এ কেমন আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ ?

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

সকলকে রমজানের শুভেচ্ছা। টেকটিউন্স আমাকে অনেক দিয়েছে এবং এখনও দিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং তাদের প্রতি আমার বিশেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আজ একটু অভিযোগ ও অনুরোধের বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আসলে কেমন এগুচ্ছে? ডট বাংলাকে আজ আমরা হারাতে চলেছি। যা হোক মূল কথায় আসি।
বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে আমরা অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি। ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য একগাদা কাগজপত্র নিয়ে ঢাকা বিটিসিএল অফিসে জমা দিয়ে আসি। এবং অপেক্ষা করতে হয় ১৫ দিনের মত। কিন্তু কেন? ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি এত জটিল করার কি প্রয়োজনীয়তা আছে তা আমার বোধগম্য নয়। এদিকে ৩০/০৫/২০১৫ ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশমালা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌছতেই লেগে গেছে প্রায় পূরো মাস। আবার কেও কেও পায়নি। তার উপর স্থানীয় শিক্ষা অফিসারগন বার বার তাগাদা দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। একজন শিক্ষা অফিসার জানেন না ডোমেইন আর হোষ্টিং কি? বাধ্য হয়ে বিটিসিএল এ ফোন দিতে বললাম। এবার হল আসল মজা। এতটা ফোনও ধরেনা। শেষে করলেন ইমেইল। আর আমি বসে বসে দেখছি মজা ।একটু পরে লক্ষ্য করলাম উনি কোন এক প্রতিষ্ঠানের কার্ড বের করে ফোন করলেন এবং আমার উপর কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন যে ঢাকার প্রতিষ্ঠান ১ দিনেই করে দেই । বাধ্য হয়ে তার কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে কথা বললাম। যখন বললাম যে ডট বিডি ডোমেইন আপনি একদিনে দিতে পারবেন তাহলে আমি ৫০ টা ওর্ডার করবো। তখন উনি আমাকে ইতিহাস পড়ানো শুরু করলেন। যাহোক আমরা যারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ করে নিজেদের একটা অবস্থান তৈরির চেষ্টা করছি সেখানেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। দেশকে ডিজিটাল করার পূর্বে দেশের মানুষদের আগে ডিজিটাল করতে হবে। না হলে এক প্রধান শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন তার ওয়েবসাইট তো করা হয়ে গেছে এইযে ঠিকানা পরে দেখি তা ইমেইল আইডি।
এখনোও অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানেন না ওয়েবসাইট কি? জানলে সামান্য ডোমেইন এর নাম শুনে আৎকে উঠে বলতেন না যে এত টাকা। আবার অনেকে মনে করে সামান্য কম্পোজের মত এইটির কাজ। একবার মুখ ফসকে বলেই ফেলেছিলাম প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়ে তো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লাখ লাখ কামিয়েছেন এবার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কিছু খরচ করেন।

মাননীয় আই সি টি মন্ত্রীর নিকট আবেদন

ডোমেইন ক্রয়ে ১৫দিন সময় দিকটি একটু বিবেচনা করে কমিয়ে নিয়ে আসুন

বিটিসিএল এ একজন কাস্টমার সাপোর্ট রাখুন এবং দয়া করে তাদের ফোনটা অন্তত ধরতে বলুন।

কাজের অগ্রগতি জানার জন্য অনলাইন সাপোর্ট দিন।

শিক্ষা বিভাগ কে আই সি টির নাম ধারি কিছু দালালদের কাছ থেকে দূরে রাখুন। এবং কাজের তদারকির জন্য আই সি টি মন্ত্রণালয় থেকে কাওকে দায়িত্ব দিন।

আমার ভবিষ্যতবাণী
খুব বেশি দিন নেই যেদিন এরা সব বুঝবেন আর আমাদের মত মানুষদের কাছে এসে ধর্ণা দেবেন কাজ করে নেয়ার জন্য। কিন্তু সরকার? গোড়ায় যদি গলদ থাকে তবে ফল পাবেন কেমনে?

উপরোক্ত লেখাটি লিখতে গিয়ে কিছু পদবির নাম ব্যবহার করেছি। কারও ব্যক্তিজীবনে মিলে গেলে আমাকে মাফ করবেন আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য। আজও পৃথিবীবে অনেক ভালো মানুষ আছে যাদের কল্যানে আমরা এখনো বেচেঁ আছি ।

আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে?

Level 2

আমি অসময়ের পথিক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 68 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 2

দুঃখের কথা হলেও সত্যি যে দেশটা মেধা শুণ্যথায় ভুগছে এবং কয়েক দশক পরে হয়তো সরকারী বিভাগে মেধার কৌটা শুণ্যতে পৌঁছাবে। সুতরাং আমি আপনি যাই বলি না কেন সরকারী আইসিটি বিভাগে ডোমেইন, হোস্টিং চিনে সেরকম কাউকে আশা করাটা বোকামি হবে।
আপনি বলেছেন প্রধান শিক্ষক আপনাকে ওয়েবসাইট বলে ইমেইল আইডি দেখিয়েছেন। তাও ভাল। উনি ইমেইল আইডিটাই অন্তত দেখেছেন। কিন্তু কতজনে সেটা দেখেছেন?
বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের একটা করে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে। সবাই এখন সেটা সেটা নিয়েই ব্যস্ত- কত যত্ন সহকারে ওটা রাখা যায় যাতে নস্ট না হয় । অনেকে আবার বলছে-সেটা দিয়ে নাকি স্কুলে কী কী হচ্ছে সব সরকার দেখে ফেলবে। তাই তারা খুব টেনশনে আছে।

    খুব বাস্তব সম্মত একটা কথা বলেছেন। ধন্যবাদ কাম্রুল ভাই।

ভাই কিছুই করার নেই, বাধ্যতামূলক করেছে, বাধ্য ছেলের মতই বসে থাকেন।
এই কথাগুলো সরকারের কাণের ৫০০ গজের মধ্যেও যাবে না।

এইটা তো এ্যাডভান্স লেভেলের একটা প্রব্লেম। সরকার বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার জন্য যেই ওয়েব সাইট গুলো তৈরি করে, যা আমাদের মতো সাধারন মানুষ ব্যাবহার করি, তাদের কথা চিন্তা করেন। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ফলাফল দেয়ার জন্য যেটা তৈরি করেছে xiclassadmission.gov.bd…। এই সাইট টা আগের সবগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বাস করতে পারেন? আমি পর পর তিনদিন সারারাত ধরে চেষ্টা করেছি। এখন অনেকে বলতে পারেন ভাই রেজল্ট দেয়ার সময় দিয়েছিল, কিন্তু আমার যতটুকু মনে পড়ে পরদিন সকাল আটটায় রেজাল্ট দিবে এই টা তারা তাদের সাইটে উল্লেখ করেছে প্রায় রাত ২ টায়। এখন দুইটায় ঘুমিয়ে আবার রাত ৩ টায় উঠে সেহরি খাওয়া অন্তত আমার জন্য সম্ভব ছিলো না। আরো বলতে পারেন এতো জেগে থাকার কি দরকার। আমারদের সরকারী আই.টি এক্সপার্ট (!!!!) রা বলেন এই সমস্যা সেই সমস্যা। আমার কথা হলো সমস্য থাকতেই পারে, তাই সমাধানের পথটাও আগে থেকেই খুজে রাখা উচিত।

Level 2

বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের একটা করে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে। সবাই এখন সেটা সেটা নিয়েই ব্যস্ত- কত যত্ন সহকারে ওটা রাখা যায় যাতে নস্ট না হয় । অনেকে আবার বলছে-সেটা দিয়ে নাকি স্কুলে কী কী হচ্ছে সব সরকার দেখে ফেলবে। তাই তারা খুব টেনশনে আছে।
হা..হা….হা..

ভাই আমার বাবাও একজন শিক্ষক। Website তৈরির খবরটা শোনার পরই বাবাকে ফোন করেছিলাম। ইচ্ছা ছিল বাবার স্কুলের সাইট টা তৈরি করে দেব সুন্দর করে। কিন্তু অজানা এক কারণে কেন জানি বাবা বার বার আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন।
পরে আমিও আর বাবাকে কিছু বলিনি। এরপর আম্মা একদিন বললেন স্কুলের সাইট তৈরির নাকি কাজ চলছে। পাশের শহরের কোন এক প্রতিষ্ঠান নাকি তৈরি করে দিচ্ছে। পরে জানতে পারি স্কুলের কেউ নাকি বিশ্বাসই করেননি কম্পিউটার নিয়ে না পড়েও সাইট বানানো যায়।
এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা।
একদিন স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পর বাবা আমাকে বলল ল্যাবটপ তোর কি কাজে লাগে? আমিতো অবাক। হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন? পরে আম্মা বলল বাবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটা দোয়েল ল্যবটপ পেয়েছে আর বাড়িতে নিয়ে যাবার পর গান আর ছিনেমা দেখার পর পরের দিন স্কুলে আসার পর বলেছে সমন্দির পুতেরা এই জন্যই এইটা কিনে। সারারাত সিনেমা আর গান শোনে।

টেশিশ এর বিখ্যাত দোয়েল ল্যাপটপ গুলা তো আর বিক্রি করতে পারছে না। তাই এখন সেগুলা স্কুলে স্কুলে দিয়ে গলা কাটাগুলো দুর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Hmm etai digital bangaldesher asol pic.Khali name kame noy.ekta domain er jonno 15 din wait korte lage.joto sob opdarther dol bosay rakce chair.Tk diye ojjoggo lok bosale er theke r valo kicu ki asa kora jete pare.R telephoner kotha na bollei noy.Seta to ace tader user jonno.Tader private alap aloconar jonno.janei na domain r hosting ki.R website er kaj ki.

ভাই, আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমিও আমার এলাকার ৪০ টা স্কুলের জন্য ডোমেইন রেজিঃ করেছি বিটিসিএল থেকে। আমার গুলো দুই দিনের মাঝে করে দিয়েছে।
১৫ দিন অপেক্ষা করতে না চাইলে এপ্লিকেশন গুলি জমা দেওয়ার সময় একটূ হুমকি ধামকি(!) দিতে হবে (তবে এজন্য আপনার বড় কোন মামু/চাচা থাকতে হবে)।
আর যদি হুমকি-ধামকি দেওয়ার ক্ষামতা না থাকে তবে কিছু খরচাপাতি (প্রতি এপ্লিকেশনে ১০০-২০০ টাকা) দিয়ে দেন। কাজ হয়ে যাবে ২৪ ঘন্টার মাঝে।