ইসলামের সহজ দৃষ্টিভঙ্গী (চোর দরবেশ)- ০৩

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভাল আছেন।
ইসলাম নিয়ে লেখা আমার ধারাবাহিক টিউনগুলোর এটি পরবর্তী টিউন। পূর্ববর্তীগুলো নিচে দেওয়া হল। না দেখলে এখনই দেখে নিন।

ধারাবাহিক লেখা- ০১

ধারাবাহিক লেখা- ০২

আমার আজকের টিউনটি হল একটি শিক্ষণীয় ঘটনা নিয়ে। যা আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মর্ম বুঝা সহজ হয়ে যায়। আর যে বইটি থেকে আমি আপনাদের ঘটনা গুলো শুনাচ্ছি তা দেখার জন্য ধারাবাহিক লেখা- ০১ দেখুন। তাহলে শুরু করা যাক...

‍‍‌‌‌‌‌‌চোর দরবেশ

গুনাহ ছাড়। এবাদত শুরু করে দাও। তা‌‌‌‌‌‌‌‌‌রপর দেখ অন্তরের মধ্যে কত রকম শান্তি ও সুখের ধারা প্রবাহিত হয়। আল্লাহ পাকের এবাদত এমন এক আশ্চর্য জিনিস যে অনিচ্ছা সত্ত্বেও যদি তা সম্পন্ন হয়ে যায় তবু তার সুফল পাওয়া যায়। যেমন কাপড় যদি ভুল করেও রঙের মধ্যে পড়ে যায় তবু তাতে রং লেগে যাবে। বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে একটি চোরের ঘটনা থেকে।

*এক বাদশাহ ছিলেন। তার ছিল এক পরমা সুন্দরী কন্যা। এক চোর সেই কন্যার উপর আশেক ছিল। কিন' তাকে পাওয়া বড় কঠিন ব্যাপার ছিল।

ঘটনাক্রমে একদিন সে চুরি করার উদ্দেশ্যে বাদশাহর ঘরে প্রবেশ করলো। তখন বাদশাহ এবং বেগম তাদের মেয়ের বিবাহের ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন।
বাদশাহ বললেন, ‘আমাদের মেয়ের বিবাহ দিব আল্লাহওয়ালা, পরহেজগার লোকের সাথে।’
চোর এই কথা শুনে চুরি করা ভুলে গেল এবং বাদশাহর সিদ্ধানে-র কথাকে এক বিরাট গণীমত মনে করলো যে তার প্রিয়তমাকে পাওয়ার সঠিক ব্যবস্থা জানা হয়ে গেছে। এখন পরহেজগার হয়ে যাওয়াই ভাল।
বাদশাহর ঘর থেকে বাহির হয়ে সে এক মসজিদে গিয়ে বসলো এবং রাত দিন আল্লাহর এবাদতে মশগুল হয়ে পড়লো। ফলে তার খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো যে একজন খুব বড় দরবেশ এসেছে।
এদিকে বাদশাহ তার শাহযাদীর বিবাহের পাত্র খোঁজার জন্যে লোক লাগিয়ে দিলেন। পরহেজগার পাত্র খোঁজার জণ্যে চারিদিকে লোক ছুটলো। অনেক খোঁজাখুজির পর অবশেষে জানা গেল যে, অমুক মসজিদে এমন এক আল্লাহওয়ালা আছেন যার চেয়ে অধিক মুত্তাকী সারাদেশে আর একটিও নাই।
সুতরাং বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিবাহের পয়গাম নিয়ে বাদশাহর দূত তার কাছে গিয়ে হাজির হলো। কিন্তু চোরের কাজ ততদিনে সারা হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহর এবাদতের শান্তিতে তার অন্তর এত ভরপূর হয়ে উঠেছিল যে, রাজকন্যা এবং সাত রাজার ধনও তার কাছে তখন তুচ্ছ মনে হতে লাগলো।
সে দূতকে বললো, ‘আপনারা যান, আমার সময় নষ্ট করবেন না।’

সংকলিত-তাসহীলুল মাওয়ায়েজ, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৪৯।

এ প্রসঙ্গে সুফিয়ান সাওরী (র:) বলেন :

“এলেম শিখেছিলাম গায়রুল্লাহর (দুনিয়ার) উদ্দেশ্যে, অত:পর এলেম অস্বীকার করলো আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর জন্যে হতে।”

লেখাটি ওয়ার্ড ফাইল আকারে পেতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Level New

আমি সাহসী যুবক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 28 টি টিউন ও 411 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I love technology.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

"Attar khorak" upohar debar jonno thanx, chalia jan, jajhakallahu khairan.

    শুকরিয়া ভাই।
    কিন্তু ভাই এই বিষয়ের উপর কারও আকর্ষণ দেখছি না।

আপনি চালিয়া যান ভাই,
মনে রাখবেন একদিনে ইসলাম প্রতিস্তটিত হয়নাই,
(ইনশাআল্লাহ) নেক কজের সওয়াব "আল্লাহ তায়ালা" নিজের হাতে দান করবে।
আপনাকে ধ্যনবাদ।

অসাধারণ। (এর থেকে বেশি বলার ভাষা নেই)

    আল্লাহ আপনাকে যাযা দান করুক। কিন্তু পন্ডিত ভাই এই ধরণের লেখার প্রতি কেউই আকৃষ্ট হয় না।

ভাই বান্দা_ইখতিয়ার আপনাকে আনেক ধন্যবাদ, আপনার পোস্ট এর জন্য।