বাংলাদেশে যেহেতু এখনো Paypal আসেনি, তাই বিকল্প হল Payoneer (বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত টিউন)

যতক্ষণ বাংলাদেশে সরকারি অনুমোদনে সম্পূর্ণ সার্ভিস নিয়ে Paypal না আসছে, ততক্ষণ বিকল্প হিসাবে যত বৈধ মাধ্যম আছে, তাই ব্যবহার করতে হবে। সেরা বিকল্প Payonner ...  আপনি এই সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট ও মার্কেটপ্লেস হতে অর্থ খুব সহজেই বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারবেন,  ফেসবুকে এড দিতে পারবেন, দেশি-বিদেশি ই-কমার্স সাইট হতে কেনাকাটা করতে পারবেন।

 

Payoneer এর সুবিধাঃ

  • Payoneer হল একটি WorldWide মাস্টারকার্ড প্রদান কারি প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য।
  • US Payment Service এর মাধ্যমে Google AdSene সহ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে Payment গ্রহন করতে পারবেন।
  • Payoneer এর Prepaid ডেবিট MasteCard এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে Payment গ্রহণ করতে পারবেন। যেমনঃ UpWork, PeoplePerHour, SEOClerks, ListingDock  ইত্যাদি
  • আমেরিকার একটি ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্ট থাকবে। সাথে ইউরপিয়ান, ব্রিটিশ, জাপানি সকল কোম্পানির থেকে পেমেন্ট সহজে নেবার সুবিধা।
  • Payoneer এর Master Card দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো দেশের Master Card সাপোর্টেড ATM Booth থেকে অর্থ উত্তোলনের সুবিধা।

 

ফ্রি ২৫ ডলার

সবচে ইন্টারেস্টিং সুবিধা হল আপনি এই একাউন্ট ওপেন করলে আপনি ২৫ ডলার পাবেন, সাথে আমিও ২৫ ডলার পাবো !!!!!  একটু থামেন ভাই ! সাথে সাথে তা দেয়া হবে না। তাহলে সবাই প্রতিদিন ১০টা করে একাউন্ট খুলবে, ও ২৫ ডলার উঠিয়ে নিয়ে কেটে পরবে। এই উল্লেখিত অর্থ জমা হবে তখনি, যখন আপনি কোন মার্কেট প্লেস সোর্স হতে কমপক্ষে এক হাজার (১০০০) মার্কিন ডলার আয় করবেন। (কোন বন্ধু ট্রান্সফার করলে হবে না) এই ১০০০ ডলার - হোক তা একবারে, বা অল্প অল্প করে। তাই সরাসরি তাদের লিঙ্কে না যেয়ে, আমার এই লিঙ্কের মাধ্যমে Payoneer এ একাউন্ট খুলুন। আমরা দুজনেই লাভবান হই।

আরেকটা বিষয়, আপনি যদি কোনো মার্কেট প্লেস (যেমন আপওয়ার্ক বা এনভেটো) থেকে একাউন্ট করেন তাহলে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে পারবেন না, এবং এক মার্কেট প্লেস এর  Payoneer কার্ড অন্য মার্কেট প্লেসে অ্যাড করতে পারবেন না। তাই সরাসরি বা রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে একাউন্ট ওপেন করাই শ্রেয়।

 

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুসারে সাইন আপ করুন
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুসারে সাইন আপ করুন

একাউন্ট ওপেন করুন

  • Payoneer এ যেয়ে Sign Up এ ক্লিক করে নিজের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিন।
  • প্রথমে আপনার যে পরিচয়পত্র আছে যেমন: ন্যাশনাল আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইন্সেস ইত্যাদি সিলেক্ট করুন, এরপরে সেই কার্ডের নাম্বার লিখুন।
  • আপনার ন্যাশানাল আইডি যেই নামে ও যেই ঠিকানায় আছে সেই নামে ও ঠিকানায় একাউন্ট খুলবেন।
  • শিপিং এ্যড্রেস নামে একটি অপশন আছে। আপনি যদি অন্য কোথাও থাকেন যে, আপনার আইডির ঠিকানা বাড়িতে, কিন্তু আপনি থাকেন ঢাকাতে, তাহলে শিপিং এড্রেস ঢাকায় সিলেক্ট করুন। আর উপরে যে ঠিকানা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই আপনার আইডির ঠিকানার হুবহু হতে হবে।
  • ২ টা Security Question Set করুন, এবং তা কোথাও লিখে রাখুন।
  • ইমেইলে তারা ধন্যবাদ জানালে, যদি আরো কোন ডকুমেন্টস চায়, তবে সেই তথ্য দিন। আপনার ID Card স্ক্যান করে জমা দিতে হতে পারে।
  • এবার US Payment service চালু করুন।

 

 

এবার অর্থ জমানোর পালা

 

এডমিন প্যানেল
এডমিন প্যানেল

 

একাধিক ব্যাংক একাউন্ট, যাতে অর্থ জমা হলে তা সরাসরি আপনার একাউন্টে জমা হবে
একাধিক ব্যাংক একাউন্ট, যাতে অর্থ জমা হলে তা সরাসরি আপনার একাউন্টে জমা হবে

কাউকে যদি পেমেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠান
কাউকে যদি পেমেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠান

কাউকে যদি আপনি পেমেন্ট করেন
কাউকে যদি আপনি পেমেন্ট করেন

টাকা তোলার উপায়

  • প্রতিবার ন্যূনতম ৫০ ডলার হতে ৫,০০০ ডলার আপনি উত্তোলন করতে পারবেন। এই পদ্ধতিকে বলে লোকাল ব্যাংক ট্রান্সফার। এটাই সবচে সাশ্রয়ী, এবং ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে জমা হয়। আপনার বাংলাদেশি ব্যাংক একাউন্টে যদি SMS Alert বা Online Banking থাকে তবে ঘরে বসেই আপনি জানতে পারবেন যে অর্থ জমা হল কিনা। খুব অল্প অর্থ সার্ভিস চার্জ হিসাবে কাটবে।
  • কার্ডের মাধ্যমেঃ Master Card সাপোর্টেড ATM Booth থেকে অর্থ উঠানো যাবে। তবে প্রতিবার এতে সার্ভিস চার্জ কেটে নিবে, এবং তা লোকাল ব্যাংক ট্রান্সফারের তুলনায় বেশি বা ভিন্ন পদ্ধতির।

 

ব্যাংকে একাউন্টে টাকা ট্রান্সফারের অর্ডার দিন
ব্যাংকে একাউন্টে টাকা ট্রান্সফারের অর্ডার দিন

 

কার্ড একটিভ করুন

  •  আপনার একাউন্টে নুন্যতম ৩০ ডলার জমা হলেই আপনি কার্ডের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। এপ্লাই করলে ২০ হতে ২৫ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় কার্ড চলে আসবে।
  • আপনি কার্ড হাতে পাওয়ার পর তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • Active করার অংশে যান। কার্ড নাম্বার ও আপনার পছন্দ মত ৪ ডিজিটের PIN দিয়ে কার্ড একটিভ করুন।
উল্লেখ্য, আপনি কার্ড ছাড়াই যে কোন মার্কেটপ্লেস বা ভিন্ন কোন Payoneer ব্যবহারকারীর নিকট হতে অর্থ রিসিভ করতে পারবেন, এবং আপনার অর্থ বাংলাদেশি ব্যাংক একাউন্টে জমা করতে পারবেন। কার্ড হল শুধু ই-কমার্স সাইট হতে কেনাকাটা করার জন্য বা ফেসবুকে এড দেবার জন্য।

 

 

কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় খেয়াল রাখুন

  • কখনোই ATM বুথ হতে ব্যালেন্স দেখবেন না, কারন এর জন্য সার্ভিস চার্জ হিসাবে ডলার কেটে নেয়া হবে। আপনি আপনার কম্পিউটার হতে আপনার একাউন্ট হতে সারাদিন যত ইচ্ছা ব্যালেন্স দেখুন - সম্পূর্ণ ফ্রিতে।
  • প্রতিবারে ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফারের সময় ৫০ ডলারের নিচে অর্ডার দেয়া যায় না। তাই কোন মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং সাইট হতে অর্থ আনার সময় কমপক্ষে ৫০ ডলার করে নিয়ে আসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।  তারপর ব্যাংকে ৫০ ডলার ট্রান্সফার করুন।
  • বাৎসরিক সার্ভিস চার্জ হল প্রায় ৩০ ডলার, এবং তা কেটে নেয়া হবে পেয়নিয়ারে জমা থাকা অর্থ থেকে। তাই পেয়নিয়ারে অর্থ জমা হওয়া মাত্রই তা তুলে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। পেয়নিয়ার -এ যদি টাকা না থাকে, তবে তারা বাৎসরিক সার্ভিস চার্জ কাটবে না।  Terms & Conditions সেটাই বলে।
  • একই ঠিকানায় ২ টা কার্ড ২ নামে আসতে পারে। মানে আপনার পরিবারের কোন সদস্যর নামে একটা আপনার নামে একটা কার্ড আনতে পারবেন। কিন্তু ভুলেও এক কম্পিউটার থেকে দুইটা সাইন আপ করবেন না।
  • কার্ড একটিভ করার ১৮০ দিনের মধ্যে লোড না করলে আপনার একাউন্টে লগইন করতে সমস্যা হতে পারে, আপনি পেওনিয়ার এর সাথে লাইভ চ্যাট করে বলুন আপনার কার্ড লোড দিতে চাচ্ছেন কিন্তু লগইন করতে পারছেন না, তাই আপনার একাউন্ট রিএকটিভ করে দিতে অনুরোধ করুন। ভুলেও দ্বিতীয়বার নতুন কার্ডের জন্য অ্যাপ্লাই করবেন না।

 

 

ফি কিরকম?

  • US Payment Service - প্রাপ্ত অর্থের ১%, যতবার রিসিভ করবেন ততবার।
  • বাৎসরিক মেইনটেইন চার্জ - প্রতি বছর $29.95
  • কার্ড হারালে বা নতুন কার্ডের জন্য এপ্লাই করলে - $12.95
  • ATM এর মাধ্যমে Cash Withdraw করলে প্রতিবার $3.15
  • ATM এর মাধ্যমে ব্যালেন্স দেখলে প্রতিবার $1.00

 

ধন্যবাদ,

ভালো থাকুন,

তাওহীদুর রহমান ডিয়ার

 

(Disclaimer: I have no official relation with Payoneer, Paypal or any other company like this)

 

Level 2

আমি তাওহীদুর রহমান ডিয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস