেরোজয়েট, ট্রোফোজয়েট, সাইজন্ট, সিগনেট রিং ও রোজেটগ্যামেট, জাইগোট। উকাইনে,উসিস্ট,স্পোরোব্লাস্ট ও স্পোরোজয়েট
সর্বশেষ ধাপমাইক্রো ও ম্যাক্রো গ্যামেটোসাইটস্পোরোজয়েট
হিমোজয়েনএয় চক্রের মেরোজাইটগুলি RBC  কে বিদীর্ন করার সময় সৃষ্টি হয়কখনই সৃষ্টি হয় না ।
পোষোক দেহে  কি কি প্রতিক্রিয়া হয়কাঁপুনি দিয়ে জ্বর,স্প্লীন্যামেগালী , আয়ানিমিয়া সহ অন্যান্যপোষোক দেহে  কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না।
চক্রের পুনারাবৃত্তিচক্রের পুনারাবৃত্তি ঘটেচক্রের পুনারাবৃত্তি ঘটে না
জাইগোটজাইগোট সৃষ্টি হয় নাগ্যামেট দ্বয়ের নিষেকের ফলে জাইগোট সৃষ্টি হয় ।
 উপবিভাগইহার তিনটি মূল উপবিভাগ-প্রি এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনিএরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনিএক্সো এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনিইহার কোনো উপবিভাগ নাই

পার্থক্য লিখ- হেপাটিক সাইজোগনি ও  এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি –

পার্থক্যের ভিত্তিহেপাটিক সাইজোগনিএরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি
কোথায় ঘটেমানুষের যকৃতের হেপাটসাইট কোষ বা প্যারেনকাইমা কোষেলোহিত রক্ত কণিকার কোষের মধ্যে
কি কি অন্তর্বতী দশাস্পোরোজয়েট ,সাইজন্ট,ক্রিপ্টোমেরোজয়েট , মেটা ক্রিপ্টোমেরোজয়েট (এটি এক্সো এরিথ্রোসাইটিক চক্রের সময় দেখা যায়।)ট্রোফোজয়েটসিগনেট রিংসাইজন্টরোজেটমেরোজয়েটগ্যামেটোসাইট (ম্যাক্রো ও মাইক্রো)
হিমোজয়েন দানাউৎপন্ন হয়উৎপন্ন হয় না
রোগের লক্ষনএই চক্র চলাকালীন কাঁপুনি সহ জ্বর হয় না সেই জন্য এই চক্রকে সাইলেন্ট স্টেজ ও বলেএই চক্র চলাকালীন কাঁপুনি সহ জ্বর হয়
সুফনার্স ডটসুফনার্স ডট দেখা যায় নাএই চক্রে সাইজন্ট এর বাইরে সুফনার্স ডট দেখা যায়
 চক্রে সময়প্লাসমোডিয়াম প্রজাতির উপর নির্ভর করে ৬ থেকে ৯ দিন সময় লাগেপ্লাসমোডিয়াম প্রজাতির উপর নির্ভর করে ৪৮ থেকে ৭২  ঘন্টা সময় লাগে

আসুন আর একবার সমগ্র দশা টিকে চট পট ছবির সাহায্যে মনে রাখার ছেষ্টা করে নিই-

এবার আলাদা আলাদা করে দেখি মানুষের দেহে সংঘটিত অযৌন চক্র-

এরপর মশার দেহে র অভ্যন্তরে সংঘটিত যৌন চক্র-

আরো সহজ ভাবে মনে রাখার জন্য একটি  অ্যানিমেশন ফাইল দিলাম দেখে নিন ।ডাউন লোড লিঙ্ক নীচে –মাত্র  1.8এম বি ।

http://www.mediafire.com/?xbeqmgd0ewzn2dp

সংগ্রহে রাখার জন্য সম্পূর্ণ নোট্‌স টির পিডি এফ ফাইল এখান থেকে ডাউন লোড করে নিতে পারেন ।মাত্র ৩৪৮ কেবি

http://www.mediafire.com/?yj9sqz76y91qck5

এইবার আসি-আপনাদের কি কি করতে হবে ?

১। প্রথমেই টিঊন টিকে ভালো করে পড়ুন ।

২। বিষয়টি  আপনার আগে পড়া থাকলে ভালো না হলে , আর একবার টেক্সট বই টিতে চোখ বুলিয়ে নিন ।

৩। যে অংশ গুলি বুঝতে অসুবিধা সেগুলি নোট ডাউন করে রাখুন।

৪। এর পর ভিডিও বা অ্যানিমেশন ফাইল  টি ২-৩ বার দেখে নিন ।

৫। কোনো যায়গায় বুঝতে অসুবিধা থাকলে কমেন্ট সেকসনে মন্তব্য করুন।আমি যথাসাধ্য চেষ্ট করব মূল টিউন এ আপডেট করে দেওয়ার

৬। আপনাদের ব্যক্তিগত যদি কোন অধ্যায় এর উপর আলোচনা চাইলে- সেটি কমেন্ট সেকসানে লিখুন । আপনাদের চাহিদা অনুসারে পরবর্তী বিষয় নির্বাচিত হবে ।

৭। যদি চান কোনো বিশেষ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা , তবে সেই প্রশ্ন টিও লিখে জানাতে পারেন , তবে পারলে প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত নম্বর  লিখে দিলে সুবিধা হয় ।

৮। যদি আমার কোন ভাই বোন পরে অর্থাৎ৫দিন বা ১৫ দিন পরেও এটি পড়েন  এবং তাদের কোন বিষয়ের কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলেও কমেন্ট সেকসনে জানাবেন, আমি পরে হলেও যথাসাধ্য আপনাদের উত্তর বা কোনো বিষয় ভিত্তিক  চাহিদা থাকলে মেটাতে চেষ্টা করব।

৯। মাধ্যমিক বা সেকেন্ডারী  স্তরের ভাই বোনেদের যদি কোনো বিষয়ের উপর চাহিদা থাকে তবে লিখে জানালে তাদের মত করে সহজ ভাবে বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করতে পারি ।

আর সবথেকে গুরুত্ব পূর্ন বিষয় হল - যদি এই পরিশ্রম আপনাদের কাজে লাগে তবেই ধারাবাহিক পর্ব কে এগিয়ে নিয়ে যাব নতুবা এখানেই ইতি ......... প্রয়োজন থাকলে একটু জানাবেন ভাই ! আমার দুইটি বিনিদ্র রাত্রি কেটেছে এই টিউনটিকে দাঁড় করাতে - আপনার  দুই সেকেন্ড লাগবে একটি মন্তব্যে-

ধন্যবাদ ! সকলকে ।সকলে ভালো থাকবেন, দোওয়া করুন .........।খোদা হাফেজ.........

Level 0

আমি অপু.পশ্চিমবাংলা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 707 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

i am azmalhossain, Native Place Kandi, Murshidabad, West Bengal.age 32 . MSc(Tech) in Agril Engg.Service-West Bengal Civil service WBCS(Executive) Officer , Presently posted as Deputy Magistrate and Deputy Collector, Malda.Hobby- painting, recitation. computer game .


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আমি ২০১২ সালের H.S.C পরীক্ষার্থী…..টিউনটি পড়ে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি…..অনেক দিন ধরেই এরকম টিউনের অপেক্ষায় ছিলাম…..আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর টিউনের জন্য…

    @Mashfi sarwar:
    ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে , ভালো থাকবেন , ধারাবাহিক এই টিউন গুলি দেখতে থাকুন ।

      @apu.westbengal: আমার মনে হয় পুরো মানব দেহ নিয়ে বইয়ে যে সিরিয়ালে চ্যাপ্টার দেয়া আছে, সেই সিরিয়ালে টিউন দেয়া শুরু করুন, এতে করে যাদের বায়োলোজী নেই, তারাও আগ্রহ পাবে এটা জানার জন্য। কংকালতন্ত্র দিয়ে শুরু করুন প্লিজ

      @apu.westbengal:

      ভাইয়া আপনার লেখাটি বেস ভাল
      আমার fb- http://www.facebook.com/borhan.shaker

আপনার পরবর্তী টিউনটি Genetics নিয়ে করলে খুবই খুশি হব….

    @Mashfi sarwar:
    সারওয়ার ভাই জেনেটিক্স অনেক ভাস্ট এরিয়া কভার করে । আপনি যদি আরো স্পেসিফিক ভাবে মেনশন করেন তবে সুবিধা হয় যেমন –
    DNA structure / Protein Synthesis / Mendelian Experiment / genetical disorder / gene function/ Test cross or back cross/ Sex linked inheritence ইত্যাদি ইত্যাদি -বা অন্য যেকোনো অংশ
    সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলেন , ভালো থাকবেন ।

      @apu.westbengal: আমার মনে হয় পুরো মানব দেহ নিয়ে বইয়ে যে সিরিয়ালে চ্যাপ্টার দেয়া আছে, সেই সিরিয়ালে টিউন দেয়া শুরু করুন, আমাদের পাশাপাশি এতে করে যাদের বায়োলোজী নেই, তারাও আগ্রহ পাবে এটা জানার জন্য। কংকালতন্ত্র দিয়ে শুরু করুন প্লিজ

    Level 0

    @Mashfi sarwar: ভাই এই সম্পর্কে আমি সামনে চেষ্টা করতে পারি।

      @sr:
      দারুন খবর ! ভাই জান দ্রুত লেগে পড়েন – দেখাই যাক আমাদের চেষ্টায় যদি আমরা Syllabus oriented subject tune কে এক নতুন মাত্রা দিতে পারি । শুভেচ্ছা রইল

অসাধারন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমিও ২০১২ সালের H.S.C পরীক্ষার্থী। খুবই উপকৃত হলাম। Genetics নিয়ে আমিও টিউন চায়।

    @মুিহব:
    ধন্যবাদ ভাইয়া , আজ -কালের মধ্যেই জেনেটিক্স নিয়ে টিঊন আসছে , তবে বিষয়বস্তু সুনির্দিষ্ট করে দিন ,অথবা এককাজ করুন আপনাদের সিলাবাসে কিকি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে সেটি ড্যাস (—)ড্যাস (–_)দিয়ে সং ক্ষেপে লিখে জানান তাহলেই আমার বুঝতে সুবিধা হয় , ধন্য বাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

আমার মনে হয় পুরো মানব দেহ নিয়ে বইয়ে যে সিরিয়ালে চ্যাপ্টার দেয়া আছে, সেই সিরিয়ালে টিউন দেয়া শুরু করুন, এতে করে যাদের বায়োলোজী নেই, তারাও আগ্রহ পাবে এটা জানার জন্য। কংকালতন্ত্র দিয়ে শুরু করুন প্লিজ

    @samaun khalid collins:
    ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত প্রস্তাবের জন্য । মাথায় রাখলাম । চেষ্টা করব ।

    @samaun khalid collins:
    ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ! হিউম্যান স্কেলিটাল সিস্টেম বা মানব কঙ্কাল তন্ত্র আমার রেজিস্টারে এন্ট্রি করে নিলাম , অপেক্ষা করুন!

Syllabus:
DNA structure_Mendel’s Law_Epistasis_Sex-linked Inheritance_Recombinent DNA_Biotechnology

    @Mashfi sarwar:
    ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ! আমাকে সাহায্য করার জন্যে । তৈরী থাকুন , অতি শীঘই আসতে চলেছে ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বায়োলজি নিয়ে টিউন করার জন্য। 💡 :mrgreen:

আমাদের বায়োলজি বইগুলোতে আপনার মত এরকম ইলাস্ট্রেটেড; সাজানো গোছানোভাবে লিখা থাকলে আমরা বায়োলজি পড়তে উৎসাহিত হতাম কিন্তু কি আর বলব …।। 🙁

আমি এতটুকুই আপনাকে বলতে পারি যে আপনার এ দুইটি বিনিদ্র রাত্রির চেষ্টা আমার মত যারা বায়ো’তে দুর্বল তাদের অনেকগুলো নিদ্রার রাত্রি উপহার দিতে পারবে 😀 ।

টিউন করতে থাকুন। ভাল থাকুন। 🙂

    @নিওফাইটের রাজ্যে: আরেকটা কথা বলা হয়নি 😳 । …… সোজা প্রিয়তে… ➡

      @নিওফাইটের রাজ্যে:
      এসো ভাই
      তোলো হাঁই !
      শুয়ে পড় চিত্‌
      জীবন অনিশ্চিত একথা জানিও নিশ্চিত !

      ভালো ভালো ভালো …… অনেক ভালো থাকবেন !

    @নিওফাইটের রাজ্যে:
    আপনি জানেন কিনা জানি না ! আপনি আমার এই টিঊনের পিছনের মূল কারন , আমি আগে কিছু ভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছি , ভাবছিলাম একবার স্বাদ বদল হলে মন্দ কি ! এরপর হঠাৎ নজরে পড়ল আপনার ২ টি টিউন যা আমাকে – এই ধরনের কাজের কিছু টিটোরিয়াল যাতে অন্তত কিছু ভাই বোন উপকৃত হবে – সে ভাবনা থেকেই এই টিঊন । আশা করি সঙ্গে থাকবেন, কিছু সাজেশন থাকলে দেবেন , আপনাকে অসং খ্য ধন্যবাদ ।

      @apu.westbengal: হা হা হি হি…… 😀 তাই নাকি?? আমি যে কারও অনুপ্রেরণা হতে পারব এ কথা কল্পনাও করিনি। 😯 হয়ে ভাল লাগছে। 😉

      আপনাকে একটু শুধরে দেই; 🙄 আমি একটি টিউন করেছিলাম যার ফলে tech_no ভাই তাঁর টিউনটি করেন আরও একটু সহজ পদ্ধতিতে। আপনি হয়ত মনে করেছেন যে টিউন দুটি আমার। যাই হোক এখন নিশ্চয়ই আপনি বিষয়টি পরিষ্কার বুঝতে পারছেন ❓

      আমি আপনার সঙ্গে থাকবো একথায় আমি ১০০% নিশ্চয়তা দিতে পারি। (কারণ বায়োতে পাশ করা লাগবে…. 😀 😛 )

      আর আমি আপনাকে কি সাজেশন দেব? যেভাবে শুরু করেছেন সেভাবে চালিয়ে যান। অনেকেই উপকৃত হবেন এটাই আমার বিশ্বাস। 🙂

      একটি কথা বলতে পারি যে; আপনার এই মহৎ কাজ যেন থেমে না থাকে। :mgreen:

      মাঝেমধ্যে টেকনোলজি বিষয়ক টিউন ছাড়াও যদি শিক্ষণীয় টিউন চলতে থাকে তাহলে অচিরেই দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা কোচিংয়ের করাল গ্রাস 👿 থেকে মুক্তি পাবে। 😆

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শিক্ষণীয় টিউনিং কে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য। 8)

      আর হ্যাঁ, অবশ্যই ভাল থাকবেন। 😀

      @apu.westbengal: ইতনা পেয়ার কাভি হামারা সাথ কিয়া কারো ।
      আপনার টিউনটা খুব খুব সুন্দর হয়েছে । আমিও একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী । আপনার লেখা আমার অনেক কাজে লাগবে । আপনার কাছে যদি HSC এর পড়া সম্পর্কিত কোন pdf ফাইল থেকে থাকে তবে খুব দ্রুত দিয়ে দিন প্লিজ, কারন পরীক্ষার তো আর বেশি দিন বাকি নেই । আবার আমার পড়ালেখাও চলছে গরুর গাড়ির মত । পরবর্তী টিউন এর অপেক্ষায় রইলাম । আপনার এই সুন্দর উদ্যোগ এর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । দোয়া করবেন । 😀 😀 😀 (আমার প্রথম কথাটির জন্য কিছু মনে করবেন না যেন)

Level 0

খুব খুব খুব সুন্দর টিউন।আরও চাই বস।
কি পাব তো?
ধন্যবাদ।

    @sr:
    এটা ধারাবাহিক ভাবে চালানোর ইচ্ছা আছে । দোওয়া করবেন । ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য

এরকম মানসম্মত Tune খুব একটা দেখা যায় না, যেটা আমাদের বাস্তবে কাজে লাগে…

    @C/O D!pu…:
    আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল। আপনি এখন স্টুডেন্ট , হলে কোন ক্লাসের ? দয়া করে জানান , তাহলে আমার একটু কো অপারেশন দরকার , আশা করি সহোযোগিতা পাব।

      @apu.westbengal: Chemistry-তে পড়ছি…
      প্রয়োজনে অবশ্যই পাশে পাবেন…

Level 0

khub shundor tune, jara porikkharthi ,tader khubi kaje lagbe,ar jara porikkharthi noy, tarao biology bishoye kichhuta dharona laav korbe

    @learner:
    ধন্যবাদ আপনাকে । বেশ কয়েক দিন আপনাকে দেখছি না ? ভালো আছেন তো ?

চালিয়ে যাও ভাইয়া……আমরা তো আছিই……… 🙂

Level 0

প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর tune টির জন্য।ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি biology মুখস্থের বিষয়, এখন বুঝতেছি বুঝার অনেক কিছু আছে…….. আপনি যদি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ এর পাঠ্যপুস্তকের serial অনুযায়ী আলোচনা করেন তাহলে শিক্ষার্থীদের অনেক উপকার হবে যদিও ব্যাপারটা অনেক কষ্টকর……

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে । ঠিকই বলেছেন । নবম থেকে দ্বাদশ সবগুলি অধ্যায় পরপর লিখা অনেক সময় সাপেক্ষ । তাই আমি ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা মত -গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় গুলি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি । সঙ্গে থাকুন ।

Level 0

আমি তো আজকেই আপনার সব গুলো tune পড়লাম তাই শুধু আতুকু বলবো আসম্ভব সুন্দর । আল্লাহ্‌ হাফেজ

Level 0

nice….