কেমন হয় বাংলার ভূত-পেত্নীরা?

সেই যে গ্রামের বুড়ো বটগাছটা, যার ডাল কেউ ভাঙতে পারেনি, বাঁশবাগানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দাদুকে কে যেন বলেছিল “এঁইঁ কেঁ যাঁয়ঁ রেঁ?”, অথবা বাজার থেকে রাত করে ইলিশ নিয়ে ফেরার সময় মামার পিছু নিয়েছিল এক ভীষণ মাছলোভী ভূত- এমন সব গল্প তো আমরা সবাই শুনেছি। ভূত আছে কি নেই, সে বিষয়ে তর্ক থাকলেও, ভূতের গল্প কিন্তু সবারই প্রিয়। প্রতিটি দেশের সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে থাকে তাদের একান্ত নিজস্ব গল্প, সেখানে নিজেদের মতো রাজকুমার, অলৌকিক প্রাণীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকে নিজস্ব ভূতেরাও। তেমনি আমাদের লোকসাহিত্যেও আছে নানান ভূতের সমাবেশ। তারা আমাদের মতোই ইলিশ মাছ, পিঠা খেতে ভালোবাসে। পশ্চিমে ভূতেদের জন্য হ্যালোউইন হয়, আমাদের দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও পালন করে ভূত চতুর্দশী। তাহলে চিনে নেয়া যাক বাংলা লোকসাহিত্যের ভূতেদের।

ভূত-পেত্নীর ভিডিও টি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

ব্রহ্মদৈত্য

ব্রহ্মদৈত্য হচ্ছেন খানিকটা ভূতেদের সর্দার গোছের। ব্রাহ্মণ মরে ব্রহ্মদৈত্য হয়। তারপর পায়ে খড়ম চাপিয়ে, সাদা ধুতি পরে খট খট শব্দে হেঁটে বেড়ায়। তার থাকার প্রিয় স্থান বেলগাছ বা শিমুল গাছ। ব্রহ্মদৈত্য খুশি হয়ে বর দেন মাঝে মাঝে। কেউ তাকে রাগিয়ে দিলে শাস্তি পায়। সাধারণত ব্রহ্মদৈত্য মশাই কারোর অনিষ্ট করেন না। কিন্তু যেহেতু ব্রাহ্মণের ভূত বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে, অপরিচ্ছন্ন কাউকে পেলে ঘাড়টা মটকেও দেন কখনো কখনো।

পেত্নী

পেত্নী হলো ভূতের নারী সংস্করণ। সংস্কৃত ‘প্রেতনী’ থেকে লৌকিক পেত্নীর আবির্ভাব। অল্পবয়সী, অবিবাহিতা কোনো মেয়ে অপঘাতে মারা গেলে পেত্নী হয়। এরা তেঁতুল আর শ্যাওড়া গাছে পা ঝুলিয়ে বসে নাকি সুরে কথা বলে আর মানুষকে বিরক্ত করে। তাদের পায়ের গোড়ালি উল্টোদিকে ঘোরানো থাকে।

আমাদের আরো অজানা রহস্য ভিডিও দেখার জন্য আমাদের চ্যালেনটি ঘুরে আসুন >> Ojana Rohosso

Level 0

আমি অজানা রহস্য। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস