Root, Custom Recovery, Custom Rom, Custom Kernel সহ সব এক্সপার্ট লেভেলের কাজের বিস্তারিত

আলোচনা:

যারা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ইউজ করেন তাদের প্রায় সবারই Root শব্দটার সাথে পরিচয় আছে।

কিন্তু বেশিরভাগ লোকেই  এ সম্বন্ধে ভালোভাবে বুঝেনা।

তাই রুট করতে গিয়ে এবং রুট করার পর অনেক ভুলভাল  কাজ করে।

যার ফলে ডিভাইস ব্রিক হয় এবং ফলশ্রুতিতে বলা হয় যে, রুট করলে ফোনের ক্ষতি হয়।

অনলাইনে ছেড়া ছেড়া লাখ লাখ টিউন পাবেন রুট নিয়ে।

কিন্তু সঠিক মতামত, পদ্ধতি ও পরামর্শ নিয়ে কমপ্লিট কোনো টিউন নেই।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি লেখা।

এই লাইনে নতুন হলে বা এক্সপার্ট না  হলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য অবশ্যপাঠ্য।

তাই আর দেরি না করে চলুন  শুরু করা যাক।

Top 4 Solutions on How to Root Android Phone

প্রথমেই বলি

রুট কী?

Android Basics: What Is Root? « Android :: Gadget Hacks

আপনি যখন ডিকশনারিতে Root লিখে সার্চ দিবেন, তখন এর অর্থ পাবেন গাছের  শেকড় বা মূল।

কিন্তু লিনাক্সের (অ্যান্ড্রয়েড হলো লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম) জগতে এর ব্যাখ্যা কিছুটা ভিন্ন।

এখানে রুট অর্থ বুঝায় Administrator বা প্রশাসকের ক্ষমতা।

অর্থাৎ, রুট হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ডিভাইসের মালিক ঐ ডিভাইসের সম্পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমতি পায়।

রুট কেনো?

Root শব্দের অর্থের (মূল) সাথে এর কাজের ও মিল রয়েছে।

সাধারণত আমরা যখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ইউজ করি, তখন এর বাইরের ফাইলগুলো দেখতে পাই।

সিস্টেমের কিছু ফাইল আলাদা সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখা গেলেও মূল ফাইলগুলো কিন্তু দেখা বা মোডিফাই করা যায়না।

যার ফলে ফোনে কোম্পানির দেয়া রেস্ট্রিকশন ভেঙে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া সম্ভব হয়না।

কিন্তু আপনি যখন Root করবেন তখন আপনি হয়ে যাবেন SuperUser.

আপনি আপনার ডিভাইসটিকে এর হার্ডওয়্যারের ধারণক্ষমতার মধ্যে ইচ্ছেমত ইউজ করতে পারবেন।

 রুট করার সুবিধা কী?

The Benefits of Rooting your Android Phone | Tablet - YouTube
রুট করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সিস্টেম লেভেলে কাস্টমাইজেশন।
যেমন, রুট করার পর আপনি যখন ডিভাইসের SuperUser হয়ে যাবেন, তখন চাইলেই আপনি সিস্টেমের বিভিন্ন ফাইল এডিট ও রিপ্লেস করতে পারবেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,  Kernel Manager দিয়ে ক্লক স্পিড বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।
ক্লক স্পিড বাড়ালে ভালো পারফরম্যান্স পাবেন।
আবার কমালে পারফরম্যান্স কমলেও ভালো ব্যাটারি ব্যাকাপ পাবেন।
এছাড়া Kernel এ আরো অনেক Tweak করা যায়।
এগুলো ছাড়াও অনেক অ্যাপস আছে যেগুলো SuperUser Permission বা Root Permission ছাড়া কাজ করেনা।
যেমন ধরুন Xposed Framework.
এই এক্সপোসড ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আমার আগেও একটা বিস্তারিত টিউন আছে।
সময় পেলে দেখে নিতে পারেন।
এটি কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের কাস্টমাইজেশনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর একটা সিস্টেম।

রুট কিভাবে করে?

How To Root Your Android Device Using KingRoot | WHITEDUST
এটা আসলে খুব কমন একটা প্রশ্ন হলেও এর উত্তর কিন্তু হাজারটা।
কারণ, প্রতিটি ডিভাইসের পদ্ধতি-ই আলাদা।
তাই আপনি চাইলেও একদম জোর দিয়ে বলতে পারবেননা যে এভাবে করলে হবে।
তবে যেকোনো ডিভাইসের জন্য একটা কমন পদ্ধতি আছে।
সেটা হলো কাস্টম রিকভারি পদ্ধতি।
কাস্টম রিকভারি সম্পর্কে নিচে আলাদা প্যারাগ্রাফ লিখবো।
ওখানে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তবে রুট করার ক্ষেত্রে যদি আপনার কাস্টম রিকভারি আগে থেকেই ইন্সটল করে রাখেন, তাহলে শুধু SuperSU.Zip অথবা Magisk.zip এই দুটো ফাইল রিকভারিতে গিয়ে ফ্লাশ দিলেই ডিভাইস রুট হয়ে যাবে।
এখন প্রশ্ন হলো,

SuperSU আর Magisk দুটোর মধ্যে কোনটা ভালো?

Magisk Vs SuperSU: What's the Difference?
এক্ষেত্রে কম ভার্সনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের  জন্য SuperSU এপ ভালো।
আর একটু বেশি ভার্সনের ডিভাইস হলে অবশ্যই Magisk ইউজ করতে হবে।
কারণ,  Magisk অনেকটা Xposed Framework এর মতো।
এটাতে অনেক মজার মজার Add-ons ইউজ করা যায়।
যেগুলোকে Magisk Module বলে।
Magisk Manager ডিভাইসের SuperUser পারমিশন দেখাশোনার পাশাপাশি অতিরিক্ত অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে।
তাই এটাকেই আমি এগিয়ে রাখবো।

কাস্টম রিকভারি ও এর সুবিধা সমূহ:

প্রত্যেক ডিভাইসেরই রিকভারি সুবিধা থাকে।
যাতে কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে দ্রুত সময়ে রিকভার করা যায়।
যখন আমরা পাসওয়ার্ড ভুলে যাই তখন ফ্লাশ দিয়ে পাসওয়ার্ড সহ সব মুছে ফেলি।
ফলে Internal Storage এর সব ডাটা হারালেও ফোনে পাসওয়ার্ড ছাড়াই এক্সেস করা যায়।
এটা সাধারণত আমরা করি স্টক রিকভারি দিয়ে।
কিন্তু যদি কাস্টম রিকভারি থাকে, তাহলে খুব সহজেই কোনোপ্রকার ডাটা লস ছাড়াই শুধু পাসওয়ার্ডটা রিমুভ করা সম্ভব।
তখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডাটা হারানোর হাত থেকে বাঁচা যায়।


আবার কাস্টম রিকভারি ছাড়া কাস্টম রম ফ্লাশ দেয়া অসম্ভব।
Custom Rom সম্পর্কে জানতে নিচের প্যারাগ্রাফ পড়তে পারেন।
এছাড়া ফোনের Kernel চেঞ্জ থেকে শুরু করে সব ধরনের এক্সপার্ট লেভেলের কাজের জন্য কাস্ট রিকভারি লাগবেই।
এছাড়াও ব্যাকাপ, রিস্টোর সহ আরো অনেক সুবিধা তো থাকছেই।

কাস্টম রিকভারি ইন্সটল করতে হলে পিসি/উইন্ডোজ চালিত ডিভাইস থাকা আবশ্যক।
তবে বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ও কম যায়না।
প্লে-স্টোরে Bugjaeger Mobile ADB নামের একটি অ্যান্ড্রয়েড এপ আছে যা দিয়ে পিসি ছাড়াই দুটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে প্রায় সব কাজ করতে পারেন।
শুধু যেই ফোন থেকে কমান্ড ইনপুট নেবেন সেই ফোনে OTG – On the Go সাপোর্ট থাকতে হবে।
আর এই সিস্টেমটা Xiaomi এর ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে খুব কাজের।

Top 5 Most Important Things to Do Before Rooting your Android | One Click Root

রুট করার আগে করণীয় কী?

আপনি যখন আপনার ডিভাইসটি রুট করবেন বলে স্থির করবেন, তখনই আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে।
স্টেপ বাই স্টেপ নিচে দেয়া হলো।

  1. কাস্টম রিকভারি খুঁজে বের করা বা বানিয়ে নেয়া।
  2. SuperSU অথবা Magisk এর zip ফাইল ডাউনলোড করে রাখা।
  3. বুটলোডার আনলক করতে হলে তা করে নেয়া।
  4. কম্পিউটারের মাধ্যমে কাস্টম রিকভারি ফ্লাশ দেয়া।
  5.  কাস্টম রিকভারিতে ঢুকে রুট করার আগেই একবার পুরো রমের ব্যাকাপ নেয়া।
  6. এবার রিকভারির ইন্সটল অপশন থেকে SuperSU অথবা Magisk ফ্লাশ দিয়ে ফোন চালু করা।
  7. যদি কোনো কারণে ফোন চালু না হয়, তাহলে আগে থেকেই ব্যাকাপ নেয়া ফাইল রিস্টোর করলেই আবার আগের মতো হয়ে যাবে।

এই স্টেপগুলো ফলো করলে একদম শতভাগ সফল হওয়ার আশা করা যায়।

রুট করার পরে করণীয়:

অনেকেই বলে থাকেন রুট করার পরে ডিভাইস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

এটা আসলে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।

রুট করার পর আপনি এই ডিভাইসের পুরোপুরি মালিক বনে গেছেন।

আপনি যদি এটাকে ঠিকভাবে কন্ট্রোল করতে পারেন, তাহলে এটি আপনার বশ্যতা স্বীকার করবে।

অন্যথায় বেয়াড়া দাসের মতো আপনাকে ফেলে পালাবে।

রুট করার পর আপনার প্রথম ও শেষ কাজ হলো কাস্টম রিকভারি থেকে একবার ব্যাকাপ নেয়া।

এই ব্যাকাপ ফাইলের সাইজ ১ থেকে ২০/৩০ জিবি পর্যন্ত হতে পারে।

এটি আপনার সিস্টেম ফাইল ও ইন্সটল করা এপ এর উপর নির্ভর করবে।

তবে আমি একদম ফ্রেশ ব্যাকাপ নেয়ার পরামর্শ দিবো।

এতে ডিফল্ট অ্যাপস ছাড়া কোনো এক্সট্রা এপ ইন্সটল করা থাকবেনা।

ফলে সাইজ ও কম হবে।

এই ব্যাকাপ ফাইল আলাদাভাবে কোথাও আপলোড দিয়ে বা আলাদা মেমোরিতে রাখলে ভালো হয়।

যাতে করে পরে কোনো সমস্যা হলে রিস্টোর দিয়ে ফোন ঠিক করে নেয়া যায়।

আর কোনো কারণে এই ব্যাকাপ ফাইল ডিলিট হয়ে গেলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই।

কম্পিউটার দিয়ে স্টক রম ফ্লাশ দিলেই আবার ঠিক হয়ে যাবে।

তাই রুট করার পরে আর কোনো টেনশন নয়।

শুধু রুট করার পরেই না, কাস্টম রিকভারি ইন্সটল করার পরে আর কোনো টেনশন নেই।

আনরুট করতে চাই, কিভাবে?

Unroot Android Devices without a computer - Wikigain

অনেক তো হলো রুট নিয়ে কারবার। আর ভালো লাগছেনা। এবার আনরুট করতে চাই।

নিরাপদ পদ্ধতি কোনটা?

আটকে গেলেন?

কোনো সমস্যা নেই। স্টক রম ফ্লাশ দিয়ে ফেলুন। কেনার সময় ফোন যেমন ছিলো ঠিক তেমনই পাবেন।

– নাহ! হাতের কাছে পিসি নেই। অন্যকোনো সিস্টেমে করা যায়না?

-অবশ্যই যায়। আগে থেকে মেমোরিতে রাখা ফ্রেশ ব্যাকআপটা রিস্টোর করে নিন।

-ব্যাকআপ তো রুট করার পরে নিয়েছিলাম। এখন উপায়?

–Magisk Manager/SuperSU এর সেটিং থেকে UnRoot/UnInstall করে নিন। অথবা চাইলে.zip ফ্ল্যাশ ফাইল ডাউনলোড করে রিকভারিতে ফ্ল্যাশ করেও আনরুট করে নিতে পারেন আপনার সাধের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি।

বুট লোডার কী ও কিভাবে আনলক করে?

Bootloader

বুট লোডার হলো সিস্টেমের দরজা।

যা নরমাল ইউজার ও সুপার ইউজারকে আলাদা করে রাখে।

এটি দিয়ে বর্তমান সময়ের ফোনগুলো লক করে দেয়া হয়ে থাকে।

অনেকসময় অনেকে না বুঝে হুটহাট ডিভাইস রুট করে ফেলে/অন্যকোনো সিস্টেম লেভেলের কাজ করে ফেলে।

তখন ডিভাইসে সমস্যা দেখা দেয়।

তাই ডেভেলপাররা একটি প্রাইমারি সিকিউরিটি লক দিয়ে রাখে, যাতে কেউ সহজে সিস্টেমের কোনো ফাইলে এক্সেস না পায়।

যাকে আমরা বুটলোডার হিসেবে জানি।

যেসব ডিভাইসে বুটলোডার লক করা থাকে, সেগুলোতে Custom Recovery ইন্সটল থেকে শুরু করে যেকোনো কাজ করার করার পূর্বে আনলক করে নিতে হয়।

তানাহলে এসব ইন্সটল করা যাবেনা।

বুট লোডার আনলকের পদ্ধতি একেক ডিভাইসে একেকরম।

তাই এটিও সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়না।

তবে প্রত্যেক কোম্পানি বুটলোডার আনলক সাপোর্ট করে এবং নিজেরাই অনলাইনে এটা করে দেয়।

তাই এটা নিয়ে বেশি চিন্তার কিছু নেই।

তবে আমার মতে MI ব্রান্ডের ফোনগুলোতে এই কাজগুলো করা সহজ।

এশিয়ান ইউজার বেশি+ভালোভালো ডেভেলপাররা প্রায়ই এশিয়ান।

তাই খুব ভালো সাপোর্ট পাওয়া যায়।

কাস্টম রম কী ও কেনো?


Why You Should Use Custom ROM instead of Stock ROM in 2018

একটা ডিভাইস কেনার সময় যেই রম দেয়া থাকে, সেটা হলো Stock Rom.

কিন্তু আপনার হঠাৎ মনে হলো যে আইফোনের মত ডিজাইন ও ফিচার থাকলে কতই না ভালো হতো।

অথবা আপনি Samsung ইউজার হয়েও MI এর সব ফিচার ব্যবহার করতে চান।

তাহলে আপনাকে কাস্টম রমের দ্বারস্থ হতে হবে।

কাস্টম রম আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যার বাড়াতে পারবেনা ঠিকই, কিন্তু অনেক অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন যা আগে ছিলোনা।

যেমন, আপনার বন্ধুর OnePlus 7 Pro আছে।

তার ফোনের ইউজার ইন্টারফেস আপনার খুব ভালো লাগে।

কিন্তু এতো দামি ফোন কেনার সামর্থ্য নেই।

তাই আপনি OnePlus 7 Pro এর রমটাকে পোর্ট করে কাস্টম রম হিসেবে আপনার ফোনে ইন্সটল করলেন।

ফলে আপনার ফোনটি বাহ্যিকভাবে আগের মত থাকলেও ইউজ কতে গেলে দেখবেন পুরো ফোনটাই OnePlus 7 Pro হয়ে গেছে।

ফলে আপনিও আপনার বন্ধুর মতো তার ফোনের সব ফিচার ইউজ করতে পারবেন।

অর্থাৎ, কাস্টম রম হলো স্টক রমের বাইরে সেসব রম যা আপনার ডিভাইসে স্টক রমের পরিবর্তে ইউজ করতে পারেন।

এই রম অন্য ডিভাইস থেকে পোর্ট করা হতে পারে। আবার কোনো ডেভেলপারের তৈরি ও হতে পারে।

মোদ্দাকথা, স্টক রমের বাইরের সব রমই কাস্টম রম।
কাস্টম কার্নেলের সংজ্ঞা ও এর ব্যবহার:
Why Custom Kernel is good for your Android

কোনোকিছু চালনা করতে একজন চালক লাগে।

ইঞ্জিনের ক্ষমতার বাইরে যত দক্ষ হয় ঐ জিনিসটাও ঠিক ততটাই ভালোভাবে চলে।

অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের জগতে kernel -কে ও আমরা সিস্টেমের চালক হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।

কারণ, অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের সব প্রসেসিং এর অধীনেই হয়ে থাকে।

তাই কার্নেল চাইলেই কোনো কাজকে ধীর বা গতিশীল করতে পারে।

স্টক রমে অফিসিয়ালি সবকিছু একটি নির্দিষ্ট প্যারামিটারে সেট করা থাকে।

ফলে সবকিছু ব্যালেন্সড পর্যায়ে থাকে।

অনেকসময় হয় কী, নির্দিষ্ট গতিতে চলতে থাকা ফোনটাকে বোরিং লাগতে শুরু করে।

তাই ইচ্ছে করে কিছুটা গতি বাড়ানোর। আবার অনেকসময় মনে হয় গতি না বাড়িয়ে বরঞ্চ ব্যাটারি ব্যাকাপটা বাড়াই।

আর এই কাজগুলো করার জন্য দরকার হয় Kernel এর দ্বারস্থ হওয়ার।

কার্নেলকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে চাইলে এই কাজগুলো করিয়ে নেয়া সম্ভব।

সেজন্য দরকার সিস্টেমের মালিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণের।

অর্থাৎ, রুট ইউজার/সুপার ইউজার হতে হবে আপনাকে।

তারপর কিছু ভ্যালু চেঞ্জ করে Kernel -কে আপনার কথায় নাচাতে পারবেন।

আবার চাইলে ডেভেলপারদের তৈরি কাস্টম কার্নেল ফ্লাশ দিয়েও আপনার কাজগুলো করিয়ে নিতে পারেন।

কাস্টম কার্নেল দিয়ে চালক পরিবর্তন করিয়ে নিলেন আর সে তার কাজ শুরু করলো।

ব্যাস!
সিস্টেম লেভেলের কাজের আরো কিছু সুবিধা:

  • GCam বা Google Camera – বর্তমানে গুগল ক্যামেরা একটি হট টপিক। গুগলের ডেভেলপ করা এই ক্যামেরা এপ্লিকেশনের সফটওয়্যার অপ্টিমাইজেশন এতটাই উন্নত যে, এই ক্যামেরায় ছবি তুললে অন্য যেকোনো ক্যামেরায় তোলা ছবির চেয়ে কয়েকগুণ ভালো ছবি আসবে। আর এর নাইটমোড নিয়ে তো কোনো কথা-ই হবেনা। রাতের অন্ধকারেও দিনের মতো ছবি আসলেই ভালো দেখায়। যাইহোক, এই ক্যামেরাটি ইন্সটল করতে গেলে প্রয়োজন হয় camera2api enable থাকার। বর্তমান বাজারের কিছু ফোনে এটি চালু করা থাকলেও অধিকাংশ ফোনেই এটি চালু থাকেনা। ফলে রুট করে/কাস্টম রিকভারির সাহায্যে এটি চালু করতে হয়। অন্যথায় GCam ঠিকমতো কাজ করেনা।
  • Hacking – বর্তমানে হ্যাকিং এন্ড্রেয়েডেও চলে এসেছে। যেহেতু এটি লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম তাই এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। ওয়াইফাই হ্যাকিং/এটাকিং থেকে শুরু করে MITM – Man in the Middle এর মতো অ্য়াটাকে ও রুট পারমিশন লাগে। আবার Termux এর কাজেও লাগে। এরকম শতশত কাজে রুট পারমিশন অবশ্যই প্রয়োজন।
  • Spoofing -অনেকসময় বিভিন্ন কাজে নিজেদের লোকেশন স্পুফিং/ফেইক লোকেশন শো করাতে হয়। VPN ইউজ করলে সুনির্দিষ্ট কোনো যায়গার লোকেশন পাওয়া যায়না। তাই স্পুফিং ই একমাত্র ভরসা। এছাড়াও Mac ID,  Device ID ইত্যাদি পরিবর্তনেও রুট  পারমিশনের প্রয়োজন।
  • Modding -বিভিন্ন এপ মোডাইফাই করার এপ্লিকেশন, যেমন: Lucky Patcher,  Jasi Patcher ইত্যাদি ব্যবহার করে এক্সট্রা সুবিধা নিতে গেলেও ডিভাইস রুট করতে হয়।

বর্তমানে কিছু Virtual OS এপ আছে যা দিয়ে একই ফোনে দুটো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মতো সুবিধা নেয়া যায় এবং এগুলোতে রুট ও অটো দেয়া থাকে। ফলে রুট লেভেলের ছোটখাটো কাজগুলো এই এপগুলো দিয়েই সারানো যায়।

Level 2

আমি রিফাত হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস