মজিলা ফায়ারফক্স কোম্পানি যেভাবে মার্কেট থেকে ছিটকে পড়েছে এবং আবার যেভাবে নিজেদেরকে ফিরিয়ে আনছে! মজিলা ফায়ারফক্স কোম্পানির আসন্ন ভবিষৎ

টিউন বিভাগ ফায়ারফক্স
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 34
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আজকে অনেকদিন পর আবার হাজির হলাম একটি বিশ্লেষণ মূলক টিউন  নিয়ে। আজকে আলোচনা করব Mozilla Foundation এর আদি, অন্ত নিয়ে।

চলুন Mozilla Foundation এর অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা যাক। তো ২০২০ সালের সিদ্ধান্ত গুলো থেকেই শুরু করি, Mozilla ২০২০ সালের ১৮ জুন, Mozilla VPN নামে নতুন একটি VPN সার্ভিস চালু করে। কিন্তু এই সার্ভিসটি খুব বেশি আকর্ষণীয় লাগে নি বেশিরভাগ ইউজারদের কাছে, কারণ যেখানে অসংখ্য VPN রয়েছে সেখানে কেউ কেন Mozilla এর VPN ব্যবহার করবে। তাছাড়া প্রতিমাসে ৫ ডলার করে এই VPN ইউজ করার মত ইচ্ছেও বিভিন্ন দেশের ইউজারদের হয় নি। তবে এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয় যে পিছিয়ে পড়া এই কোম্পানিটি নিজেকে নতুন করে তৈরি করার কথা ভাবছে।

তো এই টিউনের মাধ্যমে আমি দেখানোর চেষ্টা করব মজিলা কিভাবে তাদের বিজনেস শুরু করেছিল, কখন থেকে পিছিয়ে পড়তে শুরু এবং তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি।

মজিলার শুরুর গল্প

মজিলা ১৯৯৮ সালে Netscape কোম্পানির মেম্বার হিসেবে তাদের যাত্রা শুরু করে। যখন আধুনিক ইন্টারনেটের সূচনাটি হচ্ছিল তখন থেকেই মজিলার উদ্ভব। সেই সময় ইন্টারনেটে মাইক্রোসফটের ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। মাইক্রোসফটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবং ইন্টারনেটকে ওপেন এবং ফ্রি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে বাজারে আসে Mozilla Foundation।

প্রথম থেকে মজিলা নিজেকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কোম্পানি হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত করে। Mozilla তাদের প্রিন্সিপালে বা Mozilla Manifesto তে উল্লেখ্য করে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কমার্শিয়াল প্রফিট এবং পাবলিক বেনিফিটের মধ্যে ভারসাম্য আনা।

একই বছর তারা ইউজারকে ওপেন এবং ফ্রি ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা দিতে Firefox এর সাথে সাথে নিয়ে আসে একটি ইমেইল ক্লায়েন্ট, একটি অনলাইন টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম, এবং একটি বাগ ট্র‍্যাকার। এবং বিশাল এই প্যাকেজ নিয়ে মার্কেটে মজিলা বেশ সফলতা পায় এবং মাইক্রোসফট এই সার্ভিস গুলো থেকে পিছিয়ে পড়ে।

মজিলার খারাপ দিনের শুরু

সব কিছু ভাল ভাবে চললেও বাজারে যখন গুগল এবং ফেসবুকের মত কোম্পানি গুলো আসা শুরু করে তখন থেকে মজিলার দিন খারাপ হতে থাকে। মজিলার এমন অনমনীয় বিজনেস মডেল সেই কোম্পানি গুলোর সাথে লড়াই করতে অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়।
যেহেতু প্রথম থেকেই মজিলা বলে এসেছে তারা ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কোম্পানি সুতরাং পরবর্তীতে তাদের এই বিজনেস মডেল চেঞ্জ করারও সম্ভব ছিল না। তাছাড়া মজিলা প্রথম থেকে ইউজারদের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল যে তারা ইউজারকে কোন ধরনের ট্র্যাকিং করবে না আর এজন্য কখনো কোন ধরনের এড ও শো করবে না।

সুতরাং এমন একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কোম্পানি কাছে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মত প্রফিট জেনারেট করা বেশ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয় উঠে।

