কম্পিউটার শিক্ষা #৭ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ যেভাবে Assemble করবেন [ Step by Step Video Tutorial on How To Assemble Computer Parts ]

 

*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`
তাসনুভা রায়ার পক্ষ থেকে আপনাকে আবারো স্বাগতম।

*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`**`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`*`

আপনি যদি গত পর্বের ভিডিগুলো দেখে থাকেন, তাহলে আপনি জানবেন,
আমরা গত পর্বগুলোতে জেনেছি :-


* কম্পিউটার কি?
* কম্পিউটার কি কি যন্ত্রাংশ নিয়ে গঠিত
* কম্পিউটার এর যন্ত্রাংশগুলো কোথা থেকে এবং কিভাবে কিনবেন

আপনি যদি গত পর্বের ভিডিওগুলো দেখে না থাকেন, তাহলে প্রথমে সেগুলো দেখে নিন এবং তারপর এই ভিডিও টি দেখুন। এই টিউনের নিচ দিকে আগের ভিডিওগুলোর লিংক দেয়া আছে।

আশা করি আপনি কম্পিউটার বানানোর সকল যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে কিনতে পেরেছেন। আর যদি আপনি এখনও না কিনে থাকেন,
তাহলে আগে সব যন্ত্রাংশ কিনুন তারপর এই ভিডিওতে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সব যন্ত্রাংশকে অ্যাসেম্বল করুন।

তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কম্পিউটার বানানো শুরু করা যাক।

Download Links | ডাউনলোড লিংক

ডাউনলোড ভিডিও | Duration: 9:35  |   Size: 103 মেগাবাইট [720p]

 এটি মূলত একটি ভিডিও টিউন। তাই নিচের লেখাগুলো পড়ার আগে ভিডিওটি দেখুন, অন্যথায় বুঝতে সমস্যা হতে পারে। এ লেখাগুলো হলো ভিডিওটির স্ক্রিপ্ট।

 

আপনার যা যা থাকা লাগবে :-

 

 

  • ১। প্রসেসর
  • ২। মাদারবোর্ড
  • ৩। র‌্যাম
  • ৪। হার্ডডিস্ক
  • ৫। ডিভিডি রাইটার
  • ৬। কেসিং
  • ৭। স্ক্রুড্রাইভার (ফ্ল্যাট, ফিলিপস)
  • ৮। ফাঁকা, শুকনো ও পরিচ্ছন্ন স্থান
  • ৯। প্লায়ার্স

 

প্রথম ধাপ : সবকিছু জড়ো করা

 

 

সকল প্রয়োজনীয় উপকরণ বা যন্ত্রাংশ একটি ফাঁকা, শুকনো ও পরিচ্ছন্ন সমতল স্থানে জড়ো করুন। এক্ষেত্রে ঘরের পাকা মেঝে
ব্যবহার করতে পারেন।

 

২য় ধাপ : প্রসেসর লাগানো

 

 

আমরা প্রথমে প্রসেসর টি মাদারবোর্ড এ স্থাপন করবো। এজন্য এ দুটোকে বক্স থেকে বের করি। লক্ষ করুন, এটি হলো
প্রসেসর বা CPU লাগানোর স্থান। একে বলা হয় CPU Socket। এটি হলো CPU Socket Lever। এটিকে এভাবে হালকা চাপ
দিয়ে সামান্য টেনে উপরে উঠান। এবার Load Plate টি উপরে উঠান। আপনার Motherboard টি যেহেতু নতুন তাই Motherboard
এ একটি প্লাস্টিকের আবরণ থাকবে যা CPU Socket টি কে ঢেকে রাখবে। এই আবরণ টি সামান্য চাপ দিয়ে খুলে ফেলুন।
দেখুন CPU Socket এর একটি কোনা কাটা।

এবার চলুন Processor কে দেখি। দেখুন আমি কিভাবে Processor টি ধরেছি, আপনিও ঠিক এভাবে Processor টি ধরবেন। ভুল
করেও এখানে  স্পর্শ করবেন না। Processor এর এক কোনার দিকে একটি ত্রিভুজাকৃতির চিহ্ন রয়েছে।Processor টি কে CPU Socket এ এমনভাবে স্থাপন করুন যেন CPU Socket এর কাটা দিক এবং Processor এর ত্রিভুজাকৃতির চিহ্ন একই বরাবর থাকে।
আংগুল দিয়ে Processor এর চারপাশ ধরে আলতো করে এটি CPU Socket এ স্থাপন করুন। খেয়াল রাখুন যেন CPU Socket এর
কাটা দিক এবং Processor এর ত্রিভুজাকৃতির চিহ্ন একই বরাবর থাকে, অন্যথায় Processor বসবে না। কক্ষনো Processor কে
জোরে চাপ দিয়ে লাগাতে চাইবেন না, তাহলে কিন্তু Processor বা Motherboard অকেজো হয়ে পড়তে পারে। মনে রাখবেন,
Processor খুবই সংবেদনশীল, লাগাতে সামান্য ভুল হলে বা জোরে চাপ লাগলে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই Processor স্থাপনের
সময় সতর্ক থাকুন। যেভাবে আমি দেখাচ্ছি ঠিক সেভাবে Processor টি CPU Socket এ স্থাপন করুন। Processor টি সঠিকভাবে
CPU Socket এ বসানো হলে Load Plate টি নামিয়ে CPU Socket Lever টি চাপ দিয়ে পূর্বের স্থানে বসিয়ে দিন।
 

৩য় ধাপ : প্রসেসর বা CPU Cooler লাগানো

 

 

এটি হলো Processor Cooler বা CPU Cooler, এর কাজ হলো Processor কে ঠান্ডা রাখা। Cooler টি তে চারটি পিন রয়েছে। এই পিন
গুলোর কাজ হলো Cooler টি কে Processor এর সাথে ভালোভাবে আটকে রাখা। দেখুন CPU Socket এর চারপাশে চারটি ছিদ্র রয়েছে।
Cooler টি এমনভাবে Processor এর উপর বসান যেন Cooler এর চারটি পিন Motherboard এর CPU Socket এর চারপাশে থাকা
চারটি ছিদ্রে ঢুকে যায়। এবার দুই হাতের দুই বৃদ্ধাক্সগুলি দিয়ে দুই কোণার দুইটি পিনে চাপ দিন, এখানে শক্তি প্রয়োগ করা লাগবে।
পিন দুটো ছিদ্রে ঢুকে গেলে টিট করে একটি শব্দ হবে। এই শব্দটি পেলে, পিনে চাপ থাকা অবস্থায় প্রতিটি পিন ঘড়ির কাটার দিকে
ঘুড়ান। এবার পিন আর খুলবে না, এগুলো মজবুত হয়ে Motherboard এর সাথে লেগে আছে। একই ভাবে বাকি দুইটি পিন ও লাগান।
এবার Power Connector টি Motherboard এর CPU Fan লেখা CPU Fan Header এর মধ্যে হালকা চাপ দিয়ে লাগিয়ে দিন।
আমাদের আসল কাজ শেষ, এবার পালা RAM লাগানোর।

 

চতুর্থ ধাপ :  র‌্যাম(RAM) লাগানো

 

 

RAM লাগানো ঘুবই সহজ। এটি হলো RAM। এটার এখানটায় একটি Notch রয়েছে। আর এটা হলো RAM Slot, অর্থাৎ এখানে
RAM কে স্থাপন করতে হবে, এখানেও একটি Notch রয়েছে এবং এর দুপাশে দুটো Clip রয়েছে। Clip দুটোকে আলতো করে এভাবে
চাপ দিন এগুলো সরে যাবে। এবার RAM টি এমনভাবে Slot এ বসান যেন Notch দুটো মিলে যায়। এভাবে হালকা চাপ দিন,
Clip দুটো আপনা থেকেই লেগে যাবে।

 

পঞ্চম ধাপ : মাদারবোর্ড(Motherboard) লাগানো

 

 

Casing এর দুটো ঢাকনা রয়েছে, যে ঢাকনার পাশে কোন অ্যালুমিনিয়ামের Plate নেই সেই ঢাকনাটি Screwdriver দিয়ে খুলুন।
এটি হলো Power Supply, যার কাজ হলো Casing এর ভেতরে থাকা সকল যন্ত্রাংশে সঠিক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।
এই ফাঁকা জায়গাটিতে এই Plate টি বসাতে হবে। Plate এর মধ্যে থাকা এই Slot গুলোতে বসবে Motherboard এ থাকা Monitor
ও Printer এর Parallel Port, USB Port, LAN Port, Keyboard ও Mouse এর Ps2 Port এবং Audio Port। আর এটি হলো Casing এর
Cooler, এর কাজ হলো কেসিংয়ের ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। এদিকে রয়েছে কতগুলো Rack। এদুটো তে বসবে DVD Writer আর এগুলো হলো Hard Disk এর জন্য। এই Cable গুলো হলো কেসিংয়ের সামনের দিকে থাকা Power ও Restart বাটনের,
এটি হলো অডিওর জন্য, এটি USB Port এর।

দেখুন এখানে ছয়টি ছিদ্র আছে, এই ছয়টি ছিদ্রে এরকম ছয়টি Bolt লাগান। Bolt গুলো আপনি কেসিংয়ের সাথে পাবেন। Bolt গুলো
আটকাতে Pliers ব্যবহার করুন। Pliers কে আমরা প্লাস নামে চিনি। দেখুন মাদারবোর্ড এ ও ছয়টি ছিদ্র রয়েছে। মাদারবোর্ড টি কে
কেসিংয়ের উপর এমনভাবে স্থাপন করুন যেন কেসিংয়ের ছয়টি বোল্ট এর উপর মাদারবোর্ড এর ছয়টি ছিদ্র পরে। এবার আপনি
মাদারবোর্ড এর সাথে যে ছয়টি স্ক্রু পেয়েছেন তা এই ছয়টি ছিদ্রে Screw driver দিয়ে লাগান। Screw গুলোকে ভালো করে টাইট করুন।

 

ষষ্ঠ ধাপ : ডিভিডি রাইটার ও হার্ডডিস্ক লাগানো

আমরা এই Rack টিতে DVD Writer লাগাবো। সেজন্য প্রথমে এখানে থাকা Cover টিকে ধাক্কা দিয়ে খুলতে হবে। এবার DVD Writer টি এভাবে Rack এ বসিয়ে Screw দুটো আটকে দিন। আমি একইভাবে এই Rack এ Hard Disk স্থাপন করছি।
আমাদের যন্ত্র স্থাপনের কাজ শেষ, তবে আপনার যদি Graphics কিংবা Sound Card থাকে, তাহলে এগুলো এই Slot গুলোতে লাগাবেন।

 

সপ্তম ধাপ : কানেক্টর লাগানো

এ দুটো লালCable হলো SATA Cable। আমরা এর এক প্রান্ত লাগাবো DVD Writer এ আর অপর প্রান্ত Motherboard এ। দেখুন আমি
কিভাবে লাগাচ্ছি, ঠিক একইভাবে আপনিও লাগান। একইরকমভাবে আমি হার্ডডিস্কেও লাগাচ্ছি। এ ক্যাবলগুলো লাগাতে আপনার
কেবল কমন সেন্স, ধৈর্য ও সাবধানতা প্রয়োজন।

দেখুন লাল কেবল টির পাশে একটি Power Port ফাঁকা রয়েছে, এতে আমরা Power Supply থেকে আসা Power Connector সংযুক্ত
করবো। এ দুটো হলো Power Connector। আমি এর একটি লাগাচ্ছি DVD Writer এ আর আপরটি হার্ডডিস্কে।

Power Supply থেকে আসা এ দুটি Power Connector মাদারবোর্ডে লাগবে। এটি লাগবে এখানে আর এটি এখানে। দেখুন আমি
লাগাচ্ছি।
আমাদের কাজ প্রায় শেষ, আমরা এখন শেষের পথে। এবার কেবল বাকি রয়েছে সামনের দিকের কানেক্টরগুলো লাগানোর।

এটি হলো USB Connector আর এটি হলো এর Slot। আমি Slot এ Connector টি লাগিয়ে দিচ্ছি। একইভাবে আমি Audio Connector
টি সংযোগ করছি। আমি লেখা দেখে দেখে এই কাজগুলো করছি। একইভাবে আমি বাকিগুলোকে ও সংযোগ করছি।

 

অষ্টম ধাপ : সবকিছু চেক করা

আমাদের অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ শেষ, এবার সবকিছু সঠিকভাবে লাগানো হয়েছে কি না তা চেক করার পালা।  সব যন্ত্র লাগানোর পর অবশ্যই একবার ভালোভাবে চেক করে দেখবেন, সবকিছু ঠিকভাবে লাগানো হলো কি না। আমি সবকিছু সঠিকভাবে লাগিয়েছি, তাই আমি কেসিংয়ের ঢাকনা
আটকে দিচ্ছি।
মাদারবোর্ড এর প্রতিটি পোর্ট এর পাশে লেখা রয়েছে কোনটি কোন পোর্ট। কাজেই ঘাবড়াবার কোন কারণ নেই। আপনার মাদারবোর্ড যে ব্র‍্যান্ড বা মডেলের ই হোক না কেন, আপনি কর্ডগুলো লাগাতে পারবেন ই।

মাদারবোর্ড এর প্রতিটি পোর্ট এর পাশে লেখা রয়েছে কোনটি কোন পোর্ট। কাজেই ঘাবড়াবার কোন কারণ নেই। আপনার মাদারবোর্ড যে ব্র‍্যান্ড বা মডেলের ই হোক না কেন, আপনি কর্ডগুলো লাগাতে পারবেন ই।

 

-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+-+
আগের পর্বগুলো

কম্পিউটার শিক্ষা #১ কম্পিউটারের ধারণা | কম্পিউটার সম্পর্কে যারা কিচ্ছু জানে না তাদের জন্য এই ভিডিও
কম্পিউটার শিক্ষা #২ কম্পিউটার পরিচিতি | কম্পিউটার বিষয়ে যারা নতুন তাদের কাছে কম্পিউটারকে পরিচয় করাতে এই ভিডিও টিউন
কম্পিউটার শিক্ষা #৩ কম্পিউটারের পরিচয় ও গঠন
কম্পিউটার শিক্ষা #৪ কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার শিক্ষা #৫ কম্পিউটারের ইতিহাস
কম্পিউটার শিক্ষা #৬ কম্পিউটার কেনার নির্দেশিকা | আপনি কি কম্পিউটার কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে এই টিউনটি আপনার জন্য

Level 0

আমি তাসনুভা রায়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 92 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আপনি ভিডিও এডিটিং করেন কি আফটার ইফেক্টস নাকি ক্যামটাসিয়া? তথ্য বহুল এবং ঝাক্কাস টিউনের জন্য ধন্যবাদ!! 🙂

Level 0

অনেক শিক্ষণীয় টিউন।

pro- intel core i7 6700k
Mobo-Gigabyte GA-Z170xp-sli gaming
Ram-Gskill ripjawSV 2400mhz
HDD-Toshiba 2tb
Monitor-Asus VX229H 21.5 inch IPS
Keyboard-Belkin k100
Mouse:A4tech n100
Casing-Cooler master k380 mid tower
DVD writer-Asus 24x
Ups-Rohima afroz 1000va
Speaker-2000 tk

আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ।কিন্তু ৭ নম্বর নামক এই সোনার হরিণ টিউনটি ইক্টু দেরিতে করসেন।টিউনটি অসাধারণ হয়েছে এবং টিউনমেট করার জন্য নোটপেট থেকে আইডি পাসওয়ার্ড নিয়ে,লগইন করে তারপর টিউনমেট করলাম।যাই হোক কিছু জানার ছিলো। একটা কনফিগারেশন দিলাম কোন কিছু পরিবর্তন করা উচিত বলে মনে করলে জানাবেন দয়া করে 🙂

    ভাইয়া, আমার মনে হয় বাজেট নিয়ে সমস্যা না থাকলে Core i7 প্রসেসর কেনাই ভালো। 5th generation না কি 6th generation কোনটা ভালো? Reading these posts, I think its better to buy 6th generation.

    https://en.wikipedia.org/wiki/Intel_HD_and_Iris_Graphics
    https://en.wikipedia.org/wiki/Skylake_%28microarchitecture%29
    http://www.anandtech.com/show/9639/the-death-of-intels-broadwell-is-greatly-exaggerated-socketed-broadwell-continues
    http://www.anandtech.com/show/9483/intel-skylake-review-6700k-6600k-ddr4-ddr3-ipc-6th-generation
    http://www.tomshardware.com/answers/id-2519850/5th-gen-intel-cpu-6th-gen.html

    এ কথাটুকু খেয়াল করুন:- From wikipedia article mentioned above,
    “According to Intel, the redesign brings greater CPU and GPU performance and reduced power consumption. Skylake uses the same 14 nm manufacturing process[9] as Broadwell.”

    sworfis ভাইয়া ঠিক কথাই বলেছেন। আপনি যেহেতু গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করবেন সেহেতু আপনার বিল্টইন গ্রাফিক্স এর উপর নির্ভর না করে এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড কেনা উচিত। আপনার উল্লেখিত মাদারবোর্ড DDR 4 র‍্যাম সাপোর্ট করে। কাজেই DDR 4 র‍্যাম কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বাজেট কম থাকলে দুই টেরাবাইট হার্ডডিস্ক না কিনে র‍্যাম ১৬ জিবি লাগান আর এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড লাগান। একসাথে অনেক ছবি ফটোশপে খুললেও কোন সমস্যা হবে না, স্মুথলি কাজ করতে পারবেন।

    অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ফিডব্যাকের জন্য 🙂

      আচ্ছা আপু আমার জানার ছিল যে গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন এর জন্য জিপিইউ কি মাস্ট দরকার? আর যদি মাস্ট হয় তাহলে ১৮ এর মধ্যে কিনলে কি ভালো হবে?

        দেরীতে জবাব দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত।

        আপনি যদি প্রফেশনাল ডিজাইনার হন এবং ভালো মানের কাজ করতে চান, তাহলে আপনার অবশ্যই গ্রাফিক্স কার্ড দরকার। যদিও অনেকেই বিল্টইন টা দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়। এই আর্টিকেল টি পড়ুন। দেখুন এ্যাডোবি কি রিকোমেন্ড করছে ফটোশপ সিসি ১৫ ভার্শনের জন্য:-https://helpx.adobe.com/photoshop/kb/photoshop-cc-gpu-card-faq.html#topic-2

        এই আর্টিকেল টি তে থেকে জানতে পারবেন গেইমিং কার্ড ও প্রফেশনাল কার্ডের পার্থক্য। এটার “cleeve” এর উত্তর থেকে জানা গেল প্রো কার্ড দাম বেশী এগুলোর ইউনিক ড্রাইভারের জন্য। মূলত প্রো ও গেইমিং দুটোতেই একই হার্ডওয়্যার ব্যাবহৃত হয়। এটি পড়ুন অনেক কিছু জানতে পারবেন।
        http://www.tomshardware.co.uk/forum/246658-33-gaming-professional-graphics-cards

        ১৮০০০ এর মধ্যে কি কার্ড পাবেন তা রায়ানসের এই পেইজে পাবেন। আর ১৮০০০ এর মধ্যে কেনা কার্ড কি ভালো হবে না খারাপ সেটা নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের কাজ করতে চান তার উপর। তবে জিটিএক্স ৯৫০ বা ৯৬০ দিয়ে ফটোশপ সিসি তে ভালোভাবেই কাজ করতে পারবেন। আর একটি কথা ভুল করেও ৮জিবির কম র‍্যাম লাগাবেন না।
        http://www.ryanscomputers.com/Graphics-Card/All-Brands/10

eto din por…..

Level 0

@নাহিদ খান ভাই এতো হাই কনফিগারড পিসি এর জন্য মাত্র ২০০০/-টাকার সাউন্ডবক্স লাগাইছেন?
কোন গ্রাফিক্স কাড ও তো দেখতেছিনা যদি আগের কোন এজিপি না থেকে থাকে তাইলে কিন্তু ধরা এমনিতেই 6th generation Processor গুলো processing Power বাড়াতে গিয়ে গ্রাফিক্স এর দিকে নজর দেয় নাই তাই বিল্ট ইন
গ্রাফিক্স দিয়ে খুব ভালো আউট পুট পাবেন বলে মনে হয় না।

এটা একান্তই আমার নিজস্ব মতামত , এক্সপাট টিউনার তো আছেনই আপনাকে সাহায্য করার জন্য।

    ভাই আমি প্রসেসর নিয়ে অনেকটা চিন্তিত।বুঝতে পারছি না কি করবো।প্রথম সমস্যা হলো ইন্টেলের k সিরিজ এরটা কিনবো, না, non K সারিজ এরটা কিনবো?দ্বিতীয় সমস্যা হলো আমি কি 5th generation নিবো না 6th generation নিবো? কারণ 6th generation তো মাএ বাজারে আসলো।ভালো সার্ভিস দিবেতো!যেহেতু নতুন তাই বিশ্বাসটা 5th এর উপর বেশি যুগচ্ছে।তারপর আবার কোর আই 7 নিচ্ছি কিন্তু আমি কাজ করবো গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন আর ফোটোশপ নিয়ে।বেশি নিয়ে ফেলচ্ছি নাকি? এর পর শুনলাম core i7 6th generation এর বিলআপ গ্রাফ্রিক্স কার্ড নাকি অনেক ভালো তাই গ্রাফ্রিক্স কার্ড এর প্রয়োজন হবে না কিন্তু আমিতো গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন এর কাজ করবো,যদিও আমি গেমস বেশি খেলিনা।তাই বুঝতে পারচ্ছি না গ্রাফ্রিক্স কার্ড কিনবো কিনা,সকল বিষয় বিবেচনা করে,expert দের মতামতের আশায় থাকলাম।

ki je bhalo lage apnar kotha gulo shunta…

Very Nice Tutorial. So much helpful for beginners.

খুবই সুন্দর পোষ্ট! আমাদের ব্লগে আপনার মতো লেখকেরই দরকার, আমাদের ব্লগে লেখার আমন্ত্রণ রইলো, http://bloglekhok.com

আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং করার জন্য ডেক্সটপ কম্পিউটার এর একটি কনফিগারেশন বানালাম তা হচ্ছে।
processor : i5 6th gen. 6400
Mother Borad : msi 3 -150 gamming m-3
Ram : 8gb Team DDR 4
Hard disk : 1 tb w/d
Dvd : hp 24
Monitor : Dell 21.5

এতে কী 3d গ্রাফিক্স এবং উন্নত মানের ভিডিও এডিটিং করা যাবে, না কি আরো বাড়াতে হবে।
বাড়ালে কি কি বাড়াতে হবে বলেন।
কম্পিউটার এর জন্য বাজেট ৬০ হাজার টাকা

    আপনি তো গ্রাফিক্স কার্ডের কথা কিছুই উল্লেখ করলেন না। “3d গ্রাফিক্স এবং উন্নত মানের ভিডিও এডিটিং” এর জন্য আপনার গ্রাফিক্স কার্ড লাগবে। আর আপনার র‍্যাম ১৬ জিবি হলে ভালো হয়, ৮ জিবি হলো মিনিমাম এ্যামাউন্ট। আফটার ইফেক্টসে কাজ করার সময় দেখবেন ৮ জিবি তে কিছুই হচ্ছে না, বারবার ই হ্যাং করবে। আপনি ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক না কিনে ৫০০ জিবি কিনুন। এতে কয়েক হাজার টাকা বাঁচবে। এই টাকা টা র‍্যাম এ খরচ করুন। র‍্যাম ১৬ জিবি লাগান আর গ্রাফিক্স কার্ড nVidia GTX 950 লাগান। ডিভিডি ডিস্ক নিয়ে যদি খুব একটা কাজ না করেন তাহলে ডিভিডি ড্রাইভ কেনার ই দরকার নেই। একান্তই দরকার হলে পরেও কিনে লাগাতে পারবেন। এখানেও ১৫০০-২০০০ টাকা বাঁচবে। ডিভিডি ডিস্ক প্রযুক্তি টি এখন মৃতপ্রায়। এখন প্রায় সবাই (গ্রাম এলাকা বাদে) ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে সফটওয়্যার ব্যাবহার করে। বুটেবল পেনড্রাইভ থেকে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে।

    আমি কেবল আমার নিজের অভিমত জানালাম, আপনি কি করবেন পুরোটাই আপনার নিজের ব্যাপার। কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে যাচাই-বাছাই করে নেবেন

ধন্যবাদ এমন সুন্দর এবং সহজবোধ্য একটি টিউন এবং ভিডিও শেয়ার করার জন্য 🙂

টিউন যে এত সুন্দর হয়, না দেখলে বুঝা যাবে না আপনি সবচেয়ে বড় computer hardware engineering

    আপনাদের এমন সব অসাধারণ মন্তব্য ই আমাকে টিউন করায় উৎসাহিত করে। ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন

ধয্যসহকারে আপনার ভিডিও গুলো দেখলাম খুবই সুন্দর।এবং সত্যিই নতুন যারা তাদের অনেক কাজে দিবে।সাজেশন কিংবা উপদেশ কোনটাই না।শুধুমাত্র আমার opinion শেয়ার করছি।আপনার প্রত্যেকটি কথার শেষে একটা টান খেয়াল করলাম।যা প্রথম প্রথম ভালবাবে বুঝা না গেলেও একটু পর হাস্যকর মনে হয়।আশা করি এটি বজর্ন করবেন তাহলে আরোও শ্রুতি-মধুর লাগবে শুনতে।এবং তাড়াহুড়া করবেন না।আস্তে আস্তে সমস্ত বিষয়টি ধরে তুলবেন।আপনার জন্য দোয়া রইল বোন।

    রাহাত ভাইয়া, আপনার আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ, ভালো থাকবেন

ধন্যবাদ আপু।

আপু ভালো হয় আপনি যদি সম্পন্ন কনফিগারেশন তৈরী করে দেন। তাহলে বড় উপকৃত হতাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