মাউন্ট এভারেস্টের উপর থেকে কি দেখা যায়? The Heroes of Everest

হিমালয়। নামটা সেই ছোটবেলা থেকেই শুনছি আমরা। পৃথিবীর সবচেয়ে উচু স্থান হলো হিমালয়। উচ্চতা মাত্র ৮, ৮৪৮ মিটার!মানে ৮.৮৫ কিলোমিটার!আকাশের সাথেই যার মিতালী। মেঘ যাকে নিয়ে খেলা করে, সাদা তুষার যার পোশাক আর যার আছে মাথা উচু করে সামগ্র পৃথিবী কে দেখা সেই তো হিমালয়। আমার আজকের টিউনটি সেই হিমালয়কেই নিয়ে। টিউনের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানাতে চেষ্টা করবো হিমালয়ের সকল খুটিনাটি তথ্য আর আমরা সবাই হরিয়ে যাবো এক অজানার দেশে।

watch video  https://www.youtube.com/watch?v=FWdswaXVvJw

মাউন্ট এভারেস্টের জন্ম
Mount
আজ থেকে প্রায় ৬ কোটি বছর আগে জন্ম নেয় এভারেস্ট। আসলে আমরা জানি যে কোন পর্বতমালা সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর ভূ-গভের সৃষ্ট আন্দোলনের ফলে। আমাদের পৃথিবীর ভূ-গভে মাটির স্তর গুলো প্লেট আকারে থাকে। এগুলো আবার বিভিন্ন উপমহাদেশীয় এরিয়া নিয়ে গঠিত। এমনি ২ টি প্লেটের সংঘষে সৃষ্টি হয় এভারেস্টের। ভারতীয় উপমাদেশের প্লট ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ান প্লটের সংঘর্ষে এভারেস্ট তৈরী।
ফফফফ
তাছাড়া অভন্তরীণ ভুমিকম্প ও এর জন্য দায়ী। এ ধরনের সংঘর্ষ কোটি কোটি বছর পর পর সংঘটিত হয়।

এভারেস্টের আবিষ্কৃত হলো যেভাবে
১৮০৮ সাল। তৎকালীন ভারতে ব্রিটিশরা শুরু করলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতসমূহের অবস্থান বের করার অভিজান। এর জন্য তারা "বৃহৎ ত্রিকোণমিতিক জরিপ" (Great Trigonometric Survey) শুরু করেন।
dff
এই প্রক্রিয়া নিখুত ভাবে চালানোর জন্য তারা ব্যব হার করলো ১১০০ পাউন্ড অজনের থিয়োডোলাইট।
light
জরিপ কাজ আরাম্ভ হলো দক্ষিণ ভারত থেকে। জরুপকারী দল ক্রমাগত উত্তরদিকে সরতে থাকে এবং ১৮৩০ সালে তারা হিমালয়ের পাদদেশে পৌঁছায়। তারা আস্তে আস্তে নেপালের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। কিন্তু তখন নেপাল ও তিব্বতে বিদেশীদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। এভাবে অননেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ১৮৪৭ সালের শেষর দিকে এভারেস্টের ১৪০ মাইল (২৩০ কিমি) পূর্বে কাঞ্চনজঙ্ঘা এর কাছে চলে আসেন। সে সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া হিসেবে বিবেচিত হত কাঞ্চনজঙ্ঘা। সে সময় জরিপ চালান ব্রিটিশ প্রধান জরিপকারক এন্ডু ওয়াহ। তিনি কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে পূর্ব দিকে একটি নতুন পর্বত দেখতে পান। তিনি এক পলকেই দেখে বুঝতে পারেন এটা কাঞ্চনজঙ্ঘার চেয়ে ও অনেক বড়। কিন্তু এর জন্য তো প্রমান চাই। তিনি জেমস নিকলসন নামে এক কর্মচারী পাঠান জরিপের জন্য। সে অনেক হিসাব নিকাশ করে এসে ফলাফল দেয় যে এর উচ্চতা ৩০, ২০০ ফুট (৯, ২০০ মিটার)। কিন্তু তার হিসাবে ভুল হবার কারণ ছিল আলোর প্রতিসারণ। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নিকলসন চলে যান তার দেশে। কি আর করা এত গুলো পর্বত কি নামহীন ভাবে পড়ে থাকবে? না কর্নেল ওয়াহ তার এক ক্লার্ক মাইকেল হেনেসিকে দিয়ে সবগুলো পাহাড় গুলোর রোমান সংখ্যার হিসাব রাখতে বললেন। সে হিসাবে এভারেস্টের নাম হলো peak-XV বা "চূড়া-১৫"। যাই হোক সেবার ও ওয়াহ পারলেন না। অবশেষে তিনি স্বরণাপন্ন হন বাঙ্গালী গণিতবিদ ও জরিপকারক রাধানাথ শিকদারের। তিনি ছিলেন স্যার এভারেস্টের অনেক প্রিয় পাত্র।

Level 2

আমি শ্রী সিবা কুমার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 11 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

প্রিয় টিউনার,

আপনার টিউন/টিউন গুলো নেগেটিভ র‌্যাংকিং পাচ্ছে

টেকটিউনসে টিউন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে টেকটিউনসে আপনার নিজেস্ব অডিএন্স ও ফলোয়ার তৈরি করা। টেকটিউনস এর অডিএন্স, টিউজার, টিউডার ও টিউজিটরদের জন্য মান সম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে আপনার টিউন র‌্যাংক করা, টিউনের জোসস পাওয়া এবং নিজের ফলোয়ার বাড়ানো। টেকটিউনসে আপনার টিউনের জোসস পেতে হবে ও ফলোয়ার বাড়াতে হবে। আপনার টিউনের যত বেশি জোসস ও আপনার যত বেশি ফলোয়ার হবে আপনার টিউন তত বেশি র‌্যাংক করবে তত বেশি ফলোয়ারদের কাছে পৌঁছাবে। টেকটিউনসে প্রকাশিত আপনার টিউন গুলো আপনার ফলোয়ারদের কাছে শো করে। আপনার ফলোয়াররা আপনার টিউনে জোস করলে তা ফলোয়াররা বেশি দেখতে পান এবং বেশি জোস পাওয়া টিউন গুলো টিউজাররা নিজেদের টিউন স্ক্রিনে দেখতে পায়। আপনার ফলোয়ার বাড়ান এবং কোয়ালিটি টিউন করে জোস বাড়ান।

  1. আপনার টিউনে একটি বাক্যও কপি পেস্ট কন্টেন্ট থাকলে
  2. অ্যাফিলিয়েট, রেফারাল লিংক দিয়ে ঘরে বসে অনলাইন আয় জাতীয় টিউন করলে
  3. টিউনের যে কোন ধরনের অ্যাফিলিয়েট, রেফারাল ডাউনলোড লিংক বা সর্ট লিংক থাকলে
  4. টিউজিটর ড্রাইভাট এর উদ্দেশ্যে টেকটিউনসে আংশিক টিউন করে বাকি অংশ পড়তে নিজের সাইট বা ভিডিও এর লিংক স্থাপন করলে
  5. টিউজিটর ড্রাইভাট এর উদ্দেশ্যে টিউন করে ডাউনলোড করার জন্য লিংক টিউনে না দিয়ে নিজের সাইট বা ভিডিওতে গিয়ে ডাউনলোড করার লিংক স্থাপন করলে
  6. টিউজিটর ড্রাইভাট এর উদ্দেশ্যে টিউন শুরুতেই, টিউনের প্রথম ৫০ শব্দের মধ্যে, টিউনের বিভিন্ন শব্দ, বাক্য ঘন ঘন নিজের সাইট, চ্যানেল, গ্রুপ, টিউন এর সাথে অপ্রাসঙ্গিক ইনলাইন লিংক করলে
  7. টিউজিটর ড্রাইভাট এর উদ্দেশ্যে টিউনে কোন ধরনের বর্ণনা না দিয়ে বিস্তারিত না লিখে শুধু মাত্র চ্যানেল লিংক ভিডিও টিউন করলে
  8. টিউজিটর ড্রাইভাট এর উদ্দেশ্যে টিউনে ভিডিও এম্বেড অবস্থায় না দিয়ে ক্লিকএবল ভিডিও লিংক হিসেবে টিউনে স্থাপন করলে
  9. নিজের করা একই টিউন কপি পেস্ট করে বারবার টেকটিউনসে প্রকাশ করলে
  10. টেকটিউনসে প্রকাশিত অন্য টিউনারের টিউন হুবহু কপি করে বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে টিউন করলে
  11. যে কোন অ্যাপ, সফটওয়্যার ইত্যাদির এর অফিসিয়াল স্টোর, অফিসিয়াল পেইজ, অফিশিয়াল সাইট এর ডাউনলোড লিংক না দিয়ে নিজ থেকে নিজের সাইট, পেইজ, গ্রুপ এ লিংক স্থাপন করে বা অন্য কোন অ্যাফিলিয়েট ফাইল হোস্টে আপলোড করে লিংক স্থাপন করলে

আপনার টিউন নেগেটিভ র‌্যাকিং পায়। এধরনের টিউন টিউজিটররা পছন্দ করে না এবং তা নেগেটিভ র‌্যাংকিং পায়। নেগেটিভ র‌্যাংকিং এর ফলে আপনার টিউন গুলো টেকটিউনস স্ক্রিন থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।

টেকটিউনসে কি ধরনের কোয়ালিটি টিউন কিভাবে করে নিজের ফলোয়ার বাড়াবেন তা প্র্যাকটিক্যালি শিখতে টেকটিউনস এর ‘ট্রাস্টেড টিউনারদের’ সকল টিউন গুলো দেখুন ও শিখুন এবং তাঁদের মত করে টিউন করুন। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার ১, টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার ২, টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার ৩

টেকটিউনস সৌশল নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করে তা জানতে এই টিউনটি পড়ুন এবং টেকটিউনসে টিউন করতে কি কি বিষয় মেনে টিউন করতে হয়, কোন কোন বিষয় মেনে টিউন করলে আপনার টিউন র‌্যাংক করবে বেশি ফলোয়ার পাওয়া যাবে তা জানতে এই টিউনটি পড়ুন।

টেকটিউনসে টিউন করতে সঠিক ভাবে টেকটিউনস সম্বন্ধে জানুন ও টেকটিউনসে কী ধরনের টিউন করলে টিউজিটররা আপনাকে ফলো করবে আপনার টিউন পছন্দ করবে আপনার টিউনে বেশি জোসস করবে তা আয়ত্ব করুন। টেকটিউনস একটি টেকনোলজি সৌশ্‌ল নেটওয়ার্ক। আপনাকে নিজের কোয়ালিটি কন্টেন্ট এর মাধ্যমে নিজের ফলোয়ার তৈরি করত হবে কমিউনিটিতে ইনফ্লুয়েস তৈরি করতে হবে।