ডিজিটাল; আমাদের যা শিক্ষা দেয়

ডিজিটাল অর্থ হচ্ছে কম্পিউটার ভিত্তিক তথা আধুনিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের সকল কর্মকান্ড সমূহকে গতিশীল করা। তাই এই গতিশীলতা আমাদের সমাজকে দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি দ্রুত পথ ভ্রষ্টের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, আগামী প্রজন্মকে প্রযুক্তি থেকে ঠেলে দিচ্ছে, ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের যুব সমাজকে, তারই কয়েকটি প্রমাণ আপনাদের সামনে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ্‌।

কম্পিউটার

কম্পিউটার প্রযুক্তির ছোয়াতে বিশ্ব এখন অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। কম্পিউটার আমাদের কাজকে সংক্ষিপ্ত ও সহজতর করে দিয়েছে। কম্পিউটার একটি কাজ এক সেকেন্ডের এক শত কোটি ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে করতে পারে, এর মাধ্যমে হয় না এমন কাজ খুব কমই আছে। কম্পিউটার মানে হাজার হাজার কাজের ব্যাপার, আমরা যেমনি ভাবে ফোন থেকে ফোনে, মোবাইল থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারি, তেমনি কম্পিউটারের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে যোগাযোগ করা যায়। কম্পিউটারের বিস্তারের ফলে নতুন করে কর্ম সংস্থানের সুযোগ হচ্ছে, দূর হচ্ছে দেশের বেকারত্ব সমস্যা। মানুষ এখন ঘরে বসেই দেশের বাহিরে চাকুরী করতে পারছে এবং সে ঘরে বসেই বেতন পাচ্ছে। তবে কম্পিউটার শুধু বেকারত্ব সমস্যা দূরীভূতই করেনি, বেকারত্ব সমস্যা বাড়িয়েও দিয়েছে  অনেক বেশী। কম্পিউটারের বদৌলতে অনেক ব্যাপারে লোক তার কর্ম হারিয়েছে, যেমনঃ পূর্বে অফিসে ফাইল পওর হিসেব নিকাশে অনেক লোকের প্রয়োজন হত কিন্তু প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে কম্পিউটারের মাধ্যমে দু’এক জনেই করতে পারে, যার ফলে কমে যাচ্ছে কর্মসংস্থান।

তাছাড়া ডিজিটালের ফলে প্রতিদিন অফিস, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়,  রাজপথ, মহাসড়ক ইত্যাদি কম্পিউটার ভিত্তিক সিসিটিবি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ত্রন করতে পারা যায়, যার ফলে কমে যাচ্ছে দুর্নীতি-অপরাধ। তবে এতেও কর্ম সংস্থান হ্রাস পাচ্ছে, কারণ পূর্বে এসব নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত লোক অথবা পুলিশের প্রয়োজন হত। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা নিজেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। আগে চাকরানি ভোর ছয়টায় মুনিবের দরজা খুলে দিত আর এখন ভোর ছয়টা হলেই কম্পিউটার দরজা খুলে দেয়।

তবে উপকারের পাশা-পাশি সমাজের ক্ষতির দিকটিও চলে এসেছে বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে আধুনিক অশ্লীল ছবি এবং তা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পরছে সারা বিশ্বে, প্রতিনিয়ত বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। দেশ-বিদেশের অশ্লীল সাইট গুলো উন্মুক্ত হওয়ায় অল্প বয়সের একজন বালকও জড়িয়ে পরছে এসব অশ্লীসতাই। এ জন্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে ইভটিজিং তথা নারী নির্যাতন।

ইন্টারনেট

ইন্টারনেট (Internet)=(International Network) তথা, Inter=আন্তর্জাতিক, net=জাল,  আন্তর্জাতিক জাল, তবে এটার মূলত কাজ www.(world wide web) = (বিশ্ব চওড়া মাকরসার জাল) এর ভিতর। অর্থ্যাৎ বিশ্ব জালের ভিতর, যেমন একটি ওয়েব সাইটঃ http://www.sahih-bukhari.net

দেশের অভ্যন্তরীণ ভাবে যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট অত্যান্ত আবশ্যিক। যে ভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা চলে, সে ভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উপগ্রহ যোগাযোগের দ্বারা ইন্টারনেট চলে। আমাদের দেশে বি. টি এন্ড টি বোর্ড ছাড়া অনেক প্রাইভেট কোম্পানি জনগণকে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে। ইন্টারনেট মডেম সংযোগের মাধ্যমে আমরা এক কম্পিউটার থেকে অন্য এক কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারি। এবং  ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা- সংবাদপত্র পড়া, কোন ফাইল ডাউনলোড, ফাইল প্রেরন, ভিডিও দেখা,  কথা বলা, অনলাইনে ব্যাংকিং সেবা পাওয়া, ব্যবসা- বাণিজ করা, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ, এবং তথ্য সংগ্রহ করতে ও নানা ধরনের অসম্ভব কাজ ও ঘরে বসে করতে পারি। তাছাড়া ঘরে বসে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় বাজার করতে পারবেন, কিনতে পারবেন প্রায় সব কিছু আমাদের দেশে অনলাইন বাজারের জন্য bikroy.comakhoni.comekhanei.com এবং বইয়ের জন্য rokomari.com , ছাড়াও আরো অনেক জনপ্রিয় সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি ঘরে বসে যে কোন কিছু কেনা-কাটা করতে পারেন।

কেনা-কাটা ছাড়াও করতে পারেন ঘরে বসে বিভিন্ন ধরণের চাকুরী, যেমন, odesk.com ,  freelance.com  তে অথবা বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ লগইন করেই করতে পারেন ঘরে বসে চাকুরী। আরো অনেক সাইট রয়েছে যেখানে রয়েছে আপনার জন্য প্রচুর কাজ যা আপনি ঘরে বসে বসে করতে পারেন এবং প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা কাজ করে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০-৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। কিন্তু এ জন্য আপনাকে দক্ষ হতে হবে। শিখতে হবে কাজ তাও আবার ঘরে বসে যেমনঃ বাংলাদেশে আর. আর. ফাউন্ডেশনের রাসেল আহমেদের তৈরী টিউটোরিয়ালগুলো বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে তাছাড়া আল-হেরা, প্রজুক্তি টিম এর হাসান জোবায়েরের টিউটোরিয়াল বাজারে কিনতে পাবেন। এবং আমাদের ময়মনসিংহসোর্স থেকেও কিছু টিউটোরিয়াল বানানো হয়েছে সেগুলো "এখান" থেকে দেখতে পারেন ।

এখানেই শেষ নয়, রয়েছে অনলাইন স্কুল যেখান থেকে আপনি শিখতে পারেন অনেক মূল্যবান কিছু যেমনঃ খান একাডেমী, শিক্ষক ডটকম, টেকটিউনস, সামহোয়্যারইনব্লগ এবং নতুন চালু কৃত টেকনোলজি সাইট আইটি প্রতিদিন এর মত আরও অনেক সেবা প্রদানকারী ওয়েব সাইট যেখান থেকে আপনি বিনামূল্যে সবই শিখতে পারেন।

কিন্তু কিছু অসৎ মহল ওয়েব সাইটের মধ্যে সমকামিতা, লিভ টুগেদার,  ডেটিং-ফেটিং ইত্যাদি অপকর্ম ঢুকিয়ে দিয়েছে, যারফলে সমাজ ছাড়াও ইসলামিক বিশ্বাসের ভিত্তি সমূহ ধ্বংস হচ্ছে। এখন ইন্টারনেটে প্রবেশ করলেই অনেক ভাল সাইটেও অশ্লীল বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় যেগুলোতে ক্লিক করে অশ্লীল সাইটে প্রবেশ করা যায়, তাছাড়া ভিডিও পাওয়ার সবচেয়ে বড় সাইট ইউটিউবে প্রবেশ করলে দেখা যায় প্রথম পাতাতেয় অশ্লীশ ভিডিও আসছে, এবং সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে কিছু অসৎ মহল নোংরা পেজে অশ্লীশ ছবি ও গল্প আপডেট দেয় এর ফলে একজন ছোট অথবা বড় ছেলে-মেয়েও আসক্ত হচ্ছে এদিকে, ধ্বংস হচ্ছে আমাদের ইসলামিক সংস্কৃতি ও সমাজ।

বর্তমানে লক্ষ করা যায় আমাদের দেশে  কিছু অনলাইন পত্রিকাতেও এসব ভিডিও’র সন্ধান পাওয়া যায়, অবশ্য তারা তাদের পত্রিকাতে ভিজিটর পাওয়ার আশায় এসব পক্রিয়া অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু আপনি কি ভাবে দেখেছেন এতে সমাজ কতটা ধ্বংস হচ্ছে ও অনলাইন পত্রিকার মান কতটা  কমে যাচ্ছে?

