চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাফল্য হাজার বছর বাঁচবে মানুষ!

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

'মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে...'-কবির এ আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। তবে অচিরেই 'না মরিতে চাহিবার' সাধ পূরণ হতে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তাতে শিগগিরই মানুষকে ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে। আর বিজ্ঞান যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে আগামী ২০ বছরের মধ্যেই মানুষকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখার সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে!
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসইএনএস (স্ট্র্যাটেজিস ফর ইঞ্জিনিয়ারড নেগলিজিবল সেনেসেনস) ফাউন্ডেশন। অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠান আয়ু নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত। এর প্রধান গবেষক ডা. অব্রে দে গ্রে জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস, বিজ্ঞান এতটাই এগিয়েছে যে, এখন জীবিত আছেন এমন ব্যক্তিদেরই কেউ কেউ নিজের ১৫০তম জন্মদিন নিজেই পালন করতে পারবেন। আর মানুষের জরা-ব্যাধি-বার্ধক্য প্রায় পুরোটাই জয় করতে বিজ্ঞানীদের আর খুব বেশি হলে দুই দশক সময়
লাগবে। ফলে ২০ বছরের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা মানুষের আয়ু হাজার বছর এমনকি অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হবেন। আনুমানিক এক হিসাব দেখিয়ে ডা. গ্রে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অন্তত ১০ লাখ শতবর্ষী মানুষকে দেখা যাবে।
ডা. গ্রে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া ও রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হচ্ছে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং এগুলোর গঠনের মূলে থাকা বিভিন্ন কোষ ও অণু-পরমাণুর ক্রমেই ক্ষয় হওয়া। বয়স ও রোগের কারণে এসব ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ও মাত্রা বেশি হয়ে গেলে মানুষ বুড়িয়ে যায় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে জিন থেরাপির মতো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মানুষের দেহ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের এসব কোষ ও অণু-পরমাণুর ক্ষয়ের পরিমাণ ও মাত্রা দুটোই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ফলে মানুষের প্রাণঘাতী রোগ-ব্যাধি ও বার্ধক্য-দুটোই ঠেকানো যাবে।
এদিকে অনেক বিজ্ঞানী-গবেষক এমন দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, এটি স্রেফ বাজে কথা। ডা. গ্রের বিশ্লেষণকে তাঁরা 'ছদ্ম-বিজ্ঞান' (সিউডো-সায়েন্স) আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এমনটি কখনোই সম্ভব নয়। আর যদি তা সম্ভব হয়ও, তবে এর পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। অনেকেই এত বছর আয়ু চায় না। এ ছাড়া এ দাবি সত্য হলে ভবিষ্যতে গোটা পৃথিবী অসুস্থ-অসমর্থ বুড়ো মানুষে ভরে যাবে। তবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডা. গ্রে। তিনি বলেছেন, তাঁরা অসুস্থ-বুড়ো মানুষ দিয়ে পৃথিবী ভরিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যে কাজ করছেন না। তিনি জবাবে বলেছেন, ভবিষ্যতে মানুষ নিয়মিত চেকআপের জন্যে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হবে। জিন থেরাপিসহ এ ধরনের অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ তথা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সারিয়ে তোলার মাধ্যমে রোগ-ব্যাধি ও বার্ধক্যজনিত অসামর্থ্য এভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখে মানুষকে সুস্থ-সবল রাখা সম্ভব হবে। আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা এ সক্ষমতা অর্জন করবেন বলে তিনি আশা করেন। ডা. অব্রে দে গ্রে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রতিবছর মানুষের আয়ু তিন মাস করে বাড়ছে। ২০১০ সালে জাপানে শতায়ুর সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার। আগামীতে এ সামর্থ্য আরো বাড়বে-এমনটিই স্বাভাবিক। এ ছাড়া এসইএনএস ফাউন্ডেশনের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বিজ্ঞানসম্মত নয় ও ভ্রান্ত-এটি প্রমাণ করতে পারলে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। কিন্তু এখনো কেউ এ পুরস্কার জিততে পারেনি। সূত্র : দ্য ডেইলিমেইল অনলাইন।

Level 0

আমি SM Nahid Rahman। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 55 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

হুম জানতাম। তবে আমি হাজার বছর বাঁচতে চাই না মৃত্যুর পর কি হয় তা দেখতে চাই। 🙂

Level 0

এসব কিসের আলামত !!!

এখানে হাজার বছর বাচেঁন আর না বাচেঁন কথা নাই। পরের কালে সিমাহিন বাচবেঁন ১০০% সত্য

Level 0

অন্ধকার আছে বলে আলোর দাম আছে। তেমনি মৃত্যু আছে বলে বাচাঁর সাধ হয়।

life is not enough

Level 0

যেটা যার দরকার নাই, এরা সেকাজ টাই বেশি করে। উনি না কোনদিন মারা যায়। হা হা

Level 0

প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাধ গ্রহণ করবে । এবং তা খুব শীঘ্রই ।

Level 0

হাজার বছর বলেন আর লাখ বছর এর কথাই বলেন না কেনো,আল্লাহ যার হায়াত যত টুকু রেখে দিয়েছে এর বেশি সময় কেউ বাঁচতে পারবেনা।

আপনি যতই চেষ্টা করেন আল্লাহ প্রদত্ত হায়াতেই আপনাকে মরতে,
আমি ভাই হাজার বছর বাচঁতে চাই না যেই কয়টা দিন বাচি যেন সৎ এবং ইমানের সহিত বাঁচি।
আমার একমাত্র উদ্যেশ্য আখেরাতের শান্তি।

আল্লাহর নির্ধারিত দিন আসবেই।

Level New

ভাই, একজন মানুষ এত দিন বাঁচলে, তাহলে তার যৌবন আসবে কখন?????????????
তবে আমি হাজার বছর বাঁচতে চাই, কারন এত ক্ষুদ্র জীবনে পৃথিবীর অনেক কিছুই দেখার ও করার সামর্থ্য হয় না বা হওয়ার সময় হয়ে ওঠে না, তাছাড়া মানুষ তো একদিন মরবেই এটা চির সত্য।

না এতো বছর বেচে ক করবো। নতুনদের সুযোগ দেয়া লাগবো। আমরা বুড়ারা সারা জীবন বাচলে নতুন গুলো যায়গা নিবে কোথায়।