অনলাইনে আয়ের কার্যকর উপায় সম্পর্কে জানুন এবং বিনামূল্যে কোর্স করুন

২০২০ সালে কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, রোধ করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার।  কারিগরী শিক্ষায় বেশী জোর দিতে হবে কম্পিউটার শিক্ষা ও ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার উপর। সাম্প্রতিক কর্ম সংস্থান বিষয়ে তরুণদের ভাবনা নিয়ে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিলো।  সে প্রতিবেদনে অধিকাংশ তরুণ তরুণীরা তাদের ভবিষ্যত কর্মসংস্থান বিষয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে। বর্তমান সমাজে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে সামাজিক অপরাধ। ধাপে ধাপে তরুণরা জড়িয়ে যাচ্ছে নানা কিশোর অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, শিক্ষার মান অবনত হওয়া, কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি, মাদক আসক্তি ও পারিবারিক কোন্দলের পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে ফেসবুক, ইউটিউবসহ জনপ্রিয় কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার।  ভালো কাজের চেয়ে খারাপ কাজেই সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের হার বেশী। স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এর উঠতি বয়সের কিশোর কিশোরীরাও ঝুঁকে পড়ছে এ কাজে এবং আসক্তিমূলক নানা গেইমসহ এন্ডয়েড এপও আছে সর্বোচ্চ ব্যবহারের তালিকায়। এখন থেকেই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।  নয়তোবা ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে তরুণ সমাজ। পাশাপাশি অনেকখানি যাবে ভবিষ্যত কর্মসংস্থানের সুযোগ। কেননা যাদের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ প্রসারিত হবে তারাই নিজেরাই বিপথে হেটে চলেছেন প্রতিনিয়ত।  এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমজীবি মানুষের একটি বড় অংশও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩-৫ ঘন্টাই নষ্ট করেন গেইম, ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যান্ড্রয়েড এপ-এ।  এভাবে প্রচুর পরিমাণ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে কর্ম জীবি ও বিকার উভয় ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। ফলে কাজের ক্ষেত্র সীমিত হয়ে আসছে, কমছে মানুষের কর্ম ক্ষমতা ও কাজের আগ্রহ, বাড়ছে নানা ধরনের অনৈতিক কাজের প্রবণতা।  মাদক আসক্তি, অবৈধ উপার্জন ও অনৈতিক সম্পর্ক কে না বলুন শীর্ষক সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ বিভাগের একটি  সংস্থা তাদের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পরিবারসহ দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছে।  এটা ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের সকল সংস্থায়।  দূর্নীতিসহ এসব কারণে  জরিপমতে উচ্চশিক্ষিতদের ৯১ শতাংশই কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন।  অথচ দেশব্যাপী চলছে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা, বেড়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সবক্ষেত্রে উন্নয়ন অব্যাহত থাকলেও বাড়ছেনা সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতা, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সীমিতকরণে উদ্যোগ, হয়নি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ নির্মুলে পারিবারিক  উদ্যোগ। ফলে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কোন কর্মসংস্থান বা কাজে জড়িত নেই এবং দিন দিন এর পরিমাণ বাড়ছে।  শুধু তাই নয়, যারা কাজে জড়িত তাদেরও কাজের আউটপুট কমে যাচ্ছে। তাই যতটা সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দেয়ার প্রবণতা কমাতে হবে, সরাসরি যোগাযোগের পরিমাণ বাড়াতে হবে, স্মার্টফোন আসক্তি পরিহার করতে হবে, ধর্মীয় অনুশাসন পালনে আন্তরিক হতে হবে এবং কারিগরী শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হতে হবে। কারিগরী জ্ঞান না থাকলে একজন ব্যক্তি উচ্চ শিক্ষা অর্জন সত্ত্বেও বেকার থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু কারিগরী জ্ঞান থাকলে সে শিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ ছাড়াও প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে নিজেকে নিয়োজিত করার সুযোগ রয়েছে। সীমিত পরিসরে উদ্যোক্তা গড়ে উঠার গল্পগুলো এক্ষেত্রে অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে। যাবতীয় সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে পারলে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে যাদের কম্পিউটার কাজে নূন্যতম জ্ঞান আছে তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ঘরে বসেই প্রচুর টাকা আয় করছেন। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ঘরে বসেই প্রশিক্ষণ নেয়ারও সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করছেন। বিদেশে কাজ করে যে পরিমাণ আয় করছেন অনেকে, ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে অনেকে তার চেয়েও বেশী আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সরকারীভাবে ২% প্রণোদনা ভাতাও পাওয়া যাচ্ছে। গুগল এডসেন্স, ইউটিউব মার্কেটিং এবং এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করেও অনেকে নিজেকে ক্যারিয়ার দাড় করাতে সক্ষম হয়েছেন। সাম্প্রতিক টেক সলিউশন ২৪ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ক্যারিয়ার গঠনের উল্লেখযোগ্য কোর্সগুলোর সমন্বয়ে এমাজন এফিলেয়েট মার্কেটিং এর একটি কোর্স এর আয়োজন করেছে মাত্র ৯৫০০ টাকায়।  একাউন্ট করা থেকে শুরু করে হাতে টাকা আনা পর্যন্ত  হাতে কলমে শিখা যাবে এ কোর্সে। সাথে ইউটিউব ও গুগল এডসেন্স কোর্স পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ  বিনামূল্যে। এ লিংকে গিয়ে জানা যাবে বিস্তারিত।

যাদের নূন্যতম কম্পিউটার জ্ঞান নেই কিংবা এসব বিষয়ে আগ্রহ নেই তারা করতে পারেন স্বল্পমেয়াদী বিভিন্ন কারিগরী কোর্স।  অটোমোবাইল, মেডিক্যাল টেকনোলজি ও মোবাইল টেকনোলজি বিষয়েও অনেকে চাইলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারলে দেশে একদিকে দক্ষ জনশক্তি তৈরী হবে, তারা বিদেশে গিয়ে একই পেশায় নিয়োজিত হতে পারবে।  মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান প্রশিক্ষণ চলছে দেশব্যাপী যেখানে খাওয়া, সম্মানী ভাতাসহ প্রয়োজনীয় টুলস সরবরাহ করা হচ্ছে বিনামূল্যে। দেশের সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এধরনের স্ব উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশ কারিগরী শিক্ষায় আরো শক্তিশালী হবে।
বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স সবচেয়ে কার্যকর একটি পদ্ধতি, কিন্তু সঠিক গাইড লাইনের অভাবে অনেকে ইউটিউব চ্যানেল করেও ভালো পরিমান আয় করতে পারেননা। আজ আমি আপনাদের ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় করার একটি ফ্রি কোর্স এর সন্ধান দিবো, যার মাধ্যমে আপনারা সহজেই আয় করতে পারবেন।

তার আগে জেনে নিন কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য.

আজকের পর্বে আমরা অনলাইনে আয়ের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করি.

অনলাইনে আয় করার উল্লেখযোগ্য উপায়সমূহের কিঞ্চিৎ :

(১) গুগল এডসেন্স + ওয়েবসাইট (ওয়েবসাইটে এডসেন্স কোড ব্যবহার করে বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন)

(২) গুগল এডসেন্স + ইউটিউব (ইউটিউব ভিডিওতে এডসেন্স বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন)

(৩) এফিলিয়েট মার্কেটিং (ওয়েবসাইটে স্বনামধন্য কোম্পানীর পণ্যের রিভিউ প্রদানের মাধ্যমে এফিলিয়েট লিংক হয়ে পণ্য সেল)

(৪) সিপিএ মার্কেটিং (বিভিন্ন অফার সম্বলিত তথ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় শেয়ারের মাধ্যমে এফিলিয়েট লিংক হয়ে ল্যান্ডিং পেজ ভিজিট)

(৫) ইমেইল মার্কেটিং (ইমেইলে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস প্রদান করে লীড জেনারেশন)

(৬) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (গুগলসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেইজে সাইট আনার মাধ্যমে ওয়েবসাইট র‌্যাংক)

(৭) ডিজিটাল মার্কেটিং  (ডোমেইন হোস্টিং, প্রমোট ও বুস্টিংসহ বিভিন্ন টিউন পেইজ আপ)

(৮) অনলাইন মার্কেটপ্লেস (বিভিন্ন স্কিল যেমন লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিংসহ নির্দিষ্ট স্কিল এর কাজ)