ই-মেইল

ই-মেইল এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক মেইল অর্থাৎ e= electronic, mail= mail যা একত্রে electronic mail, এর মাধ্যমে আপনি বিদ্যুতের গতিতে বার্তা পাঠাতে পারবেন। আপনি পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই থাকেন না কেন আপনার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ, ও এর ব্যবহারের মাধ্যম তথা মোবাইল অথবা কম্পিউটার থাকলে এবং যদি থাকে আপনার একটি ই-মেইল ঠিকানা, তা থেকে আপনি অতিসহজে বার্তা, ছবি, অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট, অথবা বিভিন্ন ফাইল সহ নানা কিছু পাঠাতে পারেন অন্য ই-মেইল এড্রেসে, যা আমাদের যোগাযোগকে দ্রুত থেকে আরও দ্রুত করে দিয়েছে। ধরেন ব্রাজিল আপনার এক আত্মীয় থাকে এখন তার কাছে চিঠি মাধ্যমে ডাকযুগে কোন বার্তা পাঠালে কত দিন লাগতে পারে প্রায় ১ মাস কিন্তু আপনি ই-মেইল এর মাধ্যমে মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে আপনার কাঙ্ক্ষিত বার্তাটি পাঠাতে পারেন। একটু ভেবে দেখেন প্রযুক্তি আমাদেরকে কতটা সহজ করে দিয়েছে।

ই-মেইল এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত, পারিবারিক যোগাযোগ ছাড়াও রাখতে পারেন সামাজিক যোগাযোগ, যা রাষ্ট্রীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হচ্ছে। যেমনঃ বাংলাদেশের কোন সরকারি কোন কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় কোন কাজে যোগাযোগ করছে ইরানের সরকারি কর্মকর্তার সাথে। এবং ই-মেইল এর মাধ্যমে আপনার পাশে ঘটে যাওয়া সংবাদটি মুহূর্তের মধ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে লন্ডন এবং সেটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যেমনঃ বিবিসিতে সেটা প্রচারিত হচ্ছে।

তাছাড়া ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে কোন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের, যেমনঃ আপনার একটা কোম্পানি অথবা একটা প্রতিষ্ঠান আছে, এখন এটি সকলকে জানাতে চান অর্থাৎ এটি প্রচার করতে চান, তো প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেঁচে নিতে পারেন ই-মেইলকে। ধরুন আপনার কাছে ১০ হাজার ই-মেইল এড্রেস আছে অথবা দৈনিক পত্রিকা বা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করেছেন এখন ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটি সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন (আসলে আমি ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ জানিনা) এতে আপনার কোম্পানিটির প্রচার অতি সহজে হয়েগেল। এছাড়া আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ শিখেন তাহলে অনলাইন মার্কের প্লেসেও কাজ করতে পারেন, আপনার জন্য রয়েছে সেখানে প্রচুর কাজ।

কিন্তু এই উপকারী মাধ্যমে প্রবেশ করেছে কিছু অপকারি মানব যারা যারা মানুষকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে সদা প্রস্তুত। তারা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অভিযান সব সময়,

ইমেইল এর মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে অশ্লীল অথবা চটি সাইটের ঠিকানা, পাঠানো হচ্ছে মেয়েদের ছুবি, দেয়া হচ্ছে অশ্লীল ওয়েবসাইট।

ওয়েব সাইট

ডিজিটাল অথবা ইন্টারনেট বাস্তবায়নের অন্যতম মাধ্যম হল ওয়েবসাইট। যেটির মাধ্যমেই সবকিছু হয়ে থাকে অর্থাৎ এটি হল সবকিছুর মূল-স্তম্ভ বা খুঁটি যার উপর নির্ভর করে সব চলে। তথা এটি হল ইন্টারনেট এর প্রাণ।

সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটঃ

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রাখতে অর্থাৎ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট গুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। বিশ্বব্যাপী ব্যবহারিত ও অধিক পরিচিত সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুলো হলঃ ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিঙ্কডইন ইত্যাদি।

তবে এদের সবচেয়ে সেরা হল ফেসবুক যা ২০০৪ সালের ০৪ ফেব্রয়ারি আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী মার্ক জাকারবারগ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এটি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয়, প্রচারিত ও ব্যবহারিত, এই ওয়েবসাইটে আপনি নতুন বন্ধুত্ব করতে পুরাতন বন্ধু খুঁজে পেতে, কোন কোম্পানি বা পণ্যের প্রচার দিতে, কিছু সদস্য এক গ্রুপে অর্থাৎ সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কোন কাজে বা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা যায়, তাছাড়াও রয়েছে ইভেন্ট তৈরির সুবিধা যেখানে আপনি একসাথে অনেক লোককে কোন কিছু জানাতে পারবেন। এখানেই শেষ নয়, করতে পারবেন চ্যাট ও অর্থাৎ ফেসবুক টো ফেসবুক বিনামূল্যে মেসেজ প্রদান সহ নানা কিছু। ফেসবুক থেকে করতে পারেন আয়।

যেমনঃ আপনার একটি ফেসবুক পেজ আছে এটিতে ১লক্ষ+ লাইক তো আপনি অন্য একজনের একটি ওয়েবসাইট বা তার পেজ এর টিউন আপনার পেজ এ দিলে তার পেজ এ লাইক অথবা তার সাইটে ভিজিটর পাবে, এভাবে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন। আর অন্যান্য সাইট গুলোর সেবা প্রায় একই রকম।

সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুলো উপকারের সাথে সাথে অপকারই করছে বেশী, এগুলো জনগণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় যে কেউ অনায়াসে একটি নকল আইডি খুলতে পারছে আর এইসব নকল আইডির মাধ্যমেই চলে যত নোংরামি ফেসবুকে সার্চ দিলেই দেখা যায় লাখ-লাখ অশ্লীল আইডি অশ্লীল পিকচার সহ অশ্লীশতার নানা কিছু, কোটি-কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট মেয়ে নামে ভুয়া আইডি, অনেকে মেয়েদের ছবি গোপনে তুলে সাথে সাথে ফেসবুকে ছেড়ে দেয় এবং তা চলে যায় সারা বিশ্বে।

ব্যবসায়িক সাইট বা ই-কমার্স সাইটঃ

ব্যবসায়িক সাইট দুই ধরণের হয়ে থাকে একটি হল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা কোম্পানী সাইট এসব সাইট ব্যবসার প্রচার-প্রসার এর জন্য করে থাকে।

এসব সাইট প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের মত কাজ করে। এর ই-কমার্স সাইট হল অনলাইনে ব্যবসা বাণিজ্য করার সাইট সোজা কথায় ইন্টারনেটে কেনা-বেচার সাইট। এসব সাইটকে অনলাইন বাজারও বলা হয়। এসব সাইট থেকে আপনি ঘরে বসে আপনার প্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিস কিনতে পারবেন আমাদের দেশেঃ akhoni.combikroy.comekhanei.comrokomari.com, ছাড়াও অনেক অনলাইন বাজার রয়েছে যা আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় কেনা-কাটায় সাহায্য করে।

নিউজ সাইটঃ

ইন্টারনেট জগতের সবচেয়ে আলোচিত ও অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটিই হল অনলাইন নিউজপেপার যা বর্তমান সময়ে দ্রুত ও সত্য সংবাদ প্রচারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

পূর্বে বাহিরের দেশের খবর জানতে আমাদের অনেক সময় লাগত কিন্ত এখন পৃথিবীর এক প্রান্তে ঘটে যাওয়া সংবাদটি মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে। তাছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার সবার জন্য উন্মক্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক মিডিয়ার পাশা-পাশি আমাদের দেশের বহু অনলাইন মিডিয়া গড়ে তুলে অনেকের ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে।

ডেভেলপমেন্ট সাইটঃ

ওয়েব সাইট ডিজাইন এবং এর উন্নয়ন, সফটওয়্যার এর উন্নয়ন সহ নানা ধরণের রিসোর্স ও প্রযুক্তি গত তথ্য ছাড়াও নানা সেবা প্রদান করে এসব সাইট গুলো।

ব্লগিং সাইটঃ

ব্লগ সাইট বলতে একটি অনলাইন ডায়রীকে বুঝানো হয়, যার মধ্যে ওয়েব সাইটের এডমিন তার ইচ্ছা মত টিউন করতে পারেন। তবে ব্লগ বলতে আবার অনলাইন স্কুল সাইটকেও বুঝানো হয়। যেমন টেকটিউনস, টিউনারপেজ, আইটি প্রতিদিন এগুলো টেকনোলজি ব্লগ সাইট এগুলোকে আপনি পাঠশালাও বলতে পারেন কারণ এগুলোতে আইটি ব্লগাররা বিনামূল্যে বিভিন্ন ইন্টারনেট বিষয়ক কাজ শিখিয়ে থাকেন।

ব্লগিং অবশ্যই সম্মানী পেশা কিন্তু কিছু অসৎ মহল তার অপব্যবহার করে এটিকে বিপজ্জনক বানিয়ে ফেলেছে।

সাধারণ জনগণ ব্লগিং বলতে বুঝে ব্লগিং হল আল্লাহ্‌ ও তার রাসুল (সা) এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার কাজ, এবং ব্লগাররা হল নাস্তিক। আমাদের দেশের কিছু মুক্ত চিন্তার ব্লগ গুলোতে ইসলাম ও আল্লাহ্‌ এবং তার রাসুল (সা) সম্পর্কে কিছু দিন পূর্বে কি লেখা হয়েছিল। যারা লিখেছিল তারা সত্যিই নাস্তিক আমরা তাদের ফাঁসী চাই কারণ এক হল তারা মানুষকে ইসলামী বিশ্বাস থেকে সরিয়ে নাস্তিক্কবাদ শেখাতে চেয়েছিল দ্বিতীয়ত আমাদের উন্নয়নশীল দেশে অর্থনীতির চাকা ঘুড়ে দাঁড়াতে ফ্রেল্যান্সিং ব্যাপক ভূমিকা রাখছে আর ফ্রেল্যান্সার হওয়াতে আইটি ব্লগিং ব্যাপক ভূমিকা রাখে, আর ব্লগিং থেকে মানুষকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে কারণ একজন লোক যখন ব্লগিং শিখবে তখন তার পরিবার বা আত্মীয়স্বজন থেকে সাপোর্ট পাবেনা কারণ তারা বুঝবেনা কোনটি আইটি ব্লগিং ও কোনটা মুক্ত চিন্তা ব্লগিং, আর যদি যে মুক্ত চিন্তা নামীয় ব্লগিং এ জড়িয়ে পড়ে তাহলে তার ভবিষ্যৎ?

ইনফরমেশন সাইটঃ

ইনফরমেশন এর কথা বলতে গেলে প্রথমে চলে এসে উইকিপিডিয়া, উইকিলিকস নাম যারা তথ্য সে প্রদান করে থাকে যেমনঃ আমি যদি উইকিপিডিয়ার মধ্যে কম্পিউটার লিখি তবে সে কম্পিউটার এর সকল তথ্য এনে দিবে। অথবা কোন ব্যক্তির নাম লিখলে তার সম্পর্কে সঠিক বিস্তারিত তথ্যটি আসবে (তবে এখানে পূর্বে তথ্য দিতে হয়) তাছাড়া উইকিলিকস বিভিন্ন গোপন নথি পাশ করে সারা বিশ্বে সবার নজর কেরেছে কিন্তু বর্তমানে সাইটটি বন্ধ আছে। তাছাড়া এমন বহু সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

সার্চ ইঞ্জিনঃ

সার্চ তথা খুঁজা অর্থাৎ কোন কিছু খুঁজে বের করা তবে এটি ইন্টারনেট এর ভিতর। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন হল গুগল তাছাড়া বিং, ইয়াহু এবং আমাদের দেশের গ্রামীনফোন আইটি ও শাহ্‌-জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ ছাত্রদের হাতে করা দেশের প্রথম ও একমাত্র সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা ডটকম।

যাই হক, সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে কীভাবে তথ্য দিবে? তাহল আপনি যদি গুগলের হোম পেজ এ গিয়ে কোন কিছু লিখেন তাহলে সে আপনাকে সেই অনুযায়ী ফলাফল এনে দিবে।

আমি আমার সামান্য মেধা দিয়ে আপনাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি। আশা করি সকলেই আমাদের এই দেশে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করবেন, এবং দেশকে ডিজিটাল করতে কাজ করবেন। একটি কথা মনে রাখবেন আপনি নিজেই একটি বাংলাদেশ। আপনি নিজেই সরকার কারণ প্রধানমন্ত্রী আপনাকে খেটে খাওয়াবেন না।

আসুন আমরা এই দেশকে ভালবেসে প্রযুক্তিতে জীবন গড়ি, অবদান রাখি আমাদের সবার প্রিয় এই বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নে। পরিশেষে বলা যায় প্রযুক্তি অবশ্যই ভাল কিছু কিন্তু আমরা তা ভালবাবে ব্যবহারের উপযোগী করে ঘড়ে তুলতে পারি নাই।

"লেখায় ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।"

-টিউনটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

সময় পেলে "ময়মনসিংহসোর্স" থেকে ঘুরে আসতে পারেন ।

#ফেইসবুকে আমি

Level 0

আমি আরাফাত রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 45 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি মোঃ আরাফাত রহমান, পেশায় একজন ছাত্র । বর্তমানে ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে ময়মনসিংহের ভালুকার “সায়েরা-সাফায়েত স্কুল এন্ড কলেজে” অধ্যয়নরত আছি । প্রযুক্তিকে ভালবাসি তাই সব সময় প্রযুক্তির সাথেই থাকি । প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করি এবং তা অন্যকে শেখাতে ভালবাসি । পাশাপাশি দুই প্রযুক্তি খোর মিলে “ময়মনসিংহসোর্স”...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস