যাদের কথা মনে রাখবে পৃথিবী !!!

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

বিল গেটস

তিনি স্বপ্ন দেখেন স্বপ্ন দেখান

তিনিই তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত মানুষ, সবচেয়ে পরিচিত নাম। উইলিয়াম হেনরি গেটস থ্রি—বিল গেটস নামেই বেশি পরিচিত। পৃথিবীর শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট করপোরেশনের চেয়ারম্যান। কম্পিউটারের মানে যখন বিরাট কিছু, বড় বড় গবেষণাকেন্দ্র আর গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছাড়া এই বিরাট যন্ত্রটির দেখা মিলত না যে সময়, তখন এই স্বপ্নচারী স্বপ্ন দেখেছিলেন কম্পিউটারকে ‘পার্সোনাল’ করার। হিসাব কষার কাঠখোট্টা আর ভারিক্কি এই বিশাল যন্ত্রটাকে ঘরের উপযোগীকরায় বিল গেটসের অবদানই বেশি। তিনি সব সময় বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতে হয়, এ ছাড়া লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না।’ তিনি তাঁর স্বপ্ন ছুঁয়ে বদলে দিয়েছেন সমগ্র পৃথিবীর অগ্রযাত্রার পথ।
সফটওয়্যারের প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিচরণ আছে বিল গেটসের মাইক্রোসফট করপোরেশনের। তবে শুরুটা ছিল অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে। আধিপত্যও সেখানেই। কম্পিউটারের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের প্রণেতা বিল গেটস। অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন ১৯৭৫ সালে। একটা সাময়িকপত্রে তখনকার সর্বশেষ প্রযুক্তির মিনি কম্পিউটার অ্যালটায়ার ৮৮০০-এর বিবরণ পড়ে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কম্পিউটারের সম্ভাবনার কথা। বন্ধু পল অ্যালেন আর তিনি এই কম্পিউটারের জন্য আরও ভালো সফটওয়্যার তৈরি করার কথা ভাবলেন, যদিও কম্পিউটার সম্পর্কে তখনো তেমন কোনো ধারণাই ছিল না তাঁদের। কিছু করার ইচ্ছাশক্তির বলেই বিল আর পল মিলে অলট্যায়ার কম্পিউটারের জন্য তৈরি করলেন অলট্যায়ার বেসিক নামের একটি অপারেটিং সিস্টেম। সেই থেকেই শুরু। ছেড়ে দিলেন হার্ভার্ডের পড়াশোনা। সে বছরই বিল প্রতিষ্ঠা করলেন মাইক্রোসফট, সঙ্গে ছিলেন পল। তখনই বিল সফটওয়্যারের স্বত্বের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা শুরু করেন। তিনি বুঝতে পারলেন, ব্যবসায়িক ভিত্তি শক্ত না হলে এ নিয়ে দাঁড়ানো যাবে না। এরপর আইবিএমের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে তৈরি করলেন আরেক অপারেটিং সিস্টেম, কিউডস। এর পরবর্তী সংস্করণ এমএস-ডস মাইক্রোসফটকে পরিচিত করে তোলে সারা বিশ্বে। ১৯৮৫ সালে আইবিএমের সঙ্গে যৌথভাবে মাইক্রোসফট বাজারে আনে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম সংস্করণ, ওএস/২। সেই থেকে আজকের উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা কিংবা সেভেন—এসবের কারণেই তো মানুষের সঙ্গে কম্পিউটারের সখ্য বেড়ে উঠেছে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা তালিকায় ১৯৯৫ সাল থেকে টানা ২০০৭ পর্যন্ত এবং ২০০৯ সালে বিল গেটস ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তিনিই প্রথম প্রমাণ করেছেন মেধানির্ভর ব্যবসা দিয়েও ধনকুবের হওয়া যায়। পাশাপাশি বিল ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা মিলে গঠন করেছেন দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এখন তিনি বেশি সময় দিচ্ছেন মানবসেবামূলক কাজে।

গর্ডন আরলে মুর
গতির জাদুকর

যেকোনো ডিজিটাল যন্ত্রের প্রাণ হচ্ছে মাইক্রোচিপ। মাইক্রোচিপ না হলে এত ছোট কম্পিউটার আদৌও তৈরি করা যেত না। আর এটি সম্ভব হচ্ছে ইন্টেল করপোরেশন (ইনটিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক্স করপোরেশন) নামের জনপ্রিয় মাইক্রোচিপ ও মাইক্রোপ্রসেসর তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানের কারণে। আর এ প্রতিষ্ঠান যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁদের অন্যতম গর্ডন আরলে মুর; যিনি সবার কাছে মুর হিসেবে বেশি পরিচিত। গর্ডন মুর ১৯২৯ সালের জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানফ্রানসিসকো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি নেন।এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক) থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণ করেন। মুর তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ট্রানজিসটরের জনক উইলিয়াম শকলের সঙ্গে বেকম্যান ইনস্ট্রুমেন্টস প্রতিষ্ঠানে। ১৯৬৮ সালে গর্ডন মুর রবার্ট নায়েসের সঙ্গে ইন্টেল করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে পারসোনাল কম্পিউটারে যে এক্স৮৬ সিরিজের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়, তা ইন্টেল প্রথম বাজারে আনে।
গর্ডন মুর কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের ইতিহাসে একটি ধারার তত্ত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে, একটি নির্দিষ্ট চিপের মধ্যে ট্রানজিসটরের সংখ্যা প্রতি দুই বছরে দ্বিগুণ হবে, তবে এর আকার বাড়বে না। মুর এ তত্ত্ব দেন ১৯৬৫ সালে,যা কি না মুর’স ল নামে পরিচিত। মুরের এ তত্ত্ব শুধু আকারের জন্য ব্যবহূত হয় না। এ তত্ত্ব মাইক্রোচিপ বা প্রসেসরের উপাত্ত প্রক্রিয়া করার গতি ও মেমোরি—এমনকি ডিজিটাল ক্যামেরার পিক্সেলের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত। তাঁর এ তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে মাইক্রোচিপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মাইক্রোচিপভিত্তিক গবেষণার লক্ষ্য স্থির করে। ইলেকট্রনিক্সের জগতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমান সময়ের ডেস্কটপ কম্পিউটারের আকার ছোট হওয়ার অন্যতম কারণ এ প্রযুক্তিবিদ। ২০০১ সালে মুর ও তাঁর স্ত্রীর প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য ক্যালটেককে ৬০ কোটি ডলার অনুদান দেন, যা কি না এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া সবচেয়ে বড় ডোনেশন। মুর বর্তমানে ইন্টেলের চেয়ারম্যান এমিরেটাস হিসেবে কাজ করছেন।

রিচার্ড স্টলম্যান
মুক্ত করো ভয়

২০০৬ সালের আগস্ট মাসে ভারতের কেরালা অঙ্গরাজ্যে আসেন এক মোটামতো, ঝাঁকড়াচুলের বক্তা। রাজ্যসরকারের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয় শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারের স্বাধীনতা। একটি প্রযুক্তি যদি ভালোভাবে শিখতে হয় তবে জানতে হবে সেটি কীভাবে কাজ করে, তার খোলনলচে পাল্টে ফেলার ক্ষমতা থাকতে হবে, থাকতে হবে নিজের পছন্দের প্রযুক্তি বন্ধুদের সঙ্গে বিনিময় করার স্বাধীনতা। যদি প্রযুক্তি থাকে বাক্সবন্দী, যদি তা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানান্বেষণকে উন্মুক্ত ও অবারিত করতে না পারে তাহলে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ কীভাবে বিনির্মিত হবে? কেরালা সরকার তাঁর এই যুক্তিগুলোকে মেনে নেয়। পরের কয়েক মাসে দেখা গেল, কেরালার ১২ হাজার ৫০০ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবগুলো চলতে থাকল লিনাক্স ও মুক্ত সফটওয়্যার দিয়ে। শিক্ষার্থীদের কাজে উন্মুক্ত হলো বিশ্বের অন্যতম সেরা সফটওয়্যারের প্রোগ্রামিং সংকেত! ঝাঁকড়া চুলের এই মোটামতো ব্যক্তিটিই মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের পুরোধা, মুক্ত সফটওয়্যার ফাউন্ডেশনের জনক রিচার্ড ম্যাথিউ স্টলম্যান, কম্পিউটার বিশ্বে যিনি সংক্ষেপে আরএমএস নামে পরিচিত।
কম্পিউটার বিপ্লবের সূচনালগ্নে বড় আকারের বিভিন্ন কম্পিউটার ছিল একেবারে স্বতন্ত্র। একটির সঙ্গে অন্যটির যোজন যোজন পার্থক্য। ফলে এক কম্পিউটারে লেখা প্রোগ্রাম অন্য কম্পিউটারে সরাসরি চালানো যেত না। এ জন্য প্রোগ্রামাররা তাঁদের প্রোগ্রামিং সংকেতই সবাইকে দিয়ে দিতেন, যাতে করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনটুকু করে কম্পাইল করে সেটি আবার ব্যবহার করা যায়। পরে ১৯৭০-এর শেষ দিকে এবং ১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিক থেকে যখন কম্পিউটার প্ল্যাটফরমের মধ্যে একটি সমঝোতা হলো, তখন থেকে দেখা গেল, কেউ কেউ আর প্রোগ্রামিং সংকেত না দিয়ে সরাসরি চালু করা যায় এমনভাবে ফরম্যাটের প্রোগ্রাম বিনিময় শুরু করেছেন। শুরু হয়েছে প্রোগ্রামের স্বত্বাধিকার। এই ঘরানা কম্পিউটার ব্যবহারকারীর স্বাধীনতাকে খর্ব করতে শুরু করে। সে সময় এমআইটিতে কাজ করতেন স্টলম্যান। তিনি দেখলেন, এভাবে চলতে থাকলে একসময় প্রযুক্তির কোনো নিয়ন্ত্রণই সাধারণ মানুষের হাতে থাকবে না, চলে যাবে কিছু মুনাফালোভী করপোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে। চাকরি ছেড়ে দিয়ে তখন তিনি শুরু করলেন জনগণের জন্য জনগণের সফটওয়্যার বানানোর আন্দোলন। মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন শুরু হলো।
মুক্ত দর্শনের আর একটি বড় উদাহরণ উইকিপিডিয়া, গণমানুষের বিশ্বকোষ। ১৯৯৯ সালে রিচার্ড স্টলম্যান প্রস্তাব করেন একটি বিশ্বকোষ সবাই মিলে লিখে ফেলার, সাধারণ মানুষ থেকে পণ্ডিত পর্যন্ত। তবে তাঁর সে কাজ ততটা গতি পায়নি যত দিন না জিমি ওয়ালেস সেই ধারণাটি কাজে নামিয়ে দিলেন। জিমি ওয়ালেসের হাত ধরে বিকশিত হয়েছে আজকের উইকিপিডিয়া।
১৯৫৩ সালের ১৬ মার্চ নিউইয়র্কে স্টলম্যানের জন্ম। নিজের জীবনের প্রায় সবটুকু তিনি উৎসর্গ করেছেন তাঁর গণমানুষের জন্য সফটওয়্যার দর্শন প্রচার ও বিকাশের জন্য। তাঁর কারণেই উন্মুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি বিকাশের সোপান।

স্টিভ জবস
চৌকস ও সৃজনশীল

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে—এই কথাটি যে মানুষটির সঙ্গে মিলে যায় তিনি হচ্ছেন অ্যাপল কম্পিউটারস ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস। স্টিভেন পল(স্টিভ) জবস ১৯৫৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পালক মা-বাবার কাছে বেড়ে ওঠা জবস কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনাতনী ডিগ্রি গ্রহণ করেননি। এক সেমিস্টার শেষ করেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ইতি টানেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জানান, যদি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি শেষ করতেন, তাহলে তাঁর জীবনে অনেক কিছুই অন্যরকম হতো। জবস তাঁর প্রথম জীবন শুরু করেন প্রথম ভিডিও গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আটারির টেকনিশিয়ান হিসেবে। এর কিছুদিন পর জবস ও তাঁর বন্ধু ডেনিয়েল কটকে মিলে ভারতে ঘুরতে আসেন আধ্যাত্মিক শান্তি খোঁজার চেষ্টায়। এখানে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস, স্টিফেন ওয়াজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়াইন মিলে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। স্টিভ জবসের জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল ১৯৮৪ সালে প্রথম গ্রাফিকাল ইন্টারফেসসহ অ্যাপল কম্পিউটারের প্রবর্তন। পারসোনাল কম্পিউটারের ইতিহাসে এটি ছিল একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এই কম্পিউটারের নাম দেওয়া হয় ‘ম্যাকিনটোস’। ম্যাকিনটোস বাজারে আসার আগ পর্যন্ত কোনো পারসোনাল কম্পিউটারে ছবির মাধ্যমে কাজ করা যেত না।জবস এ কম্পিউটারগুলোকে পারসোনাল কম্পিউটার না বলে ইন্টারপারসোনাল কম্পিউটার নাম দেন। ১৯৮৫ সালে জবসকে তাঁর নিজের তৈরি করা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৮৬ সালে জবস পিক্সার নামে একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রতিষ্ঠান চালু করেন, যা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজিটাল অ্যানিমেশন তৈরির প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৬ সালে জবস অ্যাপলে ফিরে আসেন এবং অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করতে থাকেন।
এরপর ধীরে ধীরে অ্যাপল কম্পিউটার ছাড়াও অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্র তৈরি শুরু করেন। আইপড নামে অ্যাপলের গান শোনার যন্ত্র গান শোনার অভিজ্ঞতাকে বদলে দিয়েছে। অ্যাপলের ম্যাকবুক ল্যাপটপ অনেক জনপ্রিয়। আইফোন আর একেবারে হাল আমলের আইপ্যাড—সবকিছুতেই টের পাওয়া যায় অ্যাপলের সৃজনী উদ্যোগ।স্টিভ জবস কম্পিউটারকে সহজ, সুন্দর আর অনেকবেশি চৌকস করে তুলেছেন।

স্যার টিম বার্নার্স-লি
ভার্চুয়াল সংস্কৃতির স্রষ্টা

এই সময়ে এসে আধুনিক জীবনযাত্রায় ইন্টারনেট ছাড়া একটা দিনও চলে না। ইন্টারনেটই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যভান্ডার। পাশাপাশি ই-মেইল ও টেলিযোগাযোগের দ্রুত ও সাশ্রয়ী মাধ্যম। সত্যিকার অর্থে কোটি কোটি তথ্য বা ইন্টারনেট সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে দৃশ্যমান হয় কীভাবে?
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, সংক্ষেপে www। এই তিনটি ডব্লিউয়ের মাধ্যমেই ইন্টারনেট থেকে আমাদের মনিটরে ভেসে আসে কোটি কোটি পৃষ্ঠা। নানা বিষয়ের, নানা কাজের তথ্য থাকে সেসবে। ই-কমার্সের কারণে গোটা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক চালিকা-শক্তি হয়ে উঠেছে এই ওয়েব।
ওয়েব যিনি উদ্ভাবন করেছিলেন, তিনি স্যার টিম বার্নার্স-লি। এখন এ কথা দ্বিধাহীন ছাড়াই বলা যায়, তথ্যপ্রযুক্তিকে জনপ্রিয় আর গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে ওয়েবের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
মার্চ ১৯৮৯। প্রথমবারের মতো ওয়েবের প্রস্তাব দেন টিম বার্নার্স-লি। তখন তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভার সার্ন গবেষণাগারে ফেলো হিসেবে কাজ করেন। তিনি ভেবেছিলেন কীভাবে একজন গবেষক তাঁর কম্পিউটার থেকে অন্য গবেষকদের কম্পিউটারে নিজের লেখা দেখাতে পারেন। ভাগাভাগি করতে পারেন নিজেদের কর্ম। ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে সফল হন টিম বার্নার্স-লি। সার্নের তরুণ এক ছাত্র রবার্ট কাইলিয়াওয়ের সহায়তায় প্রথম বারের মতো ওয়েবসাইট দেখাতে পারেন সার্নের অনেক কম্পিউটারে। কারিগরি ভাষায় বলা যায় ওইদিন টিম বার্নার্স-লি প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে এইচটিটিপি কায়েন্ট (কম্পিউটার) এবং সার্ভারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে সফল হন।
সার্নেই তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট। সেই সাইটের নাম ছিল info.ceৎn.ch। সেটিতে ঢুকতে পৃথিবীর প্রথম ওয়েবঠিকানাটা ছিল এমন— http://info.ceৎn.ch/hypeৎtext/WWW/ThePৎoject.html।
১৯৫৫ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী স্যার টিমোথি জন ‘টিম’ বার্নার্স-লি ওয়েবের জন্ম দিয়েই থেমে নেই। এখনো তিনি লালন করছেন ডব্লিউডব্লিউডব্লিউকে। প্রকৌশলী ও কম্পিউটার বার্নার্স-লি এখন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের পরিচালক। এ সংস্থার কাজ হচ্ছে প্রতিনিয়ত ওয়েবের উন্নয়ন। তিনি ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। তাই তো বলেন, ইন্টারনেট সেবাদাতারা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না যে ব্যবহারকারী কখন কোন ওয়েবসাইট দেখছে। সংযোগ দেওয়ার সময় এমন কোনো প্রযুক্তি রাখা যাবে না, যাতে ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব হয়। এই বিজ্ঞানী আজও আছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পক্ষে।

মার্ক জুকারবার্গ
সামাজিক বিপ্লবের রূপকার
গুরুগম্ভীর বই বা প্রবন্ধ আলোচনায় আমরা একটা তত্ত্ব প্রায়ই শুনি—আজকের তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই নাকি গড়বে ভবিষ্যতের পৃথিবী। কিন্তু মার্ক জুকারবার্গ ভবিষ্যতের পৃথিবী গড়ায় অবদান রাখার জন্য বুড়ো হওয়ার অপেক্ষায় থাকেননি। ২০০৪ সালে মাত্র ২০ বছরের তারুণ্যেই ইন্টারনেট দুনিয়ায় হাজির হয়েছিলেন এমন এক সামাজিকতার দাওয়াই নিয়ে যে সামাজিকতায় ‘ফেস’ রেখে মুখরক্ষা করতে হাজির এখন পৃথিবীর ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ। তারা আজ সবাই সামাজিক। কিন্তু কিসের নেশায় কেমন করে ছুটছে সবাই ফেসবুকে?
প্রযুক্তি দিন দিন করে তুলছে আমাদের অন্তর্মুখী, অলস। আরাম কেদারা থেকে উঠে টেলিভিশনের কাছে যেতেও আমাদের প্রবল আপত্তি তাই আবিষ্কার করেছি রিমোট, সেই রিমোট টিপে ঘরে বসে ছবি দেখি, কার্টুন দেখি। আমরা এখন ঘরে বসে ‘গেম’ খেলি, হৈ-হুল্লোড় করে মাঠে খেলতে যাই না, কাদায় হুটোপুটি খেয়ে গোল দেওয়ার আনন্দে বন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরি না। ফলে মানুষে মানুষে যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ সে যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। আমরা বেড়ে উঠছি, দিন কাটাচ্ছি যোগাযোগের প্রবলতর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা মানুষ হিসেবে। কিন্তু মানুষের জিনে অমোছনীয় কালিতে যুগ যুগ ধরে লেখা আছে যে তত্ত্ব ‘মানুষ সামাজিক জীব’ এই তত্ত্বকে তো আর ফু দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জুকারবার্গ তাঁর বন্ধু ডাস্টিন মস্কভিচ, এদুয়ার্দো সেভেরিন ও ক্রিস হাগেসকে নিয়ে ফু দিয়ে উড়িয়ে না দিয়ে এই তত্ত্বে আগুন জ্বালিয়েছেন। বের করে এনেছেন এক বাস্তব সত্য—মানুষ আগেও সামাজিক ছিল, এখনও আছে। জুকারবার্গ অ্যান্ড গং আমাদের দিলেন সেই জায়গা—ফেসবুক। অক্টোবর বিপ্লব, ফরাসি বিপ্লবের মতো ঘটে গেল বিশ্বব্যাপী এক সামাজিক বিপ্লব।
বিষয়টা এমন নয় যে ‘ওয়ান ফাইন মর্নিং’ জুকারবার্গ ঘুম থেকে উঠে বললেন, ফেসবুক তুমি হও। আর অমনি ফেসবুক হয়ে গেল। ছোটবেলা থেকেই জুকারবার্গ ছিলেন মেধাবী প্রোগ্রামার। কাজ করেছেন গেম এবং যোগাযোগের প্রোগ্রাম নিয়ে। ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তৈরি হলো ফেসবুক। সেই ফেসবুকের সহ-নির্মাতা এবং বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকমর্তা হিসেবে মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ পরিণত হলেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এবং তরুণতম বিলিওনিয়ার হিসেবে। আসছে ১৪ মে এই তরুণের ২৬তম জন্মদিন।

লিনাস টরভাল্ডস
সফটওয়্যারের মুক্তিদাতা
লিনাস বেনেডিক্ট টরভাল্ডস একজন ফিনিস সফটওয়্যার প্রকৌশলী, যিনি মূলত লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সালের এপ্রিল মাসে শখের বসেই লিনাক্স কার্নেল তৈরির কাজটি শুরু করেছিলেন লিনাস। সেই সময় শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করার জন্য মিনিক্স নামের অপারেটিং সিস্টেমটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। শুরুর দিকে এই মিনিক্সের ওপর ভিত্তি করেই প্রথম লিনাক্স কার্নেল তৈরি করার কাজ করা হয়। কাজ শুরু করার কয়েক মাস পর তিনি ইন্টারনেটে মিনিক্স ব্যবহারকারী গ্রুপে একটি চিঠি লেখেন যে তিনি একটি মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন। তবে এটি জিএনইউয়ের মতো এত বড় পরিসরে বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে না। নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য বা মিনিক্সের পছন্দ ও অপছন্দের দিকগুলোও জানতে চান তিনি।তাঁর করা কাজটুকু তিনি ইন্টারনেটের একটি সার্ভারে রেখেসবাইকে পরীক্ষা করে দেখার অনুরোধ করেন। তখন থেকেই বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর সহযোগিতায় লিনাক্স কার্নেলের অগ্রগতি হতে থাকে।
প্রথম দিকে মিনিক্সের সব প্রোগ্রাম এতে ব্যবহার করা যেত। তবে এটি তৈরিতে মিনিক্সের কোনো প্রোগ্রামিং সংকেত সরাসরি ব্যবহার করেননি তিনি। ধীরে ধীরে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম পূর্ণতা পেতে থাকে এবং লিনাক্সের জন্যই নতুন সফটওয়্যার তৈরি করার কাজ চলতে থাকে। এই লিনাক্স তৈরির সময় অনেকেই এর গঠনপদ্ধতি ও কাজের ধরন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। প্রায় সব ক্ষেত্রেই সেই ধারণাগুলো ভুল প্রমাণিত করেছে লিনাক্স। পরবর্তী সময়ে লিনাস জিএনইউ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করেন। লিনাক্সের কার্নেলের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে তৈরি করা হয় কয়েক হাজারেরও বেশি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন। লিনাসের কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন নতুন হাজার হাজার কম্পিউটার প্রকৌশলী। লিনাস টরভাল্ডস এখন লিনাক্স কার্নেল প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লিনাসের জন্ম ১৯৬৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি এই কাজটি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে লিনাক্সের কারণেই উন্মুক্ত প্রোগ্রামিং সংকেত বা ওপেন সোর্স বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।শুধু একটি প্রোগ্রাম নয়, প্রযুক্তির নতুন এক দর্শনই তৈরি করে দিয়েছেন লিনাস।

সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেইজ
তথ্যের বাতিঘর

ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজা আর গুগল এখন যেন সমার্থক। ইদানীং তো রাস্তাঘাটও খুঁজে দিচ্ছে গুগল। জনপ্রিয় সার্চিইঞ্জিন গুগল তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেইজের দুই নির্মাতার হাতে। এই দুজনের প্রথম দেখা হয় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময়। পিএইচডির ‘বেকরাব’ নামের গবেষণার বিষয় নিয়ে কাজ করার সময়ে যাত্রা শুরু হয় গুগলের। ১৯৭৩ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোয় জন্ম সের্গেই মিখাইলোভিচ ব্রিনের। গণিতের অধ্যাপক মিখাইল ব্রিন ও নাসার গবেষক ইউগেনিয়া ব্রিনের সন্তান সের্গেই ব্রিন বাস করতেন মস্কোর ৩০ বর্গমিটারের একটি ছোট বাসায়। পরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন পড়াশোনার জন্য।
লরেন্স ‘ল্যারি’ পেইজের জন্ম মিশিগানে ১৯৭৩ সালে। কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক মা-বাবার সন্তান ল্যারির ছয় বছর বয়সেই। তিনিই প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা কাজ ওয়ার্ড প্রসেসরে করে জমা দেন। কম্পিউটার বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভবিষ্যৎ একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান করবেন এমন স্বপ্নও দেখেন ল্যারি। স্বপ্নের শুরুটা মাত্র ১২ বছর বয়সে!
ল্যারি ও ব্রিনের প্রথম দেখা হয় ১৯৯৫ সালে, সেখান থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব। শুরুতে পেইজ একটি সার্চইঞ্জিন তৈরি করেন দুজন। পরে তাতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ঠিকানা আর খোঁজার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা আর তার পরের কার্যক্রমের মাধ্যমেই গুগলের শুরুটা।
দুই প্রতিষ্ঠাতাই ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বের ২৪তম ধনী ব্যক্তি এবং বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছেন।
একটি ভাড়া করা গ্যারেজে গুগলের কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার মাউনটেন ভিউতে বসেন দুই প্রতিষ্ঠাতা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা তথ্য খোঁজার সুবিধা থাকবে গুগলে। তবে শুধু এ সেবাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি গুগল। বিনা মূল্যে ই-মেইল সুবিধা, মোবাইল ফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেম, ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট, ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যারসহ নানা ধরনের কার্যক্রমে বিস্তৃত গুগল। ব্যবহারকারীদের ক্রমাগত চাহিদা পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে গুগল আর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে ব্রিন আর ল্যারির।

বি.দ্র -আজ প্রথম আলো্তে এই নিউজটি পড়ে আমার অনেক ভাল লাগল.. । তাই  আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

বিস্তারিত পাবেন-   ক্লিক করুন

তুসিন আহমেদ[email protected]

Level 0

আমি তুসিন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 49 টি টিউন ও 555 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি তুসিন আহমেদ । আমার ব্লগ http://tusin.wordpress.com/ফেইসবুকে আমি facebook.com/tusin.ahmed and yahoo তে [email protected]


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

তথ্যবহুল সুন্দর টিউন, অনেক ধন্যবাদ।

    Level 0

    ধন্যবাদ {মানুম ভাই}

ভাল, এই সকল তথ্য দেওয়ার জন্য। কৃতজ্ঞ হলাম।

Level 0

ধন্যবাদ বাধঁন ভাই ।

টিউনে ছবি এ্যাড করে দিলে চমৎকার এবটা টিউন হতে পারত …… যদিও এখনও চমৎকার

    আমিও টিনটিন ভাইয়ের সাথে একমত। তাছাড়া টিউনটি অনেক জ্ঞানের টিউন। ধন্যবাদ আপনাকে।

    Level 0

    চমতকার

    Level 0

    কিন্তু আমি যতদুর জানি…।।
    আচ্ছা পেপারের লেখা দিরেক্ট তুলে দেওয়া সম্বন্দে কোন নীতিমালা নাই

    Level 0

    ধন্যবাদ টিনটিন ভাই । আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভাল লাগছে।

ভাল একটি তথ্য বহুল টিউন করার জন্য ধন্যবাদ।

    Level 0

    ধন্যবাদ আতাইর রহমান ভাই ।

    Level 0

    ধন্যবাদ আতাউর রহমান ভাই ।

ভাল টিউন । ধন্যবাদ ।

    Level 0

    ধন্যবাদ স্বপ্না আপু

Level 0

তথ্যবহুল সুন্দর টিউন, ধন্যবাদ।

লিনাস টরভাল্ডস কে আমি বেশি করে মনে করে থাকি

Level 0

তাই নাকি । আমি বিল গেটসকে বেশি পছন্দ করি । আপনাকে ধন্যবাদ

Level 0

তথ্য বহুল টিউন , আপনাকে ধন্যবাদ

    Level 0

    ধন্যবাদ আপনাকে।

সকালেই পেপারে পরেছিলাম । তার পর ও ধন্যবাদ ।

    Level 0

    ধন্যবাদ ফাহিম ভাই আপনাকে।