একমাত্র আয়ের উৎস

মজিলার তখন ইমেইল ক্লায়েন্ট, লোকেশন সার্ভিস, পাসওয়ার্ড ম্যানেজার, ওপেন সোর্স প্লাটফর্ম থাকার পরেও কিন্তু এই সার্ভিস গুলো থেকে কোন ধরনের অর্থ আসতো না। মজিলার একমাত্র অর্থের উৎস ছিল Mozilla Firefox।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, যেহেতু কোন ধরনের এড শো করার ব্যবস্থা ছিল না তাহলে উপার্জন কিভাবে হত? তখন ফায়ার-ফক্স ব্রাউজারের ইনকাম জেনারেট হতো ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন চুক্তির মাধ্যমে। তখনকার সময় মূলধারার দুটি প্রধান সার্চ ইঞ্জিন ছিল Yahoo এবং Google৷ এই দুটি কোম্পানি সাথে Mozilla Firefox চুক্তি করতো এবং ব্রাউজারের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যেকোনো একটিকে বাছাই করতো।

২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত প্রতিবছর মজিলার ৮০% থেকে ৯৯% ইনকাম আসতো কেবল মাত্র Mozilla Firefox থেকেই তার মানে বাকি সার্ভিস গুলোতে Mozilla বরাবরের মতই লস দিয়ে যাচ্ছিল।

ব্রাউজার বিজনেসেও প্রতিবন্ধকতা

মজিলা কোম্পানির ইন্টারনেট ব্রাউজার বিজনেস সব মিলিয়ে ভালই চলছিল। যেকোনো সময় Yahoo এবং Google এর সাথে পাল্টাপাল্টি চুক্তির মাধ্যমে ভালই রেভিনিউ জেনারেট করেছিল কোম্পানিটি। কিন্তু হটাৎ করেই বাজারে আসে Google এর Chrome ব্রাউজার আর সাথে সাথে পরিস্থিতি বদলে যায়।

বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী আসা খারাপ বা অস্বাভাবিক কিছু না তবে যখন গুগল প্ল্যান করেই Mozilla Firefox কে ধামিয়ে রাখার চেষ্টা করার শুরু করে তখন থেকেই ব্রাউজার বিজনেসে পিছিয়ে পড়তে থাকে মজিলা কোম্পানি। আমি এর আগে গুগলের অসাধু প্রতিদ্বন্দ্বীতা নিয়ে আরেকটি টিউন করেছিলাম চাইলে দেখে নিতে পারেন, "ইন্টারনেট জগতে যেভাবে ‘ব্রাউজার মনোপলি’ তৈরি করেছে গুগল"। এই যখন অবস্থা তখন মজিলা তাদের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে Google এর সাথে চুক্তি বাদ দিয়ে ২০১২ সালে Yahoo এর সাথে পাঁচ বছরের চুক্তিতে যায়।

Yahoo এর সাথে এই ধরনের চুক্তিতে যাবার পর পরিস্থিতি ফায়ারফক্স এর আরও প্রতিকুলে চলে যেতে শুরু করে। যেহেতু তখন চুক্তি ছিল Yahoo এর সাথে সুতরাং তাদের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন ছিল Yahoo, আর আমরা সবাই জানি Google সার্চ সব সময় সবার কাছে সেরা, সুতরাং মজিলা ফায়ারফক্সে সার্চ হিসেবে গুগলকে না পেয়ে আর কিভাবে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন চেঞ্জ করতে হয় তা না জেনে অধিকাংশ ইউজার ফায়ারফক্স ছেড়ে দেয়। এবং ফায়ার-ফক্সের বিরাট একটা অংশ চলে যায় Chrome ব্রাউজারে।

বিষয়টি মজিলা বুঝতে পেরে পাঁচ বছর শেষ হবার আগেই Yahoo এর সাথে চুক্তিটি বাতিল করে এবং আবার Google এ ফিরে আসে। কিন্তু এবার গুগল গুগল Firefox এর দুর্বলতার সুযোগ নেয়। তারা নিশ্চিত হয়ে যায় যে Firefox এর আর কোন বিকল্প নেই এবং ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে চুক্তির টাকাও কমিয়ে ফেলে। গুগল FireFox এর সাথে বার্ষিক ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে যেখানে Apple এর Safari এর সাথে তাদের ছিল বার্ষিক ১২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি।

