প্রতিদিন ফ্রি স্টাইলে বিট কয়েন সাইট হতে অল্প কিছু অর্থ আয় করুন! সাথে থাকছে বিট কয়েন সম্পর্কে A টু Z তথ্য ও আমার অভিজ্ঞতা!!

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সাইটের সবাইকে সালাম ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

😛 আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজ অন্য রকম একটি টিউন করতে যাচ্ছি, টিউনটা অনেকটা ইনকাম বিষয়ক। 😆 তবে এটি কোন পিটিসি কিংবা ফ্রিল্যান্স বিয়ষক নই। আসলে আমাদের মধ্যে এমন কিছু ভিজিটর ও লেখকগণ আছেন যারা বিভিন্ন উপায়ে নেট হতে ইনকাম করে থাকেন। তার মধ্যে ইনকামের সবচেয়ে বড় বাহন হল- ফ্রিল্যান্সিং। হ্যা ফ্রিল্যান্স হিসাবে ওডেস্ক, ইল্যান্সে কাজ করে অনেকেই ভাল অবস্থানে আছেন। আসলে আমিও মাঝেমধ্যে ইল্যান্সে কাজ করে থাকি। ভেবে ছিলাম- “টেকটিউনস ব্লগে” ইল্যান্স নিয়ে কয়েকটি পর্বে পোস্ট করব। কিন্তু ৭/৫ কারনে তা হয়ে উঠেনি। এর অন্যতম কারন হচ্ছে- এই বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ সাইটে বিভিন্ন লেখকগণ অনেক রিভিউ দিয়েছেন, তাছাড়া অনেকেই হয়ত প্রশিক্ষণও নিয়েছেন, এমনকি বাজারেও এই বিষয়ে বেশ কিছু বই পাওয়া যায়।

অপরদিকে অনেকে সার্ভে বা পিটিসি সাইটে কাজ করেন। তবে এখানে খুব বেশী ইনকাম করা যায় না, মামুলি বিষয়ক। যাইহোক আমি নিজেও পিটিসিতে কাজ করিনা, অপরকেও এই ব্যাপারে সাজেস্ট করতে চাচ্ছি না।

তবে আজকে আপনাদেরকে একটি সাইট সম্পর্কে ধারনা দিব, যাহা টিউনের শিরোনামে উল্লেখ করেছি।এখানে কাজ করাটা খুবই সহজ। পূনরায় বলছি এটা কোন ফ্রিল্যান্স, পিটিসি বা কোন জবের সাইট নই। এটা একটি বিট কয়েন বিষয়ক সাইট। অবশ্য ফ্রিল্যান্স বলে কেউ ভূল করবেন না। এখানে ফ্রিল্যান্স সাইটের মত টাকার পাহাড় না হলেও নেহাত মন্দ নই, তবে ভূয়া পিটিসি সাইট হতে ভাল। আমার অভিজ্ঞাতে মনে হয়- বিট কয়েন সাইটের ইনকামের মত অত সহজ রাস্তা এখনও হয়নি।

বিট কয়েন সম্পর্কে টিউন করার উদ্দেশ্য:

আসলে বিট কয়েন বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের বিষয় রয়েছে। একজন বলবেন এটা বৈধ এবং অন্যজন বলবেন অবৈধ। তবে আমার যুক্তির দিক হতে ৫০/৫০ তার কারন গুলো নিম্নরুপ:

১। বিটকয়েন কোনো দেশের বৈধ বা অনুষ্ঠানিক মুদ্রা না হলেও ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, অনলাইনে কেনাকাটা ও ইলেকট্রনিক লেনদেনে বিটকয়েন ভবিষ্যতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত মুদ্রা হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও বিটকয়েন ফাউন্ডেশনে সদ্য যুক্ত হওয়া দেশগুলো হচ্ছে কানাডা, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ডেনমার্ক। বাংলাদেশীদের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তনে বিটকয়েন সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তথ্য সূত্র এখানে

২। অর্থনীতিবিদদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাপান, আমেরিকাসহ ইউরোপের দেশগুলোতে এই বিটকয়েনের কিছু প্রচলন থাকলেও বাংলাদেশে এর প্রচলন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া এটা দিয়েতো বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করা যাবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক সহকারী পরিচালক অসিম কুমার দাশগুপ্ত বলেন, বিটকয়েনের কোন বাস্তব রুপ নেই। তাই এখানে মানুষের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কোন মুদ্রা চলবে কি চলবে না তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের। একটা দেশের অভ্যন্তরে ঐ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অর্থনিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার অনুমোদন ছাড়া কোন মুদ্রা বিনিময় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হবে না। সম্প্রতি কৃত্রিম মুদ্রার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিটকয়েনের প্রচলন নিষিদ্ধ করেছে।

বিট কয়েন সাইটে আমি যে কাজ করেছি তার প্রমাণাদি ও অভিজ্ঞতা:

ক। হ্যা আমিও জানি বাংলাদেশ ব্যাংক বিট কয়েনকে নিষিদ্ধ করেছে।  ইন্টারনেটে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিট কয়েনের মাধ্যমে পে নিয়ে থাকে। সুতরাং মনে করলাম নেটে প্রায় সময়ই থাকি। সেখানে যদি কিছু মামুলি অর্থ আছে বিনা পরিশ্রমে, তাতে ক্ষতি কি? তাছাড়া এখানে তো নিজের কোন অর্থ ইনভেস্ট করতে হচ্ছে না। যেই ভাবা সেই কাজ। প্রায় ১৪ মাসের মাসের মত হল। এই পর্যন্ত বিট কয়েনে আয় করেছি প্রায় ১১৫ ডলারের মত। অবশিষ্ট আছে ৪৫ ডলার।

খ। যেহেতু বাংলাদেশে বিট কয়েন দ্বারা কাজ করা যাবে না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এই কয়েন দ্বারা আমি ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করব। এই হিসাবে কয়েন দ্বারা আমিসহ আমার বন্ধুদেরকে প্রায় ৭ টির মত ডোমেইন ক্রয় করি। এই তো গতকালকেও একটি ডোমেইন রেজি: করি বিট কয়েন দ্বারা পেমেন্ট করেছি। পারলে আপনারা http://www.who.is সাইটে গিয়ে http://www.poisaclick.com নামটি চেক করে দেখতে পারেন আমি কোন ভূয়া কথা বলছি কিনা!

গ। যেহেতু পূর্বেই বলেছি বিট কয়েন লেনদেন অনেক নামী ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানও সাপোর্ট করে। যেমন বিখ্যাত ডোমেইন প্রভাইডার http://www.namesilo.com এবং হোস্টিং প্রভাইডার http://www.hostdime.com তাদের সাইটে পেমেন্ট হিসাবে বিট কয়েন সাপোর্ট করে। সুতরাং আমার বন্ধুদের অনেকেরই উক্ত সাইট হতে ডোমেইন কিনে দিয়েছি।

ঘ। বিগত ১ বছর ধরে যে বিট কয়েন আয় করেছি এবং লেনদেনের প্রমাণ পত্র:

ঙ। বিট কয়েন অর্থ একাউন্টে যোগ হলে তা প্রতিবারই ইমেইলে বার্তা আসে নিম্নরুপ:

১।

২।


গতকালকের ডোমেইন ক্রয়ের প্রমাণাদি:

উপরোক্ত আলোচনা ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে বুঝতে পারলেন বিট কয়েন আয়ের উপযোগীতা। সুতরাং আপনিও আমার মত বিটকয়েনকে বাংলাদেশে লেনদেন না হলেও অনলাইনে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন যেমনটি আমি করেছি ডোমেইন ও হোস্ট ক্রয়ে। এবং হ্যা বিট কয়েন হতে কিভাবে আয় করতে হয় এবং একাউন্ট ওপেন করতে হয় তা নিম্নে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করছি। তবে হ্যা কাজ শুরু করার পূর্বে আমার টিউনের নিচের অংশ টুকু ভাল করে পড়ে নিন, নোট করুন অতপর কাজ শুরু করুন।

প্রথমে জেনে নিই বিট কয়েন কি?

বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন। বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে বা মোবাইলে। বিটকয়েনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে অথবা কোন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে।

বর্তমানে ১টি বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ২২৪.৭৫ ডলার, প্রায় ৩ মাস পূর্বে ছিল ৪৭৫.৩৫ ডলার। অনেকটা শেয়ার বাজারের মতই এর দাম উঠানামা করে, যাহা অনেকেই প্রতিনিয়ত আপডেট দেখে বুঝতে পেরেছেন।

অর্থাৎ বর্তমানে 1 Bit coin = $১২০০!!!

বিট কয়েন এর উপযোগীতা:

১। বিট কয়েন পদ্ধতি অনেকটা নতুন বিষয়। এটাও এক ধরনের পেইজা, পেপাল, মানি বুকার্স এর মত বিট কয়েন লেনদেন পদ্ধতি বা গেট ওয়ে। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই বিভিন্ন গেটওয়ে পেমেন্ট প্রসেস হিসাবে অনেক সাইটে বিট কয়েন পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে। ইউরোপ, অআমেরিকা উন্নত দেশেই অল্প সময়েই বিট কয়েন পদ্ধতি জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে। খুব বেশী একটা সময় হয়ত নাই, যেখানে সমগ্র দেশে বিট কয়েন্ট পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। সম্প্রতি বাংলাদেশে অনেকেই বিট কয়েন আয় করছেন।

৩। এর মাধ্যমে যে কোন জায়গাতে পেমেন্ট পরিশোধ, বিল প্রদান, বেতন-বোনাস দেওয়া যাবে। তাছাড়া বিট কয়েন মোবাইলে, ব্যাংক একাউন্ট কিংবা অন্য মাস্টার কার্ডে ট্রান্সপার করতে পারবেন।

৪। অন্য কোন শেয়ার মার্কেট কিংবা বিট কয়েন মার্কেটে এটা বিক্রয় করতে পারবেন।

বিট কয়েন একাউন্ট ওপেন করার ১ম ধাপঃ

আপনাকে প্রথমে একটি বিটকয়েন অ্যাড্রেস তৈরি করা লাগবে। এই অ্যাড্রেস সাধারনত ৩৪ Character -এর হয়। এই কারনেই এটা এতো বেশি সিকিউর। এটা মূলত বিট কয়েন গেটওয়ে পেমেন্ট প্রসেস বলা হয়ে থাকে। অর্থাত আপনি যে কোন সাইট হতে বিট কয়েন আয় করুন না কেন, এখানে সমস্ত বিট কয়েন আয় যুক্ত হয়ে যাবে। পরবর্তীতে এখান হতে সুবিধামত উইথ ড্র করতে পারবেন।

কিভাবে একাউন্ট তৈরি করবেন:

একাউন্ট তৈরি/ওপেন করা খুব সহজ। প্রথমত আমার এই পোস্ট ভালভাবে পড়ে নিন। অতপর পোস্টের টিউটোরিয়াল অনুসরন করে বাকি কাজ করলেই হবে।

২। এখানে Name অংশে আপনার নামের ১ম এবং শেষ অংশ দিন> Email  এর বক্সে আপনার মেইল অ্যাড্রেস এবং> Password  এর বক্সে আপনার পাসওয়ার্ড লিখুন> এবার সবশেষে টিক মার্ক দিয়ে Create Bit coin Wallet  লিঙ্কে ক্লিক করুন।

৩। এরপর আপনাকে ইমেইল অ্যাড্রেস ভেরিফাই করেত বলবে। আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসে যান এবং VERIFY MY EMAIL ADDRESS-এ ক্লিক করুন। নতুন কোন উইন্ডো ওপেন হলে ক্লোজ করে দিন। অতপর এই সাইটে পূনরায় প্রবেশ করে  লগইন করুন আপনার ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দ্বারা (রেজি: করার সময়ে যাহা ব্যবহার করেছিলেন)। যদি লগইন করতে পারেন তাহলে বুঝবেন সঠিকভাবে একাউন্টটি ক্রিয়েট করতে পেরেছেন।

(লগইন করলে নিচের মত একটা পেজ আসবে)

৪। এখান থেকে Setting  থেকে Bit coin Addresses এর উপরে ক্লিক করলে নিচের মত একটা পেজ আসবে। এরপর Create New Address করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। নিচের মত একটা অ্যাড্রেস তৈরি হবে। এটাকে সেভ করে অথবা কপি করে রাখুন নোটপ্যাডে, পরে কাজে লাগবে মূলত বিট কয়েন সাইট হতে আয় এবং প্রতিবার লগইন করার জন্য।

৫। চাইলে একাউন্টটি আপনি ভ্যারিফাইড করে নিতে পারেন মোবাইল নং দ্বারা। এই জন্য একাউন্ট লগইন করে Verify a Phone অপশনে ক্লিক করুন। একটি বার্তা আপনার মোবাইলে যাবে। সেখানের প্রেরিত কোডটি এখানে ইনপুট করে দিলেই হবে। এই ক্ষেত্রে কয়েন-বেজ একাউন্টের নিরাপত্তা থাকবে। অবশ্য ব্যাংক একাউন্ট ভেরিফাইড কিংবা যুক্ত করার অপশন আসবে, আপাতত এটি করার প্রয়োজন নাই।

বিট কয়েন আয়ের ২য় ধাপঃ

নিয়মাবলী:

উপরের দেখানো ১ম ধাপে তো বিট কয়েন গেটওয়ে একাউন্ট তৈরি করলেন অনেকটা পেইজার মত। এবার তো আয় করতে হবে। আসলে বিট কয়েন নিয়ে আয় করার অনেক সাইট দেখেছি। কোনটিই আমার তেমন পচ্ছন্দ হয়নি। যে কয়টি সাইট দেখেছি অনেকটাই স্ক্যাম। অর্থাত বিট কয়েন নাম দিয়ে ব্যবসার ফায়দা লুটছে। তাছাড়া নিজে পর্যবেক্ষনে অআছি। যদি তেমন ভাল সাইট পাই তাহলে পরবর্তী পোস্টে জানাব। তবুও মন খারাপের কোন কারন নাই। ফ্রিভাবে বিট কয়েন পাবার জন্য আপনাদের এমন একটি সাইটের লিংক দিব যেখানে প্রতি ঘন্টাতে বিট কয়েন পাবেন কোন রকম কাজ ছাড়াই!!

১। প্রথমে এইলিঙ্কে যান কিংবা নিচের চিত্রে ক্লিক করুন এখানে

নিচের মত একটা পেজ আসবে। উক্ত কাজ গুলো করুন তথারুপ:

  • Your Bitcoin Address – এ কিছুক্ষণ আগে যে বিটকয়েন অ্যাড্রেস তৈরি করলেন সেটা দিন।
  • Password For Your Account – এখানে আপনার পাসওয়ার্ড দিন।
  • Repeat Password – এখানে পুনরায় একই পাসওয়ার্ড দিন।
  • Your Email – এখানে আপনার ইমেইল দিন।

ব্যাস এরপর Sign upবাটনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্ট হয়ে গেছে। ইমেইল ভেরিফাই করা লাগবে না।

অতপর বিট কয়েন সাইটে প্রবেশ করুন > Have Account ক্লিক করুন> এখানে কয়েনবেজ একাউন্টের ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করুন। ( কয়েনবেজ একাউন্টের ঠিকানা হচ্ছে- আপনি কয়েন বেইজ সাইটে রেজি: করার পর ৩৬ ওয়ার্ডের এলোমেলো যে লিংক পেয়েছিলেন সেটিকে বুঝাচ্ছি)

২। এরপর ও পরের চিত্রে ২নং চিহ্নিত অংশের ঘরগুলো পুরন করুন এবং কেপচা দিয়ে LOGIN বাটনে ক্লিককরুন। এরপর নিচের মত পেজ আসবে। এরপর ১নং চিহ্নিত অংশের কেপচা দেখে ২নংচিহ্নিত বক্স পূরণ করে ROLL!(3) এ-ক্লিক করুন।

৩। এরপর যদি নিচের চিত্রের মত টাইমার(2) উঠা শুরু করে তাহলে আপনি Success।আরযদি Invalid Code লেখা আসে তাহলে আবার TRY করুন হয়ে যাবে।এভাবে প্রতি ঘণ্টায় আপনি বিটকয়েন আর্ন করতে পারবেন। আবার ১ ঘন্টা পর আসুন এবং কেপচা পূরণ করে  ROLL-এ ক্লিক করুন। দেখবেন একাউন্টে বিট কয়েন যোগ হয়েছে। এভাবে ১ঘণ্টা পরপর ওয়েবসাইটে যান এবং আর্ন করতে থাকুন। নিচের চিত্রে দেখুন ৩নংচিহ্নিত অংশে আমার আর্ন দেখাচ্ছে।


 পেমেন্টঃ

এবার আসি পেমেন্টের কথায়। এটা  ১০০% পে করে কারন একাউন্ট করার ১ বছরের মধ্যে প্রায় ১০০ বারের বেশী পে পেয়েছি। তাছাড়া আমার বন্ধুরা অনেকেই এটির সাথে সম্পর্কিত। তাদের অনেকেই প্রায় ১০-১৫ বারের বেশী পেমেন্ট পেয়েছে।

এরা প্রতি সোমবার পে করে। আপনার একাউন্ট Balance যদি 0.00005460 বিটকয়েনের বেশি হয় তাহলে সেটা অটোমেটিকভাবে সোমবারে আপনার একাউন্টে চলে যাবে। আপনার কিছু করতে হবে না।

যেমন এই পোস্টটি করেছি আমি নিজে পরীক্ষা করে।  যেহেতু ফ্রিল্যান্স ও ব্লগ করার জন্য আমাকে মাঝেমধ্যে নেটে ১০-১৪ ঘন্টা থাকতে হয়। তাই এই সুযোগটা কাজে লাগাই। তেমন আপনিও লাগাতে পারেন। কেননা-

  • অন্য কোন পিটিসি সাইটের মত সময় নষ্ট হচ্ছে না। কিংবা ক্লিক করতে হচ্ছেনা। ফ্রিল্যান্স করার সাথে সাথেই উক্ত কাজটি করতে পারবেন। শুধুমাত্র প্রতি ঘন্টাতে ক্যাপচা পূরন করলেই হলো। অনেক ফ্রিল্যান্সার গণ বিট কয়েন হতেও আয় করছেন।
  • কোন কাজ না করলেও একাউন্ট ডিলেট কিংবা নষ্ট হবার ভয় নাই।
  • যারা অল্প মেগাবাইট ব্যবহার করছেন। তারা প্রতি ঘন্টাতে এই সাইটে প্রবেশ করে কাজ শেষ হবার পর নেট কানেকশন বন্ধ করে দিন। অতপর পূনরায় একই কাজ করুন। মূল কথা সর্বদা নেট কানেকশন অযথা চালু করার প্রয়োজন নাই।
  • এখনো যেহেতু ইউজার কম। সেহেতু এই সাইট বোধ হয় ফ্রিভাবে বিট কয়েন দিচ্ছে। পরবর্তীতে হয়ত কি হবে কে জানে! তাই মনে হয় সময় থাকতে বিট কয়েন অর্জন করতে সমস্যাটা কোথায়?
  • এখানে কোন ইনভেস্ট, ডোনেট এমন কিছুর শর্ত নাই।

কিছু নির্দেশনা ও কাজের কথা:

১। আমি এই পোস্টে মূলত ২ টি লিংকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি তথারুপ এর ১ম টি হচ্ছে coinbase। এটি মূলত একটি পেমেন্ট গেটওয়ে। এখানে কোন বাড়তি আয় হয় বলে ভূল করবেন না।  কেননা, এই সাইট অনেকটা অন্য পেমেন্ট গেটওয়ের মত যেমন: payapal, Ego pay, Payza ইত্যাদির মত। অর্থাত এখানে নিদিষ্ট অর্থ থাকলে তা অন্যত্র ট্রান্সপার কিংবা উইথ ড্র করতে পারবেন।

২। এমনকি যে সব সাইট গুলো হতে বিট কয়েন আয় করবেন, সেখানের অর্থ গুলো এই  coinbase সাইটে- জমা হয়। coinbase সাইটটি আসল ও ইন্টারন্যাশনালভাবে স্বীকৃত।

৩। বিট কয়েন একাউন্টে Multiply BTC অপশনে কোনরুপ পরিবর্তন আনবেন না তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। যেমন আছে সেভাবেই কাজ করুন। অবশ্য রেফার অপশন দেখলে দোষ নাই।

৪। মূলত কয়েনবেজ হতে টাকা কিভাবে ক্যাশ করবেন তা অবশ্যই আমার পরবর্তী টিউনে জানানো হবে, সেইজন্য অপেক্ষা করতে হবে। আপনাদের সুবিধার্তে কিভাবে কি কাজ করলে সহজে বাংলাদেশে টাকা তুলতে পারবেন তার নিয়ম জানাতেই একটু দেরি করছি। কারন বিভিন্ন উপায়ে/মাধ্যমে এই টাকা ক্যাশ করার সিস্টেম আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল কোনটি তা আপনাদের জানানোই আমার একান্ত লক্ষ্য।

৫। কয়েন বেজে মিনিমাম ০.০১০০০০btc হলেই টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। পরামর্শ হল: মিনিমান ০.৫০০০০btc না হওয়া পর্যন্ত ট্রান্সফার না করাই ভাল। কারন এখানে প্রতি ট্রান্সফারে ০.০০২০০০btc চার্জ কাটে। তাই যত বেশি জমাতে পারবেন তত লাভ। একটু সময় দিয়ে যদি ১.০ BTC ইনকাম করতে পারলে মন্দ কি!!

৬। কয়েনবেজ ব্যাংক একাউন্ট আপাতত ভেরিফাইড করা লাগবে না, শুধুমাত্র টাকা জমা থাকলেই হবে।

৭। freebitco সাইটটি পিওর সাইট। যারা Auto-Withdraw ENABLED করা আছে তাদের 0.00005460 হলেই কয়েনবেজ ওয়েলেটে অর্থ পৌঁছে যাবে। তাহলেই বুঝতে পারবেন সত্যিই বিট কয়েন অর্জন করেছেন। অতপর: উক্ত একাউন্টে উক্ত পেমেন্ট সার্ভিসটি Disable করে দিন। কারন এতে আপনার ফ্রি কয়েন আয় করার পরিমান(২২০-৪৫০) বেড়ে যাবে।

৮। সুতরাং যতটুকু সময়-সুযোগ পান, কয়েন সাইটে বিট কয়েন উপার্জন করে যান। অন্য পিটিসি সাইটের মত সময় তো লাগছেনা। যেখানে অনেকেই বিনা কারনে অনলাইন থাকতেন, সেখানে এখন হতে সামান্য কিছু বিট কয়েন আপনার যদি সৌভাগ্য আনয়ন করে তাতে তো লাভ আপনারই!!

৯। একের অধিক একাউন্ট ওপেন  না করাটাই শ্রেয়। কারন যে কোন সময় ব্যান হতে পারেন।

১০। আপনার বিট কয়েনকে অন্য কারোর কাছে সেল করে টাকাতে কনভার্ট করে নিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিশ্বস্ত কিংবা মুখোমুখি লেনদেন করলে ভাল হয়। সুতরা্ং যারা লেনদেন করবেন তারা নিজ দ্বায়িত্বে করবেন।


  •  বিট কয়েক কি এবং কিভাবে উপার্জন করতে তা হয়ত এই টিউটোরিয়াল অনুযায়ী নিজেই প্রতিটি ধাপে কাজ করতে পারবেন। সুতরাং অন্যান্য কাজের সাথে বিনা-পরিশ্রমে বিট কয়েন আয় করন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। যদি মনে করেন এই কাজ করে বড় কিছু করবেন। তাহলে নিজেকে ভূল পথে পরিচালিত করছেন। কারন, ইন্টারনেটে সত্যিকারভাবে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে ভালকিছু জানতে হবে, ধৈর্য্য ও মেধার মননশীলতা দরকার এবং ফ্রিল্যান্সিং জানার ও শেখার চেষ্টা করতে থাকুন। অবশ্যই এক সময় ফ্রিল্যান্সিং সাফল্য আপনার কাছে ধরা দিবে। যেমন: এখন নিজে ফ্রিল্যান্সিং করছি ও শিখছি। ইন্টারনেট অর্থ উপার্জনে সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং ব্যতিত বিকল্প কিছু নাই।  তারপরেও সম্পূর্ণ ইচ্ছাটা আপনার!! সর্বশেষ টিউন সম্পর্কে মতামত থাকলে টিউমেন্ট করতে পারেন। – পরিশেষে সবাই ভাল থাকুন এবং আবারো নববর্ষের শুভেচ্ছ!!

 

Level 2

আমি এএমডি আব্দুল্লাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 157 টি টিউন ও 1046 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

সম্মানীয় ভিজিটর বন্ধুগন! সবাইকে আন্তরিক সালাম ও ভালবাসা। আশা করি ভাল আছেন। পর সংবাদ যে, আমরা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছি। সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, কম্পিউটার বিষয়ক যেমনঃ অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্স, টিউটোরিয়াল, মুভি, গেমস, সফটওয়্যার, ভ্রমন, ইতিহাস, ভূগোল, কার্টুন, ধর্ম, টেক সংবাদ, এবং সংবাদপত্র ফিউচার...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

দারুন লিখেছেন, অনেকটা জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

ভাই এড্রেস ক্রিয়েট করার অপশন পাচ্ছি না।

ভাই আপনি কি ডুমুরের ফুল দেখালেন কিনা বুঝলাম না।
১ বিটকয়েন সমান যদি ২২৫ ডলার হয় তাহলে একটা ডোমেইন ক্রয়ের জন্য ১০ ডলার জমা করতে ৫০০০.০০৪৫ বার ক্যাপচা এন্ট্রি করতে হবে। কারন একটা ক্যাপচায় এরা ০.০০০০০৮৮৮ দেয়।

    @রিদোয়ান হোসেন: ধন্যবাদ। নারে ভাই ডুমুরের ফুল দেখাব কেন? এখানে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম মাত্র। তাছাড়া বিস্তারিত টিউনেই আলোচনা করেছি। আসলে অনলাইনে সময় দেয়ার উপর এটা নির্ভর করে। অবশ্য এর সাথে আরো কিছু বিট কয়েন সাইটের ঠিকানা রয়েছে যে গুলোতে কাজ করলে দ্রুতভাবেই বিটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সর্বশেষ ফ্রিল্যান্স ব্যতিত অন্য কোন পন্থাই ইনকামের সাথে তুলনা করা ঠিক নই। তাইতো Freelance is the father of online earnings!!

    @রিদোয়ান হোসেন:

    মাঝে মাঝে ভাই ০.০০০০৮৮৮৮ ও পাওয়া যায় ।

      @কাওসার মাহমুদ: Thanks.
      তবে মাঝেমাঝে যে লাকি নম্বরগুলো লাফ দিয়ে বেশ ভালো একটা অংক শো করে ফলে অনেক বিট কয়েন পাওয়া যায়। আসলে যারা নেটে অধিক সময় ব্যয় করেন এবং ব্লগার ও ফ্রিল্যান্স বিষয়ের সাথে যুক্ত তাদের এই কাজ গুলো করতে সুবিধা হয়। কেননা, সোস্যাল সাইটে তারা লিংক গুলো শেয়ার করলে রেফারেল হিসাবে আরো বিট কয়েন আয়ের সুযোগ প্রশস্ততা পায়।

Level 2

পোস্টটি বেশ ভাল লাগল। কয়েনবেস এ ঠিকভাবেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পেরেছি। কিন্তু ফ্রিবিটকো ডট ইন এ অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে সব ঘর পুরন করার পর সাইন আপ বাটনে ক্লিক করা মাত্র “Sorry, this IP address has been blocked. If you are using a proxy or anonymization service, please turn it off before playing. If not, you can get a new IP by restarting your router.” এই লেখা দেখাচ্ছে। রাউটার রিস্টার্ট করেও দেখেছি। সেম প্রবলেম। উল্লেখ্য, আমি কোন প্রক্সি বা আইপি চেঞ্জার ইউজ করছি না।

    @Leo: ধন্যবাদ। আসলে এমনটা হবার কথা নই, প্রথম অভিযোগ পাইলাম। কয়েন বেইজ সাইটে লগইন করে সেখানে যদি বিট কয়েন এড্রেস ঠিকানা তৈরি করতে পারেন প্রায় ৩৪ বর্ণের (যাহা টিউনে বলেছি) সেটি নোট প্যাডে কপি করে নিন। অতপর ফ্রিবিটকো ডট ইন এ- সাইন আপের সময় এই নম্বরটি ইনপুট করাতে হবে।
    আপনার যদি পিসিতে করতে সমস্যা হই। তাহলে অন্য পিসিতে কিংবা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে সাইন আপ করলেও হবে। শুধুমাত্র পেনড্রাইভে নোট প্যাডে ইমেইল ঠিকানা এবং বিট কয়েন এড্রেন নিলেই হবে। অতপর পরবর্তীতে নিজের পিসিতে এসে লগইন করে দেখুন।

    @Leo: আমারও সেম প্রেবলেন হয়েছিলো, পরে ভিপিএন দিয়ে আইপি চেঞ্জ করে একাউন্ট খুলছি।

Level 2

আপনি যেভাবে বললেন ওভাবেই করেছি। সবকিছু ওকে। য়েন এড্রেস ঠিকানা তৈরিও করেছি, সাইন আপে ইনপুটও করেছি। তবুও একই সমস্যা। এখন অন্য পিসি থেকে করে দেখতে হবে।
ধন্যবাদ আবারও।

সুন্দর গোছানো টিউনটা নতুনদের জন্য চমৎকার রেফারেল হিসেবে কাজ করবে…..আমিও প্রথমে একাউন্ট খুলে কিছু ক্যাপচা এন্ট্রি করেছিলাম একসময়- কিন্তু সিরিয়াসলি এটাকে গ্রহণ করি নাই- তাই হয়তো আগ্রহটাও আমার কাছ থেকে সরে যেতে দু’বার ভাবেনি 😛

যদিও এই বসে বসে করা কাজ নিয়ে রাতারাতি স্বপ্ন দেখতে সবাইকে মানা করে ভালো করেছেন তবে আরো কিছু স্পয়লার অ্যালার্ট দিতে পারতেন….যেমন- পয়সা এতই নিংড়ে বের হয় যে দশমিকের পর ঘর গুনতে গুনতে ক্লান্তি চলে আসে 😆 টাকা উইথড্র করতে গিয়ে বুড়া হবার দশা 😉

তবে মাঝেমাঝে যে লাকি নম্বরগুলো লাফ দিয়ে বেশ ভালো একটা অংক শো করে সেটাতো বললেন না- এইটাই কিছুটা আশার আলো দেখায় 😀 ………..যাহোক, দুনিয়াতে বিটকয়েনের ভবিষ্যত কিন্তু খুবই উজ্জ্বল!!!

