সাকসেসফুল বিজনেস মোবাইল অ্যাপ্লিকেশানের কিছু পরামর্শ

বিভিন্ন শিল্পখাতে গতিশীলতা বাড়ছেই, তাই মোবাইল অ্যাপ ডেভেলমেন্ট এর প্রয়োজনীয়তাও দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি অনেকগুলো কোম্পানি অ্যাপ সিস্টেম গ্রহন করেছে কারন একটি অ্যাপ এর মাধ্যমে কোম্পানির সকল আপডেট একসাথে পাওয়া যায়। ছোট, বড় উদ্যোগতারা তাদের ব্যবসায়ের ধরন ও আকার বুঝে অ্যাপ তৈরি করছে যা গ্রাহকদের যে কোন কাজে, স্মার্টফোনে ব্যবহারের প্রবতনাকে তাদের পক্ষে আনতে।

অব্যশই মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার, ওয়েবসাইটের থেকে শক্তিশালী কারন বিশ্বজুরে মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। এর মাধ্যমে সারাবিশ্বের সকল ওয়েবসাইডকে একই স্কিনে এবং অল্প সময়ে রিভিউ করার পাশাপাশি, কোনটা জিনিসটা বিজনেসের জন্য উপযোগী তাহ সহজেই অনুমান করা যায়। সম্প্রতিক এক গবেষণায় অনুযায়ী, একজন স্মার্টফোন ব্যবহারি গড়ে ৮০% টাইম মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে। তাই একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ও আপডেটেড ফিচার সম্বলিত অ্যাপ আপনার বিজনেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে অনেকদূর।

মোবাইল অ্যাপ ডোমইন বাড়ানোরক্ষেতে প্রতিযোগিতা বেড়েই চলছে। ছোট থেকে শুরু করে বড়, সকল প্রতিষ্ঠানগুলোই মোবাইল অ্যাপ তৈরি করছে তাই মোবাইম অ্যাপ বানানোর জন্য কিছু বেসিক ধারনা মাথায় রাখতে হবে। অব্যশই আপনার অ্যাপটি হতে হবে ইউজার ফ্রেন্ডলি, যা ধারনা দিবে ইউজারের এক্সপেকটেশন, ডিমান এবং ইউজারদের প্রশ্ন নিয়ে। আপনার টারগেটেড ইউজারদের ডিমান মাথায় রেখে অ্যাপ তৈরি করতে হবে। এটি আপনার টারগেটেড
ইউজারদের কমফোটেবল ফিল করানোর পাশাপাশি বিজনেস প্রচার ও প্রসারে সাহায্য করবে।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার সিলেক্ট করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কন্সিডারেশনে রাখতে হবে।

প্ল্যাটফম সিলেকশন

একটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য প্ল্যাটফম সিলেক্ট করাটা জরুরি ২টি কারনে-

  • টারগেটেড অডিয়েন্সকে ফোকাস করা
  • ব্যবসার প্রসার ঘটানো

এখন আপনি যদি US based অডিয়েন্সদেরকে ্টারগেট করতেহ চান তাহলে IOS App ডেভেলপ করাটা উপযোগী কিন্তু আপনি যদি আপনার বিজিনেসটাকে ওয়ান্ড ওয়াইড এক্সপেন্ড করতে চান তাহলে Android app develop করাটা অধিক উপযোগী কারন স্মার্টফোন মার্কেটের ৮০% শেয়ার হোল্ডার হল Android OS domains.

প্ল্যাটফম সিলেকশনের আগে বিজনেস অ্যাপ এর রোডমেপ নিতে ভাবতে হবে পাশাপাশি রিচাজ করতে হবে বর্তমান মার্কেটের ট্রেন্ড, কাস্টমারের চাহিদা, রুচি ও আপনার অন্য প্রতিযোগীর একটিভিটি।

এই রিচাজ ওয়াকের রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে, আপনার বিজনেসের উদ্দেশ্য, সুযোগ ও ফিচারগুল নিয়ে কাজ করতে হবে যাতে ইউজাররা আপনার বিজনেস নিয়ে ক্লিয়ার ধারনা পায়। এক্ষতে আপনি OS এর কথা ভাবতে পারেন যাহ আপনার অ্যাপ রিলেটেড রেকুয়ারমেন্টগুলোকে ফুলফিল করবে।

প্ল্যাটফম সিলেকশন করার পরে আপনি একটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিতে পারেন যারা ইউজার ফ্রেন্ডলি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করবে যার একটি ক্লিকে আপনার বিজনেস রিলেটেড সকল আপডেট চলে আসবে মোবাইল স্ক্রিনে।

ডেভেলপার নিয়োগের ক্ষেত্রে করনীয়

এই ধাপে আপনাকে রিলায়েবল মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করতে হবে। কন্সাল্টেশন ফী এর পাশাপাশি কোয়ালিটি সেবা পাওয়ার জন্য নিচের টিপস গুলো অনুসরুন করুন

  • আপনার পরিচিত যারা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করেছেন তাদের পরামর্শ নিন
  • অনলাইন ভিজিটে পাওয়া ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলার নাম লিস্ট করুন।
  • এখন তাদের অনলাইন পোটফলিও বা সরাসরি অফিস ভিজিট করুন।

ডেভেলপার সিলেকশনের পর তাদের সাথে রিচাজ ওয়াক, এক্সপেকটেশন, মডেল সিলেকশন ও আপনার তৈরি করা রোডমেপ নিয়ে কথা বলুন কারন আপনি আপনার গ্রাহকদের সবচেয়ে ভালমত চিনেন। ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সাজেশন থাকতে পারে, তাই তাদের সাথে সরাসরি বা মেইলে কানেক্টেড থাকুন।

ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার আগে ‘রোডমেপ’ তৈরি করা আপনাকে একটি সাক্সেস্ফুল মোবাইল অ্যাপলিকেশন সম্পর্কে ধারনা দেয়ার পাশাপাশি বাজেট সম্পর্কেও ধারনা দিবে।

বাজেট নির্ধারণ

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের খরচ নির্ভর করে অনেক গুলো বিষয়ের উপর যেমন ফিচার ইন্ট্রিগেশন, অ্যাপ সংক্রান্ত জটিলতা, ডেভেলপারদের আওয়ারলি কনসালটেশন ফী। অ্যাপ ডেভেলপারদের প্রতিঘন্টার কাজ কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ আর তার উপর কেমন ফী হতে পারে, তা জানাটাও জরুরি।

ডেভেলপারদের আওয়ারলি ফী, একেক দেশে একেক রকম। যেমন US বেইসড অ্যাপ ডেভেলপারদের কনসালটেশন ফী সবচেয়ে বেশি। ইন্ডিয়াসহ এশিয়া উপমহাদেশর অ্যাপ ডেভেলপারদের আওয়ারলি কনসালটেশন ফী অনেক কম এবং তারা ভালোমানের অ্যাপ তৈরি করে থাকেন।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের পাসাপাশি অ্যাপ মারকেটিং বাজেট ও মেইন্টেন্স বাজেট নিয়েও ভাবতে হবে। আপনি যদি ইউজার ফ্রেন্ডলি, উন্নতমানের ফিচার সম্বলিত মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে চান তাহলে ইন্ডিয়ান ডেভেলপার আপনার জন্য বেস্ট সুলিউশন।

অ্যাপ মাকেটিং

বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতায়, অ্যাপকে প্রমোট করাটা খুবি জরুরি এবং এটা লাউঞ্চিং এর আগে ও পরে। অ্যাপ মাকেটিং ক্যাম্পেইন করতে হবে কারন জতবেশি সাধারন ইউজার ও আপনার টারগেটেড অডিয়েন্স আপনার বিজনেস অ্যাপ নিয়ে জানবে তোতবেশি প্রমোট হবে, অ্যাপটির ডাউনলোড বাড়বে এবং বিজনেসের প্রশার হবে।

এর পাশাপাশি প্রাথমিক ইউজারদের মতামত, মূল্যবান সাজেশন অনুযায়ী, আপনি অ্যাপ এর UI, UX ডিজাইন ইম্প্রুভ করতে পারবেন যেটা অ্যাপকে আরো বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তুলবে।

এই সকল কিছুর সমন্বয়ে তৈরি আপনার অ্যাপটি, অ্যাপ স্টোরে হাই-র‍্যাংক করতে পারে যাহ আপনার প্রফিট বাঁড়াবে।

যেসব ফিচার গুলো প্রয়োজন

আপনার অ্যাপকে ক্রম বর্ধমান প্রতিযোগিতা আর পরিবর্তন এর সাথে তাল মিলাতে সক্ষম হতে হবে। একই সাথে আপনার গ্রাহক বা ইউজারদের জন্য তা প্রাসঙ্গিক হতে হবে। যদিও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব। AR, AI, IoT এর মতো প্রযুক্তি গুলো খুব দ্রুত উন্নতি করছে আর ডেভেলপারদের নতুন তৈরি করা ফিচার অ্যাপ এ যোগ করতেহ সাহায্য করছে।

এইসবের উপর ভিত্তি করে, আমারা অনেক এডভান্সড ও বাস্তবধর্মী অ্যাপ পাচ্ছি এবং আপডেটেড ইনট্রিগেশনের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের খরচও বাড়ছে।

যদি বাজেটে না হয়, তাহলে উদ্যোগতারা একই অ্যাপ এর আরও বেশি ফিচার সম্রধ্য ভার্সন গ্রহন করতে পারেন। তবে সবার থেকে এগিয়ে থাকতে হলে আপনাকে অব্যশই ওই সব ফিচার যোগ করার কথা মাথায় রাখতে হবে, যাহবে ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং যা ইউজারদের জীবনকে সহজ করে দিবে।

একটি মোবাইল অ্যাপ আপলিকেশনে ইউজার সবচেয়ে বেশি যা খুঁজে থাকেন তা হলঃ

  • লোকেশন ট্রেকিং
  • সোশাল মিডিয়া ইন্ট্রিগেশন
  • অফলাইন মুড
  • পেমেন্ট গেটওয়ে ইন্ট্রিগেশন
  • পারসোনালাইসড নটিফিকেশন
  • ভয়েস সাচ
  • আর কিছু গেমিফিকেশন

একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ও আপডেটেড ফিচার সম্বলিত অ্যাপ আপনার বিজনেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে অনেকদূর। তাই কিছু ধাপে আগাতে হবে আপনাকে। যেমন প্ল্যাটফম সিলেকশন, বাজেট, ভাল অ্যাপ ডেভেল্পার, ফিচার সিলেকশন সহ প্রমোটিং।

প্ল্যাটফম সিলেকশনের আগে রিচাজ করতে হবে বর্তমান মার্কেটের ট্রেন্ড, কাস্টমারের চাহিদা, রুচি ও আপনার অন্য প্রতিযোগিকে, খুজতে হবে বাজেট ফ্রেন্ডলি অ্যাপ ডেভ্লপারসহ মোস্ট ওয়ান্টেড ফিচার, করতে হবে অ্যাপ মার্কেটিং। যার ফলে আপনি ইউজার ফ্রেডলি মোবাইল অ্যাপ পাবেন আপনার বিজনেসের জন্য যা আপনাকে করবে সাক্সেস্ফুল কারন আপনার টারগেটেড গ্রাহকরা, আপনার বিজনেসের সকল আপডেট ইজিলি পাবে এবং আপ্নিও বেস্ট সারভিস দিতে পারবেন।

Thank for reading my article. Please click here to know more about web application, website design & development

Level 1

আমি অ্যাপলেক্ট্রাম বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

Aplectrum বাংলাদেশের সেরা ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস প্রদান কারী একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা ওয়েবসাইট ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসের সাথে জড়িত প্রায় ৫ বছর ধরে। আমরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করে থাকি এবং আমাদের তৈরি করা ওয়েবসাইট ক্লায়েন্টদের ব্যবসার অভাবনীয় প্রসার আর বিস্তার ঘটাতে সহায়তা...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস