যেভাবে ইবিএল অ্যাকোয়া প্রিপেইড মাস্টারকার্ড করবেন

যেভাবে ইবিএল অ্যাকোয়া প্রিপেইড মাস্টারকার্ড করবেন:

EBL Aqua Prepaid MasterCard দারুণ একটা কার্ড সার্ভিস। এটি Eastern Bank এর একটি সার্ভিস। এটি হচ্ছে ডুয়েল কারেন্সির একটা  প্রিপেইড মাস্টার কার্ড অর্থাৎ এটিতে আপনি BDT (বাংলাদেশী কারেন্সি) ও USD দুটোই রাখতে পারবেন। অনলাইনে কেনাকাটা, এয়ারটিকেট বুকিং, বিদেশে গিয়ে শপিং, যে কোন দেশে গিয়ে ঐ দেশের কারেন্সিতে টাকা তোলা সবই এই কার্ড দিয়ে করা যাবে।

দেশের বাইরে ভ্রমন ও অনলাইন শপিং প্রেমীদের জন্য ইস্টার্ন ব্যাংক এর জনপ্রিয় একটি কার্ড সার্ভিস হচ্ছে এই অ্যাকুয়া প্রি-পেইড মাস্টার কার্ড। যাদের ক্রেডিট কার্ড নেই, তাদের জন্য এই ইবিএল অ্যাকোয়া প্রিপেইড মাস্টারকার্ড হতে পারে অত্যন্ত চমৎকার একটি অপশন।

আপনি যদি ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব বা আলিএক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন Eastern Bank এর Aqua Prepaid Card। এটি একটি ডুয়েল কারেন্সি Prepaid Master Card, এর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অনলাইন কিংবা অফলাইন যেকোনো পেমেন্ট সহজেই করতে পারবেন। এ কার্ডটি পাওয়া একেবারে সহজ এবং খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়না।

আশাকরি আমার এ লেখাটি যারা অনলাইন ফ্রিল্যান্সার তাদের জন্য কিছুটা হলেও কাজে আসবে। আসুন, দেখে নেয়া যাক, কিভাবে ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে আপনি এই কার্ডটা করাতে পারবেন।

যেভাবে EBL Aqua MasterCard করার জন্য আবেদন করবেন

১। একুয়া  কার্ড করতে হলে কোন ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয় না। ইস্টার্ন ব্যাংকের যে কোন আপনার নিকটস্থ যেকোন Estern Bank Limited এর কোনো শাখায় গিয়ে কার্ড করার জন্য ডকুমেন্ট সহ  যোগাযোগ করুন। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে জানান যে আপনি EBL এর Aqua Prepaid Master Card নিতে আগ্রহী। তিনি আপনাকে বেশ কয়েকটি ফর্ম দিবেন।

সবগুলো ফর্ম ভালোভাবে পূরন করুন। সাধারন ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় যে ধরনের ফর্ম পূরন করা হয় ঠিক একই ধরনের ফর্ম এখানে আপনাকে পূরন করতে হবে। যদি কোনো বুঝতে কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দায়িত্বরত অফিসারের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন।

২। ফর্মগুলো পূরন করার সময় খেয়াল করবেন “E-commerce Enrollment Form” নামের ফর্মটি আপনি পূরন করছেন কিনা। আপনাকে দেয়া ফর্মগুলোর সাথে এই ফর্মটি পূরণ না করে থাকলে ওনাদের কাছ থেকে ফর্মটি নিয়ে পূরন করে নিন। কারন আপনি যেহেতু এটা দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট করবেন তাই E-commerce Enrollment Form টি পূরন করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক। এটা পূরন না করলে আপনি USD কারেন্সি তে পেমেন্ট করতে পারবেন না।

৩। ফর্ম পূরণ করে ছবি, ভোটার আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি এবং ৫৭৫ টাকা জমা দিলে ঐদিনই কার্ডটি দিয়ে দিবে। সাথে সাথে কার্ড নিলে ঐ কার্ডে আপনার নাম লেখা থাকবে না। সেক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখিত নামটিই কার্ডের নাম হিসাবে সব জায়গায় ব্যবহার করবেন।

৪। আর যদি আপনার নামসহ কার্ড করতে চান তাহলে সব ডকুমেন্টস সাবমিট করার পর ভেরিফিকেশন এর জন্য ৭-১০ দিন সময় লাগবে (এখানে দিন বলতে কর্মদিবস বোঝানো হয়েছে)। ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে ফর্মে দেয়া আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি মেসেজ পাবেন। যদি ১০দিনের মধ্যে কোনো মেসেজ না পান তাহলে Estern Bank Limited এর কাস্টমার কেয়ার ১৬২৩০ নাম্বারে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করুন। কনফার্ম হয়ে গেলে আপনি কার্ডটি যেকোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন।
EBL Aqua Card কার্ডে টাকা বা ডলার লোড বা রিচার্জ করবেন যেভাবে
কার্ডে ডলার লোড করার আগে পাসপোর্টটি ব্যাংক থেকে এন্ডোর্স করিয়ে নিতে হবে। ব্যাংকে পাসপোর্টটি জমা দিলে তারা কয়েক মিনিটে এন্ডোর্স করে দিবে। ইস্টার্ণ ব্যাঙ্কের যে কোন শাখা থেকে কার্ডে ডলার বা টাকা লোড করা যাবে। যে কোন ক্রেডিট কার্ডের বিল দেওয়ার মতই। কার্ড এক্টিভেট হবার আগে  পাসপোর্ট এন্ডোর্স ও ডলার লোড না করে পরেও করতে পারেন। এর জন্য কার্ড এক্টিভেট হবার পর পাসপোর্ট ও টাকা নিয়ে আবার ব্যাংকে যেতে হবে।

১। ডকুমেন্টস সব ভেরিফাই হয়ে গেলে পাসপোর্ট এবং কত টাকা/ডলার রিচার্জ করতে চান সেটা নিয়ে ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনে চলে যান। প্রথমেই পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স করিয়ে নিন। পাসপোর্ট এন্ডোর্স করা হয়ে গেলে এরপর কার্ডে ডলার অথবা টাকা লোড করতে পারবেন।

২। এবার আসা যাক ডলার রিচার্জ করবেন কিভাবে? ডলার অথবা টাকা লোড করার জন্য একটি স্লিপ রয়েছে। স্লিপটির ২ টি অংশ: USD এবং BDT, ডলার লোড করার জন্য শুধুমাত্র USD অংশটি পূরণ করতে হবে। আপনি জমা স্লিপে প্রথমে আপনার নাম লিখবেন একাউন্ট নাম্বারের যায়গাটি খালি রাখবেন। কার্ড নাম্বারের যায়গায় আপনি কার্ডের পুরো নাম্বারটি লিখবেন। কারেন্সি র যায়গায় USD এবং BDT ২টা অপশন থাকবে। আপনি USD সিলেক্ট / টিক মার্ক দিবেন।

৩। এবার জমা দেয়ার পালা, জমা দেয়ার সময় ক্যাশ কাউন্টারে যিনি থাকবেন তিনি আপনাকে কনফার্ম করবেন যে আপনি ডলার পার্টে টাকা জমা দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সার্কভুক্ত দেশে সর্বোচ্চ ৫০০০ USD এবং নন সার্ক দেশগুলোতে সর্বোচ্চ ৭০০০ USD এনডোর্স করতে পারবেন। কম করলেও সমস্যা নেই পরে বাড়ানো যাবে।

৪। আপনি ব্যাংকের কাউন্টারে থাকা অফিসারের কাছে ওইদিনের ডলার রেট সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন যে ডলার রেট উঠানামা করে। তাই ঐদিনের ডলার রেট ব্যাংক আপনাকে কত টাকা জমা দিলে কত ডলার দিবে সেটা জেনে নিন। তবে ডলার রেট খুব বেশি ওঠানামা করে না। ৮০ টাকা এর আশেপাশেই রেট থাকে। যেমন আজকরে ডলার রেট ১ ডলার = ৮৩.১৯টাকা। ফর্মের সাথে ঐ দিনের ডলার রেট অনুসারে সমপরিমাণ টাকা জমা দিন।

৫। এবার ব্যাংকের সব কাজ শেষ। পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স হতে ২/১ দিন সময় লাগতে পারে। তবে ট্রানজেকশন শুরু করার আগে অবশ্যই একবার কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে আপনার একাউন্টের ফরেন পার্ট ওপেন করে নিবেন। এটা হয়ে গেলে আপনি ট্রানজেকেশন শুরু করতে পারবেন।

এন্ডোর্সমেন্ট লিমিট(১ বছরে সর্বোচ্চ):

সার্ক: ৫০০০ USD

নন সার্ক: ৭০০০ USD

অর্থাৎ এই কার্ড ব্যবহার করে এর চেয়ে বেশি একবছরে খরচ করতে পারবেন না। একবছর পরে আবার এন্ডোর্স করতে হবে। চাইলে এর কমও এন্ডোর্স করতে পারেন। এন্ডোর্স করা মানেই এতো টাকা অবশ্যই এক বছরে খরচ করতে হবে এমন নয়। বার বার এন্ডোর্স করার ঝামেলা এড়াতে চাইলে প্রথমেই সর্বোচ্চ(সার্ক: ৫০০০ USD, নন সার্ক: ৭০০০ USD) পরিমান এন্ডোর্স করিয়ে রাখতে পারেন।
EBL Aqua Card কার্ডটির সুবিধাদি বা এটি দিয়ে কি কি করতে পারবেন
কার্ডটিতে আপনি ডুয়েল কারেন্সি রাখতে পারবেন (USD, BDT)। USD ব্যবহারের জন্য পাসপোর্ট এর মাধেমে ডলার এন্ড্রোসমেন্ট বাধ্যতামূলক।

১। কোন ব্যাংক একাউন্ট না খুলেই কার্ডটি করা যায়।

২। কার্ডটির ফি ৫০০ টাকা ভ্যাট সহ ৫৭৫ টাকা যা তিন বছরের জন্য। কার্ডের মেয়াদ তিন বছর। মেয়াদ শেষ হলে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এই তিন বছরের জন্য আর কোন বাৎসরিক ফী নেই।

৩। প্রতিটি লেনদেনের সময় মোবাইলে এসএমএস এলার্ট সুবিধা।

৪। দেশের বাইরে ভ্রমনে গেলে কার্ডটি দিয়ে আপনি যেকোন কিছু ক্রয় কিংবা যেকোন সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন।

৫। দেশে কিংবা দেশের বাইরের যেকোন অনলাইন ই-কমার্স সাইট হতে পন্য/ সার্ভিস ক্রয় করতে পারবেন। আলিএক্সপ্রেস থেকে কেনাকাটা,  দেশে বিদেশে যে কোন ধরনের অনলাইন লেনদেন করা যায়। কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটা করার জন্য ব্যাংকে অনলাইন ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে।

৬। কার্ডে ডলার লোড করতে কোন ফি দিতে হয়না।

৭। কোন চার্জ ছাড়াই ইবিল এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়

৮। যেকোন মাস্টারকার্ড চিহ্নিত এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলন করা যাবে। যার চার্জ ২ ডলার কিংবা ১% (যেটি বেশি হয় তা প্রযোজ্য হবে)

৯। ভ্রমনকারীদের জন্য একটি সুবিধাজনক কার্ড এটি।

১০। অনলাইনে প্রোডাক্ট ও সফটওয়্যার পারচেজ করতে পারবেন ৩০০ ডলার পর্যন্ত ও হোটেল বুকিংও দিতে পারবেন অনলাইনে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফী প্রদান করাও সম্ভব এটার মাধ্যমে। তবে এটা দিয়ে ফ্লাইট পারচেজ করা যাবে না যদি সেটার মূল্যমান ১০০ ডলার এর চেয়ে বেশি হয়। ১০০ ডলার এর চেয়ে বেশি কেনাকাটায় ব্যাংকে জমা দিতে হবে অনলাইন ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম।

১১। ফেসবুক এ অ্যাড দেয়ার সহজ মাধ্যম এটি।
একোয়া প্রিপেইড মাস্টারকার্ড করতে যেসব ডকুমেন্টস লাগবে
১। কার্ড ফি ৫০০টাকা, ভ্যাট ৭৫টাকা (মোট- ৫৭৫টাকা) ভ্যাটসহ ৩ বছরের জন্য।

২। ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গীন ছবি।

৩। ন্যাশনাল আইডিকার্ড এর ফটোকপি। (অরিজিনাল কপি সাথে নিতে হবে)

৪। কার্ডে USD ব্যবহারের জন্য অবশ্যই পাসপোর্ট দরকার হবে। পাসপোর্ট ছাড়াও কার্ড করতে পারবেন কিন্তু  পাসপোর্ট ছাড়া আপনি শুধু এই কার্ডটি দিয়ে বাংলাদেশী কারেন্সি বা টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। যদি USD ব্যবহার করতে চান তবে অবশ্যই উপরোক্ত ডকুমেন্ট গুলোর সাথে আপনার পার্সপোটটি নিয়ে যাবেন এবং পাসপোর্টটি এন্ড্রোসমেন্ট করাবেন ডলার ব্যবহারের জন্য।
কার্ডটি ব্যবহারে সতর্কতা ও টিপস
আপনার কার্ডের পিন নাম্বার সর্বদা গোপন রাখুন। ই-কমার্স সাইটে কার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। গুগল, ফেইসবুক, আমাজন, আলী-এক্সপ্রেস্ সহ শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সাইটেই কার্ড ব্যবহার করুন। SSL ব্যতীত সাইটগুলোতে কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন অর্থাৎ https ছাড়া ওয়েবসাইটগুলোতে কার্ড ব্যবহার করবেন না। কার্ডের সাথে দেয়া কাগজে পিন নাম্বার, কার্ডের Expire Date, কার্ডের পিছনের cvv code গুলো কাউকে প্রকাশ করবেন না।

বিদেশে গিয়ে ATM থেকে টাকা তোলার সময় সেভিংস অপশন ব্যবহার করলে টাকা আসবে না। ব্যবহার করতে হবে ক্রেডিট অপশন।

বিদেশে গেলে আপনি শপিং অথবা ATM এ সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু অনলাইনে কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন না যদি না আপনি যে নাম্বার ব্যবহার করে কার্ডটি নিয়েছেন, ঐটিতে রোমিং সুবিধা চালু থাকে। কারণ অনলাইনে পেমেন্ট দিতে গেলে আপনার মোবাইলে OTP পাঠাবে। আর ঐ OTP ছাড়া অনলাইনে বিল পেমেন্ট বা কেনাকাটা করা যাবে না।
EBL Aqua MasterCard নিয়ে কিছু প্রশ্ন-উত্তর
পাসপোর্ট ছাড়া কি কার্ড করা যাবে?
হ্যাঁ পারবেন তবে আপনি কার্ডটি দিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশী টাকা লেনদেন করতে পারবেন। কিন্তু সেই কার্ড দিয়ে কোন ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট বা অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেননা। এক্ষেত্রে পাসপোর্টে ডলার এন্ডোর্সমেন্ট টা বাধ্যতামূলক। তাই আপনাকে অবশ্যই ব্যাংকে গিয়ে ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করিয়ে নিতে হবে। এর আগে আপনি বাংলাদেশের যেকোনো কাজ করতে পারবেন। কিন্ত USD পার্টে কোনো লেনদেন করতে পারবেন না।

কার্ডটি নিতে কত টাকা লাগবে এবং বাৎসরিক সার্ভিস চার্জ কত?

কার্ড ফি ৫০০টাকা, ভ্যাট ৭৫টাকা (মোট- ৫৭৫টাকা) ভ্যাটসহ ৩ বছরের জন্য। এসএমএস চার্জ প্রযোজ্য যা বছরে ২০০ টাকা মত।
এই  মাস্টার কার্ডের মেয়াদ কতদিন?
সব ধরনের মাস্টার কার্ডের মতই এই কার্ডের মেয়াদ ৩ বছর। মেয়াদ শেষ হলে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

কার্ডের ব্যালেন্স জানবেন কিভাবে?

এই কার্ডের জন্য কোন সিস্টেম নেই যেখানে আপনি নিজে নিজেিঅ্যাকাউন্টের ডলারের ব্যালেন্স দেখতে পারবেন। কার্ডে কত ডলার আছে বা ব্যালেন্স জানার জন্য Eastern Bank Limited এর কাস্টমার কেয়ার ১৬২৩০ নাম্বারে ফোন করতে হবে। কিংবা ফেইসবুকে থাকা ইবিএল এর স্মার্ট এসিসটেন্ট https://www.facebook.com/ebldia/ ইবিএল ডিয়া (EBL DIA) কে ফেইসবুকে ম্যাসেজ করে জেনে নিতে পারেন ফ্রি তে। যদিও তা বাংলাদেশে থাকা অবস্থাতেই। আর স্ট্যাটমেন্ট জানারও সরাসরি কোন সুযোগ নেই।

কাস্টোমার কেয়ারে ফোন করলে তারা আপনাকে মেইল করবে। প্রতি বার স্ট্যাটমেন্ট মেইল করার জন্য ৫০ টাকা একাউন্ট থেকে কেটে নিবে। তাছাড়া প্রতিটি লেনদেনের পর কার্ডের সর্বশেষ ব্যালান্স আপডেট সহ আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ পাঠানো হবে।
প্রতি ডলার কত টাকা দিয়ে লোড করতে হবে?
এটি প্রতিদিন আপডেট হয়। ইবিএল এর ওয়েবসাইট থেকে আপনি দেখে নিতে পারেন ওখানে বর্তমান ডলার মূল্য লিখা থাকবে। আপনি যেদিন লোড করবেন সেইদিনের ডলার মূল্য অনুযায়ী আপনার জমা দেয়া টাকা ডলারে কনভার্ট হবে।
মিনিমাম কত ডলার ডিপোসিট করতে হবে?
এটার কোনো নিদৃষ্ট লিমিট নেই। আপনি সর্বনিম্ন ১ ডলার ও ডিপোজিট করতে পারেন।

কার্ডটিতে আমি সর্বোচ্চ কত ডলার লোড এবং খরচ করতে পারব?

বছরে সার্কভুক্ত দেশের জন্য ৫, ০০০ ডলার এবং নন-সার্কভূক্ত দেশের জন্য ৭, ০০০ ডলার আপনি লোড ও খরচ করতে পারবেন। তবে আপনার পাসপোর্ট এ কার্ড নেয়ার সময় অফিসার যে পরিমান ডলার অ্যান্ড্রোসমেন্ট করার সিল দিবেন সে পরিমান-ই ব্যবহার করতে পারবেন। তাই ১ম বারেই বেশি করে করে রাখুন। কারণ ধরুন অফিসার আপনার পাসপোর্টটিতে ৫০০ ডলারের জন্য সিল দিলেন তাহলে ৫০০ ডলার খরচ করার পর আপনি আর কোন ডলার লোড করতে পারবেন না আবার ব্যাংকে গিয়ে অ্যান্ড্রোসমেন্ট করাতে হবে।

অ্যান্ড্রাসমেন্ট মানেটা বুঝলাম না?

অ্যান্ড্রোসমেন্ট টা হচ্ছে আপনাকে বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) ব্যবহারের অনুমতি যেটি কার্ড নেয়ার সময় অফিসার আপনার পাসপোর্টটির পেছনের দিকের একটি পেইজে সিল দিবেন।

একসাথে সর্বোচ্চ কত ডলার পেমেন্ট করা যাবে?

আপনি একসাথে ১০০ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে এর বেশি ৩০০ডলার পর্যন্ত ও করা যাবে। সেক্ষেত্রে কি কারনে পেমেন্ট করছেন তা ব্যাংক কে লিখিত আকারে জানাতে হবে।

এই কার্ড পেতে কি আমার Eastern Bank এ একাউন্ট থাকতে হবে?

না, একাউন্ট থাকার প্রয়োজন নেই।

এই কার্ডে কি BDT (বাংলাদেশী টাকা) রাখা যায়? USD & BDT কি একসাথে রাখা যায়?

হ্যা, BDT রাখা যায়। USD & BDT ও একসাথে রাখা যায়।

কার্ড ব্যবহার করে কি আমি ATM থেকে টাকা তুলতে পারবো?

হ্যা, Eastern Bank Limited এর সকল ATM সহ Master Card এর লোগো সম্বলিত সব ব্যাংকের ATM থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

এটা কি বিদেশে ব্যবহার করা যাবে?

হ্যা, বিদেশে কোনো কিছু কেনাকাটা করা সহ যেকোনো দেশের Master Card এর লোগো সম্বলিত সব ধরনের ATM থেকে সেই দেশের কারেন্সির টাকা তুলতে পারবেন। এবং এর মাধ্যমে আপনি মাস্টার কার্ড লোগো সম্বলিত যেকোনো স্খানে পেমেন্ট করতে পারবেন। বিদেশে ঘুরাঘুরি করতে গেলে সাথে করে নিয়ে যাওয়া যায়।

ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলে বিজ্ঞাপণ দেয়া যাবে?

হ্যা, ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলে বিজ্ঞাপণ দেয়া যাবে।

এই কার্ড দিয়ে কি গুগল এডসেন্স থেকে বা ফাইবার এর টাকা এই কার্ডে আনা যাবে?

না, এটা দিয়ে এডসেন্স বা ফাইবার এর মত কোথাও থেকে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন না।

অনলাইন থেকে সব ধরনের কেটাকাটা করা যাবে?

এডাল্ট ওয়েবসাইট, ফরেক্স এবং অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া) ছাড়া সব জায়গায় পেমেন্ট করা যাবে।
এই কার্ড কি পেওনিয়ার, নেটেলার বা স্ক্রিলের একাউন্টে এড করা যাবে? অর্থাৎ স্ক্রিল বা নেটেলার থেকে ইউএসডি ডলার উইথড্র করে একুয়া মাস্টার কার্ডে আনতে পারবো? এবং সে টাকা ব্যাংক বা এটিএম থেকে তুলতে পারবো?
না, এটার মাধ্যমে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন। কিন্তু ক্যাশ ইন (একাউন্টে টাকা/ডলার জাম) করতে হলে আপনাকে EBL এর মাধ্যমেই করতে হবে। ব্যাংকে আমরা যেভাবে টাকা জমা দেই ঠিক সেভাবেই টাকা জমা দিবেন, শুধু পেমেন্ট করার সময় উল্লেখ করে দিবেন যে আপনি USD পার্টে টাকাটা জমা দিচ্ছেন।

এই কার্ড দিয়ে কি বিদেশ যেমন ভারতে গিয়ে টাকা তুলতে পারবো?

হ্যা, পারবেন।

এই কার্ডের মাধ্যমে কি বিদেশ থেকে টাকা আনতে পারবো?

না, এটার মাধ্যমে বিদেশ থেকে বা কোন মার্কেটপ্লেস থেকে অনলাইন পেমেন্টের টাকা আনতে পারবেন না।

এই কার্ড দিয়ে কি ফেসবুক পেইজ প্রোমোট বা বুস্ট করা যাবে?

অবশ্যই পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার কার্ডটি ডুয়েল-কারেন্সির হতে হবে। এককথায় ডলার অ্যান্ড্রোসমেন্ট ও ই-কমার্স এনরোলমেন্ট করার থাকলে আপনি ইন্টারন্যাশনাল যেকোন সাইটে ব্যবহার করতে পারবেন।

এই লিখাটিতে কার্ড সম্পর্কিত যথাসম্ভব সবগুলা তথ্য ও প্রশ্নের উত্তর দেয়া চেষ্টা করা হয়েছে। লিখাটি তথ্যগুলো পরিবর্তন হলে তা আপনারা ইবিএল এর সাইটে বিস্তারিত তথ্য ও কোন প্রকার পরিবর্তন থাকলে তা এই https://www.ebl.com.bd/home/mastercard_aqua_prepaid_card লিঙ্কটি থেকে জেনে নিতে পারেন। পোষ্টটি আপনার ভাল লাগে তবে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ইবিএল একুয়া মাস্টার কার্ড সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্ট করতে পারেন।

 

এই টিউনটি প্রথমে এখানে প্রকাশিত হয়েছিল

Level 0

আমি সুমন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস