গ্রাহক হয়রানি রোধে তড়িৎ কার্যকর ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে টেকটিউনস কমিউনিটি

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

টেকটিউনস এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাংলা টেকনোলোজি সৌশল কমিউনিটি। দীর্ঘ ১২ বছর সময় ধরে টেকটিউনস আছে সকলের পাশে সবসময়। টেকটিউনসে নিয়মিত টিউন করছে শত শত মেধাবী টিউনার। তাদের টিউন থেকে জ্ঞান লাভ করছে ও সমস্যার সমাধান করছে বাংলাদেশের হাজারো টেকনোলজি প্রেমী।

ছবি - Shutter Stock by Africa Studio

সকল টিউনার, টিউমেন্টর, টিউজিটর এর মাঝে তৈরি হয়েছে এক শক্তিশালী ঐক্য ও বন্ধন। টেকটিউনস এখন শুধুই একটি অনলাইন সৌশল প্ল্যাটফর্ম নয়। টেকটিউনস একটি পরিবারের মত। অনেকেই টেকটিউনস এর মাধ্যমে পরিচিত হয়ে এখন বাস্তব জীবনে সহকর্মী  বা বন্ধু হিসেবে এক সাথে কাজ করছে ও কাজ শিখছে।

টেকটিউনস শুরু থেকেই বাংলাদেশের টেকনোলজি জ্ঞান পিপাসু মানুষদের পিপাসা মিটানোর চেষ্টায় আছে। তবে শুধু টেকনোলজির পিপাসা মিটিয়েই শান্ত নয় টেকটিউনস। বাংলাদেশের সকল প্রযুক্তি প্রেমীর সব ধরনের সমস্যায় পাশে থাকার চেষ্টা করে টেকটিউনস।

টেকটিউনস বেশ কিছু গ্রাহক হয়রানির বিরুদ্ধে বড় বড় কোম্পানির বিরুদ্ধে হিংস্র গর্জন তুলেছে টেকটিউনস কমিউনিটি। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি গুলো সাধারন গ্রাহকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের ক্ষতি করেছে। টেকটিউনস এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে টনক নরে এসব বাঘা কোম্পানি গুলোর। তারা ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিপূরণ দেয় এবং তাদের ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে নেয়। এমনই কিছু বাস্তব উদাহরন আছে নিচে

ব্র্যাক ব্যাঙ্কের একজন ফ্রিল্যান্সার কে পথে বসানো এবং পুরো অনলাইন ব্যাকিং সিস্টেম আপগ্রেড

গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তে ফ্রিল্যান্সার মিজানুর রহমান তার দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ী বিকাল ৪ টায় ঘুম থেকে উঠেন। রাতে একটি দরকারে তিনি তার ব্র্যাক ব্যাংকের আই-ব্যাংকিং এ লগিন করার চেষ্টা করলে তার পাসওয়ার্ড ভুল দেখিয়ে তার একাউন্ট লক হয়ে যায়। পরে তিনি ইমেইল চেক করে বুঝতে পারেন তার একাউন্ট থেকে ৫০০০০ টাকা নাই হয়ে গেছে। সাথে সাথেই তিনি ব্র্যাক ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার এ ফোন দিয়ে তার আই-ব্যাংকিং বন্ধ করেন। পরের দিন তিনি প্রায় হতাশ হয়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নিয়ে টেকটিউনস এ "BRAC BANK, হ্যাকার ও একজন পথে বসে যাওয়া ফ্রিল্যান্সার" শিরোনামে একটি টিউন করেন।

এর পরপরই পুরো টেকটিউনস কমিউনিটির সহায়তায় পুরো অনলাইন কমিউনিটি তে বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন সোসিয়াল কমিউনিটি তে এ নিয়ে বেশ হইচই হয়। ব্যপার টি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ সাইট ও অনেকের নজরে পরে। বিডিনিউজ এ নিয়ে একটি নিউজ প্রকাশ করে "ব্র্যাক ব্যাংকের আই-ব্যাংকিং নিয়ে প্রশ্ন!"

