ক্লাউড কমপিউটিং নিয়ে চিন্তাভাবনা চালাচ্ছেন টেকি’রা

গুগল, মাইক্রোসফট, আইবিএম, এমাজন এবং এদের মতো অন্যান্য আরো অনেক বড় বড় সংস্থা বিশ্বের অনেকগুলি দেশে অনেকগুলি কম্পিউটারে তাদের যাবতীয় তথ্য রাখেন, যেগুলিকে তাদের ডেটা সেন্টার বলা হয়। এক একটি ডেটা সেন্টারে অসংখ্য কমপিউটার, এবং অনেকগুলি ডেটা সেন্টার একসঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে রাখা হয় তাদের নিজস্ব হাই স্পিড প্রাইভেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এইসব ডেটা সেন্টারেই লোড করা থাকে তাদের নানাবিধ সিস্টেম প্রসেস, লোক্যাল এবং ওয়েব এপ্লিকেশান যা আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করি। এই পুরো বিশাল একটি কর্মযজ্ঞ দিন ও রাত অনবরত চলছেই, ক্লাউড কমপিউটিংয়ের মাধ্যমে।

বর্তমানে এইসব বড় সংস্থাগুলির ক্লাউড কেবলমাত্র ব্যবহারকারীদের সাথেই কাজ করছে। কিন্তু ভাবনাচিন্তা চলছে যাতে করে সব সংস্থাগুলি তাদের নিজ নিজ ক্লাউড একে অপরের সাথে সংযোগ দিতে পারে এবং তাতে তৈরী হবে এক সুপার-ক্লাউড। ভাবতে কি পারছেন, কতোবড় কর্মযজ্ঞ এটি হতে পারে? গুগল, মাইক্রোসফট, ইয়াহু, এমাজন, ট্যুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব একসাথে জুড়ে গিয়ে একত্রে কাজ করতে শুরু করে দিলে কেমন হবে?

cloud-computing

আচ্ছা সামান্য সহজ করে বলি। ধরুন ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন, সেটি যদি হয় আপনার কোনো বানিজ্যিক পণ্যের ভিডিও এবং সেটিকে এমাজনের ওয়েবসাইটেও দিতে চান, তাহলে কি আবার সেটাকে আপলোড করবেন? না, সংযুক্তিকরণ হয়ে গেলে আর সেটা করতেই হবেনা। গুগলের ক্লাউডে স্থিত আপনার ভিডিও'কে এমাজনের ক্লাউডেও আপনি পেয়ে যাবেন। এখন হয় ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন, নয়তো ভিডিও এমবেড করে কাজ চালাচ্ছেন, তাইনা? আবার ধরুন ওয়ার্ডপ্রেসে লেখা আপনার ব্লগকে এখন ব্লগস্পটে প্রকাশ করতে গেলে wordpress2blogger ব্যবহার করে ফাইল ডাউনলোড করে আবার প্রকাশ করতে হচ্ছে, তাইনা? কিন্তু মাল্টিপল ক্লাউড সিস্টেম এসে গেলে আর তা করতে হবেনা। বিভিন্ন ক্লাউডের মাঝে আমাদের ডেটা আমরা সরাসরি মুভ করাতে পারবো। আপলোড একবারই করতে হবে, সেটিই দেখা যাবে ও ব্যবহারযোগ্য হবে অন্যান্য ক্লাউডেও।

শুনতে অনেক ভালো লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তবে কি ততোখানি সহজ ব্যাপারটা? ভেবে দেখুন তো, গুগল নিশ্চয় তার ডেটা সেন্টারের সবকিছু উন্মুক্ত করে দেবেনা মাইক্রোসফট কিম্বা ইয়াহুর কাছে? কিছু না কিছু কারিগরি শর্তসাপেক্ষেই কোম্পানীগুলো একে অন্যের সাথে সংযোগ দেবে, যাতে তাদের ভিতরের সবকিছু অন্যের কাছে উন্মুক্ত না হয়ে যায়। তাহলে এর জন্য আলাদা কিছু প্রোটোকল, ডেটা স্ট্রাকচার আর ফরম্যাটের প্রয়োজন পড়বে। এইসবের উপরেই বিস্তর মাথা ঘামানো শুরু হয়ে গিয়েছে যাতে প্রত্যেকের ডেটার মালিকানা তাদের কাছেই থাকে, আবার অন্যদের জন্য তা ব্যবহারযোগ্যও হয়ে ওঠে।

আগামী দিনে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে আমরা পাবো আরো আকর্ষনীয় এবং সহজেই ব্যবহারযোগ্য ইন্টারনেট। ইতিপূর্বে টিনটিন এই বিষয়ে সুন্দর একটি টিউন করেছেন, সেটিও পড়ে দেখুন।
[akashprodip trackback]

Level 0

আমি রিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 96 টি টিউন ও 362 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

জীবনের সব ভুল, যদি ফুল হয়ে যায়... জীবনের সব কালো, যদি আলো হয়ে যায়...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সহমত

অভিনন্দন । আপুনি আপনি টপ ১০ এ । পার্টি দিবেন কবে ?

Level 0

হুম…
ধন্যবাদ সুন্দর একটা নিউজ দেয়ার জন্য ।

good news.

welcome to TOP 10