জেনে নিন সূর্যের রহস্য

সূর্য ছায়াপথ নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত একটি তারা। সূর্য ও তার মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রে আবদ্ধ গ্রহ ও গ্রহাণুদের নিয়ে গঠিত সৌরজগত, যার তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে আমরা মানুষরা ও অন্যান্য জীবজন্তুরা বাস করি।

সূর্য নিজে ধীরে ধীরে ছায়াপথের কেন্দ্রে চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে। আবার সূর্যকে কেন্দ্র করে সৌরজগতের সকল গ্রহ এবং অন্যান্য বস্তু তথা গ্রহাণু, উল্কাণু, ধূমকেতু বা ধূলিকণা সদা সূর্যের চারিদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। সৌরজগতের শতকরা ৯৯ ভাগ ভরই সূর্য ধারণ করে। পৃথিবীর জীবমণ্ডলে সূর্যের আলোর শক্তি আহরণ করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চলে যা পৃথিবীর প্রাণশীল সকল বস্তুর জন্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। পৃথিবীর আবহাওয়া এবং জলবায়ু সূর্য দ্বারা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয়।

আয়তন

তেরো লক্ষ পৃথিবীকে একসঙ্গে যোগ করলে তা আকারে সূর্যের সমান হবে। সংখ্যায় তা ১.৪১×১০২৭ মি³।

সূর্যের ব্যাস

৮ লক্ষ ৬৬ হাজার চারশত মাইল। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল।

সূর্যের ভর

৬ এর পরে ২৮ টি শূন্য বসালে যত হয়, সূর্যের ভর তত মণ। অর্থাৎ ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৪৬ টি পৃথিবীর ভরের সমান।

সূর্যের রশ্মি

সাদা (খালি চোখে)  অথচ সাদা রং -এর মধ্যে লুকানো রয়েছে সাতটি রং। এগুলো হলো বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল। রঙধনুতে এই সাতটি রং পাশাপাশি দেখা যায় প্রিজম -এর মধ্য দিয়ে পরিচালনা করলে। এই সাতটি ছাড়াও আলোতে মেশানো রয়েছে নানা রঙের অদৃশ্য আলোক রশ্মি, যার অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাওয়া যায়।

sunlayers.gif

সূর্যের উত্তাপ

সূর্য হচ্ছে একটি জলন্ত গ্যাসের কুণ্ড, যার বাইরের উত্তাপ হলো ৬ হাজার সেন্টিগ্রেড আর ভিতরের উত্তাপ হবে প্রায় ৩ থেকে ৬ কোটি সেন্টিগ্রেড। প্রতি সেকেন্ডে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ মণ গ্যাস পোড়ালে এই উত্তাপ পাওয়া সম্ভব

আলোক মণ্ডলীয় গঠন (ভর অনুসারে)

হাইড্রোজেন৭৩.৪৬ %
হিলিয়াম২৪.৮৫ %
অক্সিজেন০.৭৭ %
কার্বন০.২৯%
লোহা০.১৬ %
নিয়ন০.১২ %
নাইট্রোজেন০.০৯ %
সিলিকন০.০৭ %
ম্যাগনেসিয়াম০.০৫ %
সালফার০.০২

সূর্য একটি তৃতীয় প্রজন্মের তারা, কাছাকাছি কোন একটি অতি নব তারা থেকে উদ্ভূত অভিঘাত তরঙ্গ এর উৎপত্তিতে একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। পুরো সৌর জগতে স্বর্ণ বা ইউরেনিয়ামের মত ভারী মৌলসমূহের প্রাচুর্য লক্ষ্য করে চালিকাশক্তি হিসেবে এই ঘটনাটি প্রস্তাব করা হয়েছে। খুব সম্ভবত একটি অতি নব তারার বিবর্তনের সময় ক্রিয়াশীল endergonic কেন্দ্রীক বিক্রিয়া অথবা দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি বৃহৎ তারার অভ্যন্তরে নিউট্রন শোষণের ফলে উদ্ভূত ট্রান্সম্যুটেশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে এই মৌলসমূহ সৃষ্টি হয়েছে।

Level 0

আমি m.h.mithu। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 45 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

জানানোর জন্য ধন্যবাদ……

ধন্যবাদ।

Level 3

অনেক কিছু জানটে পারলাম। জা অজানা ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

খুব ভাল লাগলও

ভাল লাগল .. . ..