সব মিলিয়ে পুরো অনলাইন কমিউনিটি তে সারা পরে যায়, এবং অবশেষে ব্র্যাক ব্যাংক এর টনক নরে। তারা অতি সত্তর তাদের সিকিউরিটি সিস্টেম আপডেট করে এবং মিজানুর রহমান -এর ৫০, ০০০ টাকা ফেরত দেয়।

পুরো বিষয়টাই ছিলো ব্র্যাক ব্যাংকের নিরাপত্তা ঘাটতি এবং তাদের খামখেয়ালী ভাব। অনেকে অভিযোগ করেন যে এই ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা জড়িত ছিলো। অবশেষে টেকটিউনস কমিউনিটির জোরদার আন্দোলন সফল হয়। এটি টেকটিউনস কমিউনিটির জন্য একটি বড় পাওয়া।

এ নিয়ে আরো পড়তে পারেন মাহবুব আলম (swordfish) এর টিউন দুটিতেঃ

মাহবুব আলম (swordfish) এর টিউনঃ
https://www.techtunes.io/news/tune-id/187533
https://www.techtunes.io/news/tune-id/187345

বাংলালায়ন গ্রাহক হয়রানি এবং ইন্টারনেট ও কাস্টমার সার্ভিস আপগ্রেড

২০০৮ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে বাংলালায়ন ওয়াইমেক্স কোম্পানি। তারা 4G ইন্টারনেট গতির আশ্বাস দিয়ে তাদের পথচলা শুরু করে। টিভি চ্যানেল, পত্রিকা, রেডিও, ইত্যাদি বিজ্ঞাপণ প্রতিষ্ঠানে নানা রকম আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপণ দিয়ে প্রথম দিকেই ভালো গ্রাহক পেয়ে যায় তারা। শুরুর দিকে কিছুটা ভালো সেবা দিলেও কিছুসময় পর দেখা যায় তাদের আসল রূপ। হঠাৎ করে গ্রামীণফোণ, সিটিসেল, রবির মত কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট সেবা থেকে বের হয়ে গ্রাহক রা বাংলালায়নের তুলনামুলক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পেয়ে অনেকটাই সন্তুষ্ট ছিলো। এতে করে খুব দ্রুত তাদের গ্রাহক সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যায়।

শুরুর দিকে বাংলাদেশের একমাত্র ওয়াইমেক্স সেবাদাতা হিসেবে বেশ ভালো রাজত্ব করে বাংলালায়ন। বছরখানিক পর বহুসংখ্যক গ্রাহক পেয়ে তারা তাদের মুখোশ খুলতে শুরু করে। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সার্ভিসিং এর দোহাই দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ রাখে। এতে দেশে হাজার হাজার মানুষ ইন্টারনেট সংযোগ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। কিছু এলাকায় টানা ২-৩ দিন ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না বাংলালায়ন-এর। সাবমেরিন ও কাজ চলছে, এটা আপগ্রেড হচ্ছে, সেটা আপগ্রেড হচ্ছে এমনটা বলে গ্রাহকদের বেশ ভোগায় বাংলালায়ন কোম্পানি।

নেটওয়ার্ক সমস্যা ছাড়াও আছে তাদের কাস্টমার সার্ভিস সমস্যা। তাদের কাস্টমার কেয়ার থেকে তেমন কোন সেবা পেত না গ্রাহক রা। এমনকি কাস্টমার কেয়ার এ ফোন করে অপদস্ত হতে হয় অনেক গ্রাহক কে। কাস্টমার কেয়ার থেকে অভদ্র ব্যবহার করা হত গ্রাহক এর সাথে। অকারণে গ্রাহককে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করায়, কোন সমাধান না জানা সত্তেও অযথা সময় ও মোবাইলের বিল নষ্ট করে।

শুরু হয় সাধারন গ্রাহকদের আন্দোলন। টেকটিউনস কমিউনিটিতে কয়েকজন ভুক্তভুগি বাংলালায়ন এর এসব তামাশা নিয়ে টিউন করেন। এখান থেকেই অনলাইন কমিউনিটির সকল বাংলালায়ন গ্রাহক সোচ্চার হয়।

টিউনার এস এম মিশকাত লিখেনঃ  বাংলা বিলাই (বাংলালায়ন) এর অসহ্য যন্ত্রনা এবং এর পিছনের কারন, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ

টিউনার রিজভি লিখেনঃ বাংলালায়ন কাষ্টমার কেয়ারে ২২ ঘন্টা এবং কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা

এভাবে পুরো টেকটিউনস কমিউনিটিকে সোচ্চার করা হয় এবং টেকটিউনস কমিউনিটির সাহায্যে সকল বাংলালায়ন গ্রাহকরা সোচ্চার হয়। তারা নানাভাবে তাদের সমস্যার কথা বাংলালায়ন ও উর্ধতম কর্মকর্তাদের জানাতে থাকে। অনেকে ক্ষোভে বাংলালায়ন কানেকশন ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়। অবশেষে বাংলালায়ন এর টনক নরলে তারা দ্রুত তাদের ইন্টারনেট সার্ভিস আপগ্রেড করে এবং সাথে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস ও আপগ্রেড করে। কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস এ দক্ষ লোকদের রাখা হয়, যাতে করে গ্রাহক হয়রানি কম হয়।

আইডিবি কম্পিউটার দোকানের প্রতারণা এবং ভুল শুধরে নেয়া

মানুষ কম্পিউটার এর যেকোনো প্রয়োজনে চলে যায় আইডিবি ভবন এ। কম্পিউটার এর প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বেশিরভাগই করে সেখান থেকে। আর আইডিবি ভবন এর কিছু দোকান আছে যারা বেশ পরিচিত এবং অনেকেই সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে। এমনি একটি দোকান হল ইউসিসি (ইউনাইটেড কম্পিউটার সেন্টার) গ্রাফিক্স কার্ড বা অন্যান্য কম্পিউটার সামগ্রীর জন্য তারা বেশ সুপরিচিত।

কিন্তু গ্রাহকদের এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তারা শুরু করে ভন্ডামি। ওয়ারেন্টির নাম করে শুরু করে গ্রাহক হয়রানি। ওয়ারেন্টি দেয়া হলেও বিভিন্ন ছল ছাতুরি করে গ্রাহকদের ওয়ারেন্টি থেকে বঞ্চিত করে। এমনি একজন গ্রাহক এহসানুল ইসলাম তাদের থেকে গ্রাফিক্স কার্ড কিনে প্রতারিত হন। তার গ্রাফিক্স কার্ড এ সমস্যা দিলে তারা ছলছাতুরি করে ওয়ারেন্টি দেয় না। উক্ত গ্রাহক অবশেষে টেকটিউনস কমিউনিটিতে তার সমস্যা এবং দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। তার সাথে কিভাবে প্রতারণা করা হয়েছে তা বলেন এবং পরবর্তিতে অন্য কেউ যেন ইউসিসি থেকে পন্য কিনে প্রতারিত না হয় সেজন্য সাবধান করেন। "আইডিবি ভবনের “UCC” থেকে কম্পিউটার ক্রেতারা সাবধান থাকুন!" নামক টিউনে তিনি তার দুর্ভোগের কথা বিস্তারিত তুলে ধরেন।

অবশেষে টেকটিউনস কমিউনিটি এ বিষয়ে সোচ্চার হয়। টেকটিউনস কমিউনিটির প্রতিবাদ ইউসিসি এর চোখে পরলে তারা তাদের প্রতারণার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের ভুল শুধরে নেয়। আরো একবার টেকটিউনস কমিউনিটির সাহায্যে গ্রাহক হয়রানি ও প্রতারণা বন্ধ হয়।

নোকিয়া সার্ভিস সেন্টারের কেলেংকারি এবং নোকিয়ার ক্ষমা

জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ড নোকিয়া। বাংলাদেশে তাদের ভাল বিস্তার। বাংলাদেশের অধিকাংশ লোকই নোকিয়ার মোবাইল ব্যবহার করে। আর সে মোবাইলের কোন সমস্যা হলে সাধারন সার্ভিস সেন্টার এর চেয়ে বেশি নির্ভর করে নোকিয়ার নিজস্য কাস্টমার কেয়ার এর উপর।

কিন্তু নোকিয়ার কাস্টমার কেয়ার যে সাধারন মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে তা বুঝেনি ভুক্তভুগি রা। অনেকে বুঝতে পারলেও এত বড় কোম্পানি সম্পর্কে মুখ খুলে কিছু বলার সাহস করেনি কেও। তারা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় নেয় মোবাইল সার্ভিস করতে। অযথা গ্রাহককে ঘুরায়। বেশি খরচ নেয় এবং আরো অনেক ভাবেই গ্রাহককে প্রতারিত করতে থাকে। কিন্তু তাদের আরো বড় একটি প্রতারণা ধরে ফেলে একজন গ্রাহক। তারা সার্ভিসিং এর নামকরে মোবাইল রেখে দিয়ে তা নিজের প্রয়োজনে ইচ্ছে মত ব্যবহার করে।

একজন গ্রাহক তার মোবাইল টি নোকিয়ার কাস্টমার কেয়ার এ দিয়ে আসে। অনেকদিন পর মোবাইল টি ফেরত আনার পর তার নিজের ব্যক্তিগত ফাইল রিকভার করতে গিয়ে ঘটিয়ে ফেলে অন্য কান্ড। তিনি দেখেন যে তার মোবাইল ফোন কাস্টমার কেয়ার এর একজন স্টাফ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। তার মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ছবি তুলেছেন, এমনকি তার মোবাইল নিয়ে রাজশাহী পর্জন্ত ঘুরে আসে। এসব দেখার পর তিনি আর চুপ থাকতে পারলেন না।

টিউনার দুরন্ত টেকটিউনস এ আপনার সেটটি কি সুরক্ষিত নোকিয়ার সার্ভিস সেন্টারে? নামক টিউনটির মাধ্যমে টেকটিউনস কমিউনিটিকে জানিয়ে দেন নোকিয়া সার্ভিস সেন্টারের এই কেলেঙ্কারির কথা। বরাবরের মত এবারো টেকটিউনস কমিউনিটি এই অন্যায় এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়। নোকিয়ার সার্ভিস সেন্টারের প্রতারণা উন্মোচনে সোচ্চার হয় টেকটিউনস কমিউনিটি।

নোকিয়ার টনক নরে উঠে শক্তিশালী টেকটিউনস কমিউনিটির হুংকার দেখে। তারা ক্ষমা চায় তাদের এই অপকর্মের জন্য। অবশেষে নিজেদের সার্ভিস সেন্টারের মান উন্নয়নে নজর দেয় এবং গ্রাহকদের মোবাইল ফোনের সিকিউরিটি নিশ্চিত করে।

ডুল্যান্সারের প্রতারনা এবং তরুন সমাজকে রক্ষা

২০১১ সালে বাংলাদেশে পথচলা শুরু করে প্রতারক ডুল্যান্সার কোম্পানি। তারা ফ্রিল্যান্সিং এর নাম করে এমএলএম বিজনেস শুরু করে। এড এ ক্লিক করে টাকা কামানোই ছিলো ডুল্যান্সার এ কাজ। একজন ৭০০০ টাকা দিয়ে সদস্য হয়ে প্রতিদিন ৫০ টি এড এ ক্লিক করে ১ ডলার আয় করতে পারবে, অর্থাৎ মাসে ৩০ ডলার আয় হবে। এটি বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য অনেক কিছু! তাই ছাত্রদেরকেই মুল টার্গেট করে তারা। প্রথম কয়েকমাস সদস্যদের টাকা দিলেও ২০১১ নভেম্বর ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে টাকা দেয়া বন্ধ রাখে ডুল্যান্সার কোম্পানি। অবশেষে প্রায় ২ লক্ষ+ সদস্যের ৫০০ কোটি+ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় ডুল্যান্সার কোম্পানি।

শুরু থেকেই টেকটিউনস কমিউনিটি ডুল্যান্সার নামক প্রতারক কোম্পানি সম্বন্ধে সচেতন করেছে সবাইকে। টেকটিউনস কমিউনিটির সাহায্যে ডুল্যান্সার এর আসল রূপ সামনে চলে আসে এবং এতে করে অসংখ্য যুবক সাবধান হয়ে যায়। তবুও কিছু অন্ধদের এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় নি, এবং অবশেষে তারাই পুরো দমে এ প্রতারণার স্বীকার হয়।

টিউনার মেধাবী ডট কম লিখেন "Dolancer এর প্রতারণা থেকে সাবধান!"

সফল ফ্রিল্যান্সার, ব্লগার ও এসইও এক্সপার্ট তাহের চৌধুরী (সুমন) বলেনঃ "ফ্রিল্যান্সিং এর টাইটেল লাগিয়ে আর কত প্রতারনা করবেন!"

শুরু থেকেই টেকটিউনস কমিউনিটি চেষ্টা করে সাধারণ জনগণকে ডুল্যান্সার এর প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন করতে। অসংখ্য মানুষ সচেতন ও হয়।

সবশেষে ডুল্যান্সার এর প্রতারণার পর সর্বহারা যুবকদের ও মাঝ পথে ছেরে দেয় নি টেকটিউনস কমিউনিটি। তাদের সাহস যুগিয়ে, ভুল শুধরিয়ে, সঠিক ফ্রিল্যান্সিং এর পথ দেখায় টেকটিউনস কমিউনিটি। অসংখ্য যুবক আছে যারা ডুল্যান্সার এর প্রতারণার স্বীকার হয়ে টেকটিউনস কমিউনিটির সাহায্যে এখন সঠিক পথে ফ্রিল্যান্সিং করছে এবং ভাল পরিমাণ আয় করছে। আউটসোর্সিং এর দুনিয়ায় তারা এখন সফল।

টিউনার Cx Rana লিখেনঃ "ফ্রিল্যান্সিং : রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা নয়!"

টিউনার Nur Hasan লিখেনঃ "যেদিন থেকে PTC কে Kick দিয়েছি সেদিন থেকেই Web development, SEO, SMM, CMS, Blogging, 3D Design শিখতে পেরেছি আর শিখে চলেছি…"

এরকম আরো অনেক টিউন আছে যা বদলে দিয়েছে হাজারো তরুণের জীবন। টেকটিউনস কমিউনিটি সবসময় অসহায়, প্রতারিতদের পাশে থেকে তাদের সফল হতে চেষ্টা করেছে।

ইন্টারনেট আপলোড স্পিড কমানো এবং পুনরায় সিদ্ধান্ত বাতিল

ছবি - Freepik by Adian

গত ১৬ই মে সকল ইন্টারনেট অপারেটরদের কাছে বিআরটিসি এর ইমেইল আসে যে তাদের আপলোড স্পীড ২৫% কমাতে হবে। যেমন কথা তেমন কাজ। ইন্টারনেট অপারেটর রা আপলোড স্পীড কমিয়ে ইউজারদের মেসেজ ও ইমেইল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।

এমনিতেই আমরা পাই কচ্ছপ গতীর ইন্টারনেট কানেকশন। তা থেকে আপলোড স্পীড আরো ২৫% কমানো হলে আর কি থাকে? শুরু হল টেকটিউনস কমিউনিটির প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ।

টিউনার কম্পিউটার লাভার লিখেন "সবশেষে এবার ফ্রিল্যান্সারদের পথের ভিখারি করার শপথ নিলেন সরকার। আপলোড স্পীড কমিয়ে সর্বোচ্চ ২৫% করে দেয়ার নির্দেশ BTRC-র"

এ নিয়ে টেকটিউনস কমিউনিটি তে ব্যাপক সারা পরলে বিটিআরসি এর টনক নরে এবং অতি দ্রুত তারা আপলোড স্পীড পুনরায় ঠিক করে দেয়।

টেকটিউনস কমিউনিটি আর্জন করে আরেকটি জয়।

জানান আপনার অভিজ্ঞতা

টেকটিউনসে টিউন প্রকাশ করে এরকম হাজারও গ্রাহক হয়রানি ও প্রতারণার সমাধান পেয়েছেন আপনি নিজেও হয়ত। প্রকাশ করুন সে টিউন আর টিউনের লিংক দিন এই টিউনের টিউমেন্টে। গঠনমূলক ও সঠিক প্রমাণ ভিত্তিক টিউন হলে টেকটিউনস থেকে আপনার টিউনের সে বিষয় দিয়ে আপডেট করা হবে এই টিউনটি।

তবে মনে রাখবেন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে যথাযথ প্রমাণ ছাড়া, মিথ্যা ও বানোয়াট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে টিউন করা হলে সে ধরনের কোন প্রতিবাদি টিউন টেকটিউনসে প্রকাশ করা যাবে না।

আপনার গ্রাহক হয়রানির প্রতিবাদ করুন টেকটিউনস এর মাধ্যমে

টেকটিউনস একটি উন্মুক্ত সৌশাল নেটওয়ার্ক। আপনিও প্রকাশ করতে পারেন আপনার গ্রাহক হয়রানির প্রতিবাদমূলক টিউন। তবে মনে রাখবেন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে যথাযথ প্রমাণ ছাড়া, মিথ্যা ও বানোয়াট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে টিউন করা হলে সে ধরনের কোন প্রতিবাদি টিউন টেকটিউনসে প্রকাশ করা যাবে না।

গ্রাহক হয়রানি নিয়ে সবসময় টেকটিউনস কমিউনিটি সোচ্চার ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে কার্যকরি ভূমিকা পালন করেছে টেকটিউনস সৌশল নেটওয়ার্ক।

-

ছবি

১. Shutter Stock by Africa Studio

২. Freepik by Adian

Level 9

আমি টেকটিউনস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 127 টি টিউন ও 2877 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 526 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1591 টিউনারকে ফলো করি।

মেতে উঠুন প্রযুক্তির সুরে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস