পিটিসি মানেই টাইম লস এবং চিটিং : পিটিস কেন করা উচিত নয়

অনলাইনে আয় ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশী খোজ করা বিষয়ের মধ্যে একটি। আর অনলাইনে আয় নিয়ে এই ক্ষেত্রে ধোকাবাজিও কম নয়। অনেকেই অনরাইনের আয়ের উপায় হিসাবে পিটিসি করছেন। শুধু মাত্র ক্লিকের মাধ্যমে অনলাইনে আয়। আসুন জেনে নেই এই পিটিসি সাইট গুলো কিভাবে আপনাকে ধোকা দেয়।

পিটিসি সাইটের বিভিন্ন নেগেটিভ বিষয়গুলো বলার আগে জেনে নেই পিটিসি সাইট কি
পিটিসি=পেইড টু ক্লিক। যেখানে আপনি রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে নিদির্ষ্ট কিছু ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ২০ বা ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করবেন। এর ফলে আপনাকে ০.০০১ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ৮ পয়সা) বা ০.০৫ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ৪ টাকা), কিছু ক্ষেত্রে ০.১০ ডলার প্রদান করে থাকে। প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার জন্য আপনাকে ৩০ সেকেন্ড বা ২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে।
পিটিসি সাইটগুলো কিভাবে আয় করে

কোন কোম্পানি নতুন সাইট বা প্রোডাক্ট বাজারজাত করলে প্রয়োজন বিজ্ঞাপন। পিটিসি সাইট এই কাজটিই করে। ধরুন আমার ওয়েবসাইট itshikkha নতুন তৈরী করা হল। এখন বিজ্ঞাপনের জন্য পিটিসি সাইট আমার সাথে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি করল। ১০০০ ডলার এর বিনিময়ে আমার সাইটে পিটিসি সাইটগুলো ১০০০০ ভিজিটর পাঠাবে। তার মানে আমি প্রতি ভিজিটরের জন্য আমি ০.১০ ডলার বা ৮ টাকা সরবরাহ করছি আর পিটিসি সাইটটি আপনাকে প্রদান করছে ০.০০১ ডলার বা ৮ পয়সা। বাকিটুকু সম্পুর্ণ টাই পিটিসি সাইটের লাভ।

পিটিসি সাইটের আরএকটি বিষয় হচ্ছে রেফারেল। আমার পরিচিত একজন পিটিসি সাইটে জয়েন করল ১ জন রেফারেল নিয়ে সারা মাসে ০.৮০ ডলার মানে বাংলাদেশী টাকায় ৬৪ টাকা আয় করেছে। তার নেট বিল কত গেল ?? রেফারেল পাওয়ার জন্য সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় স্প্যামিং করেছে। ব্যক্তি সন্মান ও ক্ষুন্ন হল। বাংলাদেশে একসময় এমএলএম দেশের জনগণের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। একটি নিদিষ্ট সময় শেষে আপনি দেখবেন আপনার অ্যাকাউন্টে মেসেজ দেখাচ্ছে আপনার ব্যালেন্স কেটে নেওয়া হয়েছে রেফারেল প্রোগ্রাম বা অ্যাকাউন্টটি আপগ্রেড করার জন্য। তার মানে কি হল ?? আপনার সাথে চিটিং করছে। আপনি যদি ১০০ রেফারেল ও পান তবে াসে ১০ ডলার ও আয় করতে পারবেন না। আর রেফারেল পাওয়া কি এতই সোজা ?? ধরুন আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবদের হাত জোড় করে বা ব্রেইন ওয়াশ করে ১০০ রেফারেল পেলেন। তারা কি প্রতিদিন কাজ করবে ??

আপনি যদি প্রতিদিন পিটিসি এর বিজ্ঞাপনে ক্লিক এবং রেফারেলের জন্য ২ ঘন্টা সময় ব্যায় করেন তাহলে একমাসে আপনি ব্যায় করবেন ৬০ ঘন্টা। ৬০ ঘন্টা পরিশ্রম করে বেসিক ওয়েব ডিজাইন শিখা সম্ভব। একজন ওয়েব ডিজাইনার আয় করতে পারেন প্রতিমাসে হাজার ডলার ও।শুধু ওয়েব ডিজাইন করে নয় ওয়েব ডিজাইনারের আরও অনেক ধরনের আয়ের রাস্তা আছে। দেখুন : ওয়েব ডিজাইনারের আয় । ২ ঘন্টায় যদি আপনার ইন্টারনেটে ১০০ এমবি করে কাটে তাহলে প্রতিমাসে ৩০০০ এমবি কাটবে মানে ৩ গিগা। ৩ গিগাবাইট ডাটার মুল্য কত ?? ১০০ টাকা করে হলেও ৩০০ টাকা। আপনি আয় করবেন কত ??

এর মধ্যে অধিকাংশ পিটিসি সাইট ফেইক। পেমেন্ট দিবে না। বিভিন্ন কারনে আইডি বন্ধ করে দিবে আরও কত সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই পিটিসি করার আগে অন্তত ১০০ বার ভাবুন। অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন উপায় গুলো সম্পর্কে জানুন। অনলাইনে আয় সম্পর্কে জানতে দেখতে পারেন নিচের লিংকটি।

অনলাইনে আয়

Level 0

আমি তানিয়া লাবনী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ সহমত পোষন করছি। বাট যারা ইনকাম বিষয়ে একদম অজ্ঞ তাদের হয়ত নাই মামা হতে……..! অবশ্য পিটিসি সাইট হইতে বিট কয়েন সাইট বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার দিকে যাচ্ছে। বিট কয়েন নিয়ে টিটিতে একটি পরিপূর্ণ টিউন করেছিলাম এখানে বিট কয়েন সম্পর্কিত আয় নিয়ে টিউন করেছিলাম এখানে
https://www.techtunes.io/freelancing/tune-id/344775

ঠিক কথা

Level 0

আপনার কথায় যুক্তি আছে…