একজন ফ্রিল্যান্সারের ব্লগ কেন প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং কাজে সহায়তা করার জন্য ব্লগ গুরুত্বপুর্ন একথা কমবেশি সব ফ্রিল্যান্সারই জানেন।  ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা যেমন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে তেমনি বেড়ে চলেছে যোগাযোগের বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সংখ্যা। ফেসবুক, টুইটার, গুগল +, লিংকডইন ইত্যাদি এরই মধ্যে নিজেদের প্রতিস্ঠা করেছে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকতে পারে এরপর আলাদাভাবে ব্লগ প্রয়োজন আছে কি-না।

ব্লগের সুবিধাসমুহঃ ফ্রিল্যান্সারদের ব্লগ ব্যবহারের মুল সুবিধেগুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করলাম;

  •  অনলঅইনে নিজের উপস্থিতি।
  •  নিজের কাজের পরিচিতি তুলে ধরার একটা যায়গা।
  •  নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কাজের নমুনা ইত্যাদি প্রকাশ করার একটি যায়গা।
  •  অনলাইনের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট পাওয়ার সুযোগ তৈরী।

এই সুবিধেগুলি ছাড়াও নিয়মিত আপডেট করা ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনে সহজে খুজে পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা রাখতে পারে।

ব্লগ ব্যবহারের সবকিছুই ভাল একথা মনে করারও কারন নেই। ব্লগিং অতিরিক্ত একটি কাজ, কাজেই অতিরিক্ত সময় এবং শ্রমের বিষয় এরসাথে জড়িত।

ব্লগের অসুবিধাঃ ব্লগিং এর খারাপ দিকগুলি হতে পারে এমন;

  •    ব্লগিং এর জন্য বেশ সময় ব্যয় করতে হয়।
  •    টিউন তৈরীর জন্য সময়, শ্রম, মেধা ব্যয় করতে হয়।
  •    ব্লগ নিয়মিত আপডেট করতে হয়।
  •   কোন সমস্যা হলে ঠিক করতে হয়।
  •   কাজেই সময় দেয়ার বিষয়টিও নিয়মিত।

প্রশ্ন থাকতে পারে, সব ব্লগই কি এক ? ফ্রিল্যান্সিং ব্লগ এবং বানিজ্যিক ব্লগ আলাদা। যখন ব্যবসায়িক কারনে ব্লগ তৈরী করা হয় তখন সেটা যেহেতু আয়ের উৎসব সেহেতু সেখানে সময়, শ্রম ব্যয় করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং কাজে সহায়তা করার ব্লগ আলাদা। অন্যকথায়, ফ্রিল্যান্সিং ব্লগ ফ্রিল্যান্সারের বিজ্ঞাপন।

ফ্রিল্যান্সারের সুবিধে হচ্ছে এধরনের ফ্রিল্যান্সিং ব্লগকেও সামান্য পরিমানে হলেও ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা যায়।ফ্রিল্যান্সিং ব্লগ এর আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে ব্যবসায়িক ব্লগের মত প্রতি মুহুর্তে আপডেট করা প্রয়োজন হয় না। অনেকে সপ্তাহে একবার কিংবা দু সপ্তাহে বা মাসে একবার আপডেট করেন।

সব ফ্রিল্যান্সার লিখতে পারদর্শী নন কিংবা লেখার বিষয়ে ততটা আগ্রহি নন। তাদের প্রশ্ন থাকতে পারে, ব্লগটিউন তৈরী করবেন কিভাবে ?

ব্লগ তৈরী করলে সেখানে শুধুমাত্র লেখা থাকতে হবে এমন কথা নেই। সেখানে শুধুমাত্র ভিডিও, শুধুমাত্র ছবি, শুধুমাত্র কাজের নমুনা ইত্যাদি থাকতে পারে। আরো নির্দিস্ট করে বললে একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফারের কিছু লেখা প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র ফটোগ্রাফ রাখাই যথেষ্ট, কিংবা একজন ডিজাইনের শুধুমাত্র নিজের করা ডিজাইন রাখাই যথেষ্ট। সেইসাথে বর্ননা হিসেবে সামান্য কিছু লেখা থাকতেই পারে। কাজেই, লিখতে অভ্যস্থ নই এটা ব্লগ না তৈরীর কারন হওয়া উচিত না।

এই টিউন এর আগে এখানে প্রকাশিত হয়। আমার টিউন ভাল লাগলে আমার ব্লগ থেকে গুরে আসার অনুরধ রইলো । আর ফেসবুক পেজ  ।

Level 0

আমি Md Kamal Hossain। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

সময় পরিবর্তনের সাতে সাতে জীবন জীবীকার ধারনাটা ও পরিবর্তন হয়।বর্তমান সময় তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমাদের দেশের তরুণরা খোঁজ করে নিচ্ছে নিজেরদের ভাগ্য পরিবর্তনএর চাকা।আর সেটা ইন্টারনেট এর মারধহমে সম্ভহব হরচ্ছে।যার মারধহমে এমন একটি ব্যাপার আমাদের দেশে ঘটে যাচ্ছে,তা আদুর ভবিষ্যৎ এ পোশাক শিল্পের বৈদেশিক মুদ্রার আয়কে ছড়িয়ে যাবে...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুব সুন্দর লেখা, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার একটি ইংরাজী ব্লগ সাইট আছে, বয়স প্রায় ২.৫ বছরের মত হবে। পার ডে ভিজিটর প্রায় ২৫০০ এর মত। সেখানে কোন বিজ্ঞাপনী অ্যাড যুক্ত করিনি। মনে হচ্ছে গুগল অ্যাডসেন্স নিই, কিন্তু সাহস পাচ্ছি না। আচ্ছা গুগল অ্যাডসেন্স ব্যাতিত বিকল্প হিসাবে কোনটি ভাল হবে জানালে উপকৃত হই।
মনে করছি ইনফোলিংকের সাথে ইয়ালিক্স মিডিয়া সংযুক্ত করব। আপনি কি জানেন এখানে কত ক্লিক এবং ইমপ্রেশনে ১ ডলার হয়??

    @অচেনা পথিক: প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারন আপনার প্রশ্নের উত্তর দেরি হওয়ার জন্য। গুগল অ্যাডসেন্স এর বিকল্প হিসাবে আমি কোন অ্যাডসেন্স দেখি নাই। গুগল অ্যাডসেন্স এ যে পরিমান আয় হয়, অন্য কোন অ্যাডসেন্স এ সেই পরিমান আয় হয় না । আর হ্যাঁ ইনফোলিংক এর সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নাই বললেই চলে। তাই ইনফোলিংক সম্পর্কে আমি আপনাকে কিছু বলতে পারলাম না, দুঃখিত।

Level 0

কামাল ভাই, আমাকে ১টা সাহায্য করলে খুব খুশি হতেম………
আমি আমার পেপাল একাউণ্ট থেকে কিভাবে পাইওনিয়ার এ ডলার পাঠাবো ??