থামবে না হিমু,মিসির আলী বা শুভ্র

টাইটেল দেখে চমকে গেলেন?ভাবছেন হয়তো বা এ আবার কোন পাগল? 😛 আসল কথাটা তাহলে খুলে বলি।আজকের এই ব্লগটা হয়তো বা লেখা হতো না,যদি না টিভিতে সাধারণ মানুষের কিছু কথা না শুনতাম।হুমায়ুন স্যারকে আমিও আপনাদের মতই ভালবাসি,শ্রদ্ধা করি।স্যারের মৃত্যুতে আমাদের বাংলা সাহিত্যের যে অপূরণীয় ক্ষতি হল তা পূরণ হতে হয়তো বা অনেক সময় লাগবে।বাংলা সাহিত্যে হূমায়ূন স্যারের সবচেয়ে বড় অবদান কি জানেন?বাংলাদেশে যখন পশ্চিম বাংলার লেখকরা একচেটিয়া ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই হূমায়ূন স্যারের আবির্ভাব।তিনি এসে তাদের একচেটিয়া ব্যবসায়ের ১২টা বাজিয়ে দিলেন।দেশী লেখকের বই পড়তে শিখলাম আমরা

আজকে টিভিতে দেখলাম এক সাংবাদিককে একজন বলল সে আজ বই মেলায় আসবে না।কেন ভাই? বই মেলায় আসবেন না কেন?হুমায়ূন স্যারের এত বড় কাজটার আপনি মূল্যায়ন করবেন না?হুমায়ূন স্যার কিন্তু সব সময় নতুনদের মূল্য দিত।তাঁর চলচ্চিত্রগুলো খেয়াল করলে দেখবেন সে নতুনদের প্রাধান্য দিয়েছেন।তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে যেই নতুন ধারা এনে প্রাণের সঞ্চার করেছেন সে তো আমাদেরই ধরে রাখতে হবে।হূমায়ন স্যার কে হয়তো বা আমরা আর ফিরে পাবো না।কিন্তু তাই বলে "হুমায়ূন" যে আর হবে না তাতো নয়।কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র যেই শ্রীকান্ত চরিত্রের সৃষ্টি করেছিলেন অনেকেই বলে থাকে তারই মর্ডান ভার্সন হিমু।তাই আমিও আশা করি বাংলাদেশে হয়তো বা হিমু চরিত্র আর আসবে না,কিন্তু হিমুর চেয়ে ভালো আসবে না তাতো বলা যায় না।প্রতিনিয়ত মানুষ তাঁর নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটাচ্ছে।তাই অসম্ভব কিছুই নয়।

চার্লস ব্যাবেজ কম্পিউটার আবিষ্কারের জন্য একটা পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন।তার মৃত্যতে কি কম্পিউটারের আবিষ্কার থেমে থেকেছিল?হ্যাঁ কিছুটা সময় থেমেছিল।চার্লস ব্যাবেজের সম্পর্কে একটা মজার তথ্য আপনাদের জানাতে পারি।স্যার চার্লস ব্যাবেজের চিন্তা-ধারা ছিল ১০০ বছরেরও আগাম চিন্তা।তার সময় তৎকালীন অনেক বিজ্ঞানীই তাঁর আবিষ্কৃত তত্ত্ব শুনে তাঁকে পাগল বলত। তারপর...।? তারপরের ইতিহাস আমরা সবাই জানি।বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদের সাফল্যের ফলে কম্পিউটার আজ এই অবস্থানে আছে।

হুমায়ূন স্যারও আমাদের সঠিক পথ দেখিয়ে গেছেন।তার পথ অনুসরণ করেই আমাদের হিমু/মিসির আলী/শুভ্রকে খুঁজে বের করতে হবে।আমাদের মাঝেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের হূমায়ূন।ভবিষ্যতের এই হুমায়ূনের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ আমাদেরই করে দিতে হবে।এত কথা বলার ঐ একটাই কারণ,বই মেলায় যাবেন,আর নতুন হুমায়ূনকে খুঁজে বের করতে হবে।

থামবে না হিমু,মিসির আলী বা শুভ্রমিসির আলী্‌ , হিমু এবং শুভ্র

রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল যেমন আমাদের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে আছে,হুমায়ূন স্যারও বেঁচে থাকবেন।তাই হিমু আবারও খালি পায়ে বের হবে রাতের আকাশে জ্যোৎস্না দেখতে,মিসির আলী তাঁর অমীমাংসীত রহস্য সমাধান করবে,শুভ্র তাঁর মোটা চশমা আবার চোখে পড়বে।এরা প্রত্যেকেই আসবে এক ভিন্নরূপে।

পূর্ব প্রকাশিতঃ থামবে না হিমু,মিসির আলী বা শুভ্র

 

Level 0

আমি তৌফিক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 69 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

সাধারন আমি।আসাধারনের কিছুই আমার মাঝে নেই।শুধু আছে ঈশ্বর প্রদত্ত একটি ব্রেন।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level New

আমি লিখা শুরু করবো নাকি ভাবতেছি আমার মনে হয় কেন জানি আমার মধ্যে কিছু আছে 😀

    @SUMONSOPNO: শুরু করে দিন।আশা করি আপনিই হবেন নেক্সট হুমায়ূন 🙂

Level New

ভাই আপনার কাছ থেকে ভালই অনুপ্রেরণা পাইলাম হি হি হি হ 😀 সেইটা কোন কথা না কথা হলো আমার লাশ নিয়ে হুমায়ূন আহমেদএর মত টানাটানি হলে আমার আত্তা কষ্ট পাবে এটা আমি চাই না 🙁

ঠিক বলেছেন,একদম ঠিক।আবার আমরা মেলায় যাবো।অন্যপ্রকাশের স্টলে লাইন দিয়ে দাঁড়াবো অন্য কারো বই কেনার জন্য,আমরা পড়ব পড়ার আনন্দে।হুমায়ুন স্যারের খুব পছন্দের কাজ ছিল বই পড়া আর নতুনদের নিয়ে কাজের ব্যাপারটা তো ছিলই।আমাদের মাঝে বেচে থাকবেন স্যার আর বাস্তবে হয়ত তৈরি হবেন অন্য কোন কেউ

    @Ochena Balok: বুঝতে পারার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্যার আমাদের বই পড়া শিখালেন আর সেই বই পড়াই যদি আমরা ছেড়ে দেই তবে স্যারের প্রতি আমাদের কি শ্রদ্ধা থাকল? 🙁

হুমায়ন আহমেদ মারা গেলেন কে বলল? আমি তো মনে করি তিনি মরার মধ্য দিয়ে অমরত্ব লাভ করলেন। মৃত্যু তাকে আমাদের প্রাণের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দিল। জন্মিলে মরিতে হইবে-এটা তো চিরন্তন সত্য, কিন্তু তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন কোটি কোটি বাঙালীর হৃদয়ে চিরদিন।