বৈপ্লবিক দৃষ্টিতে বিশ্বস্রষ্টার অস্তিত্ব

সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য মানুষ একমাত্র বূদ্ধিমান প্রানী এতে সন্দেহের অবকাশ নেই৷ আর কোন অদৃশ্য সত্বা কর্তৃক এই মানুষ সৃষ্টির বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিহীত রয়েছে কিনা এবং সেই অদৃশ্য সত্বা কতর্ৃক সমগ্র মানবজাতী ইহজগত ব্যতিত অন্য আর কোন জগতে তার ইতিবাচক নৈতিকতাপূর্ন কর্মনীতির জন্য পুরস্কৃত এবং নৈতিবাচক কর্মনীতির জন্য তিরস্কৃত হবে কিনা মানবজাতীর জন্য এই প্রশ্ন যেমন নুতন নয় এবং কম গুরত্বপূর্নও নয়৷ বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশেষ কোন ধর্মিয় নীতিশুন্য জীবন ব্যবস্থাও যদি সমগ্র মানবমন্ডলির জন্য কল্পনা করা হয় এবং মানব মন্ডলির সকল ইতিবাচক কর্মপ্রদ্ধতির আদি কারন যদি অন্বেষন করা হয় তখন মানুষের জাগতিক বিচার বুদ্ধিকে অদৃশ্য কোন জগত বিধানের নিকট আত্বসমর্পন করতে দেখা যায়, এবং দেখা যায় কোন যুক্তি সংগত কারন ছাড়াই মানবাত্বার এক অদৃশ্য সত্বার প্রতি বিশ্বাসের কোন বিধান রচনা করতে৷

ইহা ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে, পৃথিবীর বুকে মানুষের প্রথম অগমন হতে আজ অবধি অসংখ্য মানুষের নীতি আদর্শ পরবর্তি সমপ্রদায়ের নিকট সমাদৃত হয়নি, সময়ের পরিবর্তনে মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তনের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে সেগুলো বিকৃত বা বিলু্প্ত হয়েছে, যুগে যুগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিলু্প্ত হয়েছে অনেক সভ্যতাও৷ পরবর্তি সময়ে আবারও সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন সভ্যতা, তারপর আসে জাতীতে জাতীকে বিভক্তি যার ফলে সৃষ্টি হতে থাকে ভৌগলিক সীমারেখা৷ মানবজাতীর পরির্বতনের শত ধারা রয়েছে যেগুলো সংক্ষিপ্ত একটি প্রবন্ধে বর্ননা সম্ভব নয় এবং উক্ত বর্ননাও এখানে উদ্দেশ্য নয়৷

জ্ঞান বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর উন্নতি ও অগ্রগ্রতির ফলে ধরনীর যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন হয়েছে সেগুলো মানুষের অবদান ব্যতিত কিছুই নয়৷ পরিবর্তন যেন মানবমন্ডলির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ মাত্র কিন্তু অব্যাহত এই পরিবর্তনের ধারায় মানবমন্ডলি যে ধর্মিয় বিশ্বাস নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেছিল অন্তরজগতে লালন করে আসা সেই ঐতিহাসিক বিশ্বাসে বিশেষ শুন্যতা পরিলক্ষিত না হলেও যুগে যুগে বিভিন্নভাবে ধর্ম বিশ্বাসের বিবর্তন হয়েছে সন্দেহ নেই কিন্তু এই বিবর্তনের মাঝেও সামগিকভাবে মানবমন্ডলি কতিপয় বিশেষ সমপ্রদায় ব্যতিত স্রষ্টায় বিশ্বাস এবং তার বার্তাবাহকগন কতর্ৃক প্রচারিত নৈতিক জীবন দর্শন এর প্রয়োজনীয়তা যুগে যুগে অনুভব করেছে৷ বিশ্বজগতের বিশেষ নিয়ম শৃংখলা, আকাশ পৃথিবীর পরিবর্তন, হাজার কোটি বত্‍সরেও গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথ থেকে বিচু্যত না হওয়া, মানবাত্বাকে শত প্রচেষ্টায়ও ধরে রাখতে না পারার মত উল্লেখযোগ্য নিদর্শনাবলির প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকে প্রসারিত করলে এক অবিনশ্বর সত্বার অপ্রয়োজনীয়তায় প্রশান্ত আত্বা তখন প্রবল বাধাপ্রাপ্ত হয় আর এই বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার অন্যতম কারন এক অদৃশ্য সত্বা কতর্ৃক সেই প্রশান্ত আত্বার উপর নিয়ন্ত্রন৷

মানবাত্বার প্রতি যেই অদৃশ্য নিয়ন্ত্রন ইহজগতে সৃষ্টি করে একটি পরিপূর্ন জীবন দর্শনের রাজপথ৷ পক্ষান্তরে মানবমন্ডলির প্রাকৃতিক নিয়মের পরিপন্থি কর্মপ্রদ্ধতি ও আদি বিশ্বাস ভঙ্গের কর্মনীতি সৃষ্টি করে নাস্তিকতার রাজপথ৷ সৃষ্টি করে ভোগবাদ, বস্তুবাদ,সম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসনবাদ, পুজিবাদ প্রমুখ৷ প্রাচিন ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী দৃশ্যমান জগত অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব লাভ করার পূর্বেই বিশ্বস্রষ্টা এক ভিন্ন জগতে মানুষ নামক এই বুদ্ধিমান প্রানী সৃজন করেছিলেন বলে ধারনা পাওয়া যায়৷ স্রষ্টার প্রতি মানবাত্বার অবহেলায় বিচ্ছিন্ন হয়েছিল মানুষ সেই অদৃশ্য জগত থেকে যেই জগতটি এই পৃথিবীর চেয়েও ছিল আরও অধিক নিরাপত্রার ও শান্তির আবাসস্থল বলে পবিত্র কুরআনে ধারনা পাওয়া যায়৷ পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্ম বিশ্বজগতে এক অদৃশ্য সত্বা কতর্ৃক মানুষ প্রেরনের বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিহীত রয়েছে বলে মানবজাতীকে ধারনা প্রদান করে এবং আরও ধারনা প্রদান করে যে, সমগ্র মানবজাতী তার সত্‍কর্ম কিংবা অসত্‍ কর্মনীতির ভিত্তিতে পরজগতে পুরস্কৃত অথবা তিরস্কিত হবে !

যদিও বিজ্ঞান কিংবা চিন্তা গবেষনার মাধ্যমে কোন মানুষের পক্ষে এই বিষ্ময়কর সংবাদ প্রাপ্তীর কোন সুযোগ নেই৷ কেননা বিজ্ঞান কিংবা মানুষের চিন্তা গবেষনা কোনটাই সীমাবদ্ধতার বাধন মুক্ত নয়৷ মানুষের চিন্তা শক্তি এতটাই সীমাবদ্ধ যে, মাত্র এক মিনিট পর তার জীবনে কি পরিনতি অপেক্ষামান মানুষের জন্য এই তথ্য অজানার গবহরে লুকায়িত৷ বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোন বিজ্ঞানীকে যদি প্রশ্ন করা হয় তার মস্তিস্কের কোষ এই মূহুর্তে কয়টি কাজ করছে এবং এক মাস পর কয়টি কাজ করবে কিংবা এক মাস পর তিনি কি সুস্থ থাকবেন নাকি অসুস্থ, অথবা এক মাস পর তার অবস্থান কি ইহজগতে নাকি পরজগতে ? তাহলে হয়ত গঠনমুলক কোন জবাব আসবে না৷

আর যদি বিজ্ঞান দিয়ে কোন এক সময় মানুষের সকল ভবিষ্যত পরিনতি সমুহ জেনেও নেওয়া যায় তাহলে হয়ত মানুষ পূর্ব থেকেই অধিক সচেতনার পথ অবলম্বন করার মাধ্যমে সে তার কাংক্ষিত বস্তুগত লক্ষ্যে অনেকটাই উপনিত হতে পারবে কিন্তু সমস্যা হল মৃতু্য নামক বস্তুটিকে নিয়ে !

এই বস্তুটির সংবাদ যদি মানবজাতী পূর্বেই বিশেষ কোন জ্ঞান বিজ্ঞানের কল্যানে পেয়েও যায় তাহলে মানব মন্ডলির কি পরিনতি হতে পারে বিচক্ষন ব্যক্তি মাত্রই এই বিষয়টি উপলদ্ধি করে থাকবে৷ ধরনীতে যখন এমন একজন মানুষ দৃষ্টিগোচর হয় যাকে ডাক্তার হয়ত তার অভিজ্ঞতা মাধ্যমে ভবিষ্যতবানী করে দিয়েছে যে, সে ইহজগতে দুই মাস বাচবে মাত্র, তাহলে সেই মানুষটির এবং তার পরিবার পরিজনের কি কঠিন অবস্থা পরিলক্ষিত হয় সেটা সহজেই অনুমেয়৷ সেই মানুষ এবং তার পরিবারের জন্য প্রতিদিনের পূর্ব দিগন্তের সূর্য যেন অসহনীয়৷

প্রতিদিনের নতুন সূর্য যেন সেই পরিবারের জন্য তীব্র বেদনার ছবি একে দিয়ে যায়৷ হৃদয়ের ব্যথা যেন তিব্র থেকে অতিব তীব্রতর হয়৷ সম্পূর্ন অসহায় দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে থাকা ব্যতিত যেন কিছুই আর করাই নেই, অতপর যখন সেই দিবষটি চলে আসে যখন মানবাত্বা ইহজগত ছেড়ে এক অদৃশ্য জগতে পারি দিতে প্রস্তুতি নেয় তখন নিকট আত্বাগুলোর হৃদয় বিদারক চিত্‍কারে যেন আকাশ ভারি হয়ে যায় এবং সমগ্র পৃথিবীর পৃষ্টদেশ যেন দির্ন বিদির্ন হয়ে যেতে চায় তবুও কি সেই আত্বাকে ধরে রাখা যায় ? কোন সেই মহা শক্তি মানুষের এই অবস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রন করছে ? বিপর্যয়ের দ্ধারপ্রান্তে দারিয়ে একটি মানুষ কেন অদৃশ্য কোন শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে৷

"সমুদ্রের বুক চিরে চলমান জাহাজটি যখন হঠাত্‍ এক অনাকাংক্ষিত এমন ঝরের কবলে পতিত যখন বাচার কোন সম্ভাবনাই থাকে না তখন সেই জাহাজের মানুষগুলোকে যেন দেখা গিয়েছে অদৃশ্য কোন শক্তির কাছে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে এবং বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচার তাগিদে সেই অদৃশ্য শক্তির নিকট প্রার্থনা করছে ! এমন এক পরিস্থিতিতে এসে মানুষ কেন তার চিন্তা গবেষনা এবং বস্তগত শক্তির মাধ্যমে নিজেকে বাচানোর পথ পরিহার করে অদৃশ্য কোন শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ? অথচ সেই শক্তিকে দেখা যায় না কিংবা অনুভূতির জগতেও ধরা দেয়না ? মানুষ যখন বিপর্যয়ের দ্ধারপ্রান্তে উপনিত হয়ে প্রাকৃতিক শক্তি এবং নিজের বুদ্ধিবৃতি্বক কৌশল অবলম্বন করে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচতে না পারে তখনই দেখা যায় মানবাত্বা বিশ্বজগতের আর কোন শক্তির উপর নির্ভর না করে অদৃশ্য কোন শক্তির নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছে !

এক অদৃশ্য শক্তির নিকট মানুসিক ও নৈতিক সত্বার এই নির্ভরতাকে অস্বীকৃতি জানানোর উপায় নেই এবং ইহা কোন অস্বাভাবিক ক্রিয়াও নয় কারন বিশ্বজগতে যখন মানুষের প্রথম আগমন হয়েছিল তখন তাদের অন্তরজগতে এক অদৃশ্য অবিনশ্বর সত্বার বিশ্বাসের উপস্থিতি ছিল যার ফলশুুতিতে পরবর্তি সমপ্রদায় সেই বিশ্বাস সংরক্ষন করেছিল৷ সুতরাং কিছুটা হলেও উক্ত আলোচনা দ্ধারা প্রমান করা যায় বিশ্বজগতের জন্য একজন স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম৷

Online outsourcing education
http://www.bdcareer.tk

Level 2

আমি এমডি মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Live in Dhaka. Profession Laptop & Computer Business, Domain Hosting Provider, Web Design House


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুব কঠিন একটা প্রবন্ধ, অসংখ্য বানান ভুল্‌ এটাকে আর কঠিন করে তুলেছে ।
ধন্যবাদ ।

    ভাই আপনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এজন্য যে, আপনি আমার ভুল সনাক্ত করেছেন, আমার পোষ্টিং দেওয়ার পর মনে হয়েছে যে বানানগুলো সংশোধন করা হয়নি সেই জন্য আমি দুঃখিত৷

    এর সাথে টেক্সট সাইজের পরিবর্তনও প্রয়োজন। আমিতো পড়তেই অসহ্য বোধ করছি। তাই ২ লাইনের বেশি পড়তে পারিনি।

চরম হয়েছে…………..

Level 0

খুবই ভাল হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।