কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে হতে চান Zero থেকে Hero? তাহলে এই টিউন আপনার জন্যই

টিউন বিভাগ প্রোগ্রামিং
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

কম্পিউটারের সাথে বন্ধুত্ব করতে হলে প্রথমেই আমাদেরকে তার ভাষা শিখতেই হবে। প্রোগ্রামিং বলতে মূলত আমি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর কথা বোঝাচ্ছি। বেপারটাকে এভাবে ধরে নিতে পারেন যে, আপনি সারা জীবনের জন্য চীন বা জার্মানিতে চলে যাবেন। তাহলে, আপনাকে তাদের ভাষা শিখতে হবে। না হলে তো আপনি সব রকম সুযোগ সুবিধা পাবেন না। যেমন করেই হোক অন্ততপক্ষে কাজ চালানোর মত ভাষা আপনাকে শিখতেই হবে। আপনি এক দিনে কিন্তু জার্মান ভাষা আয়ত্ত করতে পারবেন না। যত দিন যাবে আপনার ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। কিন্তু আপনি কোন দিনও বলতে পারবেন না যে আমি জার্মান কিংবা অন্য কোন ভাষার ১০০ ভাগ পারি। আজ পর্যন্ত বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে এই কথা বলার সাহস আমাদের হল না। তেমনি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজেও সব শেখার দরকার কখনো হবে না। কারণ আপনাকে কথা বলতে হবে মেশিনের সাথে, মানুষের সাথে না।

আর মেশিন মানুষের থেকে অনেক কম কমপ্লিকেতেড। তাই, আমি মনে করি মানুষের ভাষা শেখার থেকে কম্পিউটারের ভাষা শেখা অনেক বেশি সহজ।

আপনি যখন প্রথম প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা শুরু করবেন তখন খুবই বিরক্ত লাগবে। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানলে পুরা দুনিয়া কাপিয়ে ফেলা যায়। নাসাকে হ্যাক করে ফেলা যায়, গেম, সফটওয়্যার আরও কত কিছু বানানো যায়, এই রকম অসংখ্য কথার ফুলঝুরি থেকে প্রাপ্ত নির্যাশ মাখা স্বপ্ন নিয়ে আপনি এসেছেন প্রোগ্রামিং করতে। আর আপনাকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে সাদা আর একটি কালো টেক্সট এডিটর। সাদা টেক্সট এডিটরটাতে বলা হয়েছে a + b এর যোগফল বের করতে আর কালো টেক্সট এডিটরে (টার্মিনাল) বলা হয়েছে রান করে দেখতে। এই সব দেখলে যে কারোরই বিরক্ত লাগবে, অন্ততপক্ষে আমার মত যারা নাসাকে হ্যাক করার উদ্দেশ্যে প্রোগ্রামিং শিখতে আসবে তো স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। আপনি যখন প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করবেন, তখন আশেপাশের দিতে তাকাবেন না। মনে রাখবেন সবার প্রথমে কমিউনিকেশন স্কিল দরকার। আপনি যদি কম্পিউটারকে নিজের বন্ধু বানাতে পারেন, তাহলে আপনি কম্পিউটারকে ব্যবহার করে যেকোনো কিছুই করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং শিখতে এসে হতাশার কবলে পড়া আপনই প্রথম ব্যক্তি না। আপনার পূর্বে যুগে যুগে বহু মানুষ হতাশার কবলে পরেছে। এমনকি আজকে যাদেরকে আপনি প্রোগ্রামিং এর গুরু মনে করেন, তারাও একসময় হতাশার সাথে গভীর প্রণয়ে নিমজ্জিত ছিল। প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা গেম ডেভেলপমেন্ট যাই বলেন না কেন, এগুলো হচ্ছে প্যাশনের জায়গা। প্রোগ্রামিং শুরু করার পরে আপনাকে দুইটা প্রতিজ্ঞা করতে হবে। হতাশা যতই আপনাকে নিমন্ত্রণ করুক না কেন, আপনি যাবেন না। আর সবকিছু একসাথে শেখার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, আপনি আপনার ব্রেইনটাকে যদি একটা বিষয়ের উপর ভালভাবে ফোকাস করান, তাহলে সেই বিষয়ে আপনি অতি দ্রুত এক্সপার্ট হতে পারবেন।

আমরা কম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট হই আর না হই, ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে টিকে থাকতে চাইলে কম্পিউটার সায়েন্স সম্পর্কে নুন্যতম একটা জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কেন করতে হবে সেটা বোঝার জন্য একটা ছোট্ট উদাহারণই আমি যথেষ্ট বলে মনে করি। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আর ইলেক্ট্রিক্যাল মিস্ত্রি দুজনেই ইলেক্ট্রিক্যাল কাজ করে থাকে। কিন্তু একজনকে আমরা ইঞ্জিনিয়ার বলি, কারণ তার ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান আছে। তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল বিষয়ে দক্ষ একজন মানুষ। আর একজনকে আমরা মিস্ত্রি বলি, কারণ তিনি সূত্র জানেন না। তার পুথিগত কোন বিদ্যা নেই এই বিষয়ে। তিনি দেখে দেখে শিখেছেন। আপনাদের প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে নিতে হবে যে আপনারা কি হবেন? আর একটা বিষয়ও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে, কয়েক বছরের নিরলস পরিশ্রমের পর, কয়েক বছর নির্ঘুম রাত্রি যাপন করার পরই একজন ইঞ্জিনিয়ারের জন্ম হয়।

কম্পিউটার সাইন্স একটা বিশাল সমুদ্র। এই বিশাল সমুদ্রে যদি আপনি সঠিকভাবে সারভাইভ করতে চান তাহলে,

আমি এই লেখাটিতে শুধু মাত্র কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে আলোচনা করেছি, কোনো ল্যাঙ্গুয়েজ শিখাইনি। এখন আপনি বলতে পারেন যে প্রোগ্রামিং কোথা থেকে শিখব। আরে ভাই, তেলাপোকা মারা থেকে শুরু করে মঙ্গল গ্রহে আলু চাষ করার ভিডিও সব ইউটিউবে পাওয়া যায়। তাই আর চিন্তা কিসের?

Level 0

আমি তানযিল আহমদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস