প্রত্যেক ব্লগারের জানা উচিত Dropbox এর পাচঁটি অসাধারণ ব্যবহার

Dropbox একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফাইল স্টোরেজ এবং শেয়ারিং ওয়েবসাইট। ড্রুপবক্স ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদেরকে ফাইল সিক্রোনাইজেশন পদ্ধতিতে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাথে ফাইল শেয়ারিং এর সুবিধা প্রদান করে থাকে। ওয়েব বেসড এই টুলটি দিয়ে নানা রকম কাজ করা যায়। গান শোনা থেকে শুরু করে আরো নানাবিধ কাজ করা যায়।

ব্যক্তিগতভাবে গুগলে বিভিন্ন বিষয়ে গুগল করার সময় অনেক বার ড্রুপবক্সের বিভিন্ন সার্চ রেজাল্ট দেখেছি। অনাগ্রহতার কারণে কখনও ঠিক মত পরখ করে দেখা হয়নি। কিছুদিন পূর্বে এক বন্ধুর নিকট হতে বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করার জন্য ড্রুপবক্সে রেজিস্ট্রেশন করি। তারপর থেকেই শুরু করি ড্রুপবক্সের ময়নাতদন্ত।

এই লেখাটিতে ড্রুপবক্সের এমন কিছু চমৎকার সুবিধার কথা তুলে ধরব যা জানা প্রত্যেকটি ব্লগারের কর্তব্য বটে 😉 ।

#১- ড্রুপবক্সকে ব্যবহার করুন কনটেন্ট ডেলিভারী নেটওয়ার্ক(CDN) হিসেবে

CDN সম্পর্কে সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সিডিএন এ যুক্ত হয়ে ওয়েবসাইটের স্পিডকে প্রচুর ইম্প্রুভ করা যায়। সিডিএন পদ্ধতিতে মূলত ডাটাগুলোকে বিভিন্ন নেটওয়ার্কে প্লেস করা হয়। কোন ভিজিটর যখন ডাটা রিকোয়েস্ট পাঠায় তখন বিভিন্ন নেটওয়ার্কে রিকোয়েস্ট পূরণ করা হয়।

Dropbox CDN প্লাগিনটি ব্যবহার করে ড্রুপবক্সের “Public” ফোল্ডারটিকে ফ্রী সিডিএন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। প্লাগিনটি দিয়ে সাইটের যাবতীয় CSS,জাভাস্ক্রিপ্ট, ইমেজগুলোকে পাবলিক ফোল্ডারে আপলোডের সুবিধা দেয় এবং ফাইলগুলো ড্রুপবক্স নেটওয়ার্কের সার্ভারে আপলোড হয়। এর ফলে ব্যান্ডউইথ অনেক কমে আসে এবং সাইট বেশ দ্রুত হয়।

বিস্তারিত টিউটোরিয়াল পাবেন- এখানে

#২- ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের ব্যাকআপ নেওয়া

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের অস্তিত্ব রক্ষার্থে ব্যাকআপ অতিব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোন বিপদে ব্লগের কনটেন্টসমূহ উধাও হয়ে গেলে ব্যাকআপই তখন শেষ সম্বল। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডিরেক্টরীতে অনেক ব্যাকআপ প্লাগিন পাওয়া যায়।

WP Time Machine ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের সকল ডাটা ও ফাইলের আর্কাইভ তৈরী করে এবং সেগুলোকে ড্রুপবক্সে আপলোড করে। প্লাগিনটি ডাটা ও ফাইল ব্যবহারকারীর Amazon’s S3 বা এফটিপি হোস্টেও স্টোর করে রাখে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের ডাটাবেজ,প্লাগিন,থিম ফাইলগুলোকে ওয়ার্ডপ্রেস ফোল্ডারে আপলোড করে। শুধুমাত্র একতি নির্দিষ্ট পেজ থেকে আপনার ড্রুপবক্সের যাবতীয় তথ্যাদি প্রবেশ করিয়ে ইন্টার চাপুন এবং মজা দেখুন।

বিস্তারিত টিউটোরিয়াল পাবেন- এখানে।

#৩- ড্রুপবক্সকে ব্যবহার করুন নিজের ওয়েব ডোমেইন দিয়ে

প্রতিটি ড্রুপবক্স একাউন্টে একটি করে গুরুত্বপূর্ণ “Public” ফোল্ডার থাকে। সাধারণত অন্য কারোও সাথে কোন ডকুমেন্ট,ইমেজ বা ফাইল শেয়ার করার জন্য এই ফোল্ডারে সেগুলো আপলোড করা হয়। ড্রুপবক্সের একটি ডিফল্ট ইউআরএল থাকে যেটিকে পারসোনালাইজ করে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং করা যায়, ডাউনলোড ট্র্যাক করা যায়।

ডিফল্ট ড্রুপবক্স ইউআরএল

http://dl.dropbox.com/u/ID/folder/pbdemo.txt

পারসোনালাইড ইউআরএল

http://files.probarta.com/folder/pbdemo.txt

বিস্তারিত টিউটোরিয়াল পাবেন- এখানে।

#৪- নিজের ওয়েবসাইট তৈরী করুন

ওয়েবসাইট তৈরী করার ক্ষেত্রে ড্রুপবক্স একটি সহজ মাধ্যমরুপে ব্যবহার করা যেতে পারে। ড্রুপবক্স ব্যবহার করে সহজেই একটি হোস্টিং প্রোভাইডারের ব্যবস্থা করা যায়। এর জন্য কোন সার্ভারের প্রয়োজন পড়বে না। ড্রুপবক্সের সার্ভারে ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আপলোড করে দিলেই ওয়েবসাইট তৈরী হয়ে যাবে। যদিও কিছু লিমিটেশন আছে। ড্রুপবক্স শুধুমাত্র ক্লাইন্ট সাইড স্ক্রিপ্ট এবং এইচটিএমএল রান করতে পারে। ড্রুপবক্স সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টগুলো রান করতে অসমর্থ।

  • ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য পাবলিক ফোল্ডারে একটি নতুন ফোল্ডার তৈরী করুন।
  • ওয়েবসাইটের যাবতীয় কনটেন্ট আপলোড করুন।
  • হোমপেজে ক্লিক করুন।(সাধারণ এটি home.html অথবা index.html হতে পারে।)

বিস্তারিত টিউটোরিয়াল পাবেন- এখানে।

#৫- নিজস্ব উইকি তৈরী করুন

TiddlyWiki এবং ড্রুপবক্স দিয়ে খুব সহজেই নিজস্ব উইকি সেটআপ দেওয়া সম্ভব। এটি ব্যবহার করা অনেক সহজ এবং যেকোন কিছু করা সম্ভব।

TiddlyWiki অত্যন্ত ফ্লেক্সিবল একটি প্রোগ্রাম এবং নিজের প্রয়োজনমত অনেক কিছুই এতে আছে। কোন উইকি প্রোগ্রাম কেনার আগে অন্তত TiddlyWiki ফ্রীতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করে দেখুন।

বিস্তারিত টিউটোরিয়াল পাবেন- এখানে।

ড্রুপবক্স সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য-

  • ড্রুপবক্সে রেজিস্ট্রেশন করলে ২ জিবি ফ্রী স্টোরেজ পাওয়া যায়।
  • রেফারেলের মাধ্যমে কাউকে রেজিস্ট্রেশনের করালে ২৫০ এমবি অতিরিক্ত স্টোরেজ পাওয়া যায়। এভাবে ৮ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানো যায়। ( অনেকে রেফারেল সিস্টেম দেখে ড্রুপবক্সকে ফালতু বলে। কিন্তু বাস্তবে ড্রুপবক্স চমৎকার কাজ করে।)
  • উইন্ডোজ,ম্যাক,লিনাক্স,আইপ্যাড,আইফোন,অ্যান্ড্রয়েড,ব্ল্যাকবেরী প্লাটফরমে ড্রুপবক্স ব্যবহার করা যায়।
  • ফটোগ্যালারী তৈরী করা সম্ভব।

ড্রুপবক্স সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন- এখান থেকে।

মন্তব্য করতে ভুলবেন না।

লেখাটি পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে - প্রযুক্তি বার্তায়.

Level 0

আমি খালিদ হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 66 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

অবসরের একমাত্র সঙ্গী ইন্টারনেট। সময় পেলে বসে পড়ি প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ব্লগ পড়তে। মাঝে মধ্যে নিজেই শুরু করে দেই ব্লগিং। ব্লগ পড়া ও লেখা দুটোই নেশার মত হয়ে গেছে। আমার সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে ঢুঁ মারুন ফেসবুকে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ড্রপবক্সের তো দেখি অনেক সুবিধা।

    ব্যবহার করে দেখুন!! নিরাশ করবেনা আপনাকে! 🙂 ধন্যবাদ

Nice

অনেক কিছু জানলাম

জানাতে পেরে খুশি হলাম 😀

Level 0

thanks