    @নিওফাইট নিটোল: অসংখ্যক ধন্যবাদ। সুন্দর ও সাজাগোছানো টিউমেন্ট করার জন্য। আসলে টিউনটা এত সময় ধরে করতে হয়েছে যেখানে বেশ কিছু তথ্য গুলোর অভাব পড়েছে। যাইহোক আপডেট করে দিব।
    অপরদিকে যারা নেটে অধিক সময় ব্যয় করেন এবং ব্লগার ও ফ্রিল্যান্স বিষয়ের সাথে যুক্ত তাদের এই কাজ গুলো করতে সুবিধা হয়। কেননা, সোস্যাল সাইটে তারা লিংক গুলো শেয়ার করলে রেফারেল হিসাবে আরো বিট কয়েন আয়ের সুযোগ প্রশস্ততা পায়। এবং এর সাথে আরো কিছু কয়েন সাইট রয়েছে যেখানে বিট কয়েন ইনকামটা আরেকটু বৃদ্ধি করা যায় যেমন:একই ভাবে ক্যাপচা পূরন করা যায়, ইনভেস্ট করা হয়, সার্ভে করা হয় ইত্যাদি।
    বর্তমানে বিট কয়েনের দাম অনেক নিচে এবং কাজ করতেও কম মূল্য পাওয়া যাচ্ছে, হয়ত পরবর্তীতে রেট বৃদ্ধি পেতে পারে। আসলে বিট কয়েন মূল্য প্রতিনিয়তই হ্রাস-বৃদ্ধির পার্থক্য ঘটে। আমারও বর্তমানে তেমন একটা সময় দিয়ে হয়ে উঠেনা। যে বিট কয়েনগুলো আয় করে ছিলাম তার সিংহভাগই ডোমেইন ও হোস্ট ক্রয়ের কাজে লাগিয়েছি।

( “”অবশ্য এর সাথে আরো কিছু বিট কয়েন সাইটের ঠিকানা রয়েছে যে গুলোতে কাজ করলে দ্রুতভাবেই বিটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।”??????)

vaia apnar deya website cara o trusred r kon kon bitcoin website ace plz bln R month a kemon income hbe,rekta kotha jehetu BITCOIN bd te prohoboted so amr kono relative jodi abroad a thake tahole ki tar dara BITCOIN sell kora jabe??????

    @ইবরাহীম খলীল: ধন্যবাদ। হ্যা আরো বেশ কিছু সাইট রয়েছে যেখানে একই কাজ করা হয়। সেই সাথে গেম খেলা, লটারীর সুযোগ, সার্ভে করার মাধ্যমে বিট কয়েন বেশী আয়ের সুযোগ থাকে। বাট আমি যে সাইটগুলোর ঠিকানা দিয়েছি তারা দীর্ঘদিন ধরে পে করছে এবং নিজেও অনেকদিন কাজ করেছিলাম। অপরদিকে বাকি যে সাইটগুলো রয়েছে (হয়ত পরবর্তী টিউনে আলোচনা করব) তারা আজকে পে করে অথবা বন্ধ করে দেয় এরুপ সমস্যা করে। একটু ইন্টারনেটে বিট কয়েন লিখে সার্চ করলেই অনেক সাইট পাওয়া যাবে। মূলত ১-২ সপ্তাহ কাজ করার মাধ্যমেই বুঝা যায় যে, সাইটটি লিগ্যাল কিন! তবে এখানে ভূয়া/স্ক্যাম সাইটের সংখ্যাটাও কম নই!!

@ইবরাহীম খলীল: বিট কয়েনের দামটা প্রায়ই উঠানামা করে। আমি ১ বছর পূর্বে যখন কাজ করতাম তখন ১ বিট কয়েন মূল্য ছিল প্রায় ৫৫০ ডলারের উপরে, বর্তমানে ২৪০ এর মত। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কাজের রেটও কম হচ্ছে! মূলত সময়/পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে যেমন- একজন ব্যক্তি প্রতিঘন্টাতে দিনে ১০ বারই ক্যাপচা করেছেন এবং অন্যজন শুধুমাত্র ২ বার করেছেন তাহেলই পার্থক্যটা বুঝুন। যারা নেটে অধিক সময় ব্যয় করেন এবং ব্লগার ও ফ্রিল্যান্স বিষয়ের সাথে যুক্ত তাদের এই কাজ গুলো করতে সুবিধা হয়। কেননা, সোস্যাল সাইটে তারা লিংক গুলো শেয়ার করলে রেফারেল হিসাবে আরো বিট কয়েন আয়ের সুযোগ প্রশস্ততা পায়।
হ্যা যারা বিট কয়েন সাইটে কাজ করেন কিংবা ধারনা আছে তাদের কাছে আপনি ২/৩ ডলার হলেই সেল করে দিতে পারেন। মানে এক বিট কয়েন ঠিকানা হতে অন্য বিট কয়েন ঠিকানাতে ট্রান্সফার/সেল করা যায়। সেই ক্ষেত্রে যিনি নিবেন তিনি আপনাকে পেইজাতে কিংবা বিকাশে পেমেন্ট করবেন। এবং হ্যা লেনদেন বিশ্বস্ত মাধ্যম, ব্যক্তির মুখোমুখি করাই শ্রেয়। কারন এখানেও অনেকেই প্রতারনার আশ্রয় নেন।

চমতকার উপস্থাপনা। হ্যা আমিও পূর্বে বিট কয়েন সাইটে কাজ করতাম, অনেকদিন করা হয়না। সেখানে প্রায় ২০ ডলার আর্ন করেছিলাম।

vai,Payza te ki Bit coin cash out kora jai?

    @masumali930: ধন্যবাদ। আসলে সরাসরি বিট কয়েন এড্রেস হইতে পেইজাতে ক্যাশ আউট করা যায় না। এখানে পেইজাতে পাইতে হলে থার্ডপার্টি ঠিকানার মাধ্যমে কনভার্ট করতে হয়। অবশ্য এই বিষয়ে একটি টিউন করার ইচ্ছা আছে।

Vaia Apnar Facebook Link Ta din

আপনার ফেইসবুক id dan

আর বিট কয়েন ইনকাম করবার সাইট নেই?

    @শাহিনুর আলম: ধন্যবাদ। হ্যা আছে কিন্তু কখন কি করে বসে তার নিশ্চয়তা নাই। আমি বেশ কিছু সাইট নিয়ে পর্যবেক্ষণে আছি, ইতিবাচক ফল পাইলে টিটিতে পরবর্তী টিউন করার ইচ্ছা আছে।

Fucet site a kaj kore earn kora khub kothain. Tai fucet site bad dia onno bitcoin earn er site search koren.

    @mdsolaman: ধন্যবাদ। আসলে প্রা্য় সব সাইটই একই অবস্থা। বাট, উপরের যে সাইটগুলোর পরিচয় করিয়েছি তার অনেকটা ট্রাস্টেড ও প্রমাণিত। যাইহোক আমি বেশ কিছু সাইট নিয়ে পর্যবেক্ষণে আছি, ইতিবাচক ফল পাইলে টিটিতে পরবর্তী টিউন করার ইচ্ছা আছে।

coinadd নামে যে সাইট আছে সেখান কার mbtc কি ভাবে Btc Wallet যোগ করবো ?

    @রাজু আহমেদ: ধন্যবাদ বিস্তারিত তো টিউনেই উল্লেখ করেছি।আপনি যদি ৩৪ Character -এর লিংক পেয়ে থাকেন তাহলে এটি বিট কয়েন ঠিকানা। এই ঠিকানাকে আপনি বিভিন্ন বিট কয়েন সাইটে ব্যবহার করতে পারেন যেমনটি টিউনে বিটকয়েনের লিংক দিয়েছি। সুতরাং সেইসব সাইট হতে যদি বিট কয়েন অর্জন করে থাকেন তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা ম্যানুয়াল প্রসেসের মাধ্যমে আপনার কয়েন বেইজ সাইটে Btc যোগ হয়ে যাবে, নতুন করে কিছু যোগ করার প্রয়োজন নাই। তাছাড়া আপনার বিট কয়েন ঠিকানাতে কেউ যদি বিট কয়েন সেন্ড করে থাকে তাহলেও তা ওয়ালেটে যোগ হয়ে যাবে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে, ভাই আর একটু হেল্প দরকার btc WALLET AR BDT KN MY VALUT A JOMA HOY NA

    একটু বিস্তারিত লিখলে বুঝতে সুবিধা হত! আপনি কোথায় btc WALLET এ- BDT যোগ করবেন? যাইহোক আসলে বাংলাদেশী টাকাতে কনভার্ট হয় না বলেই এই সমস্যা। তাই ওয়ালেটে ইউএসডি অপশনটা রাখাই শ্রেয়। -ধন্যবাদ

ভাই মোবাইলে কিভাবে ট্রান্সফার করা যায় বলবেন কি?

ধন্যবাদ এটা আমার কাছেও একটি ভাল সাইটের মধ্য ছিল। প্রায় ৩০ বারের অধিক উইথড্র করেছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন হয়ে গেল সাইট ভিজিট করা যাচ্ছেনা। সন্দেহ হচ্ছে স্ক্যাম হয়ে গেল কিনা! সুতরাং এই কারনেই টিউনে উল্লেখ করেছিলাম প্রতিদিনের লাভ প্রতিদিন উইথড্র করতে, যাতে সাইট স্ক্যাম হয়ে গেলেও ইনভেস্ট করাটা ফেরত পাইতে পারি!!

ভাই আমি আপনার পোস্ট পরে বিটকয়েন আয় করে https://prozoktibangla.com এই ডোমেইন কিনেছি

    ধন্যবাদ জেনে ভাল লাগলো। তাহলে বুঝতেই পারছেন আমার এই পোষ্টতা কতটা যৌক্তিকতা সম্পূর্ণ। অনেকেই ভেবেছিলেন যে, পোস্টটি স্ক্যাম!