এক যুবকের আবিষ্কার, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে যা হতে পারে একমাত্র উপায়

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

আসছে গ্রীষ্মকাল, গ্রীষ্মকাল এলেই যেনো আমাদের সবার কপালে চিন্তার রেখা দেখা দেয়। কারণ আর কিছুই নয়, কারণ লোড শেডিং যা আমাদের দেশের সারা বছরের অনাকাংক্ষিত সঙ্গী। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে লোড শেডিং এর কারণে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। আর তাই এর হাত থেকে বাঁচতে আমাদেরও প্রচেষ্টারও শেষ নেই , আইপিএস, জেনারেটর তো আছেই। কিন্তু এগুলো যেমন ব্যয়বহুল তেমনি জেনারেটর চালাতে প্রয়োজন হয় জ্বালানীর। এসকল সমস্যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশেরই এক যুবক নিজস্ব উদ্যোগে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন , প্রচেষ্টায় রত আছেন যুগান্তকারী কিছু উদ্ভাবনের। বন্ধুরা, আজ তারই সফলতার গল্প শোনাব আপনাদের।

মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার সিংজুরী ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের দেওয়ান মো. শওকত ওসমানের ছেলে ডি এম আশরাফুল আলম। তিনি তার ভগ্নীপতি দেওয়ান মো. ফরিদ উদ্দিনের সহায়তায় দীর্ঘদিন গবেষণার পর মো. আবুল হোসেন, মো. বাবুল হোসেন এবং আ. ছাত্তার নামের ৩ জনকে নিয়ে কাজ করে আবিষ্কার করেন এনার্জি প্রডিউসার ফ্যান বা সংক্ষেপে ইপিএফ (EPF)। আহামরী কোনো চেহারা নয়, সাধারণ ফ্যানের মতই দেখতে এই ফ্যানটি তৈরি করতে তিনি ব্যবহার করেছেন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, কেমিক্যাল এবং নিজের তৈরি কয়েকটি মেকানিক্যাল সূত্র (বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল, বিজ্ঞানী ডেনিয়েল এবং নিজের আবিষ্কৃত কয়েকটি মেকানিক্যাল সূত্র )। এই ফ্যানের বৈশিষ্ট্য এটি বাইরের কোনো বিদ্যুৎ সাহায্য ছাড়াই দুটি বাল্ব জালাতে সক্ষম। তবে এই ফ্যান চালাতে খুব বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। শুধু তাই নয়, এই ফ্যান বিদ্যুৎ সঞ্চয়ও করে রাখতে পারে। যখন বাল্বগুলো বন্ধ থাকবে তখন এই ফ্যান বাল্বের জন্য বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখতে পারবে যা পরবর্তীতে বাল্ব জালাতে ব্যবহার করা যাবে। এটি তৈরিতে তিনি ব্যবহার করেন স্টেপ আপ ডিভাইস যা ইনপুট হিসেবে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ শক্তিকে বহুগুনে বৃদ্ধি করে। ৫বছর যাবত পরিচালনা পর সফলতার সাথে গবেষনাটি শেষে তিনি জানান, এই পদ্ধতিটি যদি মিল, কল-কারখানা বা অন্যান্য কোনো বড় প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা যায় তবে সেখানকার বিদ্যুৎ এর ব্যবহার শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কমানো সম্ভব। তাছাড়া এতে থাকবে ব্যাক আপ সিস্টেম যার মাধ্যমে লোড শেডিং এ ৬০ থেকে ৯০ মিনিট ব্যাক আপ পাওয়া যাবে। তার এ প্রকল্পটি দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশের বিদ্যুতের সমস্যা দূর করতে তিনি যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন করেছেন তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য তিনি সরকারি-বেসরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তথ্যসূত্রঃ এখানে

Level 0

আমি MITHU। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 88 টি টিউন ও 1232 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

জটিল।

    Level 0

    ধন্যবাদ।

MITHU ভাই এই যুবকদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।খবরটি জেনে অনেক ভালো লাগলো। তথ্যটি তুলেধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    Level 0

    এই যুবকের দিকে দেশ ও দেশের মানুষ তাকিয়ে থাকলেও সরকার তো এই যুবকের দিকে ভ্রুক্ষেপও করবেনা, এটাই হচ্ছে সমস্যা। কতজনই কত প্রকল্প হাতে নেয়, কিন্তু সরকার কি তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে ? এজন্যই তো আমরা এখনো পিছিয়ে পড়ে আছি।

MITHU ভাই
বিস্তারিত খুলে লিখলে আমরাও তৈরী করে উপকৃত হতাম । সরকারী সহযোগীতার কথা বাদ ।

    Level 0

    ভাইয়া,তথ্যসূত্র যোগ করে দিলাম,দেখে নিতে পারেন,ধন্যবাদ।

আপনার মত প্রতিভাবান ল্কোই আমাদের দেশে দরকার, যেই দেশের ২৪ ঘন্টার অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা….আশা করি আপনার আবিস্কারের কারনে আমরা অনেকটা বেচে যাব

    Level 0

    ভাই,ঠিক বলেছেন, ডি এম আশরাফুল আলম এর মত প্রতিভাবান লোকই বাংলাদেশে দরকার।

Level 0

দেশের আনাচে কানাচে এরকম অনেক প্রতিভাবান আছেন যাদের খবর আমরা জানি না। টেকটিউন এর মাধ্যমে আমরা তাদের সম্পর্কে জানতে পারি বা জানাতে পারি। এবং এটা টিটি র একটা আলাদা অধ্যায় হিসাবে দাড় করানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকার কখনো আমাদের এই প্রতিভাবানদের দিকে তাকাবে না কারন তাহলে কাদা ছুড়ার সময় নষ্ট হবে। আমার মনে হয় MITHU ভাই এই প্রতিভাবান ভাইয়ের বিস্তারিত খবর দিলে আমরা মানে টিটি তে যারা নিয়মিত আসি তারা বিভিন্ন ভাবে দেশে ও বিদেশে এই প্রতিভাবানদের সংবাদ পৌছে দিতে পারি।

    Level 0

    সরকার কখনো আমাদের এই প্রতিভাবানদের দিকে তাকাবে না কারন তাহলে কাদা ছুড়ার সময় নষ্ট হবে।
    একমত

আহারে, দেশী জিনিস এর মর্ম বুঝলাম না।

    Level 0

    আসলেই 🙁

MITHU says:
৩ এপ্রিল, ২০১১ at 11:13 পুর্বাহ্ন

এই যুবকের দিকে দেশ ও দেশের মানুষ তাকিয়ে থাকলেও সরকার তো এই যুবকের দিকে ভ্রুক্ষেপও করবেনা, এটাই হচ্ছে সমস্যা। কতজনই কত প্রকল্প হাতে নেয়, কিন্তু সরকার কি তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে ? এজন্যই তো আমরা এখনো পিছিয়ে পড়ে আছি
sohomot

    Level 0

    ভাই,নাম তো একই,সহমত না হয়ে কি উপায় আছে!!!! 😉

Level 0

সম্পুরন প্রজুক্তি টা বলুন ……………………………।।আমরা জানতে চাই

    Level 0

    ভাই,তথ্যসূত্র যোগ করে দিলাম।

এসব ছোটখাট বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়ার সময় নেই। এমন অনেক প্রতিভা ও প্রযুক্তি বাংলাদেশে আছে কিন্তু সরকারের একটু সহযোগীতার জন্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকার এগুলো চাইলেও করতে পারবেনা কারণ করলে বিদ্যুৎ নিয়ে রাজনীতি করতে পারবেনা। যখন এই প্রযুক্তিটাই আমেরিকা নিয়ে কপিরাইট করে ফেলবে তখন বিশাল পরিমান টাকা দিয়ে এই প্রযুক্তি সরকার ব্যাবহার করবে আর বুক ফুলিয়ে বলবে দেখ দেশের জন্য আমরা কি কি করছি‍!!!!! অবাক লাগে এই দেশের জন্য এত ভালবাসার একটা দেশ গুটিকতক মানুষ তিলে তিলে কিভাবে ধংশ করে চলছে আর আমরা শুধু ই বলছি দেশ গেল, দেশ গেল। কিন্তু কিছুই করতে পারছিনা অবশ্য করতে দেওয়া ও হবেনা।

    Level New

    একমত।

    Level 0

    আসুন না সবাই মিলে আবার এই ভাংগা দেশটাকে গড়ার শুরুর কাজটা করি। এটা ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চাইতেও অনেক কঠিন কাজ। তবুও তখনকার চাইতে এখন একজোট হওয়া অনেক সহজ।

    Level 0

    একমত। একমত।

    Level 0

    সহমত

    সহমত।

    আমদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

Level 0

মিঠু ভাই
ডি এম আশরাফুল আলমের কোনো কনটাক্ট নাম্বার দেওয়া যাবে কি? অথবা [email protected]-এ যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।

Great …
Thanks

এইরকম প্রতিভা আগেও পাওয়া গিয়েছিল…..ঐ পেপার পত্রিকা পর্যন্তই…তারপর শেষ।

Level 0

Shabbash beta.

Level 0

kew ki amakey Tv card diye tv proggram PC te record korar softwer ebong ki ki lagbe bistarito picture soho post korey amakey sohojogita korte parben plz plz ple

    Level 0

    এ ব্যাপারে প্রবাসী ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করুন।

Er ageo potrikai erokom peace.kento sorkarer tate kono vokrep nai.karon tara kada sora sore nea besto.hoeto dekben eae potivake america nea gece.afsos hoe eae deser jonno.kecoe dete parlamna …..

Level 2

that's the windmill system and very old process , Bengali people are crazy :p
read this :p http://en.wikipedia.org/wiki/Windmill

ইশতিয়াক ভাই যা বলেছে এটাই আমাদের দেশের বাস্তবতা। বছরের পর বছর গবেষনা করে আমাদের দেশের সোনার ছেলেরা অনেক কিছু আবিষ্কার করে ফেলে। কিন্তু তাদের কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কেউই পাশে দাড়ায় না। ধন্যবাদ মিথু ভাই।

    Level 0

    ধন্যবাদ। 🙂

Level 0

আমি বুঝলাম না, এইটা কি জোক নাকি সিরিয়াস ?
ঐ ছেলে যে ভাবে কাজটা করছে তা হলঃ
১> বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ফ্যান ঘুরানো
২>ফ্যানের মোটর এর সাথে ছোট জেনারেটর লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন
৩> সেই বিদ্যুৎ ব্যাটারীতে সঞ্চয় করে রাখা।
৬০-৭০ বছর আগে হলে এটা অবশ্যই যুগান্তকারী আবিষ্কার হতো … এখন এটা প্রায় নতুন করে চাকা আবিষ্কারের মত হয়ে গেল।

'বড় প্রতিষ্ঠানে ৬০ ভাগ বিদ্যুৎ ব্যাবহার কমবে' >>এই প্রসংগেঃ
বড় প্রতিষ্ঠানে মানে শিল্প কারখানায় যে সমস্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সেখানে ইন্ডাক্টেন্স, বিশেষত ইম্পিডেন্স খুব প্রিসাইসলি কন্ট্রোল করতে হয়। এই 'কৈ এর তেলে কৈ' ভাজার মত জিনিস সেখানে চলবে না।

আর বিদ্যুৎ ব্যবহার ৭০ভাগ কমানোর চিন্তা, তাও আবার এই প্রক্রিয়ায়, রীতিমত অসুস্থ মানসিকতা বা অসম্পূর্ণ চিন্তাভাবনার ই পরিচায়ক। কারণ এই বিদ্যুৎ জমা করে রাখতে যে পরিমান ব্যাটারী লাগবে, আর তার যে খরচ, তা দিয়ে প্রায় ২০ গুন ক্ষমতার প্ল্যান্ট বানানো যাবে ।

যাই হোক, এটা যে বানিয়েছে, যে পেপারে ছাপিয়েছে, এবং আমার বিশ্বাস যে এখানে লিখেছে, তাদের কারুর ই আধুনিক বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে যথেষ্ঠ ধারণা নেই।

    Level 0

    আপনি বুঝবেন না তো, বুঝলে তো আর কমেন্ট করতেন না, জনাব মনে হয় recently ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ শিখছেন পাড়ার চিপার গলির কোন অর্ধশিক্ষিত ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাছ থেকে যার অহংকারে অন্য কেউকেও অপমানসূচক কথা বলতে বাধেনা। এখানে যেভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হোক, এখানে ট্রান্সফর্মার ইউজ করা হয়েছে,যার কাজ আপনাকে নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। পড়ার সময় চোখ কি পকেটে ছিল ?জেনারেটর থেকে উতপাদিত বিদ্যুৎ যদি এম্পলিফাই করা যায় তবে তা কি নর্মালি সোর্স থেকে প্রাপ্ত কারেন্টের থেকে সাশ্রয়ী নয়? হ্যা এই পদ্ধতি মিল ইন্ড্রাস্টিতে ইউজ করা যাবে না, খরচের জন্য, কিন্তু বাসাবাড়ীতে এ সিস্টেম ব্যবহার করা অবশ্যই সাশ্রয়ী,তা না হলে ১০০০০/২০০০০ টাকার আইপিএস ২০০০-৩০০০ টাকায় বানানো যেত না(মূলত ব্যাটারীর দামটাই মূখ্য)।
    তবে এটা কোথায় ব্যবহার করা যাবে বা যাবে না, এ নিয়ে আমি কোনো বিশ্লেষন করিনি এখানে। এ প্রজেক্ট ভবিষ্যতে কি ইন্ড্রাস্টিতে ব্যবহার করবে কি করবে না,কি করবে এটা তার মতামত,বা পরিকল্পনা,। সফল হবে না বিফল হবে এটা নিয়ে কোনো কথা হয় নাই, বা আমি এর আলোচনা-সমালোচনাতেও নাই, সে স্বপ্ন দেখছে দেশের জন্য , এটাই বড়। কয়টা স্বপ্ন আপনি দেখেন দেশের জন্য !!!!
    আশা করি কমেন্ট করার সময় শালীনভাবে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ।

Level 0

শুনুন, আমি আসলেই এগ্রেসিভ মুডে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তা আপনাকে উদ্দেশ্য করে নয়।

কিছুদিন যাবৎ পেপারে এইরকম অনেক নিউজ আসছে, যেগুলো আদতে ধোপে টেকে না। কিন্তু কয়েকদিন সেগুলো নিয়ে খুব লাফালাফি হয়। সবাই খুব আহা উহু করে, আসলে সবাই খুব বেশি এক্সপেক্টেশন নিয়ে নিউজ গুলো পড়ে। তারা ভেবে খুশি হতে চায় যে এতো অল্প সুযোগ,সুবিধা নিয়েও আমাদের ছেলেরা বিশাল সব আবিষ্কার করে ফেলতে পারে।

আমার দুঃখ এই যায়গায় যে, আমরা এখনো কি নিয়ে, কাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবো তাই ঠিক করে উঠতে পারি নি। দোষ আমাদের ই। চিন্তা করে দেখুন, বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক কোন নতুন গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজ হয়নি তা নয়, কিন্তু বুয়েটের এরকম কোন আবিষ্কারের কথা আমরা কবে পত্রিকায় পড়েছিলাম?

পৃথিবী এখন অনেক এগিয়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া কেউ এরকম একটি বিষয়ে একেবারে মৌলিক কোন কিছু আবিষ্কার করে ফেলবে তা আশা করা যায় না।

যুক্তিখন্ডনঃ
>>জেনারেটর থেকে উতপাদিত বিদ্যুৎ যদি এম্পলিফাই করা যায় তবে তা কি নর্মালি সোর্স থেকে প্রাপ্ত কারেন্টের থেকে সাশ্রয়ী নয়?
=>যদি তাই হতো, তাইলে সবাই ৫কেভি এর জেনারেটর কিনে এম্পলিফাই করে ১এমভি বানাইয়া ইউজ করতো। ;)'

>>ট্রান্সফর্মার ইউজ করা হয়েছে,যার কাজ আপনাকে নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না
=> স্যরি। Transformer শুধুমাত্র ac তে কাজ করে। dc তে নয়। আর আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ গুলো dc তে চলে (ac to dc কনভার্ট করে)

>>বাসাবাড়ীতে এ সিস্টেম ব্যবহার করা অবশ্যই সাশ্রয়ী,তা না হলে ১০০০০/২০০০০ টাকার আইপিএস ২০০০-৩০০০ টাকায় বানানো যেত না(মূলত ব্যাটারীর দামটাই মূখ্য)।
=> হ্যাঁ, এই ব্যাপারে একমত(!)
উপরোক্ত সবগুলো আজিব ব্যাপারকে অলৌকিক ভাবে সম্ভব করে যদি আবিষ্কারক মেশিন বানিয়েও ফেলেন,যা অলরেডী ফেলেছেন ও, তবুও এই প্রজেক্ট অর্থ – সাশ্রয়ী হবে না। কারণ, ব্যাটারীর খরচ যদি ২০০০ টাকাও হয়, তা দিয়ে ২০টাকার বিদ্যুৎ ও সাশ্রয় হবে না।সাথে থাকবে কনভার্টারের খরচ।

এবং,
>> সফল হবে না বিফল হবে এটা নিয়ে কোনো কথা হয় নাই, বা আমি এর আলোচনা-সমালোচনাতেও নাই, সে স্বপ্ন দেখছে দেশের জন্য , এটাই বড়। কয়টা স্বপ্ন আপনি দেখেন দেশের জন্য !!!!
=> সবচেয়ে ভয়ংকর এই কমেন্টটাই। কারণ, ছেলেটি তার সময়, চিন্তাশক্তি, অর্থ সব ব্যয় করছে এমন একটি জিনিসের পেছনে, যা আসলে অনর্থক। কিন্তু তা সে এখনো জানতে পারে নি, কারণ এগুলো যেখানে আছে তা সে পড়ে দেখতে পারেনি। কি চরম অপচয়। উলটো আপনার সময় নষ্ট, আমার সময় নষ্ট।আর আমি দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, অনেক বেশী ই দেখি। তাই আশা করি মানুষের স্বপ্নটা যেন ভুল না হয়।

    @biobot: ভাই আপনার কথাটা পুরা পুরি ঠিক, কারন ফ্যান যখন নিজে ঘুরে আমাদের বাতাস দিবে আর সাথে সাথে জেনারেটর ও ঘুরাবে তখন নরমালি ২ টা লোডের কারনে বিদ্যুৎ বেসি খরচ হবে। কিন্তু এর থেকে যে পরিমান বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে টা থেকে আশানুরূপ কোন ফল পাওয়াজাবেনা কারন বর্তমানে বাংলাদেশে যে ব্যাটারি পাওয়াজাই টা একেবারে জঘন্য। আর আই জঘন্য ব্যাটারি যদি ঐ পাওয়ার সঞ্চই করার কাজে ব্যবহার করা হই তাহলে আম ও ছালা দুই যাবে। কিছু দিন পর ব্যাটারি নস্ত হবে।

      Level 0

      ভাই বিদ্যুৎ amplify করার ব্যাপারটা বুঝলাম না। আর ট্রান্সফরমার এর কাজ ভোল্টেজ বাড়ানো, পাওয়ার বাড়ানো না। সে যে হারে ভোল্টেজ বাড়ায় ঠিক সেই হারে কারেন্ট কমিয়ে দেয়। আর Internet যেহেতু ব্যবহার করেন পাওয়ার কিভাবে হিসাব করে একটু খুজলেই পাবেন। Power = Voltage x Current x power factor, এখানে power factor এর মান সর্বাধিক ১ হতে পারে তাও আবার রেজিসটিভ লোড এর ক্ষেত্রে। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো voltage বাড়লেও current কমে যাওয়ার কারনে পাওয়ার একই থাকবে। বরং ট্রান্সফরমার এর নিজস্ব লসের কারনে পাওয়ার কমে যাবে। ভাই আমি একটা পাওয়ার প্লান্ট এ কাজ করি, আপনি আমার কথা বিশ্বাস করতে পারেন। আপনি যার কথা এখানে লিখেছেন তিনি সঠিকভাবে কতটুকু পাওয়ার খরচ করে কতটুকু উৎপাদন করেছেন সেই হিসাবটা করেন নাই। একটা কথা মনে রাখবেন, কোন রকম জ্বালানী ব্যবহার না করলে output কখনই input এর চাইতে বেশি হতে পারে না। কোন অবস্থাতেই না।

জটিল।

Level 0

আমি একটা আবিস্কার করে ছিলাম রিমোট ছালিত বোমা। এটা মানব জিবনের জন্য কোন মঙ্গল আনতে পারবে না । সে কারনে আর বেসি দূরে জাইনি ।

Level 0

কমেন্টগুলো পড়ে ভালই লাগল
আমি বিদ্যুৎ সম্পর্কে খুব একটা ভাল জানিনা তবে আপনার পোষ্টটি পড়ে যেটি মনে হল
* ফ্যানের সাথে জেনারেটর লাগানো হয়েছে জেনারেটর হতে বিদ্যুৎ দিয়ে ব্যাটারী চার্জ করা হচ্ছে এবং সেই ব্যাটারী দিয়ে পরবর্তিতে বাল্ব জালানো হচ্ছে এটা নতুন কোন টেকনোলজী নয়। আরেকটা কথা বলেছেন ষ্টেপআপ ডিভাইস ব্যবহার করেছে। দেখুন যেহেতু তিনি ব্যাটারী চার্জ করছে সেহেতু খুবই অল্প ওয়াটের জেনারেটর ব্যবহার করছে (হয়তবা ডিসি মটর জাতীয়) সেই জন্য জেনারেটরের জন্য যে শক্তি ব্যবহার হচ্ছে বুঝতে পারছেনা। আপনি ওয়াট মিটার লাগিয়ে তা পরীক্ষা করতে পারবেন। যদি তিনি নিজের আবিষ্কৃত কোন জেনারেটর ব্যবহার করে থাকেন যে টেকনলোজী আমরা জানিনা তাহলে হতে পারে তা ছাড়া কোন ক্রমেই ইফেকটিভ হবেনা বরং ট্রান্সফরমার দিয়ে ব্যাটারী চার্জ করলে সাশ্রয়ী হবে। আর ট্রান্সফরমারতো শুধু ভোল্টেজ বাড়াতে পারে পাওয়ার কিন্ত অপরিবর্তীত থাকবে। ব্যাটারী যদি হাই অ্যাম্পিয়ারের হয় তবে দীর্ঘক্ষন চার্জ করার পর অব্শ্যই অল্পসময়ের জন্য বেশী ওয়াট পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
২+২=৪ হয় ৪ এর অধিক নয় তাহলে কি ভাবে আমরা মনে করতে পারি ইনপুটের চেয়ে আউটপুট বেশী হতে পারে।