ব্লগ থেকে আয় করতে চান? কিন্তু আপনি নতুন? আমার লেখা একটি রূপক গল্প সাথে বিশ্লেষণ আপনাকে জানিয়ে দিবে ব্লগ থেকে আয়ের প্রথম কথা। গল্পের মডেলঃ টেকটিউনস। এছাড়া সবাইকে পড়ার অনুরোধ জানালাম মতামত জানিয়ে আমার লেখা ধন্য করার জন্য। মিস করবেন এই টেকনোলজি বিষয়ক গল্প?

আমি লেখক নই, আমি কবি নই। টেকনোলোজি নিয়া এট্টু আট্টু লিখি বলে কি গল্প, কবিতা লেখার শখ নেই? আছে তো। কিন্তু পারিনা! জীবনে আমি মাত্র একটা গল্প লিখছি। আর আজ লিখছি দুই নম্বর গল্প। সেটাও গল্প বলা চলে কিনা আমি নিজেও জানিনা। কারণ আজকের গল্পটা তো আসলে গল্প মুডে লিখিনি। লিখিছি একটা উদাহরন দেয়ার জন্য। তাহলে কি এটাকে রূপক গল্প বলা চলে? সম্ভবত! এটা আপনারাই বিচার করে নিবেন। আমি আসলে কিছু লিখতে বসলে বড় বেশি পকপক বকবক করা শুরু করি। আসল কথা থেকে লাইনচ্যুত হয়ে যাই। এতে নিজের সময়ও নস্ট করি সাথে আপনাদের সময়টাও! এজন্য মাফ করবেন।

নিজের একটা ব্লগ সাইট আছে সেটাও আবার বাংলা। ইনকাম বলতে কিছুই নাই। শুনেছি ইংরেজীতে ব্লগ লিখে অ্যাডসেন্স দিয়ে অনেকে বড় লোক হয়েছেন। তবে আমি বাংলা ব্লগে যা আয় করি তা আমার চাহিদার চেয়ে সামান্য বেশি। মাথা ঘুরে গেল নাকি? আসলে চাহিদার তো শেষ নেই। তবুও কেন চাহিদার বেশি বললাম জানেন? হুম আজ আমি ব্লগ আয়ের গুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়ব গল্প আর বাস্তব উদাহরনে। যদি আপনারা কষ্ট করে আর সময় নস্ট করে আমার ববকানি গুলো শুনেন। আগেই বলছি, আজকের লেখা লিখছি ব্লগিং করে আয় করতে চান এমন নতুন ভাই বোনদের জন্য সাথে এক্সপার্টদের জন্যও। আমি চাই নবীনরা আমার লেখায় কিছু শিখুক আর এক্সপার্টরা যাচাই বাচাই করে ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিক, মতামত প্রদান করুক। কি যেন বলছিলাম? ও... চাহিদার বেশি ইনকামের কথা। এই কথার মর্মটা বলছি, আমার বয়স এখন ১৭ তে পড়েছে কেবল। বয়সটা পড়াশুনা করার, ঘুরে ফিরে বেড়াবার। কিন্তু জন্মগতভাবে পায়ের রোগ ধরা পরায় আমি এখন সমাজে প্রতিবন্ধী নামের মানুষ। প্রথম প্রথম কষ্ট পেতাম এখন আর পাইনা। এখন আমি এই বয়সেই কিছুটা অর্জন করতে পেরেছি যা আমার সুস্থ সবল বন্ধুরাও পারেনি। আমার পকেট খরচ, নেট খরচ খুব ভালোভাবেই তুলি আমি অনলাইনে একটা ছোট বাংলা ব্লগ লিখে। কিন্তু এবার ঈদে আমি একটু উদ্দেশ্যমূলকভাবেই বেশি আয় করার জন্য নেমে পড়ি। পূর্বের কিছু নিজের জমানো টাকা, আর নতুন কিছু ব্লগ আর ওয়েব সাইট সস্তায় ডিজাইন করে দিয়ে, বিজ্ঞাপনের সামান্য কিছু টাকা দিয়ে আমার ব্যালেন্স দাঁড়ায় সাড়ে সাত হাজার টাকার কিছু বেশি। এই দিয়ে আমি আব্বা, আম্মা, দুই ভাইয়া, তিন ভাইজা, ভাতিজি, দাদি এবং নানীর মধ্যবিত্তদের মত শপিং করিয়ে দেই। আমার এই প্রতিবন্ধক জীবনে আর কি চাই বলুন? এই বয়সে যদি আমি পুরো পরিবারকে শপিং করিয়ে দিতে পারি তাকে চাহিদার বেশি ছাড়া আর কি বলব ভাই?