(৯) ডিজিটাল সার্ভে (নির্দিষ্ট কিছু মাধ্যম ব্যবহার করে ইএসএ এর বিভিন্ন সার্ভে সম্পাদন)

(১০) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ট্রাফিক জেনারেশন)

অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, তার মধ্যে উপরোক্ত ১০টি পদ্ধতিতে অনলাইনে আয় করার বিষয়টি খুবই জনপ্রিয়। এরমধ্যে আমি ৩টি পদ্ধতিকে প্রায়োরিটি দিবো, ৩টি পদ্ধতিতে কাজ করতে গেলে অন্যান্য পদ্ধতি সমূহের কিঞ্চিৎও আপনার জানা হয়ে যাবে। আমি আপনাাকে ক্লিক করে বা ভিডিও দেখে আয় করার কথা বলবো না, কেননা এসব কাজে আপনার সময় ও দক্ষতা ২টিই নষ্ট হবে, ভবিষ্যতের জন্য কোন রাস্তা তৈরী হবে না। অনলাইনে যেসব আয়ের উপায় আছে, সব আয়ের উপায়ও আমাদের জন্য কার্যকর না। আপনার জন্য যেগুলো কার্যকর এবং ভবিষ্যতে প্যাসিভ ইনকাম তৈরী করবে আমি সেগুলো নিয়েই কথা বলবো।

ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে : ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আয়ের পথটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যম। একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে তাতে আপনার পছন্দমত যেকোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন তারপর মাসখানেক পর গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। গুগল এডসেন্স একাউন্ট পেয়ে গেলে সে ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি আজীবন আয় করতে পারবেন। আপনি যদি ডোমেইন হোস্টিং কিনে অর্থাৎ টাকা খরচ না করে ওয়েবসাইট বানাতে চান তাও আপনার জন্য পথ খোলা আছে। ব্লগস্পট, ওয়েবলি, ইয়োলা, উইক্স, ওয়ার্ডপ্রেস এ সাইটগুলো আপনাকে ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরীর সুযোগ করে দিবে। এসব সাইটে সাবডোমেইন হিসেবে আপনার সাইট হোস্ট করতে পারবেন। পছন্দের টপিক নিয়ে আলোচনা করা নিয়ে ব্লগ, সংবাদ ভিত্তিক তথ্য দিয়ে নিউজ সাইট, রিভিউ ভিত্তিক তথ্য দিয়ে এমাজন এফিলিয়েট সাইট কিংবা বিভিন্ন অফার টিউন করে আপনি বানাতে পারেন লীড জেনারেশন সাইট যা আপনার জন্য একটি অনলাইন এসেট তৈরী করে দিবে। মনে রাখবেন একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে ভবিষ্যতের জন্য একটি সম্পদ তৈরী করা বা একটি গাছের বীজ বপন করা। তাই দেরী না করে আপনিও ওয়েবসাইট তৈরীর কাজে মগ্ন হয়ে যান। গত কয়েক বছরে এডসেন্স ব্যবহার করে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আমার আয় প্রায় ১০০০ ডলার। শুধু এ কাজেই যারা সময় দেয় তাদের এই আয়ের পরিমাণ আরো অনেক বেশী। ‍শুধু শুরু করাটাই অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। গুগল এডসেন্স একাউন্টে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করে বাংলাদেশে টাকা নিয়ে আসা যায়। ১০০ ডলার হলে ব্যালেন্স পাঠানোর যোগ্যতা অর্জন করে।

ইউটিউব : বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ একটি মাধ্যম ইউটিউব এর মাধ্যমে আয়। একটি জিমেইল একাউন্ট থাকলে খুব সহজেই আপনি একটি চ্যানেল বানিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। আপনার যা ভালো লাগে সেটা নিয়েই ভিডিও বানাতে পারেন। উদাহরণস্বরুপ বিভিন্ন টিউটোরিয়াল বানিয়ে কিংবা রান্না করার রেসিপি বানিয়ে ইউটিউব থেকে অনেকেই লাখ টাকা আয় করছে কাজেই আপনিও বসে থাকবেন কেন। একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকাও ভবিষ্যতের জন্য একটি সম্পদ এবং দীর্ঘমেয়াদী আয়ের সহজ পথ। গত বছরে এডসেন্স ব্যবহার করে ইউটিউব এর মাধ্যমে আমার আয় প্রায় ৫০০ ডলার। শুধু এ কাজেই যারা সময় দেয় তাদের এই আয়ের পরিমাণ আরো অনেক বেশী। ‍শুধু শুরু করাটাই অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। একটি চ্যানেল-এ শুধু একটি ভিডিও র‌্যাংক হয়ে গেলেই আপনার সাবসক্রাইবার বাড়তেই থাকবে। আর তখন ভিডিও এর মাধ্যমে আয় করা আরো সহজ হয়ে যাবে। ইউটিউব এডসেন্স এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম ১০০ ডলার হলে টাকা দেশের একাউন্টে পাঠানো হয়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং : এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এমাজন এবং আলী এক্সপ্রেস জনপ্রিয়। আমরা এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিংকে প্রেফার করি ভবিষ্যতের প্যাসিভ ইনকাম তৈরীর ক্ষেত্রে। এমাজন এফিলেয়েট আর মাধ্যমে আমি ১২০০ ডলার এর মত আয় করেছি। ছবিতে এমাজন একাউন্টের মাধ্যমে আয়ের একটি স্ক্রীনশট দেখানো হয়েছে। একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটাতে বিভিন্ন এমাজনের পণ্য রিভিউ পাবলিশ করে এমাজন এফিলিয়েট একাউন্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন অনুমোদন হলে সকল পণ্যের সাথে এফিলিয়েট লিংক সংযুক্ত করে তা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট র‌্যাংক করাতে হবে। পণ্য সেল হলে এমাজন থেকে কমিশন জমা হবে এমাজন এফিলিয়েট একাউন্টে। সে টাকা ৫০ ডলার হলেই উইথড্র করা যাবে। উইথড্র করার জন্য পেয়োনিয়ার একাউন্ট করতে হবে। পেয়োনিয়ার একাউন্ট এর অনুমোদন পেলে সে একাউন্টে বাংলাদেশের ব্যাংক একাউন্ট যোগ করে টাকা দেশে নিয়ে আসা যায়। বাংলাদেশ থেকে এ উপায়ে অনেকেই আয় করছেন এবং পুরো ওয়েবসাইটটি অনেকে বিক্রি করে দিচ্ছেন ৩০-৪২ গুণ দামে। ফ্লিপপা এবং এমপায়ার ফিলিপারস ওয়েবসাইট পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বিক্রির ব্রোকার হাউজ।

উপরোক্ত ৩ টি পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর এবং ভবিষ্যতে প্যাসিভ ইনকামের উৎকৃষ্ট মাধ্যম। তাই এই ৩টি উপায়ে কাজ শুরু করার জন্য আমি পরামর্শ দিচ্ছি। আপনি যদি সমান্তরালে ৩টি অথবা যেকোন ১টি বাস্তবায়ন করেন তবে আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটররা ঘুমিয়ো থাকবেনা, ঘুমিয়ে থাকবেনা আপনার ভিডিও এর ভিউ কিংবা পণ্যের রিভিউ এবং সর্বোপরি আপনার আয়ও ঘুমিয়ে থাকবে না। আমরা পরবর্তীতে বিভিন্ন সেশন আলোচনা করবো এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অনুশীলন এর মাধ্যমে সকলের জন্য একেকটি সোর্স তৈরী নিশ্চিত করবো। আগামী ৯ জানুয়ারী ২০২০ হতে এফিলিয়েট মার্কে টিং এর কোর্স পরিচালিত হবে যেখানে ইউটিউব মার্কে টিং কোর্স করা যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।  এছাড়াও অনলাইনের কাজগুলোর বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে।  সকলকে প্রশ্ন টিউন করার জন্য অনুরোধ করছি। প্রাথমিক আলোচনায় আপনার মনে নানা প্রশ্ন তৈরী হতে পারে, তাই প্রশ্ন করে ফেলুন।  আর উদ্যোগ নিন, কাজ শুরু করুন।  ফেসবুক ইভেন্টে আরো জানতে পারবেন।

আমার ব্লগ / Web

আমার FB

Level 2

আমি ওবায়েদ উল্লাহ আইমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 350 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Computer Science & Engineering www.facebook.com/aimanbd


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Sujogta kaje laganor jonno uttom somoy, agrohira druto bebostha nin.