Drop Shipping বিজনেস কি? এবং যেভাবে শুরু করবেন পর্ব ১

Level 1
CEO & Founder, Amazon Seller, Dropshipping & Digital Content Creator, Dhaka

Drop Shipping বিজনেস কিএবং যেভাবে শুরু করবেন পর্ব 

আসসালামু আলাইকুম এবং সবাইকে স্বাগতম আজকের লেখায়। আজকে আমরা কথা বলবো ড্রপ শিপিং নিয়ে। ড্রপ শিপিং কি এবং কিভাবে ড্রপ শিপিং শুরু করা যায়?
ড্রপশিপিং কি?
ড্রপ-শিপিং হলো একটি eCommerce Business Model, এই পদ্ধতিতে একজন বিক্রেতা তার পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারীর মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। বর্তমানে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করার মাধ্যম হিসাবে ই-কমার্স সাইট গুলো সম্পর্কে সবাই জানি, ই-কমার্স সাইট গুলো ড্রপ-শিপিং পদ্ধতিতে তাদের সেবা প্রদান করে থাকে। এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করতে বিক্রেতাকে পণ্য মজুদ করে রাখার প্রয়োজন হয় না, কারণ পন্য মজুদ রাখার কাজটি পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারী করে থাকে। আর পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারীই ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। ই-কমার্স সাইট গুলো (বিক্রেতা) এর দায়িত্ব হলো কাস্টমারের (ক্রেতা) কাছ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করা এবং Wholesaler(পাইকারি বিক্রেতা) অথবা Supplier (সরবরাহকারী) এর কাছে কাস্টমারের যাবতীয় তথ্য যেমন- নাম, ঠিকানা ফোন নাম্বার ইত্যাদি পৌঁছে দেয়া। Amazon, eBay, Shopify, এবং আরো অনেক ইকমার্স সাইট এই মডেল উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

Dropshipping Business Model

ড্রপশিপিং বিজনেস কিভাবে কাজ করে? সোজা কথায় আপনার নিজের স্টোরে কোন প্রোডাক্টের ইনফো রাখলেন এরপর কাস্টমার আপনার স্টোরে ঢুকে সেই প্রোডাক্টটি কিনতে অর্ডার করল এবার আপনি একজন সাপ্লায়ারের নিকট থেকে উক্ত পন্যটি কিনে তা আপনার কাস্টমারের নিকট পাঠিয়ে দিলেন এই প্রসেসটাই ড্রপশিপিং।

নিচের ভিডিও টা থেকে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ড্রপশিপিং পদ্ধতিটি কয়েকটি ধাপে কাজ করে,  ধাপগুলো হলো

  • কাস্টমারের বিক্রেতার ওয়েবসাইটে (ইকমার্স সাইট)পণ্যের অর্ডার
  • বিক্রেতার সেই অর্ডার Wholesaler অথবা Supplier এর কাছে হস্তান্তর
  • Wholesaler অথবা Supplier মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছান।

 

চেইন পদ্ধতিতে ড্রপশিপিং ব্যবসা পরিচালিত হয়:
Manufacturers: ম্যানুফেকচারার পন্য তৈরি করে থাকে, তারা সরাসরি কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করে না, উৎপাদিত পণ্য তারা Wholesalers বা Supplier এর কাছে একটি বড় অংশ আকারে বিক্রি করে।

Wholesalers: Wholesalers বা Supplier Manufacturers কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে এবং পন্য মজুদ করে রাখে।

Retailers: ইকমার্স সাইট গুলো সরাসরি কাস্টমারের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে।

মনে করুন, আপনি Ebay- অনলাইন স্টোরে একটা টি-শার্টি অর্ডার করলেন, আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পেমেন্ট করলেন।

এবার Ebay কর্তৃপক্ষ সে অর্ডার তাদের Supplier এর কাছে পাঠিয়ে দেবে। কারণ, Supplier-ই পণ্য মজুদ করে থাকে।

তারপর Supplier সেই নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি আপনার ঠিকানায় পৌঁছে দেবে।

বর্তমানে ড্রপ-শিপিং ব্যবসা জনপ্রিয়তায় শীর্ষে, এই জনপ্রিয়তার কিছু সুবিধাজনক কারণ রয়েছে। সাধারণত অন্য ব্যবসার তুলনায় ড্রপ-শিপিং ব্যবসা সহজ ও ঝামেলা মুক্ত। যেহেতু ড্রপ-শিপার(বিক্রেতা) কে পণ্য মজুদ, রক্ষণাবেক্ষণ ও কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া, এই কাজগুলো করতে হয় না, আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন রকম খরচও হয় না, ঝুঁকিও কম। কম দামে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রয় করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইন স্টোরকে রক্ষণাবেক্ষণ যায়, শুধুমাত্র ইন্টারনেটসহ একটি কম্পিউটার থাকলেই হবে। এইসব কারনেই ড্রপ-শিপার এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, আমাদের দেশেও ব্যবসাটি সম্পর্কে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছে, সফলতাও পেয়েছে।

সুবিধাঃ
খরচ কম: একটা অনলাইন স্টোর তৈরি করতে তুলনামূলক খরচ অনেক কম। আপনার যদি IT Knowledge থাকে তবে সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ড্রপ-শিপিং এ গুদাম ঘর ভাড়া দেয়া, আসবাবপত্র তৈরি, বিদ্যুৎ বিল আরও আনুসাংগীক খরচ করার প্রয়োজন হয় না।

পন্য মজুদঃ একজন ড্রপ-শিপার এর পণ্য মজুদ করে রাখার দরকার হয় না। তাই গুদামজাত করার খরচ নিয়ে ভাবতে হয় না।

পণ্যের প্রাচুর্যতাঃ অনলাইনে পণ্যের ছড়াছড়ি তাই ড্রপ-শিপার চাহিদা মত পণ্য বাছাই করতে পারে।

পরিচালনাঃ আপনি যেখানেই থাকুন, শুধুমাত্র ইন্টারনেটসহ একটি কম্পিউটার থাকলেই যেকোনো স্থান থেকে এটি পরিচালনা করতে পারবেন।

কাস্টমারের সংখ্যাঃ একজন ড্রপ-শিপার সারা বিশ্বব্যপী পণ্য বিক্রি করতে পারে অর্থাৎ মার্কেট অনেক বড়, সে চাইলে কাস্টমারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে আর সে যদি কাস্টমারকে খুশি করতে পারে তবে তার স্টোর থেকে পরে সে আবার পণ্য কিনবে।
ঝুঁকিঃ
প্রথমেই সকলে যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তা হলো- একটা লাভজনক পণ্য খুঁজে বের করা, কাজটি বেশ কষ্টকর। মার্কেটে হাজার হাজার পণ্য থাকে, একই পণ্য অনেকই সেল করে, এর মধ্যে থেকে সঠিক পণ্য খুঁজে বের করতে হবে।

Supplier এর কাছে পণ্যের ঘাটতি, অনেক সময় দেখা যায় আপনার কাস্টমার যে পণ্যটি অর্ডার করেছে সেই পণ্যটি আপনার Supplier এর স্টকে আর নেই, অনেক সময় Supplier কাস্টমারের কাছে পণ্য পাঠাতে দেরি করে সেক্ষেত্রে কাস্টমারের সাথে আপনার ব্যবসায়িক সম্পর্ক খারাপ হবে অর্থাৎ সেল হারাবেন।

আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে, বিশেষ করে আপনার অনলাইন স্টোর রক্ষণাবেক্ষণের এবং কাস্টমার সংগ্রহ করার দক্ষতার উপর।

অনলাইনে শুধু আপনি পণ্য সেল করবেন না, আপনার অনেক প্রতিযোগী থাকবে। প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিযোগীতা করে টিকে থাকাটা একটা চ্যালেন্স। যেহেতু শুরু করার জন্য সামান্য বিনিয়োগ প্রয়োজন, তাই অনেক প্রতিযোগিতায় রয়েছে। ড্রপ-শিপিং কোম্পানিগুলি খুব কম মূল্যে পণ্যগুলি অফার করে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য, আপনার প্রায়ই পণ্যের মূল্য খুব কম করার প্রয়োজন হয়।

আপনার যেহেতু পণ্য উৎপাদের সুযোগ থাকে না, কারণ Manufacturer এই দায়িত্বে থাকে তাই পণ্যের গুনগতমানের উপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রন থাকে না।

ড্রপ-শিপিং ব্যবসার ক্ষেত্রটি অনেক বড়, ব্যবসায় সফল হতে হলে একজন ড্রপ-শিপারকে কিছু বিষয়ের উপর বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।

আপনার ইমেল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন তাহলে নতুন টিউন হলেই পেয়ে যাবেন মেইন এ।
Subscribe to our newsletter!

কিভাবে শুরু করবেনঃ
ড্রপ-শিপিং ব্যবসা শুরু করতে গেলে কিছু পুর্ব প্রস্তুতির দরকার হয়। এই প্রস্তুতি আপনাকে ভবিষ্যতে কাজ সহজ করতে সাহায্য করবে।

পণ্য/Niche নির্বাচনঃ
প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অনলাইনে আপনি কি পণ্য বিক্রি করবেন অর্থাৎ নিস কি? নিচের নিস তালিকাটি লক্ষ্য করুন-

  • Body Weight Fitness
  • Novelty Socks
  • Yoga
  • Performance Clothing
  • Travel Backpacks
  • Roller Derby

প্রতিটি একটা নিস, Body Weight Fitness সম্পর্কিত পণ্য গুলো কি, ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি।

Dropshipping Business Model
পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে,  তা হলো
পণ্যটি কাদের জন্য- অর্থাৎ পণ্যটি কাদের প্রয়োজন, আপনার কাস্টমার কারা। উদাহরণ স্বরূপ-লেডিস হ্যান্ডব্যাগ, লেডিস হ্যান্ডব্যাগের কাস্টমার কারা, মেয়েরা।

অনলাইনে এর চাহিদা কেমন- “Body Weight” এই Keyword টি মানুষ Google এ প্রতিদিন বা প্রতিমাসে কি পরিমাণ সার্চ করে সেইটা জানতে হবে। এটা জানার জন্য বিভিন্ন প্রকার Tools আছে, যা সার্চ ভ্যালু জানতে পারবেন। Google Keyword Planner একটি কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল।
কিভাবে নিস বাছাই করবেন
Google Keyword Planner Search গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার একটি টুল, যা আপনাকে জানাতে পারে যে কতগুলি কীওয়ার্ড প্রতি মাসে কি পরিমাণ সার্চ হচ্ছে। যদিও এই টুলটি বেশিরভাগ এসইও পেশাদারদের দ্বারা এবং গুগল অ্যাডওয়ার্ডস বিশেষজ্ঞ দ্বারা ব্যবহৃত হয়, গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুল হল আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকরা অনলাইনে কী খুঁজছে তা খোঁজার একটি দুর্দান্ত উপায়। এই সময়ে, আপনি যে তথ্য খুঁজছেন তা হল প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড অনুসন্ধানকারীর সংখ্যা এবং বিড কত। এই সংখ্যাটি আপনাকে জানাবে এই কিওয়ার্ডটি কতটা জনপ্রিয় এবং লাভজনক।

AMAZON SEARCH গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানারের মত Amazon Search বক্সও সার্চ করে দেখতে পারেন কি ধরনের পণ্য বেশি সেল হয়।

RESEARCH SOCIAL MEDIA আপনি Social Media গুলোতেও সার্চ করে দেখতে পারেন। ইতোমধ্যে যারা এই ব্যবসা করে, তাদের Social Media সাইট গুলো লক্ষ্য করুন, তারা কি সেল করছে, তাদের অডিয়েন্স কারা। এই গুলোর উপর অনুসন্ধান করুন তাহলে নিস খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।

যেসব পণ্যের পরিমাণ ও প্রতিযোগী অনলাইনে কম সেই সমস্ত পণ্য বিক্রি করার চেস্টা করবেন। এমন কিছু পণ্য নির্বাচন করুন যেগুলো কিনতে একজন কাস্টমার ব্র্যান্ডের কথা না ভাবে। আপনি যদি TV কিনতে চান, চাইবেন (Sony, Panasonics, LGs, etc) ব্র্যান্ডের পণ্য, ব্র্যান্ডের পণ্যের দাম নির্দিষ্ট থাকে এর থেকে বেশি লাভ করা অসম্ভব। এমন একটি পণ্য নির্বাচন করুন যেগুলো সব ধরনের আয়ের মানুষ কিনতে পারে, ব্র্যান্ডের কথা না ভেবে শুধু প্রয়োজন মেটানোর কথা ভাবে। Novelty Socks অর্থাৎ মোজা, কারো জানার ইচ্ছা নেই মোজাটি ব্র্যান্ডের কিনা।

আপনি যখন পণ্য নির্বাচন তখন আরো একটি বিষয় মনে রাখবেন- $১০ এর পণ্য সেল করতে যতখানি পরিশ্রম করতে হয়, $১০০০ এর পণ্য সেল করতে একই পরিশ্রম করা লাগে। তাই চেস্টা করুন বেশি দামের পণ্য সেল করার। কারণ Profit Margin যদি ২০% ধরি তবে $১০ এর পণ্য সেল করলে পাবেন $২, $১০০০ এর পণ্য সেল পাবেন $২০০, পরিশ্রম সমান পর্যায়ের করতে হয়।

নিস নির্বাচন করতে সময় নিয়ে ভাল করে রিসার্চ করে নিসটি ঠিক করুন। একটা ভাল নিস নির্বাচন খুবই গুরুত্বপুর্ন, কারণ এর উপর আপনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।

Identify Competitors/প্রতিযোগীঃ
আপনি নিস নিয়ে কাজ করবেন, একই নিস নিয়ে অন্য একজন কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক, যারা একই নিস নিয়ে কাজ করে তাদের কে একে অপরের প্রতিযোগী/ Competitors বলে। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে Competitors রিসার্চ খুব জুরুরী। আপনার যখন নিস নির্বাচন হয়ে যাবে তখন আপনার Competitors খুঁজে বের করুন, দেখুন তারা কি ধরনের পণ্য বেশি সেল করছে, তাদের পণ্য গুলোর দাম, সেলের পরিমাণ, রিভিউ দেখুন। চেষ্টা করুন তাদের পণ্যের চেয়ে দাম কম করতে। তাদের কাস্টমারদের খুঁজুন, Social Media –তে Competitors এর Like Follower খেয়াল করুন।

সমস্ত রিসার্চ এর কাজ শেষ হয়ে গেলে, এবার Supplier খুঁজে বের করতে হবে। আগামী পর্বে দেখাব কিভাবে একজন ভাল Supplier খুঁজে বের করতে হয়। সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

আর বিস্তারিত জানতে আমাদের ফেসবুক গুপে জয়েন্ট করুন : ফেসবুক গুপ

আমাদের ওয়েব সাইট : WEB Site

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল : YouTube Channel

 

Level 1

আমি মোঃ সাহিদুল ইসলাম। CEO & Founder, Amazon Seller, Dropshipping & Digital Content Creator, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

আমি মোঃ সাহিদুল ইসলাম (সাঈদ), জন্ম থেকে গ্রামের বাড়িতেই বড় হয়ে উঠা এবং গ্রামের বাড়িতেই থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পড়াশুনা শেষ করি। তারপর পাড়ি জমানো খুলনা শহরে সেখান ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্ত্তি হওয়া এবং ব্যবস্থাপনা বিষয় নিয়ে বি.বি.এস এবং এম.বি.এস পড়াশুনা শেষ করি যথাকরি ২০১১ ও ২০১২ সালে পাসিং ইয়ার...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস