অ্যাপল মানুষকে ফিরিয়ে নিচ্ছে হাত ঘড়ির যুগে… অসামান্য প্রাযুক্তিক উৎকর্ষতায়! একটি Apple Watch রিভিউ

একটা সময় ছিলো যখন মানুষ হাতঘড়ির সময় দেখে চলাফেরা করতো। তারপর যখন গত দশক থেকে মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হলো, তখন মানুষ হাতঘড়ির বদলে মোবাইল ফোনের ঘড়ি দেখে চলতে অভ্যস্ত হয়ে গেলো।  কিন্তু অ্যাপেল সম্ভবত পরিকল্পনা করেছে মানুষকে আবার সেই হাত ঘড়ির সময়ে ফিরিয়ে নেবার। কিন্তু আরো আধুনিক, আরো বুদ্ধিদীপ্ত ও আরো আর্কষনীয়ভাবে।

কেন অ্যাপেল ওয়াচ তথা পরিধােযোগ্য প্রযুক্তির প্রতি ঝুকঁলো অ্যাপল?

ছবি - Shutter Stock
পৃথিবীতে খুব শীঘ্রই একটা সময় আসবে, মানুষের সমস্ত কাজ প্রযুক্তি করে দেবে শুধু করতে পারবে না একটা জিনিস। সেটা হচ্ছে, তাকে শারীরিকভাবে ন্যাচারালি ফিট রাখা। প্রযুক্তি মানুষকে ক্রমাগত এতই আরাম আর আয়েশ দিচ্ছে যে, ভবিৎষত পৃথিবীতে মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই আর কোন কাজ করতে হবে না। মানুষ শুয়ে বসে দিন কাটাবে, ফলে বাড়বে তার অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করার সম্ভাবনা, শারীরিক ঝুকিঁ এমনকি মেদ হয়ে বা উচ্চ রক্তচাপে মৃত্যু ঝুকিঁও।
ঠিক সেই মহুর্তে মানুষের প্রয়োজন হবে এমন একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবস্থার যেটা তার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে তাকে সাহায্য করবে।প্রচন্ডরকম দূরদর্শী ও চৌকস অ্যাপেল কোম্পানি বেশ কয়েক বছর আগে কয়েক শ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এইরকমই একটি ভবিৎষত-প্রযুক্তি নিয়ে গবেষনা করতে।

তারই ফলশ্রুতিতে ভবিৎষত পৃথিবীর স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের জন্য পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামলো টেক জায়ান্ট স্বয়ং অ্যাপেল! হাত ঘড়ির মতো অতীব পুরনো একটা প্রযুক্তিও যে ভবিৎষত দুনিয়ার প্রযুক্তি হতে পারে অ্যাপেল ওয়াচ না দেখলে সেটা ধারনা করাও বেশ কঠিন ছিলো।

গত বছর যখন খবর পেয়েছিলাম যে এ্যপেল পৃথিবী বিখ্যাত কয়েকজন ফিজিশিয়ান, বায়োকেমিষ্ট, ফিটনেস এক্সপার্ট আর ন্যানো টেক ইঞ্জিনিয়ার তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দিয়েছে, তখনই আচঁ করতে পেরেছিলাম যে, অ্যাপেল নিশ্চয়ই এমন কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস বানানোর কাজে হাত দিয়েছে যেটা মানুষের স্বাস্থগত বিষয়ে নজরদারি করবে। ভবিৎষত পৃথিবীতে মানুষের সব কাজ প্রযুক্তি করে দিলেও মানুষ যেন নিজেকে কর্মক্ষম বা যথাযথ সচল রাখার একটা তাগিদ অনুভব করে।
আইওয়াচ ঠিক তাই করবে, মানে একে এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, নিয়মিত ব্যায়াম ট্যায়াম করা আপনার অভ্যাসে না থাকলেও সে কোন না কোনভাবে আপনাকে দিয়ে প্রয়োজনীয় এক্সারসাইজটুকু করিয়ে নেবে।কিছুক্ষন আগে অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অ্যাপেল অফিসিয়ালি ঘোষনা দিলো Apple Watch রিলিজ করার, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা যার নাম দিয়েছে iWatch। তো অ্যাপেল ইতিমধ্যেই আইওয়াচএর ঘোষনা আর প্রেজেনটেশান দেখিয়ে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আমার তো ধারনা, আজকের অ্যাপেল ইভেন্টে, প্রাযুক্তিক উৎকর্ষে আইফোন ৬, প্লাস আর আইওএস ৮ কেও ছাপিয়ে গেছে আইওয়াচ।

উপস্খিত দর্শকরা নির্বাক বিস্ময়ে আইওয়াচের প্রেজেনটেশান দেখেছে এবং দেখা শেষ করে টুইটার আর ফেসবুকে ঝড় তুলেছে। সে সব দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ] তাই ভাবছি iOS 8 বা iPhone 6/Plus নিয়ে তো অনেকেই জানেন, (যারা জানেন না তারা একটু গুগলে ঘাটঁলেই পাবেন) তাই আর ওসব নিয়ে প্যাচাল না পেড়ে বিশ্ববাসির জন্য একদম আনকোড়া নতুন প্রযুক্তি ’আইওয়াচের’ ব্যাপারে কিছু লেখা যাক।

কিছুক্ষন আগে অ্যাপেল প্রধান ‘টিম কুক’ উপস্থাপিত আইওয়াচের লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং দেখে বুঝতে পারলাম, এটা নিঃসন্দেহে একটা অসাধারন ও অভূতপূর্ব প্রযুক্তি হতে যাচ্ছে। পৃথিবীর মানুষ এমনটা এর আগে কখনো দেখেনি। আমরা মনে হয়, অ্যাপেল কর্তৃক প্রর্বতিত আইফোন ও App Store এর ধারনা গত ১ দশকে প্রযুক্তি বিশ্বকে যেমন আমুল বদলে দিয়েছে, তেমনি iWatchও বায়োমেট্রিক আর মানুষের স্বাস্থ্যগত ধারনার জগত আমুল বদলে দেবে।এক আইফোন দিয়ে যেমন গত প্রায় ১ দশক ধরে অ্যাপেল এক চেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে, আমার ধারনা iWatch হতে যাচ্ছে অ্যাপেলের সেইরকম আরেকটি পণ্য যেটা দিয়ে তারা আগামী অন্তত আরো ১ দশক চুটিয়ে ব্যবসা করে যাবে।এইরকম আরেকটা পরিধানযোগ্য পন্য এনেছিলো গুগল - তাদের চশমা ‘গুগল গ্লাস’। কিন্তু ওটা মনে হয় প্রায় ফ্লপ একটা প্রজেক্ট ছিলো। কারন বাজারে বা প্রযুক্তি দুনিয়ায় সেটা নিয়ে তেমন একটা মাতামাতি দেখিনি, বাজারেও ছাড়া হয়েছিলো খুবই সীমিত আকারে, যেন গুগলের আরেকটি পরীক্ষামূলক প্রজেক্ট।

বড় আকারে গুগল প্লাস কবে বাজারে আসবে, তা কেউ জানে না। সে হিসেবে অ্যাপেল ওয়াচ অনেক বেশী ম্যাচুউরড একটা পণ্য।

আইওয়াচ বা অ্যাপেল ওয়াচ কি জিনিস?

আইওয়াচ হাত ঘড়ির মতো ছোট্ট একটা ডিভাইস যেটা কবজিতে পড়তে হয় এবং আইফোন ৫ এবং ৬ এর সবগুলো মডেলের সাথে কমপাটিবল। মানে আইফোন ৫/৬ এর সাথে এটা ডেটা সিংক করবে, আইফোনে সংযোগ থাকা ওয়াইফাই এবং জিপিএস ব্যবহার করে ইউজারকে লোকেশন সংক্রান্ত লাইভ তথ্য দিবে। এতে বেশ কিছু অ্যাপ আগে থেকেই ইনসটল করা থাকবে এবং ব্যবহারকারী চাইলে আরো অ্যাপ নিতে পারবেন। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এই ঘড়িটির নীচে অত্যন্ত শক্তিশালি ও অত্যাধুনিক ৪ টি সুদৃশ্য  ইনফ্রারেড, দৃশ্যমান এলইডি আর ফটো সেন্সর রয়েছে যা দিয়ে মানব দেহের কারডিওভাসকুলার তথ্য (যেমনঃ পাসল রেট, ইত্যাদি) সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষন করা সম্ভব।

আইওয়াচ বা অ্যাপেল ওয়াচ দিয়ে কি কি করা যাবে?

আইওয়াচের ফিচার লিষ্ট আদতে মাইল খানেক লম্বা। সাধারন কিছু কাজ যেমন গান শোনা, কল করা, এসএমএস পাঠানো বা ছবি তোলা ছাড়াও অসাধারন কিছু কাজ করা যাবে যেমনঃ আইওয়াচ দিয়ে সকালে মর্নিং ওয়াক বা গাড়ী ড্রাইভ করতে করতে ফেসবুক বা টুইটারে স্ট্যাটাস দিতে পারবেন অথচ আপনাকে জগিং ট্র্যাক বা হাইওয়ে থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও দৃষ্টি সরাতে হবে না। আইওয়াচে থাকা ফেসবুকে অ্যাপ দিয়ে Siri এর সাহায্যে আপনি দৌড়াতে দৌড়াতেই স্ট্যাটাস আপডেট করতে পারবেন বা Siri কে দিয়ে মেইল চেক করা বা মিটিং মিনিট রেডি করাসহ অন্য যে কোন কাজ করাতে পারবেন। মানে যে অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে আপনাকে এখন পকেট থেকে আইফোন বের করার কষ্টটুুক সহ্য করতে হয়, iWatch আপনার সেটুকু কষ্টও দূর করে দেবে। কবজি মুখের কাছে নিয়ে স্পেশাল এজেন্ট স্টাইলে Siri কে দিয়েই সব কাজ সারতে পারবেন, অথচ আপনার দু হাতের ১০ আংগুল থাকবে সম্পূর্ণ খালি!

সবচেয়ে বড় কথা হলো, আইওয়াচ মানুষের স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে পরিসংখ্যান রাখতে বিশেষভাবে দক্ষ। যেমনঃ হার্টবিট এবং রক্তচাপ মাপা, ক্যালোরি বার্ণ হওয়া, এক্সারসাইজ টার্গেট মেইনটেন্ট করা, কত দ্রুত - কত ক্ষন ধরে - কত মাইল দৌড়ানো হয়েছে/হচ্ছে সে হিসাব রাখা ইত্যাদি। এমনকি আপনি ঘড়ির উপর দু আংগুল চেপে ধরে আপনার হার্টবিট ও ব্লাড প্রেশার অন্য অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারকারীির সাথে তো বটেই  এমনকি সামাজিক সাইটগুলোতে শেয়ারও করতে পারবেন।

আগে তো মানুষ ক্যাশ টাকা পকেটে নিয়ে ঘুরতো, তারপর আসলো ক্রেডিট কার্ড এখন ক্রেডিট কার্ড পকেটে নিয়ে ঘোরার দিনও শেষ। পেমেন্ট করুন অ্যাপেল ওয়াচ দিয়ে!

তবে আমি যেটাতে সবচে বেশী অবাক হয়েছি, সেটা হচ্ছে, iWatch এর অভূতপূর্ব চার্জিং প্রযুক্তি। পৃথিবীর আর কোন ইলেকট্রিক পণ্য যে প্রযুক্তি কখনো ব্যবহার করেনি। সেটা হচ্ছে,  wireless recharging technology বা ওয়্যারলেস ব্যাটারি রিচার্জিং প্রযুক্তি! চাজিং দ্রুততর করতে চাইলে ক্যাবলের ব্যবস্থাও আছে। আইওয়াচের নীচের ৪ টি সেন্সরের সাথে চৌম্বকীয় আংটা লাগিয়ে সেটা চার্জ দেযা যাবে।  পুরো ব্যাপারটিই খুব অভিনব ও কৌতুহলদ্দীপক (নীচের চিত্রটি দেখুন)। অ্যাপেলের পরিকল্পনা রয়েছে যে, মোশন, সোলার ও ইনডাকশন পদ্ধতিও ওটাকে চার্জ করানো। মানে আপনি যখন দৌড়াবেন, তখন আপনার শরীর থেকে যে এনার্জি, হিট-টেম্পারেচার বা ক্যালোরি এমিট হবে, সেসব দিয়ে চার্জ করানো এবং/অথবা সোলার পাওয়ার দিয়ে চার্জ করা। তবে  অ্যাপল ওয়াচের একটা বড় সীমাবদ্ধতা হলো, একবার পূর্ণ চার্জ দিলে এর ব্যাটারির স্থায়ীত্ব হবে মাত্র ২৪ ঘন্টা মানে আপনাকে প্রতি রাতেই ঘুমুতে যাবার আগে একে চার্জিংয়ে দিয়ে ঘুমাতে হবে।

ফিচার আর দক্ষতার কথা বাদই দিলাম, শুধু এটুকু বলি যে, আইওয়াচের যৌনাবেদনময়ী নকশা দেখে পৃথিবীর যে কোন প্রযুক্তি মনস্ক মানুষ প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যাবে, যেমনটা আমি পড়েছি।

iWatch রিলিজ হবে আর কয়েক মাস পরেই; খুব সম্ভবত ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে। মূল্যঃ সাড়ে তিন শ ইউএস ডলার। সাথে থাকবে চামড়া, ধাতব অথবা প্লাস্টিকের বেল্ট। সমস্যা হলো, এটাকে কেউ আইফোনবিহীন ব্যবহার করতে পারবেন না, মানে এটা ব্যবহার করার সময় জামার পকেটে অবশ্যই আইফোন চালু থাকতে হবে। আপাততঃ আইওয়াচ Watch, Edition  আর ‍Sport - এই তিনটি সংস্করণে পাওয়া যাবে।

অ্যাপেল ওয়াচের আরেকটি দুর্দান্ত ফিচারের কথা না বল্লেই নয়। পুরনো ভায়াব্রেশন প্রযুক্তিকে অ্যাপল মুটামুটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অ্যাপল ওয়াচ আপনাকে ইনকামিং কল, ম্যাসেজ এবং অ্যালার্ট দিবে ভায়াব্রেশনের মাধ্যমে, মানে কল বা ম্যাসেজ আসলে আপনি আপনার হাতে কবজিতে হালকা কাপুনি অনুভব করবেন। ফলে আপনার ফোনের এলার্ট আপনি ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ টেরও পাবে না। ধরুন আপনি মিটিংয়ে আছেন, বন্ধ ঘরে রিংটোন যেমন কানে বাজে, তেমনি ভাইব্রেশনের ঘড় ঘড় আওয়াজও পরিস্কার শুনতে পাওয়া যায়। মিটিংয়ের সময় তাই ভাইব্রেশন দিয়ে রাখলেও অনেককে বিব্রত হতে হয়। এ থেকে মুক্তি দেবে অ্যাপল ওয়াচ। সে আপনাকে এমন ভাইব্রেশন দেবে যে সেটা আপনি ছাড়া দুনিয়ার আর কারো পক্ষেই বোঝা সম্ভব না, এমনকি কেউ যদি আপনার কবজি ধরেও থাকে, তবু সেটা আপনি ছাড়া আর কেউ টের পাবে না। এমনকি, জিপিএস নেভিগেশনের সময়  যে দিকে মোড় ঘুরতে হবে,  অ্যাপল ওয়াচ আপনার হাতের সেদিকে ভায়াব্রেট সিমুলেশন পাঠাবে!   পুরনো প্রযুক্তির অভিনব এ ব্যবহারের কথা শুনেই তো আমি মুগ্ধ!

আইফোনের যে মডেলগুলোর সাথে অ্যাপেল ওয়াচ চলবেঃ

অ্যাপল ওয়াচের আরো শ খানেক ছবি আছে এই লিংকেঃ

অ্যাপেল ওয়াচ নিয়ে খুব সম্ভবত এটাই বাংলাতে লেখা প্রথম পূর্ণাঙ্গ রিভিউ!

Level 0

আমি প্রলয় হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

অনলাইনে লেখালেখির শুরুটা ২০০৬ এর নভেম্বর থেকে। নিয়মিত লেখার শুরু আরো ১ বছর পরে। তারপর আর থেমে থাকিনি। একের পর এক লিখে গিয়েছি বাংলাদেশের স্বনামধম্য সব কয়টা বাংলা ব্লগ সাইটে, মিউজিক ফোরামে, ফ্লিকরে, ফেসবুক আর টুইটারে। এখনো লিখে চলেছি, আজীবনই লিখে চলার ইচ্ছে আছে। কারন লেখালেখি করে হয়তো পেট চালাতে...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর টিউন এর জন্য।

    @rana786: একটু আগে আরো আপডেট করলাম। আবার পড়ে দেখতে পারেন।

      @প্রলয় হাসান:

      আপনি এই লিংক এ গিয়ে দেখতে পারেন

    @rana786: ভাই প্রথমে আপনাকে ধন্নবাদ দিচ্ছি টিম কুক এর presentation বাংলাতে কষ্ট করে অনুবাদ করার জন্য।
    তবে আপনার কিছু কথা ভুল আছে বলে আমার মনে হয়।
    ১/ আপনি বলেছেন পৃথিবীর আর কোন প্রযুক্তি wireless charging ব্যাবহার করেনি। অ্যাপেল ই প্রথম।
    কিন্তু আপনার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। অনেক আগেই এই প্রযুক্তির ব্যাবহার হয়ে গেছে। অ্যাপেল শুধু কপি
    করেছে। এর মধ্যে nokia, samsung, LG ,nexus রয়েছে।

    ২/ heart rate, blood circulation, energy omit etc এগুলা অনেক আগাই স্যামসাঙ তাদের smart
    watch এ ব্যাবহার করেছে। এমনকি তাদের নতুন ঘড়ি তে সিম ব্যাবহার এর সুবিধাও দিয়েছে।
    samsung already 4 or 5 মডেলের ঘড়ি বাজার জাত করেছে। সেখানে অ্যাপেল আগামি বছর করবে।
    so late.

    ৩/ ” এক আইফোন দিয়ে যেমন গত প্রায় ১ দশক ধরে এ্যাপেল এক চেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে “, বলেছেন।
    iphone প্রথম ২০০৭ এ বের হয়। সেই হিসেবে ৭ বছর হয়েছে। হাঁ প্রথম খুব ভালো বেবসা করেছে। কিন্তু
    ২০১১ এর পর android মার্কেট ধরে ফেলে। এখন বাজারের ৮৪.5% android এর দখলে। তার পরও
    যদি বলেন এক দশক , তাহলে ভুল।

    ভাই মনে হয় অ্যাপেল এর অনেক বড় ফ্যান। টিম কুক নিশ্চয় ১ নং মিথ্যাটা কথা বলেনি।
    আর অ্যাপেল অনেক জিনিস স্যামসাঙ এবং android কে কপি করে।

      Level 0

      Apnar sathe ekmot.@জাহিদুর রহমান:

ওয়াও, অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করে ছেন।
আমি ও গতকালকে রাত্রে লাইভ দেখছিলাম, কিন্তু আপনি এত অল্প সময় এত সুন্দর করে একটা রিভিও তইরি করে ফেললেন। নিশ্চয়ই সারারাত ঘুমাননি?
সত্যি এ্যাপেল ওয়াচ নিয়ে এটাই বাংলাতে লেখা প্রথম পূর্ণাঙ্গ রিভিউ! অসাধারণ।

    @saad rahman: আমি এখানে যা লিখেছি তা প্রায় পুরোটাই টিম কুকের ইংরেজী ভাষনের বাংলানুবাদ। হুম ভোর পর্যন্ত জেগেছি আবার সকাল ১০টায় অফিসও ধরেছি। 🙁

    আর হ্যাঁ, আমি বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখির চর্চা বাড়াতে চাই। কারন ইংরেজী ভাষায় তো এইসবের অভাব নাই কিন্তু বাংলা ভাষায় নাই বল্লেই চলে।

    আপনি তো আমাকে রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দিলেন সাদ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। টেকটিউনে আমার আগের টিউনগুলোও পড়ে দেখতে পারেন, আমি নিশ্চিত যে সেগুলোও আপনার অনেক ভালো লাগবে। 🙂

      Level 0

      @প্রলয় হাসান:
      এত কষ্ট করে এত সুন্দর টিউন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আশা করি ভবিষ্যতেও এটা বহাল থাকবে।

ধন্যবাদ

এক কথায়, অসাধারন।

ধন্যবাদ

দেখেই তো লোভ লাগছে

    @মুন্না: হুম তা তো লাগবেই! সেইরাম সেক্সি ডিজাইন যে!

অসাধারণ , অনেক পছন্দ হহইসে ওয়াচ টা কিন্তু শেষে মন টা ভেঙ্গে গেলো এইটা সুনে যে এইটা চালানড় জন্য আই ফোন লাগবে । তবুই ভালই ,আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ , খুব সুন্দর টিউন

    @Technology Pagol: আপনি মনে হয় আইপডের সাথে এ্যাপল ওয়াচ গুলিয়ে ফেলেছেন, আইপড যেমন স্বাতন্ত্র, তেমনি ওয়াচটাকেও স্বাতন্ত্র মনে করতে চাচ্ছেন।

    এ্যাপল ওয়াচের নিজস্ব কোন ওয়াইফাই, জিপিএস, সিম বা এ ধরনের কোন সুবিধা নাই। এ সব কারনে সে আইফোনের উপর নির্ভরশীল। এত ছোট একটা জিনিস এবং এত আধুনিক অথচ সস্তা, সে তুলনায় তাকে এইসবে মনে হয় একটু ছাড় দেয়া যায়। আর তাছাড়া, আইফোন না থাকলে আপনি এটা দিয়ে তেমন কিছুই করতে পারতেন না। আমার কাছে ব্যাপারটা খুবই যুক্তিসংগত মনে হয়েছে।

onek valo likhsen

অসাধারন।

Level 1

what a nice presentation bro!!

দারুণ হয়েছে । কিনতে পারলে বেশ ভালই হতো । ধন্যবাদ নিলয় ভাই ফর দিস আমাইযিং পোস্ট

    সরি প্রলয় হাসান ভাইয়া

      @সাব্বির চৌধুরী: নিলয় হাসান আমার ছোট ভাইর নাম। ধন্যবাদ আপনাকে সাব্বির। কিনতে পারবো আমরা ইনশাল্লাহ। 🙂

wow! Osadaron Likhesen! Thank You!

awesome writing..
keep it up bro 🙂

Thanks & carry on …………………….

ভাই, এতো ছোট একটা জিনিস দিয়ে এতো কাজ চালাইতে চোখের সমস্যা হবে না। আমার তো মোবাইল ব্যবহার করতেই ভাল লাগে না। লেপটপ ব্যবহার করি।

ধন্যবাদ ভাই অসাধারন একটি টিউন এর জন্য ।

Level 0

ami to apple er vookto so i like it

দারুন।

আর যাই হোক, এইটার প্রেজেনটেশন দেখার পর থেকে মনে হচ্ছে এত দেরি কেন? কবে হাতে পাবো? ধন্যবাদ লেখক?

ভাই,
একটা বিষয় হলো আইওয়াচটির এই যে বৈশিষ্ট্য উপরআলা যদি না চাইতেন একটু চিন্তা করে দেখুন তা কখনোই হওয়া সম্ভব ছিল না। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে যদি পানি না হতো তাহলে …..? যদিও আমাদের হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন দিয়ে পানি তৈরি করতে হচ্ছে না।

ধন্যবাদ ।। এত সুন্দর একটা পোষ্ট শেয়ার করার জন্য……………

iPhone Recommendation na thakle aro bhalo lagto. Tnx for review.

টিউনটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো !! ধন্যবাদ

ধন্যবাদ। এতো সুন্দর করে টিউনটি উপস্থাপন করার জন্য।

ভালো লিখছেন..

প্রথমে বলে নিচ্ছি লেখাটি খুব ভালো হয়েছে। সবলীল লেখা একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে খুব ভালো লেগেছে। চমৎকার বিশ্লেষকধর্মী লেখা।

তবে একটি লাইন কিছুটা কনফিউশন সৃষ্টি করলো আমার মনে …

” পৃথিবীর আর কোন ইলেকট্রিক পণ্য যে প্রযুক্তি কখনো ব্যবহার করেনি। সেটা হচ্ছে, wireless recharging technology বা ওয়্যারলেস ব্যাটারি রিচার্জিং প্রযুক্তি! ”

আপনি বলেছেন কোন পন্য ওয়্যারলেস ব্যাটারি রিচার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নি অথচ নকিয়া ২০১২ সালে লুমিয়া ৮২০ এবং লুমিয়া ৯২০ স্মার্টফোনের সাথে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। শুধু লুমিয়া নয় গুগল এবং এলজির তৈরি নেক্সাস ৪ ডিভাইসেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। মটোরোলার দুইটি স্মার্টফোনেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাপলের আগে। এছাড়া আরও অনেক ডিভাইস রয়েছে।

বিস্তারিত পাবেন উইকিপিডিয়ার এই লিংকে। http://en.wikipedia.org/wiki/Inductive_charging

শুভ কামনা। ভালো থাকুন 🙂

ধন্যবাদ, কিন্তু SAMSUNG wrist wathc কি দোষ করল !!! অথচ অ্যাপেলের চেয়ে SAMSUNG ই wrist wathc এর আধুনিক যুগ শুরু করেছে বলে মনে করি।

খুবই ভালো লিখেছেন…

Level New

খুব বেশি একপেশে লেখা লিখেছেন । বোঝাই যাচ্ছে আপনি একজন অ্যাপল ফ্যান । কিন্তু আইওয়াচ এর অনেক আগেই অনেকগুলো স্মার্ট ওয়াচ মার্কেট এ চলে আসছে এবং সেগুলো থেকে আইওয়াচ কতটা ভিন্ন তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নাই এমনকি অ্যাপল ও জানায়নি । তবে একটা জিনিষ ভালো লেগেছে তা হলো এর ডিজাইন । তবে সেন্সর , ডাটা সিঙ্ক ব্লা ব্লা সবকিছুই এন্দ্রয়েড চালিত অন্য স্মার্ট ওয়াচগুলোতে আছে ।

    Level New

    @আহত: ঠিক ! Samsung Gear S , Moto 360 এর নাম লেখক শুনেন্নি মনে হয়। Apple watch সব উপাদান Galaxy Gear থেকে কপি করা। Heart rate monitor, call function, health kit.
    Apple watch battery ১ দিন চলবে যেখানে অন্যরা দিচ্ছে ৩ দিন । টিউনারের উচিত ছিল আরো ভাল ভাবে অন্যান্য product খবর নেয়া যে গুলো ১-১.৫ আগে এসেছে ।

    সব চেয়ে হাস্যকর লেগেছে এই কথা টা
    “”আগামী কয়েক বছরে, অন্য কোম্পানির বানানো আইওয়াচের মতো আরো অনেক আধুনিক পরিধানযোগ্য যন্ত্রপাতি আমরা বাজারে আসতে দেখবো,”””

    লোল ।

আমি খুব শীঘ্রিই বাজারে প্রচলিত সবগুলো স্মার্টওয়াচের সাথে একটি তুলনামূলক রিভিউ নিয়ে আসছি। এবং অবশ্যই সেটাও হবে বাংলাতে প্রথম স্মার্টওয়াচের সাইড বাই সাইড কমপারিসন রিভিউ। 🙂

এখানে যারা কষ্ট করে কমেন্ট করেছেন তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂

ভাই প্রথমে আপনাকে ধন্নবাদ দিচ্ছি টিম কুক এর presentation বাংলাতে কষ্ট করে অনুবাদ করার জন্য।
তবে আপনার কিছু কথা ভুল আছে বলে আমার মনে হয়।
১/ আপনি বলেছেন পৃথিবীর আর কোন প্রযুক্তি wireless charging ব্যাবহার করেনি। অ্যাপেল ই প্রথম।
কিন্তু আপনার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। অনেক আগেই এই প্রযুক্তির ব্যাবহার হয়ে গেছে। অ্যাপেল শুধু কপি
করেছে। এর মধ্যে nokia, samsung, LG ,nexus রয়েছে।

২/ heart rate, blood circulation, energy omit etc এগুলা অনেক আগাই স্যামসাঙ তাদের smart
watch এ ব্যাবহার করেছে। এমনকি তাদের নতুন ঘড়ি তে সিম ব্যাবহার এর সুবিধাও দিয়েছে।
samsung already 4 or 5 মডেলের ঘড়ি বাজার জাত করেছে। সেখানে অ্যাপেল আগামি বছর করবে।
so late.

৩/ ” এক আইফোন দিয়ে যেমন গত প্রায় ১ দশক ধরে এ্যাপেল এক চেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে “, বলেছেন।
iphone প্রথম ২০০৭ এ বের হয়। সেই হিসেবে ৭ বছর হয়েছে। হাঁ প্রথম খুব ভালো বেবসা করেছে। কিন্তু
২০১১ এর পর android মার্কেট ধরে ফেলে। এখন বাজারের ৮৪.5% android এর দখলে। তার পরও
যদি বলেন এক দশক , তাহলে ভুল।

ভাই মনে হয় অ্যাপেল এর অনেক বড় ফ্যান। টিম কুক নিশ্চয় ১ নং মিথ্যাটা কথা বলেনি।
আর অ্যাপেল অনেক জিনিস স্যামসাঙ এবং android কে কপি করে।

এর অনেক কাজই তো শাওমির মি ব্যান্ডে করা যায়… তাহলে এতো দাম দিয়া কিনার মানে কী?

ধন্যবাদ অসাধারণ টিউনের জন্য…
আমি একটি এন্ড্রয়ড এপ তৈরি করেছি, বিক্রয়[ডট]কম এর অল্টারনেটিভ হিসেবে।
প্রথম দুইদিনেই মাশা আল্লাহ প্রায় ১০০+ মানুষ এড পোস্ট করেছেন।
আপনিও ইচ্ছে হলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
এপটির ফীচার সমূহঃ
* কোনো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এড পোস্ট করতে পারবেন
* দিনে আনলিমিটেড এড পোস্ট করতে পারবেন
* লোকেশন বেইসড এড সার্চ করতে পারবেন
* কোন হিডেন চার্জ নেই, একদম ফ্রী
* ইনশা আল্লাহ, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, অতদিন সার্ভিসটা ফ্রী রাখব
* ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস
* ছোট APK সাইজ ( মাত্র ৩ এমবি)
.
গুগল প্লে ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=p32929.buysellbd
APK ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://tiny.cc/buy_sell_bd