আর কতদিন এভাবে কুসংস্কারের মধ্যে আমরা থাকব….আর কতদিন এভাবে কুসংস্কারের মধ্যে আমরা থাকব….আর কতদিন এভাবে কুসংস্কারের মধ্যে আমরা থাকব….

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

আজকে প্রথম আলোর প্রধান রিপট এটি

P-5

P-4

P-3

P-2

P-1

আড়াই মাসের যমজ শিশু দীপা-নীপার জ্বর হয়েছে। মা পুষ্পরানী তাদের নিয়ে এসেছেন এলাকায় হঠাৎ আবির্ভূত আমজাদ ফকিরের কাছে। আমজাদ দেখেই বললেন, শিশু দুটিকে ভূত-পেত্নিতে একসঙ্গে ধরেছে। ততক্ষণে পুষ্পরানী দেখলেন অন্য কয়েকটি শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শিশুদের বুকফাটা কান্না দেখে পুষ্পরানী যমজ দুই মেয়েকে নিয়ে ফকিরের আস্তানা ছেড়ে যেতে বাইরে পা বাড়ান। সঙ্গে সঙ্গে আমজাদের দুই সহযোগী মনজিল ও সুরত আলী তাঁর কোল থেকে শিশু দুটিকে ছিনিয়ে নেন। এরপর আমজাদ এগিয়ে এসে প্রথমে শিশু দুটির পা কাপড় দিয়ে বেঁধে খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেন। শিশুরা বুকফাটা কান্না শুরু করে। আমজাদের সহযোগীরা শিশুদের মাকে সরিয়ে নিয়ে যান। আধা ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখার পর পায়ের বাঁধন খুলে তাদের নামানো হয়। এরপর আমজাদ দুই হাতে দুই শিশুর পা ধরে চারদিকে চরকার মতো ঘোরাতে থাকেন। ঘোরানো শেষ হলে শিশু দুটিকে মাটিতে ফেলে প্রথমে লাথি মারতে মারতে উঠানের এ-মাথা থেকে ও-মাথা পর্যন্ত নেন আমজাদ। আতঙ্কে ও ব্যথায় চিৎকার করতে করতে প্রস্রাব করে দেয় শিশুরা। আতঙ্কিত এক শিশু আমজাদের লুঙ্গি খামচে ধরে। সবশেষে আমজাদ আড়াই মাসের শিশু দুটির পেটের ওপর উঠে দাঁড়ান। শিশুদের তখন কান্নারও শক্তি নেই। শিশুরা আবার প্রস্রাব করে দিলে ছেড়ে দেন আমজাদ। গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) এই প্রতিবেদকের সামনে ঘটে এই বর্বর ঘটনা।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খাসনগর গ্রামে দেড় মাস ধরে চলছে এই বিকৃত চিকিৎসা। রোগীদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। কথিত এই পীরের নাম আমজাদ হোসেন বেপারি। গ্রামের লোকজন বলে ফকির। আমজাদ দুই মাস আগেও ভ্যানে করে গ্রামে সবজি বিক্রি করতেন।
গত বৃহস্পতিবার শিশু দীপা-নীপার মা পুষ্পরানী প্রথম আলোকে বলেন, শিশুদের জ্বর ও কাশি হয়েছিল। ফকিরের কাছে আনার পর জ্বর আরও বেড়েছে। তিনি জানান, অনেকের কাছে খোঁজ নিয়েছি, ফকিরের চিকিৎসার পর কেউই ভালো হয়নি।
চিকিৎসার নামে আমজাদ চরম নির্যাতন করেন ছোট্ট শিশুদের। সব অসুখ তাঁর কাছে জিন-ভূতের আছর। তরুণী থেকে বয়স্ক নারী—সবাইকে তিনি মোটা বেত দিয়ে পেটান। মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকেন। পুরুষদের চিকিৎসা চড়-থাপড়-লাথি।
গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আমজাদের আস্তানা ও এলাকা ঘুরে তিন দিনে প্রায় ৪০০ জনকে এমন নির্মম নির্যাতনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে লাঠিপেটা শুরু হয়, চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। বেলা তিনটায় শুরু হয়ে সন্ধ্যায় খানিক বিরতির পর মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই বর্বরতা। দেড় মাস ধরে এ রকম চললেও বিষয়টি প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নজরে আসেনি।
আমজাদের ‘অমানবিক চিকিৎসায়’ যেকোনো রোগ ভালো হয়—লোকমুখে এমন প্রচার শুনে লোকজন সেখানে ভিড় করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রোগী সুস্থ হয়েছে, এমন খোঁজ কেউ দিতে পারেননি এই প্রতিবেদককে।
সিরাজদিখানের রাজনগর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী আশরাফ বলেন, এটা কোনো চিকিৎসা নয়, অমানবিক নির্যাতন। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা কামানোর ফন্দি। রোগীরা সবাই দরিদ্র ও নিরক্ষর। প্রশাসনের এটা বন্ধ করা দরকার।
চিকিৎসা নিয়েছেন যাঁরা: নতুন বাকতারচর গ্রাম থেকে এনামুল হক এসেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন মা জরিনাকে নিয়ে। আমজাদ দেখেই বললেন, ‘ভূত ও জিন দুটোতেই ধরেছে।’ তাঁকে আমজাদের আস্তানায় রাখা হয়। সকাল-বিকেল দুই বেলা অচেতন না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে লাঠিপেটা করেন আমজাদ। সাত দিন এই প্রহার চলবে জানিয়ে এনামুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাকে শুধুই পেটাচ্ছে। অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।’
মধ্যরাতে ভূতের চিকিৎসা: রাতে ভূতের চিকিৎসার জন্য বাড়ির উঠানে আসর সাজিয়েছেন ধূর্ত আমজাদ। ঢোল, খোল, হারমোনিয়ামসহ আছে বাদক দল। বাদ্যযন্ত্রের উচ্চ শব্দের মধ্যে সব বয়সের নারী রোগীদের এনে মেঝেতে আছড়ে ফেলা হয়। এরপর চলে উপর্যুপরি লাথি, লাঠিপেটা ও চড়-থাপড়। মারধর শেষে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে আমজাদ নিজে নাচেন এবং রোগীদেরও নাচতে বাধ্য করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা। এক নারী এই আসরে আসতে চাইছিলেন না। তাঁকে আমজাদের সহযোগীরা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসেন। পাঁচটি ঢোল, দু-তিনটি খোল, তিনটি হারমোনিয়ামসহ নানা বাদ্যযন্ত্রের উচ্চ শব্দের মাঝে নারীর চিৎকারের শব্দ হারিয়ে যায়। তাঁকে ফকিরের সামনে এনে আছড়ে ফেলা হয়। এরপর লাথি আর মোটা বেত দিয়ে পেটানো হয়।
এরপর যে মেয়েকে আনা হলো, তিনি অবস্থা দেখে নিজেই এলোপাতাড়ি নাচতে শুরু করলেন। নাচ শেষে রোগীর কাছে আমজাদের প্রশ্ন, ‘তুই কী চাস?’ কিছুক্ষণ পর নিজেই জবাব দেন, জিন আরও নাচ দেখতে চায়। এরপর মেয়েটিকে নিয়ে নাচতে শুরু করেন আমজাদ।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত ৭১ জন রোগীকে লাথি, বেত্রাঘাত ও আছাড় চিকিৎসা দেওয়া হয়। এঁদের কয়েকজন ওসমান মোল্লার স্ত্রী বৃদ্ধ নূরজাহান, প্রতিবেশী আয়েশা বেগম, চরকুন্দলার মোহাম্মদ লিয়াকতের ছেলে নাজমুল সাত দিন ধরে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁরা কেউই সুস্থ হননি বলে জানিয়েছেন।
চিকিৎসার দৃশ্য দেখতে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক শ মানুষ ভিড় করে আমজাদের বাড়িতে। ভিড় বাড়তে থাকলে টাকা সংগ্রহ করতে নেমে পড়েন আমজাদের খাদেম মনজিল, সুরত আলীসহ অনেকে। তাঁরা খরচের জন্য ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা করে দিতে বলেন। কেউ বেশি দিলে দিতে পারেন কিন্তু ১০ টাকার কম দেওয়া যাবে না।
‘এটা আধ্যাত্মিক জগত্’: আমজাদ বেপারি বলেন, ‘রোগী আসার আগেই আমি আন্দাজ পাই, কার চিকিৎসা কীভাবে করতে হবে। ছোট বাচ্চাকে পারাইছি। ফুটবলের মতো শট দিছি। আবার দেখেন পাও বাইন্ধা ঝুলাইয়া রাখছি। পাও ধইরা ঘুরাইছি। এ সবই আল্লাহর ইশারা। উনি বলে দেন, কোন রোগীর জন্য কী করতে হবে। এটাই হলো আমাদের আধ্যাত্মিক জগত্।’
শিশুদের ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে আমজাদ বলেন, ‘বাচ্চাদের মধ্যে শয়তানের আছর থাকে। এ জন্য ঝুলিয়ে রাখতে হয়।’ কেউ কি ভালো হয়েছে—জানতে চাইলে আমজাদের জবাব, ‘রোগ সারানোর মালিক আল্লাহ। আল্লাহ আর আমার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।’
আমজাদের খাদেম মনজিল জানান, এই চিকিৎসায় মারধরের পর সরষের তেলই প্রধান ওষুধ। তবে এখন তিনি ডাব, মুরগি ও ডিমপড়া দিতে শুরু করেছেন। সন্তান না হলে ডিমপড়া আর ক্যানসারের জন্য ডাবপড়া দেওয়া হচ্ছে।
সরষের তেলের সঙ্গে ডাব, ডিম দিচ্ছেন কেন—জানতে চাইলে আমজাদ অর্ধেক বাংলায় ও ভুল ইংরেজিতে বলেন, ‘আল্লাহ আমারে একটা জিনিস দিছে। জিনিসটা ভালা না মন্দ, তাই জাস্টিভিট (জাস্টিফাই) কইরা দেখতাছি।’
রোগীদের মারধরের পর আমজাদ সরিষার তেল খাইয়ে দেন। বাড়ির উঠানের এক কোণে সরষের তেলের দোকানও বসেছে। আমজাদের ছোট ভাই জিন্নাত হোসেন কিছুদিন আগেও অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন, এখন উঠানে সরষের তেল, মোম ও গোলাপজল বিক্রি করছেন।
রিকশাচালক থেকে ভণ্ড পীর: আমজাদ জানান, তাঁর বয়স ৩৫ বছর। অক্ষরজ্ঞান নেই। প্রায় ১০ বছর কুয়েতে ছিলেন। প্রতিবেশীরা জানান, কিছুদিন আগেও আমজাদ গ্রামে ঘুরে ঘুরে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করতেন। জানতে চাইলে আমজাদ বলেন, ‘তখন কেউ আমাকে ইজ্জত দিত না। অহোন পীর মানে।’
আমজাদের বাবা নাজির আলী দুই বছর আগে আত্মহত্যা করেছেন। মা সানোয়ারা বাড়িতেই থাকেন। আমজাদ চার কন্যাসন্তানের জনক। এই ভয়াবহ চিকিৎসা প্রতিদিন আমজাদের মা, স্ত্রী এবং সন্তানেরাও দেখে।
নারী-শিশুদের ওপর ছেলের এই নির্মম নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে বললে আমজাদের মা বলেন, ‘বাড়িতে অনেক লোকের সমাগম হয়, হয়তো ছেলে কিছু পাইছে।’
তাঁর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাদেরও কি এই একই চিকিৎসা করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আমজাদ বলেন, ‘হ্যাঁ’।
আমজাদের কমিটি: আমজাদের কেরামতি প্রচার করছে কয়েকজন ‘খাদেম’। এঁরা কমিটিও করেছেন। কমিটির সভাপতি আমজাদের চাচাতো ভাই আরব আলী, সাধারণ সম্পাদক একই বাড়ির পিয়ার আলী, কোষাধ্যক্ষ সাইদ হোসেন ও আবুল কালাম এবং সদস্য প্রতিবেশী মনজিল, সুরত আলী, মো. হান্নান প্রমুখ।
যোগাযোগ করা হলে সিরাজদিখান উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি এ ঘটনা শুনিনি। খোঁজ নেব।’ সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। আর আমরা শুনিনিও।’

শিশুচিকিৎসক ও শিশু মনস্তত্ত্ববিদেরা বলছেন, শিশুকে ঝুলিয়ে রাখলে, পা ধরে ঘোরালে বা পেটে-বুকে চাপ দিলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতে পারে। শিশুর প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ারও আশঙ্কা থাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ঘোরালে শিশুর মস্তিষ্কে চাপ পড়তে পারে। মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। তিনি বলেন, একই ঘটনা ঘটতে পারে অন্ত্রের ক্ষেত্রেও।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ মনস্তত্ত্ববিদ মনোয়ারা পারভিন বলেন, বয়সটা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঝুলিয়ে রাখলে বা ঘোরালে শিশুর মগজে আঘাত লাগতে পারে। এতে মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যেতে পারে। শিশুর মারা যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। শিশু যদি বেঁচে থাকে তবে বুদ্ধিস্বল্পতা, সেরিব্রাল পালসির মতো মস্তিষ্কের গুরুতর সমস্যা নিয়ে সে বড় হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের হাড় ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অত্যন্ত নরম। ঝুলিয়ে রাখলে বা হাতে ধরে টানলে নরম হাড় ভেঙে যেতে পারে, কোনো অঙ্গে টান লাগতে পারে। এর ফলে শিশু শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যেতে পারে। পেটে আঘাত করলে সরাসরি শিশুর অন্ত্রে আঘাত লাগতে পারে। চাপ পড়লে অন্ত্রের স্থানান্তর হতে পারে। এতে পায়খানার রাস্তায় সমস্যা হতে পারে। কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মনোয়ারা পারভিন বলেন, শিশুর মাথা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখা বেশ বিপজ্জনক। শৈশব থেকেই এসব শিশু শারীরিক সমস্যা নিয়ে বেড়ে উঠবে। খিঁচুনির মতো অসুখেও ভবিষ্যতে তাকে সারা জীবন ভুগতে হতে পারে। সমস্যা গুরুতর হলে শিশু ধীরে ধীরে ভুগে একসময় মারাও যেতে পারে।
মানসিক ক্ষতির ব্যাপারে মনোয়ারা পারভিন বলেন, এসব ঘটনা শিশুর মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা পরিণত বয়সে প্রকাশ পাবে। প্রচণ্ড ভয় নিয়ে এসব শিশু বড় হবে। তিনি বলেন, এসব শিশু মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে। তাদের বৌদ্ধিক বিকাশ স্বাভাবিক হবে না।
মনোয়ারা পারভিন আরও বলেন, ছয় থেকে দশ বছর বয়সী যেসব শিশু এই অপচিকিৎসা দেখছে, তারা এখন চিকিৎসা নিতেও ভয় পাবে। এসব শিশু ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় হচ্ছে। এ ভয় (ফোবিয়া) থেকে তারা সহজে মুক্ত হতে পারবে না। তাদের আচরণে এর প্রভাব পড়বে।

Level 0

আমি শফিকুল ইসলাম খোকন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 170 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Not Allow


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

দুঃখজনক!

অফটপিক: টেকটিউন= টেক+টিউন
টেক= তথ্য প্রযুক্তি
টিউন=পোষ্ট

অনেক অনেক ধন্যবাদ খোকন। ঘুনে ধরা সমাজকে ঝাঁকুনি দেয়ার মতো একটি টিউন। শিশু দুটোর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। দূর্বলচিত্তের কেউ টিউনটি সহ্য করতে পারবে না। কোন উপজেলার চেয়ারম্যান বা থানার ওসি- দুজনের একজন ধ্যান্দা/ বয়রা হতে পারে। কিন্তু সিরাজদিখান উপজেলার ক্ষেত্রে দুজনই ধ্যান্দা/ বয়রা। সিরাজদিখান উপজেলাবাসীর কপাল মন্দ।

Level 0

আজ খবরে নিউজ টা দেখে অনেক খারাপ লাগছে। এখন আবার পড়ে আর খারাপ লাগছে। ………..

paper e porlam oneke bole AMJADER CHIKIKSHA naki rog bhalo hoi… Altu faltu kotha bola bangalir shobhab ! Ajibz

http://www.bdtechie.com

আমিও একই কাজ করতাম।

Level 0

খুবই খারাপ । 🙁

Level 0

প্রথম আলোর খবর টা দেখে মনে হচ্ছিল খুটির সাতে ওকে বেধে ঐ লাঠি টা দিয়ে আগে তার চিকিৎসা করার জন্য …………………।

আসলেই এই সব ভন্ড পির নামের জানোয়ারেরা মানুষের মাঝে পরেনা.ক্রস ফায়ার নয় তাদেরকেও ওই সব শিশুদের মতন নির্যাতন করে প্রকাস্য জন পদে মারা উচিত.টিউনটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ.

আমার যদি আমার কাছে তাকে পেতাম তাহলে তারে ব্রাশ ফায়ার কইরা মারতাম

I m so confuse for this news……. just go this link & tell me what do u think about this news……..
ভণ্ডপীর কাহিনীর পুরোটাই ভণ্ডামি (!) … … … নেপথ্যে কারা?
http://www.somewhereinblog.net/blog/Vejamegh/29134098

শুধু মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খাসনগর গ্রামেই নয় এরুপ অনেক গ্রামই আছে এখনও কুসংস্কার ও ফকিরদের দলে বিশ্বাসী । বাস্তবে আমার জীবনেও এরুপ করুনা ঘটনা আমার করুন ঘটনা ঘটেছে । আমি আমার মেয়েকে পযন্ত বাচাঁতে পারিনি কিছু ভন্ত ও ফিকর বিশ্বাসী জানোয়ার লোকের কারনে । তবে আল্লাহর অশেষ দোয়ায় আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে পেরেছি । এরুপ ফকির বিশ্বাসী ও কুস্ংস্কারে বিশ্বাসী লোকের কারনে আমাদের জীবনে অনেক সময় বয়ে আনে চরম দুভোগ। এরা মানুষ নয় হিংস্র জানোয়ার।