এবারো আমি লাইনচ্যুত। দরকারী থেকে অদরকারী গল্পে চলে গিয়েছিলাম। আমাকে ফোন দিতে দিতে বিরক্ত করে তুলেছিলেন বেশ কিছু পাঠক। তাদের জন্যই উৎসর্গ করলাম আজকের লেখা। তাদের একটাই প্রশ্নঃ তাঁরা কিভাবে ব্লগিং করে আয় করবে? আমি তাদেরকে ভালো উত্তর দিতে পারিনি। কারণ কিভাবে দিব? ইনকাম তো রাতারাতি হয় এমন কোন মন্ত্রের বিষয় নয়। আসলে অনেকে ব্লগ থেকে আয় ব্যাপারটিই বুঝেনা। তাদের জন্যই আজকের গল্প। শুধু গল্প নয় রয়েছে বিশ্লেষণও!!! আমি এখনও গল্পই কিন্তু শুরু করিনি কিন্তু অনেক বেশি বকবক করে ফেলেছি। আপনি যদি বিরক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আমার কিছুই করার নাই। আর যারা আমার সাথে আছেন তাঁরা চলুন। আমি একটি রূপক গল্প বানিয়েছি যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কিন্তু যা আপনাকে পরিষ্কার ভাবে ব্লগিং এবং ব্লগিং থেকে আয়ের ধারণা দিবে। তবে চলুনঃ

ব্লগিং নিয়ে আমার লেখা রূপক একটি গল্প

মিঃ পিয়াস একজন অনার্সের ছাত্র। ভালো লেখার হাত আছে। সাস্থ্য সম্পর্কে ভালো লিখতে পারেন। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হল তিনি মেডিকেলের ছাত্র নন। তিনি গ্রামে থাকায় শহরে লাইব্রেরীতে গিয়ে সাস্থ বিষয়ক বই পড়তেন তিনি। একদিন হাঁটতে হাঁটতে একটা ভিন্ন ধর্মী আইডিয়া মাথায় আসল তাঁর। তিনি চিন্তা করলেন মানুষ তো লাইব্রেরীতে গিয়ে বই পড়ে বিভিন্ন লেখকদের। কিন্তু আমি নাহয় এমন একটি আশ্চর্য জনক লাইব্রেরী বানাই যেখানে শুধু আমার হাতে লেখা বিভিন্ন সাস্থ বিষয়ক টিপস, আর্টিকেল ডেস্কে সাজানো থাকবে? ঠিক পরে পরেই তিনি লজ্জা পেয়ে বসলেন। এটা কোন আইডিয়া হল নাকি? লাইব্রেরী তো লাইব্রেরীই। সেখানে আবার হাতে লেখা কোন বই পত্র থাকে নাকি আর কেই বা এখানে পড়তে আসবে? তাছাড়া আমিতো একজন চেনা পরিচিত কোন লেখকও না। এইসব চিন্তা করতে করতেই মিঃ পিয়াস সেদিন পার করে ফেললেন। কিন্তু তিনি কিছু ভেবে বসলেন আর তা করবেন না সেরকম লোকও তিনি নয়।আর সেই গুণই পিয়াসকে সেই হাস্যকর আইডিয়ার একটি ছোট লাইব্রেরী বানালেন। একটি ঘর, একটি টেবিল, কাগজে লেখা কিছু সাস্থ্য বিষয়ক নিজের লেখা আর্টিকেল। মানুষ তো এই পাগলামি দেখে শুধুই হাসাহাসি করলেন। কেউ পড়েনা তো পড়েইনা উল্টো হাসি ঠাট্টা করেন। তিনি তো একদিন দুঃখে সেই লাইব্রেরী বন্ধই করে দিলেন। কিন্তু না, তাঁর মনোবলে আবার শুরু করলেন সেই কাজ। এবার মানুষ একটু কৌতূহল নিয়েই সেখানে গিয়ে লেখাগুলো উলটে পাল্টে দেখলেন, কিছু পড়লেন। আর এতেই আশ্চর্যজনকভাবে পাল্টে গেল সেই হাস্যকর লাইব্রেরীর অবস্থা! প্রথম যে লোকগুলো তাঁর লেখা পড়েছিলেন তাঁরা সেই লেখা গুলো পছন্দ করার কারনে বিভিন্ন লোকের কাছে ছড়িয়ে যায় পিয়াস সাহেবের সেই ভিন্ন রকম লাইব্রেরীর কথা। প্রতিদিন নতুন নতুন লেখার চেষ্টা করেন মিঃ পিয়াস। পাশাপাশি তিনি বিভিন্নভাবে মার্কেটিংও শুরু করে দিলেন। এতে আরও পাঠক বাড়তে থাকল তাঁর। মজার কথা হল পাঠক বাড়ার পাশাপাশি মিঃ পিয়াস তাঁর লাইব্রেরীতে বেশ কিছু আগ্রহী লেখকদেরও খোঁজ পেয়ে গেলেন। তিনি এরপর তাঁর আগ্রহী বন্ধু এবং সকল আগ্রহী লেখকদের লেখাও রাখতে শুরু করলেন। বাড়ল পাঠক, বাড়ল লেখক। তিনি ভাবলেন এতো লোকের যাওয়া আসা এখানে। তো একটি বিজ্ঞাপন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করলে কেমন হয়? তিনি একটি বিজ্ঞাপন এজেন্সীর সাথে যোগাযোগ করে ফেললেন। কিন্তু তাঁরা আগ্রহ দেখালেও পাঠক সংখ্যা খুব বেশি না হওয়ায় বিজ্ঞাপন মূল্য খুব কম বলল। তবুও মিঃ পিয়াস রাজি হয়ে গেলেন। কারণ তিনি ভাবলেন "নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো" । বিজ্ঞাপনী সংস্থাটি তাঁর সাথে চুক্তি করল যে, লাইব্রেরীর দেয়ালে বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় বিজ্ঞাপনী এজেন্সির প্রতিনিধি প্রতিদিন এসে বিজ্ঞাপনমূলক টিউনার লাগিয়ে যাবেন। আর এক মাসে এজন্য তাঁকে দেয়া হবে ৫০০০ টাকা। প্রথম মাসের টাকা পেয়ে তিনি বেশ খুশি। খুব সামান্য টাকা নিজে পকেটে পুড়ে বাকি টাকা দিয়ে লাইব্রেরীর কিছু কাজ করালেন, তাঁর লাইব্রেরীতে যারা লেখেন তাদেরকে খুশি করতে একটি ভোজ আয়োজন করলেন এবং স্থানীয় একটি পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিলেন তাঁর ভিন্ন স্বাদের লাইব্রেরীর। এতে সামান্য কিছু নতুন পাঠকও পেলেন তিনি। কিন্তু বড় একটি প্রাপ্তি পেলেন তিনি এতে। কিছুদিন পর এক সাংবাদিক তাঁর এই মজার এবং ভিন্নধর্মী লাইব্রেরী নিয়ে পত্রিকায় একটি লেখা প্রকাশ করলেন। আর তারপরের ঘটনা স্বপ্নের মত হয়ে গেল মিঃ পিয়াসের কাছে। পাঠক সংখ্যা বাড়তে বাড়তে সারা দেশে সাড়া পড়ে গেল এই ভিন্ন রকম লাইব্রেরীর কথা। এখন তাঁর অনেক অনেক পাঠক এবং লেখক। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়তে থাকল পাঠকরা। লেখকরাও কিছু সম্মানী পেতে লাগলেন। বিজ্ঞাপনী সংস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে বিজ্ঞাপন মূল্য। আর এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে থেকে মোটা অংকের বিজ্ঞাপন পেতে লাগলেন। ব্যাস, নানা উন্নতি করতে করতে মিঃ পিয়াসের এই লাইব্রেরী অনেক বড় অবস্থানে। চারিদিকে তাঁর লাইব্রেরীর নাম ডাক এবং সাথে তো অনেক আয় করতেই লাগলেন। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি তিনি কিছু নতুন নতুন আয়ের পথও বের করেছিলেন। যেমনঃ তাঁর ভালো ভালো লেখা বিক্রি করেন বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে। সামান্য কিছু মূল্যের বিনিময়ে চালু করেন প্রিমিয়াম পাঠক সুবিধা। চলতে লাগলো মিঃ পিয়াসের জীবন.........।

গল্প বিশ্লেষণ

আমার জীবনে লেখা এটা দ্বিতীয় গল্প। জানি লেখকের মত গল্প  লিখতে পারিনি। তাঁর প্রয়োজনও নেই। কারণ গল্প লেখাটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। গল্পটি যেহেতু রূপক আর সেটা দিয়ে আজকের টপিকস ব্লগিং আয়কে বুঝানোই আমার মূল উদ্দেশ্য। দুনিয়ায় এমন কোন লেখক আছেন যিনি তাঁর গল্পের বিশ্লেষণ করেও দেন? কিন্তু মজার ব্যাপার আমি আমার নিজের গল্প নিজেই বিশ্লেষণ করে দিব। আসুন ... আমি এই গল্প বিশ্লেষণ করতে মডেল হিসেবে বেছে নিব টেকটিউনসকে। তবে মনে রাখবেন আমি কিন্তু টেকটিউনসের প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের ব্যাপারে জানিনা। কারণ টেকটিউন্স ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও আমি টিটির সাথে পরিচয় হই ২০১১ সালের প্রথম দিকে। টিটির প্রতিষ্ঠা ইতিহাস না জানা থাকলেও অনুমান করে বলতে পারি আমার গল্পের কাহিনীর মত কষ্ট করে আজ ২০১৪ সালে পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত।
এবার আসি বিশ্লেশনে, এখানে গল্পের লাইব্রেরীকে তুলনা করেছি একটি ব্লগ (টেকটিউনস) এবং মিঃ পিয়াসকে তুলনা করেছি টেকটিউনসের প্রতিষ্ঠাতা মেহেদি হাসান আরিফ ভাইকে আর লেখক এবং পাঠক হিসেবে ধরেছি আমাদের মত টিউনার এবং টিউন পাঠককে। এটাই আমার গল্পের চরিত্র পরিচয়। আশা করছি আমার গল্পের মূল ভাব বুঝেছেন।

ব্লগ হল এমনই একটি প্লাটফর্ম যেখানে বিষয়ভিত্তিক নতুন নতুন লেখা থাকবে। যা লিখবেন আপনি। অবশ্যই মিঃ পিয়াস যেমন বই পড়ে পড়ে জ্ঞান নিয়ে নতুন আর্টিকেল লিখেছেন তেমন আপনাকেও আপনার ব্লগে লিখতে হবে। টেকটিউন্সে প্রথম দিকে হয়ত টিটির প্রতিষ্ঠার পিছনে থাকা ভাইরাই লিখত যেমনটি করেছেন মিঃ পিয়াস। আর তারপর মিঃ পিয়াস তাঁর কার্যক্রম চালাতে থাকেন তেমনি টেকটিউনসও চালাতে থাকে তাদের কার্যক্রম। এক সময় পরিচিত হয়ে পড়ে অনেক টেকনোলোজি লাভারের কাছে। বাড়তে থাকে টেকটিউনস লেখক এবং পাঠক সংখ্যা। ঠিক এভাবেই বেড়েছিল মিঃ পিয়াসের লাইব্রেরী পাঠক এবং লেখক সংখ্যা। তাঁরপর আসতে থাকে বিজ্ঞাপন। আর তা থেকেই শুরু হয় আয়।
যারা একদম নতুন এবং ব্লগ থেকে আয় করতে চান তাদের জন্যই আমার এই বিশ্লেষণ। আশা করছি গল্পের সাথে বিশ্লেষণটি মিলালেই পেয়ে যাবেন ব্লগ এবং ব্লগ থেকে আয়ের সংজ্ঞা। অর্থাৎ ধৈর্য সহকারে আপনাকে একটি ব্লগ চালাতে হব। কপি পেস্ট লেখা দিয়ে নয় নিজে যা জানেন সেটাই লিখতে হবে। মিঃ পিয়াস যেমন মার্কেটিং করেছেন আপনাকেও ব্লগের মার্কেটিং করতে হবে। আর এই মার্কেটিং বলতে আমি এসইও কেই বুঝাচ্ছি। তাঁরপর এক দুই তিন করে বাড়তে থাকবে আপনার পাঠক সংখ্যা। তবে সেই পাঠক যদি আপনার লেখায় আকৃষ্ট হয় তবেই আপনি আরও পাঠক পাবেন অন্যথায় পাঠক বাড়ানো সম্ভব নয়। এছাড়াও আপনার ব্লগ বড় হওয়ার সাথে সাথে পেয়ে যাবেন বেশ কিছু আগ্রহী লেখক। তাদের লেখাও প্রকাশ করুন আপনার ব্লগে। তারপর যখন আপনি একটি বড় প্লাটফর্ম তৈরি করে ফেলবেন অর্থাৎ অনেক অনেক পাঠকের আনাগোনা হবে আপনার ব্লগে ঠিক তখনই আপনি আয়ের দিকে নজর দিবেন। তাঁর আগে যিনি আয়ের দিকে নজর দিবেন তিনিই মাটিতে পড়বেন ধপাশ করে।

শেষ কথা

এই টিউনটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় লেখা। লিখেছি প্রায় ৩ ঘন্টার বেশি সময় ধরে। আঙ্গুল ব্যাথায় টনটন করছে। তাই শেষ কথাও বাড়িয়ে বলতে পারছিনা। শুধু বলব এই লেখা শুধুমাত্র ব্লগিং আয় করতে চান এমন নবীনদের জন্য। আর এক্সপার্টদের কাছে মতামত চাই। আরেকটি কথা নবীনদের জন্য বলব, আপনি যদি ব্লগ থেকে আয়ের ব্যাপারে আমার গল্প থেকে বুঝানো সারমর্ম কিছুটাও বুঝতে পেরে থাকেন তাহলে আমি বলব আপনি আজ না পারেন কাল না পারেন পরশু আপনি ঠিকই সফল হবেন। এটা তো গেল শুধু প্রথম দিকের কথা। তারপর ব্লগিং বিষয়ে সাহায্য লাগলে আপনার পাশে আছিই। ২০১৩ সালে আমাকে নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিউজটি দেখতে পারেন এখানে ক্লিক করে অথবা আমার জীবনের সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়ুন এখানে। ধন্যবাদ।

ব্লগার মারুফ ডট কম

Level 1

আমি ব্লগার মারুফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 196 টি টিউন ও 1301 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি মারুফ। প্রযুক্তিকে ভালোবাসি। তাই গড়তে চাই প্রযুক্তির বাংলাদেশ। পড়াশুনা করছি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে। আমার ওয়েবসাইটঃ https://virtualvubon.com এবং https://www.rupayon.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

valoi laglo বড় ভাই 😀

Level 0

ধন্যবাদ।

রুপক গল্প তো আমার কাছে খুব বাস্তব লাগলো মারুফ ভাই। সামনে এগিয়ে যেতে আমরা পাশে থাকবো সব সময়। ধন্যবাদ এত শ্রম দিয়ে সুন্দর একটা গল্প-সরি টিউন করার জন্য।
(y)

    @আই,টি সরদার: ধন্যবাদ ভাই। আসলে তবুও কত জমানো কথা বাদ পড়ছে। হাত ব্যাথায় আর লিখতে পারলামই না। আবার বেশি লিখলেও লাইন হারিয়ে ফেলি। কষ্ট করে পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন।

ভাই ভাল লাগলো।

একটি কষ্টসাধ্য লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আর গল্পটাও ভালই হয়েছে।

শুভকামনা রইল।

    @অনিক হাসান: আবারো ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। ভাই আসলে সব ধরনের লেখাই লিখতে পারি। সময় খুঁজে পাইনা। ওই যে ওইটুকু গেমস নিয়ে পোস্ট করেছি যেখানে কোন রিভিউ নাই, বিস্তারিত নাই তাতেই ভিউ বাড়তেই থাকে বাড়তেই থাকে। আর এই অনেক সময় নিয়ে বড় লিখেও ভিউ পাইনা। বাঙালি ভালো খায়না, ওই ছোট খাট খারাপ গুলোই খায়।

Sundor ebong khati jinis

আমি সবসময় আপনার পোস্টগুলো পড়ি। পড়তে ভালই লাগে। আমি টেকটিউনসের সাথে প্রায় ৪ বছর ধরে আছি। ব্লগিং এর অভিজ্ঞতা আরও বেশী। আমার আগের বেশ কয়েকটা টেকটিউনস আইডি আছে। যাই হোক, আপনার পোস্টটা এক কথায় অসাধারন! বেশ কিছুদিন থেকেই টেক-টিউন্স এ ভালো পোস্ট দেখতে পারি না। আপনি আমার সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিলেন। আপনার লেখাটা যথেষ্ট মানসম্পন্ন ও নতুনদের পথ দেখাবে। শুভকামনা রইল। 🙂

    @প্রীতম চক্রবর্তী: আমি নতুনদেরকে ব্যাপারটা বুঝাতেই উদাহরন হিসেবে গল্পটা লিখেছি। তাঁরা যেন হুট হাট না বলে বসতে পারে যে আমি ব্লগিং করে ইনকাম করতে চাই? জিনিসটা কি সেটা বুঝানোর জন্যই এই টিউন। ধন্যবাদ মূল্যবান টিউমেন্টের জন্য।

আল্লাহ আপনাকে হেফাজাত করুন। সেই কামনাই করি।

Level 0

হুম।দারুন একটি টিউন করেছেন ভাই। শুভ কামনা রইল।

মারুফ ভাইকে ধন্যবাদ, প্রথমে বোরিং লাগলেও পড়ে অনেক ভাল লেগেছিল আর আপনার কথা শুনে মাঝে মাঝে চোখও কপালে উঠেছিল :/

    ধন্যবাদ ভাই। বড় লেখাগুলো পড়া আসলেই বিরক্তির ব্যাপার। আবারো ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

মারুফ ভাই প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই এইরকম একটি সুন্দর টিউন উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনি গল্পে আপনার জীবনের সংগ্রামের যে কাহিনী তুলে ধরেছেন তা পড়ে আমি আনুপ্রানিত। তার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ জানাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করি যাতে আপনি এভাবেই সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে আরও সামনে এগিয়ে যান ।আমীন।

    @FAIYAJ BIN REZA: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামতের জন্য। আপনাদের দেয়া অনুপ্রেরনা ইনশাল্লাহ আমাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। দোয়া রাখবেন। আপনাদের জন্যও শুভ কামনা রইল ।

ভাই আমি আমার ব্লগে মেনু বার সংযুক্ত করতে পারছি না। আপনি যদি আপনার পরবর্তী টিউনে বিস্তারিত বলতেন কিভাবে আমি আমার ব্লগে মেনুবার যুক্ত করতে পারব, তাহলে আমি খুব উপকৃত হতাম। দয়া করে এই বিষয়টা নিয়ে আপনি আপনার একটি টিউন করেন প্লিজ।

    @মোঃ ওয়াসিম আকরাম: আপনার ব্লগের লিংক দিন। দেখি আগে আপনার টেমপ্লেটটা। কারণ একেক টেমপ্লেটে একেক ভাবে মেন্যু এড করতে হবে।

অসাধারণ।

ভাই আমি আমার ব্লগে মেনু বার সংযুক্ত করতে পারছি না। আপনি যদি আপনার পরবর্তী টিউনে বিস্তারিত বলতেন কিভাবে আমি আমার ব্লগে মেনুবার যুক্ত করতে পারব, তাহলে আমি খুব উপকৃত হতাম। দয়া করে এই বিষয়টা নিয়ে আপনি আপনার একটি টিউন করেন প্লিজ। আমার ব্লগের লিঙ্ক হলঃ healthtipesbd.blogspot.com

    @মোঃ ওয়াসিম আকরাম: আপনি যদি ব্লগস্পটের ডিফল্ট মেনুই ব্যবহার করেন তবে সেটা খুব সহজ। লেয়াউটে গিয়ে সবার উপরে যে Add a gadget লিংকটা দেখবেন সেখানে ক্লিক করে Page নামের উইডগেটটি খুলুন এবং আপনি যে মেন্যু গুলো দেখাতে চান সেগুলো সিলেক্ট করে সেভ করুন।

    আপনি কি এইচটিএমএল সিএসএস সম্পর্কে কিছুটা জানেন?
    আপনি যদি স্টাইলিশ মেন্যু ব্লগে লাগাতে চান তবে এটা নিয়ে টিউন করব এর পরের বার।
    ধন্যবাদ

Level 0

অসাধারণ , ব্লগার. মারুফ ভাই আমার দারুন ইচ্ছা শক্তি থাকার পরও পারিনি। কিছু টাকাও খরচ করে ব্লগিং শিখছিলাম বাট কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবুও আশা ছারিনি। কিন্তু কি জানেন, আমি কথায় শিখব কার কাছে শিখব ভেবে পাচ্চি না. কারন মান সম্মত ভাবে কই শেখায় আমি জানি না। আমি আপ্নার মত ভাল লিখতে জানি না. তাই ভুল হলে ক্ষমার দ্রিস্টিতে দেখবেন . আপ্নার কাছে আমাদের অনেক শেখার আছে , তাই আপনার জ্ঞানের আলো থেকে আমাদের বঞ্ছিত করবেন না. please.

    @rasel938: প্রথমেই ধন্যবাদ। আর এসব টাকা খরচ করে শেখা মানেই বৃথা। ভাই আসলে নিজেই চিন্তা করে দেখেন, যারা যে কাজে এক্সপার্ট তাঁরা তাদের সেই নিজের কাজ নিয়াই ব্যস্ত থাকে। নিজের কাজ করেই সেল কূল পায়না। আর যারা খুব এক্সপার্ট না তাঁরা খাজনার চেয়ে বাজনা বাজিয়ে টাকা নিয়ে মানুষকে শেখায়। কিন্তু সেই শেখা খুব কার্যকর না। বড় বড় ওয়েব ডিজাইনার, ডেভেলপার, হ্যাকারদেরকে কি কখনও ট্রেনিং সেন্টার খুলে বসে থাকতে দেখেছেন? তাঁরা এসব খোলেনা। তাঁরা নিজে কাজ করেই এসবের চেয়ে বেশি আয় করে। আর খুললেও সেটা নিজে প্রত্যক্ষভাবে থাকেন না। যেমনঃ এফএম মেথড কোচিং সেন্টারের তো নাম শুনেছেন? এটার মূল যে এফ.এম স্যার তিনি একটা মানুষ হয়ে কিভাবে সারা দেশের বিভিন্ন শাখায় ক্লাস নেন? নেন না, নিলেও একদিন! তাঁর নামেই প্রতিষ্ঠান চলে আর কি।
    ঠিক সেরকমই অনলাইন জগত। অযথা টাকা খরচের আগে ভেবে খরচ করবেন। কারণ আপনার টাকার মূল্য আছে। নিজের তাগিদে নিজে নিজে শেখার চেয়ে দুনিয়ায় আর বড় শিক্ষা নাই।
    আমার ব্লগ থেকে আমার ফোন নম্বর নিয়ে কল দিতে পারেন। দুই একটা পরামর্শ দিতে পারি বিনামূল্যে!

Level 0

মারুফ. ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ আমাকে রিপলে দেবার জন্য।
আমাদের দেশে এটা অসাভাবিক কিছু নয়। আমি পেশায় একজন শিক্ষক . পাশাপাশি একটা ব্যবসা আছে . আমি পরিছ্রম করতে পারি আর রাত জেগে কাজ করতে পারি।
কিভাবে শুরু করব এবং কি নিয়ে তা বুঝতে পারছি না। তাই একটু সহযোগীতা কইরেন . আর আমার বাড়ী তারাগঞ্জ উপজেলায় .

    @rasel938: আমি আপনাকে বললাম তো। আমাকে ফোন দিলে কিছুটা হলেও পরামর্শ দিতে পারব।

Level 0

phone no ta Ruben please. opnar blog a Oneida khujeo cell no. paid no.