ইভিএম এর ১০টি অসুবিধা প্রয়োজন

ইলেকট্রনিক্স

আমাকে কেউ কি ইভিএম এর ১০টি অসুবিধার কথা জানাতে পারেন? খুবই উপকার হতো


দেখা
17,586
উত্তর
1
5 বছর 7 মাস আগে

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ হয় রায়ান্স নিউ্জ-এ। সেখান থেকে চারটি প্রদান সমস্যাসহ ১০টি সমস্যার কথা উল্লেখ করা হলো-

১. প্রোগ্রাম পুশিং: নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলীয় লোক ঢুকে কেউ যদি প্রতিটি কেন্দ্রে মেশিনে এ তাদের তৈরি করা এমন প্রোগ্রাম ইনস্টল করে দেন যে, নির্বাচন শেষে ক্লোজ বাটনে ক্লিক করলেই যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট কোনো প্রতীকে অতিরিক্ত ৩০০/৪০০ ভোট যুক্ত হবে তাহলে সহজেই নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়া সম্ভব।

২. মাইক্রো কন্ট্রোলিং: এ প্রক্রিয়ায় মাইক্রোকন্ট্রোলারের প্রোগ্রাম পরিবর্তন করে কেন্দ্রের সকল প্রার্থী একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পাবার পর যে কোন ব্যালট বাটনে চাপলেই অতিরিক্ত ভোট দখলকারী প্রার্থীর প্রতীকে যুক্ত হবে, এমন প্রোগ্রামও রাইট করেও ডিজিটাল ব্যালট ম্যানিপুলেট করা সম্ভব।

৩. নকল স্মার্টকার্ড: নির্বাচনী কর্মকর্তার স্মার্ট কার্ডের নকল করা সম্ভব হলে তা দিয়ে দলীয় প্রার্থী ইচ্ছেমত ভোট কাস্ট করে নিতে পারবে।

৪. গোপন ইভিএম সরবরাহ: প্রভাবশালীরা কেন্দ্র দখল করে সহজেই তাদের অগ্রিম ভোট দেয়া ইভিএম ভোটকেন্দ্রে সরবরাহ করে কন্ট্রোল ইউনিট প্রতিস্থাপন করে ভোটসংখ্যার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

এছাড়া ইভিএম এর আরও কয়েকটি দুর্বলতা হলো-
৫. মাইক্রোকন্ট্রোলার চিপ নিয়ন্ত্রিত এই ইভিএমের প্রতিটি স্মার্ট কার্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) ট্যাগ।
৬. ২০১২ সালে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন, এটা ‘টেম্পার প্রুফ’ (জালিয়াতি নিরোধক) নয়।
৭. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেন আডিডা, মাইক্রোসফট গবেষক ড. জোশ বেনালো ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাট ব্লেইজ বলেন, ‘ইভিএম তৈরির পর নতুন ধরনের নিরাপত্তা হামলার বিষয় জানা গেছে ও ইভিএমের নিরাপত্তার বিষয়টি পুরনো হয়ে গেছে। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী ফলাফলের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও যাচাইযোগ্যতা ভারতীয় ইভিএম দিতে পারে না।’
৮. বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যাবার ঘটনা ছিল ব্যাপক সমালোচিত।
৯. জার্মানরা ২০০৫ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইভিএম ব্যবহার করলেও সমালোচনার মুখে তা বন্ধ করে। সেখানে গণনা পর্যায়ে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল।
১০. আয়ারল্যান্ডও ২০০২-২০০৪ সালে ইভিএম ব্যবহারের পরে বিতর্কের মুখে দুটি কমিশন করে এবং তারাও দেখতে পায় যে, ‘ওই ডাচ যন্ত্র বিশ্বস্ত নয়। প্রযুক্তিগত রক্ষাকবচ অপ্রতুল। কোনো একটিমাত্র সংস্থার দ্বারা ভোটদান থেকে গণনা ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত প্রক্রিয়া যাচাই করা সম্ভব নয়।

ইভিএম নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- ryans.id/news-online-ec6e0