অবশেষে বাংলাদেশে আসছে পেপ্যাল। আনন্দের শেষ নেই।।।

বাংলাদেশে ২০১১ সালে পেপ্যাল আসার কথা থাকলেও তার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে চলতি বছরেই। বিশ্বের ১৯৪তম দেশ হিসেবে অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সুযোগ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়ায় পেপ্যালের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট-এর সাথে গত সোম ও মঙ্গলবার দু' দফা বৈঠকও করেছেন। তবে কি আলোচনা হয়েছে তা তিনি দেশে ফিরেই জানাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দেশে পেপ্যাল নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালে এসে এটি বাস্তবায়নের জন্য নানান ভাবে চেষ্টা করতে থাকে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সে বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হচ্ছে বলে ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল।

তৎকালে বেসিসের সভাপতি মাহবুব জামান এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (বছরের তৃতীয় প্রান্তিক) মাসের মধ্যে বাংলাদেশে পেপ্যাল তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। তবে তা চালু হয়নি। একই বছরের ডিসেম্বরে এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী এই প্রতিবেদককে বলেন, পেপ্যাল বা পেপ্যালের মত যেসব প্রতিষ্ঠান, গুগলের অ্যাডসেন্স তারাও বলেছে যে মানি ট্রান্সফারের ব্যাপারটা তাদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ কেননা যারা গুগলের অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য টাকা নেয়াটা খুবই কঠিন এবং গুগলের জন্য টাকা দেয়া বা নেয়াটা কষ্টকর। তাই টাকা বাংলাদেশে আনা বা বাংলাদেশ থেকে পাঠানো দুটোই বিবেচনার বিষয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু নীতিমালা রয়েছে সেগুলো মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। এগুলো সব কিছু মিলিয়ে আমি বলব বাংলাদেশ ব্যাংক খুব নিবিড় ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং পেপ্যালও খুব দ্রুত বাংলাদেশে আসবে এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য মানি ট্রান্সফারে যেসব জটিলতা রয়েছে সেগুলো কয়েক মাসের মধ্যে অনেকাংশে সমাধান হবে বলে আমি মনে করছি।

এর কয়েকদিন পরেই দেশের প্রথম ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আগামী বছরেই (২০১৩ সালে) দেশে পেপ্যাল চালু হবে। ২০১৩ সালের এপ্রিলের শুরুতে সিলেটে ই-বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামী দেড় মাসের মধ্যে দেশে পেপ্যাল চালু হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানও কয়েক দফায় জানিয়েছিলেন দেশে পেপ্যাল আসছে।

কিন্তু এর আগে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পেপ্যালের আন্তর্জাতিক সদর দফতর থেকে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। তারা ওই সময় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকও করেন। সে সময় তারা আইনগত নানা দিক পর্যালোচনা করেন। বাংলাদেশে অনলাইন পেমেন্টের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে একটি মতামত দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর ক্যালিফোর্নিয়ায়। মূলত ওই প্রতিনিধি দলের মতামতের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের শেষ দিকে পেপ্যাল সদর দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আপাতত তারা বাংলাদেশে আসছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশে পেপ্যাল না আসার অফিসিয়ালি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, এটা ঠিক পেপ্যাল আপাতত বাংলাদেশে আসছে না। তবে কোনো দুর্বলতার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের সব নীতি তাদের মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আমাদের জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আলাদা সফটওয়্যার করে তারপর আমাদের দেশে আসবে। এমন কথা জানিয়ে পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী আমাদের চিঠি দিয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব পেপ্যালকে দেশে নিয়ে আসতে। ২০১৪ সালে কয়েকবার সজীব ওয়াজেদ জয় আশ্বাস দিয়ে বলেন, পেপ্যাল দেশে আনার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই আশার আলোর প্রদীপ জ্বালাতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রসঙ্গত, পেপ্যাল বর্তমানে পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে কাজ করছে। পেপ্যাল ২৬টি মুদ্রায় গ্রাহকদের অর্থ পাঠাতে, গ্রহণ করতে ও অর্থ সংরক্ষণ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এই মুদ্রাগুলো হল অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ব্রাজিলের রিয়েল, কানাডার ডলার, চীনের ইউয়ান (শুধু কিছু চীনা একাউন্টে ব্যবহারযোগ্য), ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং, জাপানি ইয়েন, চেক ক্রোনা, ডেনিশ ক্রোন, হং কং ডলার, হাঙ্গেরীর ফ্রইন্ট, ইসরাইলের নতুন শেকেল, মালেশিয়ার রিঙ্গিত, মেক্সিকোর পেসো, নিউ জিল্যান্ডের ডলার, নরওয়ের ক্রোন, ফিলিপাইনের পেসো, পোল্যান্ডের যোলটি, সিঙ্গাপুরের ডলার, সুইডেনের ক্রোনা, সুইস ফ্যাঙ্ক, নতুন তাইওয়ানের ডলার, থাই ভাত এবং যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন ডলার। এছাড়া পেপ্যাল স্থানীয়ভাবে ২১টি দেশে কাজ করে। ১৯৯৩ সালে ইউরোপে কার্যক্রম শুরু করা এ আর্থিক সংস্থাটি।

সুত্র - প্রিয় টেক

Level 0

আমি bditblog.com। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 43 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

www.bditblog.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 2

খুব ভাল একটা সংবাদ। যদিও পেজা বাংলাদেশে রয়েছে তবুও পেপালের প্রয়োজন রয়েছে।

এখন সিউর না।

jotoi boluk ato shohoje ashbe na. Bangladeshi ra kajer che spam kore bashi .

এটা কবে নাগাদ আস্তে পারে।বলতে পারবেন।

ধন্যবাদ এই সুন্দর তথ্য জানাবার জন্য

o hobe na 😛

if paypal work look like http://www.skrill.com or http://www.neteller.com then ok but we dislike pypal dispute system can made dispute and refund money within 180 days .i am a freelancer in few month ago complete project and got 750$ from usa client he payed paypal to my brother paypal . he is in India in few week later says he says loss 750$ with paypal fee i have proved with screen short contact with paypal support show him why he send me money but pypal usa based company cant help us fuk of there service i loss my 2 month income basically my life depend on outsourcing so plz stopped there fake service .hope you will understand .

আর আসছে না। 🙁

Level 2

আসতে পারে কারন আমি সবুজ সংকেত পাইছি
https://www.techtunes.io/paypal/tune-id/336552

লেখার জন্য ধন্যবাদ

still not sure.

পেপাল আসবে বলে মনে হয় না। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাংক টু ব্যাংক মানি ট্রান্সফার পদ্ধতিই অনেক দুর্বল সেখানে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে টাকা ট্রান্সফার অনেক দূরের ব্যাপার। এল সি ছাড়া বিদেশে টাকা ট্রান্সফারের কোনও অফিসিয়াল সুযোগ এখনও বাংলাদেশে নেই। আমাদের মান্ধাতার আমলের ব্যাংকিং পলিসির কারণে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়েগুলো এখানে আসতে চায় না। আমাদের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের জ্ঞান এবং দক্ষতা দুটোই বাড়াতে হবে। তার আগ পর্যন্ত পেপাল আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। এটাই বাস্তবতা।