প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিটে আমার অভিজ্ঞতা

শেষ হয়ে গেল প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিট ২০০৯। এতে ৬ টি প্রাক সামিট অধিবেশন এবং মূল সামিট সহ মোট সাতটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই সামিট এর লক্ষ্য ছিল মূলত কিভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা হবে তা নির্ধারনে একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করা। এর উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার এবং প্রাক সামিট ও মূল অধিবেশনে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী উপস্থিত থেকেছেন আর মূল অধিবেশনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। আমি যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি এনজিও সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ওয়েবমাষ্টার হিসেবে আছি তাই সেখান থেকে কাওকে অংশগ্রহন করতে বলা হলে আমি মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করার সুযোগ পাই এছাড়াও সেখানে আরো অনেকে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে উপস্থিত ছিলেন তবে তাদেরকে রাষ্ট্রপতি বা স্পীকার থাকাকালীন সময়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই। সেখানে আমার কিছু অভিজ্ঞতা এবং ছবি সবার সাথে শেয়ার করব।

এতে কি আলোচনা করা হয়েছে যেহেতু তা প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও ওয়েবসাইটে সবাই জেনেছেন আর তাই আমি এর কোন বিস্তারিত না বলে আমি আমার অভিজ্ঞতা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরছি।

auntitled 7

guntitled 4

huntitled 5

iuntitled 6

muntitled

nntitled 1

ountitled 12

puntitled 22

উপরের ছবিগুলো দেখে বা ওখানে থাকাকালীন সময়ে অনেক কিছুই মনে হতে পারে যে রাতারাতি কি করে ফেলছেন সবাই কিন্তু নিচের ছবিটি আসলে প্রকৃত অবস্থাটি তুলে ধরে কারন তারা যখন বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারে ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকল্প করছেন তাখন বাইরে এই শিশুটি তাদের ব্যানার ফেস্টুন টোকাচ্ছে আর অপেক্ষা করছে কখন পুরো অনুষ্ঠান শেষ হবে যাতে সে আরো কিছু ব্যানার ফেস্টুন সংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারবে।

untitled 8

তার কাছে এই সম্মেলন এর অর্থ এতে সে বেশ কিছু জিনিস সংগ্রহ করে ভাঙ্গারীর দোকানে বিক্রি করে কিছু টাকা পাবে এই সম্মেলনের ফলে এটাই হল তার লাভ। কিন্তু আয়োজকদের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের সেলিব্রেটি হলের বাইরেও একটা বাংলাদেশ আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এইরকম হাজার শিশুকে বাদ দিয়ে গড়া যাবে না কারন তাদের মাঝেই প্রকৃত বাংলাদেশ।

অনেকেই ভাবতে পারেন আমি হতাশাবাদী বা স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি না আসলে মোটেও তা নয় স্বপ্ন দেখতে আমিও খুব পছন্দ করি কিন্তু আমি মনে করি শুধু স্বপ্ন দেখলেই চলবে না তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে।

Level 0

আমি প্রযুক্তি প্রেমী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 136 টি টিউন ও 2157 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

শাকিল ভাই,আশার আলো দেখান।হতাশ হতে আর ভালো লাগে না।আপনি যদি এরকম নিরাশের বানী শোনান তবে আশার আলো কে দেখাবে?
ধন্যবাদ আপনার এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

    অযথা চাপাবাজি করে লাভ কি বাস্তবতা বুঝে সেই অনুযায়ী আগানোটা কি ভাল না? স্বপ্নের ঘোরে না থেকে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। তাই শুধু স্বপ্ন না দেখে কাজে মনোযোগ দেয়া উচিত।

    Level 0

    আমি আপনার সাথে একমত।কিন্তু স্বপ্ন দেখা যত সহজ তা বাস্তবে রূপ দেয়া কি এত সহজ?

ছি ছি শাকিল ভাই। কত আশায় ছিলাম দেশ টা ডিজিটাল হবে। আপনি সব ফাস কইরা দিলেন।

ভাই হতাশ হয়ে যেহেতু কোন লাভ নাই তাই আশাবাদীই হলাম।তবে শাকিল ভাই ধন্যবাদ

আমার মতে- “পৃথিবী এমনিতেই ডিজিটালের দিকে যাচ্ছে। কোন সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। ” একথার সাথে যারা একমত নন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- ৬ কোটি মোবাইল গ্রাহক হওয়াতে সরকারের যেমন কোন কৃতিত্ব নেই তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশ হও না হওয়াতেও কোন দলের/সরকারের কৃতিত্ব নেই। সম্পর্ণ বেপারটি নির্ভর করে ব্যবসায়ী আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর। অথচ শ্লোগান দিয়ে ভোট পাবার আকাংখ্যা….

    Level 0

    টিউটো ভাইয়ের সাথে একমত অন্তত কয়েকটা বিষয়ে। সরকারি ভূমিকা নিয়ে চিন্তা করলে……… শুধুই প্রতীক্ষা করার আশ্বাস ছাড়া তেমন কিছু একটা পাওয়া যায় না। তাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে, সবচেয়ে বেশি আছে যোগ্যলোকের অভাব। দলীয়করণের ফলে আমরা সরকারকে যথাযথ ভূমিকা পালনে বরাবরই ব্যর্থ হতে দেখছি। এ থেকে উত্তরণের আশায় স্থির না থেকে ব্যবসায়ী আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে দৃষ্টি দেয়াই উচিত।
    শাকিল ভাইকে ধন্যবাদ “বাংলাদেশ সামিট ২০০৯” এর সামগ্রিক চিত্র উপস্থাপন করার জন্য।

    10000000000000000000000000000000000000000% ঠিক বলেছেন।