তরুন বাঙ্গালীর আন্তঃজাল (internet) ব্যবহার!

বাংলাদেশ, এ এক অপরূপ সৌন্দর্যের চরনভুমি। দক্ষিণ এশিয়ার এক জনবহুল রাষ্ট্র। আয়তন ১.৪৭.৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। ...
জানেনই বোধহয়, না জানলে এখান থেকে জানতে পারেন উইকিপিডিয়া
 
এদেশের মানুষ অত্তন্ত সহজ সরল। এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা বেশ বিদ্রোহীয়। এদেশের প্রত্যেক ঐপনিবেশকে তারা সাহসিকতার সাথে এদেশ থেকে তাড়িয়েছে। এমনকি একাত্তর সালে ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে স্বাধীনতাও কেড়ে এনেছে। আমরা তাদের শ্রদ্ধা জানাই।

ভাই একটু থামবেন? আমি কিছু কবাম (!) ...

এখন চলছে ডিজিটালের যুগ। মানুষের বগলে ট্যাব, পিঠে ল্যাপটপ। কানে হেডফোন, হাতে মোবাইল। সবাই এক আজব চিযে আছে। ইন্টারনেট। যাকেই ধরি, "ভাই নেটে কি করেন ?" সে মিষ্টি বা ভ্যাসকা বা অবজ্ঞার হাসি দিয়ে বলবে, " ইউটিউবে ভিডিও দেখি" কিংবা "লাইভে গান শুনি" কিংবা "গার্লফ্রেন্ডের খোঁজে আছি" আবার কিংবা "ফেসবুকাই!"

(দুঃখিত যে আমি কিংবা বেশি ইউজ করসি)

সবই ভালো। আসুন একটু ভেবে দেখি। ইউটিউবে গান কিংবা ভিডিও আমাদের চিত্তবিনোদন দ্যায়। গানেও আবেগ আসে কিংবা চিত্তবিনোদন দ্যায়। ফেসবুকেই নাহলে ভবিষ্যতের বউ পেলেন (পরে বিয়ে করবেন কিনা আপনার ব্যাপার)। কিন্তু এগুলো আপনাকে কোনও শিক্ষা দিচ্ছে কি?

এখানে হয়তো অনেকে বলবেন ফেসবুকে অনেক গ্রুপে জ্ঞান - বিজ্ঞানের অনেক কিছু থাকে। ইউটিউবে অনেক চ্যানেলে শিক্ষামূলক অনেক কিছু থাকে। আপনারা হয়তো দেখাবেনও যে আপনি অমুক গ্রুপের মেম্বার, তমুক চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার।

এখানে প্রশ্ন ...

আপনি কয়দিন ঐ গ্রুপে ঢুকেছেন, টিউন দেখে কিছু শিখেছেন ?

কয়দিন চ্যানেল থেকে ভিডিও দেখেছেন?

আমাদের এই বর্তমান সরকারের একটা গুণ, প্রযুক্তিকে আনাচে - কানাচে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে।

আপনি তার কতটুকু নিচ্ছেন?
হয়তো রবির internet.org এর কথা শুনেছেন। তারা ফেসবুককে বাংলাদেশে ফ্রিতে বেশ কয়টি ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সুবিধা দিচ্ছে। এতে আপনি খুশি। অনেকে খুশি।

এখানে আমার প্রশ্ন, আপনি কি free.facebook.com ছাড়া কোথাও গেছেন? উইকিপিডিয়াও ফ্রি।

সেখান থেকে কি কিছু শিখেছেন?

এই প্রশ্ন গুলো আপনার কাছে।

আপনি যদি ইউরোপ আমেরিকায় তাকান, তারা সামাজিক যোগাযোগ করে ঠিকই। অন্যান্য কাজে সমান তাল রাখে।

ওদেশের গ্রেড ৯ - ১০ এর ছেলে -  মেয়েরা হয় কোনও কিছু ডিজাইন করে, কম্পিউটারে নকশা আঁকে, কিঙ্গা প্রোগ্রামিং বা ওয়েব ডেভেলপিং করে।

বাংলাদেশে এই তরুণদের না জেগে ওঠার আরেকটা কারন হল, অনলাইনে ভালো কোনও বাংলা কন্টেন্ট নেই।

তবে আমরা যারা নেট ইউজ করছি, তারা কেউ নিশ্চয়ই ইংরেজি জানি না, এমন মানুষ নেই।

তবে কেন ইন্টারনেটে শিক্ষায় আপনার এতো অনিহা ? এতো কেবল বিনোদনের বস্তু নয়...
© তাওসিফ তুরাবি

 

মূল লেখা আমার ব্লগে

Level 0

আমি ব্লগার তাওসিফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 97 টি টিউন ও 61 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Salute . Ekebare moner kotha bolchen.

গাজি তুরাবি ভাই এটা এক প্রকার সত্যি কথা যা আপনি টিউনে বলেছেন।
কিন্তু এটাও আপনাকে মানতে হবে যে এর জন্য আমি আপনি কম বেশি সবাই দোষী ,
আমরা নিজেরাই ভুল করছি প্রতিনিয়ত আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমদেরকেই অনুসরণ করে আরো ভুল পথে চালিত হচ্ছে।
আমি যখন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি তখন এতো সব কিছু সাইট ছিল না আর তাই আমার এতটা লোভ ও ছিল না,তারপর যখন অফিস জয়েন করলাম তারপর থেকে আর সেই ভাবে টাইম ও পাই না। ( তাই হয়ত সেই ভাবে সুযোগ পাইনি )
তবে আমি বা আপনি যতই চাইনা কেন ইন্টারনেট এর ব্যবহার কি ভাবে তরুণ প্রজন্ম করবে সেটা তারা খুব ভালো করেই জানে, আর তাই তাদের কে বললে তারা আমার বা আপনার কারোর কোন কথাই শুনবেনা ,
কারণ তাদের কানে হেড-ফোন আর মোবাইলে ফেসবুক স্ট্যাটাস অনলাইন।

আপনার ব্লগ থেকে ঘুরে এলাম।

পারলে ” মূল লেখা আমার ব্লগে ” এই লেখাটির লিংকটি ঠিক করে দেবেন। ( লিঙ্কটি কাজ করেনা তাই )

অনেক কিছু লিখে দিলাম কিছু মনে করবেন না ।

ভালো থাকবেন আর পারলে আর মানসম্মত টিউন করে টেকটিউনকে গর্বিত করুন ।

মনের কথা বলে ফেলেছ, ভায়া… 😀

ভাই ঠিক বলছেন ।তাই এখন ফেসবুক আর আগের মতো ব্যাবহার করি না ।