মজিলা কিভাবে মার্কেট ফিরে পেল

চারদিকে প্রতিকূল পরিবেশের শিকার হয়ে যখন মজিলা মার্কেট থেকে ছিটকে পড়বে ঠিক তখনই ২০১৯ সাল আশীর্বাদ হয়ে আসে মজিলার জন্য। ইউজাররা যখন গুগল সম্পর্কে প্রাইভেসি ইস্যুতে সচেতন হওয়া শুরু করে এবং গুগলের বিরুদ্ধে কয়েকটি অ্যান্টি -ট্রাষ্ট মামলা হয় তখনই ইউজাররা আবার ফায়ারফক্সে ফিরে আসতে থাকে।

রাতারাতি মার্কেট শেয়ার বেড়ে যায় কোম্পানিটির, বিশাল বিশাল স্পন্সর পাওয়া শুরু করে, এবং ইউজাররাও ডোনেশন দিতে থাকে।

মজিলার ইনকাম জেনারেট করার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

কয়েক বছর সংগ্রাম করার পর মজিলা এখন দুটি উপায়ে ইনকাম করার পরিকল্পনা হতে নিয়েছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমত ইন্টারনেট সার্ভিসের মাধ্যমে যা কিনা এই মুহূর্তে সব চেয়ে প্রফিটেবল বিজনেস আর অন্যটি হচ্ছে এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে।

ইন্টারনেট সার্ভিস

মজিলার ইন্টারনেট সার্ভিস হিসেবে আছে Mozilla VPN যার মাধ্যমে ইউজারের প্রাইভেসি নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইনকাম করছে। মজিলার দাবী Mozilla VPN এ অন্যান্য VPN সার্ভিস গুলোর মতই আপনি পাবেন, Encryption Connection, No Spying, No Logs  এর মত সুবিধা। আপনি চাইলে আমার এই টিউনটিও দেখতে পারেন, "এবার মজিলা ফায়ারফক্স নিয়ে আসলো সম্পূর্ণ ফ্রি এবং বিনামূল্যের VPN সার্ভিস! চলুন জানি ফায়ারফক্স প্রাইভেট নেটওয়ার্ক কি!"।

আপনি খেয়াল করে দেখবেন VPN এর প্রোমোশন করা সব ইউটিউব চ্যানেলই বলবে তারা আপনার ডেটা ট্র্যাক করবে না বা লগ জমা রাখবে না, কিন্তু আসলেই এটা কতখানি সত্য সেটা ভাবার মত বিষয়। তবে এই দিক থেকে ফায়ার-ফক্সকে আমি বিশ্বাস করতে পারি কারণ দীর্ঘ দিন এটি ইউজাররের সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং সম্প্রতি নিজেদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। সুতরাং তারা অবশ্যই এমন কিছু করবে না যাতে করে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বীরা সুযোগ পেয়ে যায়।

তাছাড়া মজিলা তিনটি সার্ভিস নিয়ে এসেছিল, একটি ফাইল ট্রান্সফার সার্ভিস, একটি সিকিউরিটি চেকিং সার্ভিস এবং একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। তবে কিছু দিন যাবার পর ফাইল ট্রান্সফার সার্ভিসটি বন্ধ করে দিতে হয়েছিল এবং বাকি দুটি সার্ভিস থেকে এখনো কোন ধরনের প্রফিট আসে নি।

তারা তাদের এই সার্ভিস গুলো ব্রাউজারের সাথে ফিক্সড না করে, বাজারের বর্তমান কোম্পানি গুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে। যেমন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার টুল দিয়ে হয়তো তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে LastPass এর সাথে।

তবে এখানে একটি ব্যক্তিগত মতামত দিতে চাই, আমার মনে হয় মজিলার এই মুহূর্তে ইউজারদের সিকিউরিটির পাশাপাশি গুগল ড্রাইভের মত একটি স্টোরেজ সার্ভিস এবং ProtonMail এর মত একটি এনক্রিপ্ট মেইল সার্ভিস নিয়ে আসা উচিত। কারণ ইউজাররা এগুলো এখন খুব বেশি চাচ্ছে এবং ইতিমধ্যে বিকল্প খুঁজা শুরু করেছে।

এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার

এতক্ষণ মজিলার ইন্টারনেট সার্ভিস গুলো দেখলাম এবার কথা বলব এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার নিয়ে। আমি এই মুহূর্তে মজিলার এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার থেকে ইনকাম জেনেরেট করার দুটি সাইন দেখতে পাচ্ছি।

প্রথমটি হচ্ছে Thunderbird মেইল ক্লায়েন্ট। অনেক বছর এই মেইল ক্লায়েন্টটি উদ্দেশ্যহীন ভাবে পড়ে থাকলেও, এই বছরের শুরুতে মজিলা এই ইমেইল ক্লায়েন্ট পরিচালনা করার জন্য, MZLA Technologies Corporation নামে আলাদা একটি ফর-প্রফিট কোম্পানি তৈরি করেছে। তারা তাদের স্টেটমেন্টে জানিয়েছে, তারা এমন সুবিধা নিয়ে আসতে যাচ্ছে যা আগে চ্যারিটি বা ডোনেশনের মাধ্যমে সম্ভব হয় নি।

সুতরাং এখানে এই বিষয় পরিষ্কার তারা হয়তো এর কোন পেইড ভার্সন নিয়ে আসবে এবং এটিকে নতুন করে পরিচিত করবে ইউজারদের মাঝে।

KaiOS এর সাথে পার্টনারশিপ

আমার দ্বিতীয় উদাহরণ যার মাধ্যমে বুঝা যায় মজিলা এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যারে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা হচ্ছে KaiOS এর সাথে তাদের পার্টনারশিপ।

আপনার হয়তো KaiOS সম্পর্কে জানেন। এটি এমন একটি কমার্শিয়াল অপারেটিং সিস্টেম যেখানে বাটন ফোন গুলোকে স্মার্ট বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। যাই হোক, এ বছর মজিলা ঘোষণা দিয়েছে তারা এই KaiOS এর সাথে পার্টনারশিপ করেছে এবং অফিসিয়াল ভাবে এই অপারেটিং সিস্টেমকে সাপোর্ট করে যাবে। তাছাড়া আরও জানা যায় আসছে একটি আপডেট রিলিজে তাদের ব্রাউজারে KaiOS সাপোর্ট থাকবে।

মজিলার ফিরে আসা এবং ব্যক্তিগত মতামত

মজিলার ফিরে আসা বা নতুন করে বিজনেস রান করার বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত ভাবে বেশ ভাল লেগেছে। আমি ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রবেশ করেছি মজিলা ফায়ারফক্স এর মাধ্যমে। Chrome এর মনো-পলি তৈরি করার আগ পর্যন্ত আমি নিজে ফায়ারফক্স ব্রাউজার ব্যবহার করতাম। একটা সময় ছিল যখন ভাবতাম কম্পিউটারের ব্রাউজার মানেই মজিলা ফায়ারফক্স।

তাছাড়া সব সময় ভাল সার্ভিস পাবার জন্য বাজারে কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতে হয়, Chrome এর বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে গেলে একমাত্র মজিলা ফায়ারফক্সই। তো মজিলা ফায়ারফক্স বাজার থেকে হারিয়ে গেলে Chrome আরও আক্রমণাত্মক ভাবে বাজারে ঠিকে থাকতো আর গুগল সম্পর্কে এত অভিযোগ পাবার পরেও ইউজারদের হাতে বিকল্প কোন কিছু থাকতো না।

তবে একজন ইউজারের দিক থেকে আমি বলতে চাই ফায়ারফক্সে আরও কিছু ফিচার যোগ করা উচিত যা Chrome রয়েছে তাহলে হয়তো ফায়ারফক্স আগের মত তার ফ্যান-বেজ ফিরে পেয়ে আবার ব্রাউজার মার্কেটে রাজত্ব করতে পারবে।

শেষ কথা

প্রযুক্তি কখনো স্থায়ী নয়, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি আসবে এবং ইউজাররা যেহেতু সব সময় নতুন কিছু চায় সুতরাং তারা নতুনের দিকেই এগিয়ে যাবে। তাই আমি মনে করছি ফায়ারফক্সের উচিত ব্রাউজারে ইউজার কেন্দ্রীয় আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসা।

Level 34

আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 568 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 112 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস