আজ মঙ্গলবার চালু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনিশ্চয়তায় পড়েছে internet.org

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের
সহযোগী প্রতিষ্ঠান
Internet.Org
(ফ্রি ইন্টারনেট) আপাতত
চালু হচ্ছে
না ।

বহুল কাংখিত ফেসবুকের ফ্রি ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশে আজ মঙ্গলবার চালু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনিশ্চয়তায় পড়েছে পকল্পটি। রবি ছাড়া দেশের সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটরদের অপারগতা এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির এ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ গাইডলাইন না প্রকাশ করাকেই কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে । সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ইন্টারনেট ডট অর্গ (www.internet.org
)-এর প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা ছিল ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিসের। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পের পণ্য বিপণন বিভাগের প্রধান ড্রু ট্রং এবং ফেসবুক ইন্ডিয়ার পরিচালক আঁখি দাসের । এ জন্য গতকাল সোমবার রাতেই বাংলাদেশে এসেছেন ড্রু ট্রং। মূলত 'ফ্রি ইন্টারনেট' প্রকল্প চালুর জন্যই তার ঢাকা সফর। তবে মূল কর্মসূচি চালু না হওয়ায় এ সময় তিনি 'ফ্রি ইন্টারনেট' সেবার পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং নতুন পার্টনারের অনুসন্ধান করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ।

সূত্র জানায়, 'ফ্রি ইন্টারনেট' চালুর সব প্রক্রিয়া গুছিয়ে আনার পরও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বিশেষ করে মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর অসহযোগিতা এবং অনাগ্রহের কারণে ঘোষণা দিয়েও নির্দিষ্ট দিনে 'ফ্রি ইন্টারনেট সেবা' চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও আগেই জানা গিয়েছিল, কেবল মোবাইল অপারেটর রবি ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু অন্য অপারেটররা এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটরগুলো 'বিজনেস মডিউল'-এর কথা চিন্তা করে ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পে যেতে তাদের আপত্তি ও অনাগ্রহের কথা জানিয়েছে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের কাছে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তর কথা জানাননি। এ মুহূর্তে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এর আগে ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্পের একটি টিম বাংলাদেশে 'প্রকল্পটি চালুর বিষয়ে' কাজ করে যায়। ওই কাজের তদারকি করেন প্রকল্পের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমন্বয়কারী দিপ্তি গোরে। টিমটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প, ২০টি এনজিও, দুটি জাতীয় দৈনিক, মোবাইলফোন অপারেটরসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে। প্রতিষ্ঠানগুলো বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালুর ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানায় ইন্টারনেট ডট ওআরজি কর্তৃপক্ষকে ।

এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেইন জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পের সঙ্গে গ্রামীণফোনের আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কাছে 'রেগুলেটর ক্ল্যারিটি' চেয়ে চিঠি দিয়েছি। বিটিআরসির কাছ থেকে জবাব পাওয়ার আগে আমরা এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারব না। আরেক অপারেটর বাংলালিংক বলছে, বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিম্পেলকমের সঙ্গে ফেসবুকের আলোচনা চলছে। গ্রুপ পর্যায় থেকে এখনও সবুজ সংকেত না পাওয়ায় ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পে যেতে পারছে না বাংলালিংক ।

প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কথা ছিল এ প্রকল্পে ইন্টারনেট ডট ওআরজি অ্যাপের সাহায্যে মোবাইলে এবং সরাসরি কম্পিউটারে বিনা খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। অ্যাপের মাধ্যমে অথবা সরাসরি ইন্টারনেট ডট ওআরজিতে লগইন করে সংশ্লিষ্ট সাইটে প্রবেশ করলে সেই সাইটের বিস্তারিত দেখা যাবে। অর্থাৎ ইন্টারনেট ডট ওআরজির সাহায্যে লগইন করে চুক্তিব প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা পেতে ইন্টারনেট খরচ লাগবে না। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর ইন্টারনেট ডট অর্গ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে অ্যাপটি। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের শীর্ষ সংবাদপত্রসহ একাধিক সেবা ইন্টারনেট খরচ ছাড়া পাওয়া যাবে বলেও জানা হয়েছিল। মূলত ইন্টারনেটকে কম খরচের মধ্যে আনা, অল্প ডেটা ব্যবহার করে ওয়েবসাইট, নতুন সব অ্যাপ ও স্মার্টফোনের ব্যবহার আরও সহজলভ্য করতে ইন্টারনেটভিত্তিক এ উদ্যোগ নেয়া হয়। ইন্টারনেটের ব্যবহার বিশ্বে সহজলভ্য করতে ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্প। আমাদের সবাই সবখানে, পরস্পর যুক্ত (এভরিওয়ান অব আস, এভরিহোয়্যার কানেকটেড) এমন স্লোগানে চালু হওয়া এ উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হল ৫০০ কোটি সাধারণ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা ।

বর্তমানে বিশ্বে ২৭০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা পায়। বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সেবার এ উদ্যোগে ফেসবুকের পাশাপাশি রয়েছে এরিকসন, মিডিয়াটেক, অপেরা, স্যামসাং, নকিয়া ও কোয়ালকম। এ প্রকল্পের নানা তথ্য পাওয়া যাবে https://www.facebook.com/Internetdotorg ঠিকানায়। বাংলাদেশে যদি ভবিষ্যতে প্রকল্পটি চালু হয় তাহলে বিনা মূল্যের এ ইন্টারনেট ব্যবহার করে জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ফেসবুক, উইকিপিডিয়া প্রভৃতি ওয়েবসাইট বিনা মূল্যে ব্রাউজ করা যাবে। পরে এ তালিকায় যুক্ত হবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি, যোগাযোগ, ব্যবসাসহ স্থানীয় পর্যায়ে জরুরি নানান সেবার তথ্যও। ব্রাউজ করার জন্য এসব সেবার অ্যাপ কিংবা ওয়েব ব্রাউজার, দুটিই ব্যবহার করা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে বিনা মূল্যের ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে ইন্টারনেট ডট ওআরজি। চলতি বছরের মধ্যেই ১০০টি দেশে এ সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির ।
প্রথম প্রকাশিত হয় এখানে

Level 0

আমি BELAL KHAN। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 43 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I AM A FROZEN WARIOR............


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এই দেশে ভাল কিছু হওয়া কঠিন

Level 0

মনে মনে এরকমটাই ভাবছিলাম……………
এই দেশে ভাল কিছু হওয়া কঠিন..

Level 0

emon hole amader kopaibo kemne..

Level 0

hayre desh

আপনার এই আপডেটটা পাবার জন্যই সকাল থেকে ক্ষণ গুনছিলাম…..অবশেষে দু:স্বপ্নের ষোলকলা পূর্ণ করার জন্য ধন্যবাদ 😉

আসলেই দেশে ভালো কিছু সংঘটিত হতে গেলে অনেক অপ্রয়োজনীয় স্বার্থপর কালক্ষেপণের দরকার হয় 🙁

    @নিওফাইট নিটোল: সস্তার অবস্থা কিন্তু সব সময় ভালো হয় না। ইতিবাচক দিক এর চাইতে আমার কাছে এই সুবিধাটার নেতিবাচক দিকটাই প্রবল মনে হয়েছে। এটা চালু হলে আমরা একটা ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যেতাম। কিন্তু এখন আমাদের সামনে অনেক দুয়ার খোলা।

আমরা কিভাবে সামনের দিকে আগাব ? ভাল কিছু আমাদের সয্য হয়না

Level 0

দেখেন ফাহাদ ভাই…………ইতিবাচক-নেতিবাচক বুঝিনা তবে প্রকল্প টা চালু হলে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে যেতাম………কিন্তু তা আর হলোনা। এর পর থেকে মনে হয়না বিদেশি কোন সংস্থা আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াবে…।।