উইন্ডোজ সেভেনের কয়েকটি এক্সক্লুসিভ ফিচার এবং টিপস – ১

অনেকদিন আগেই যখন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সেভেনের (Windows 7) ব্যাপারে তাদের নীরবতা ভেঙেছিল তখন এই উইন্ডোজ সেভেনের কিছু জিনিস নিয়ে একটা টিউন করেছিলাম। অনেকদিন পার হয়ে গেছে ইতিমধ্যে উইন্ডোজ সেভেনের (Windows 7)  পাবলিক বেটাও রিলিজ হয়ে গিয়েছে। এই বেটা নিয়ে অনেক ব্লগেও অনেক লেখালেখি হয়েছে। অনেক ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও বেটা নিয়ে টিউন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ইউজার বন্ধুরা থেমে নেই। অনেকেই হয়ত বেটা ব্যবহার করা স্টার্ট করে দিয়েছে।  তাই উইন্ডোজ সেভেন এক্সক্লুসিভ ফিচার লিখব আজ। আর যারা এখনও ব্যবহার করেন নি, তারা অন্তত একবার চেখে নিন

কী বোর্ড শর্টকাটস

এখানে কীবোর্ডের শর্টকাট বলতে কিছু নতুন কমান্ডকেই দেখাব আমি। ট্রেডিশনাল শর্টকাটে না গিয়ে, শর্টকাটের ক্ষেত্র মাইক্রোসফটের এই এক্সেপশনাল শর্টকাটগুলো নিয়ে লিখব। আসুন টিউনার বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক -

Alt + P

shortcut1_sm.jpg

উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে একটি এডিশনাল ফাইল প্রিভিউকে এ্যাকটিভ করতে একটি কমান্ডটি ব্যবহার করা হয়। আগের উইন্ডোজের চাইতে এই ফাইল প্রিভিউ এর ফিচারটা অনেকটাই আকর্ষনীয়।

Windows + + ( প্লাস কী ) এবং Windows + - ( মাইনাস কী )

magnifier1_sm.jpg

magnifier.jpg

এটি ইউন্ডোজ সেভেনের ম্যাগনিফাইয়িং ফিচার। উইন্ডোজ কী চেপে ধরে প্লাস অথবা মাইনাস কী তে স্ট্রোক করে আপনি আপনার ডেস্কটপের যে কোন অংশ ম্যাগনিফাই করতে পারবেন। আপনি চাইলে আবার কী বোর্ড অথবা মাউস থেকে এই ম্যাগনিফাইয়িং ম্যাটারগুলোকে ডিফাইন করে দিতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, এই ম্যাগনিফাইয়িং ইফেক্ট কাজ করাতে হলে আপনাকে এ্যারো ডেস্কটপ এনাবল করে রাখতে হবে।

Windows + Up এবং Windows + Down

যে কোন উইন্ডো সাইজকে মাক্সিমাম করতে উইন্ডোজ এবং আপ কী চেপে ধরলে তা ম্যাক্সিমাইজ হয়ে যাবে। আবার একই ভাবে উইন্ডোজ এবং ডাউন কী চাপলে উইন্ডোটি মিনিমাইজ হবে। তবে দুঃখের কথা পুনরায় উইন্ডোজ এবং আপ কী চাপরে তা ম্যাক্সিমাইজ হয়ে রিস্টোর হয় না ( মনে হয় বিল্লু মামা ভূলে গিয়েছিলেন )।

Windows + Left এবং Windows + Right

winright.jpg

এইখানে উইন্ডোজ সেভেনের একটি চোখে পড়ার মত ফিচার আছে। এখানে মাউজ দিয়ে সিম্পলি বাম থেকে ডানে ড্র্যাগ করে উইন্ডো সাইজকে আপনার ডেস্কটপের অর্ধেকে নিয়ে আসতে পারবেন।

winleft.jpg

ঠিক যেমনটি ছবিতে দেখতে পারছেন । তবে উপরে উল্লেখ করা একই কাজ আপনি সম্পাদিত করতে পারবেন। একবার শর্টকাট থেকে উইন্ডো সাইজ হাফ করে ডান কর্নারে নিয়ে আসার পর আপনি চাইলে আবার একই কমান্ডের সাহায্যে ফ্লিপ করে উইন্ডো কে বা দিকেও নিয়ে আসতে পারবেন। এটা সাধারনত তাদের জন্যে একটি হটপট ফিচার হতে পারে যারা একটি ডেক্সটপকে মাল্টিপল মনিটরে এক্সটেন্ট করে থাকেন।

Windows + E

wine.jpg

এই শর্টকাটটি এ্যাপ্লাই করা হলে আপনার লাইব্রেরি ফোল্ডারকে শো করার জন্যে অটোমেটিক্যালি একটি উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার অন হবে।

Windows + P

winp_sm.jpg

আপনার মাল্টিপল মিনটরকে আরো সহজে ম্যানেজ করার জন্যে এই শর্টকাটটি সংযুক্ত করা হয়েছে। শর্টকাটটি এ্যাপ্লাই করার পরেই আপনার ডেস্কটপে একটি ওভারলে এ্যাপিয়ার করবে যার মাধ্যমে আপনি আপনার সেকেন্ড ডিসপ্লে এবং প্রজেক্টর কে কন্ট্রোল করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে একটি সিঙ্গেল মনিটর থেকে ডুয়াল ডিসপ্লে এবং এক্সটেন্ডেড ডেস্কটপ মোডে সুইচ করতে পারেন।

Windows + Shift + Left/Windows + Shift + Right

আপনি যদি একাধীক ডিসপ্লে ব্যবহার করে থাকেন ( আজকাল অনেকেই করে ) তাহলে এই শর্টকাটের মাধ্যমে আপনি ইন্সট্যান্টলি এক স্ক্রীন থেকে আরেকটিতে ট্রান্সফার হতে পারবেন। সাধারণত মাল্টিপল ডকুমেন্টে কাজ করার সময় এটি ইফেক্টিভ একটি ফিচার।

Windows + T

wint.jpg

এটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। উইন্ডোজের আগের ভার্সনগুলোর Alt + Tab এর কাজই করে থাকে এই শর্টকাট। অর্থাৎ ডাস্কবারের পিক মেন্যু।

Windows + Space

winspace_sm.jpg

এটি উইন্ডোজ সেভেনেরই আরেকটি শর্টকাটের মতই। এই কম্বিনেশানে হিট করা মাত্রই আপনার ওপেন রাখা সমস্ত উইন্ডো ট্রান্সপারেন্ট হয়ে উঠবে। কিন্তু আপনাকে এই কম্বিনেশানে হিট করে ধরে রাখতে হবে। ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথে এই ইফেক্ট ডিএ্যাকটিভ হয়ে পড়বে।

Ctrl + Shift + Click

কোন এ্যাপ্লিকেশানে এ্যাডমিনিস্ট্রাটিভ এ্যাকসেস পেতে চাইলে ঐ এ্যাপ্লিকেশান লঞ্চ করার সময় Ctrl + Shift চেপে এ্যাকটিভ করতে হবে।

ক্যালকুলেটর এবং ম্যাথ ট্রিকস

উইন্ডোজ সেভেনে শুধু ওয়ার্ডপ্যাড এবং ক্যালকুলেটরকেই আপগ্রেড করা হয়নি। এর ক্যালকুলেটর ফিচারটিকে আরো বুস্টআপ করা হয়েছে। চেঞ্জ করা হয়েছে এর চিরাচরিক এ্যাপ্লেট এবং সংযুক্ত করা হয়েচে আরো নতুন নতুন এ্যারিথমেটিক্যাল ফিচার।

calc1_sm.jpg

ভিসতা তে ক্যালকুলেটরে শুধুমাত্র বেসিক এবং সায়েন্টিফিক মোডে সীমাবদ্ধ ছিল, আর উইন্ডোজ সেভেন আপনি বেসিক এবং সায়েন্টিফিক মোড ছাড়াও পাবেন প্রোগ্রামার এবং স্ট্যাটিসটিকস মোড। আরো আছে অটো মেটেড কনভার্সন টুল ( ইউনিট কনভার্সন - এ্যাঙ্গেল, তাপমাত্রা, গতি, বেগ, দূরত্ব)। আরো আছে মর্গেজ এস্টিমেশান সিস্টেম।

calc2_sm.jpg

(চলবে)

Level 0

আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 33 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

উইন্ডোজ সেভেন তো ইন্সটল আগেই করতে চাইছিলাম, আপনার এই টিউন দেইখা তো রাহা যায়ে না.. টিনটিন ভাই সিরিজ চালু রাখেন।

Level 0

আমি ডাউনলোড করে রেখেও সেট করি নাই, দেখি এইবার মনে হয় সেটআপ করে দেখতে হবে।

টিউনসটা পড়ে সেভেন এর প্রতি এক ধলনের আগ্রহ জন্মাচ্ছে।

Level 0

আগে এক্স পি ব্যবহার করতাম , কয়েক দিন আগে সেভেন সেটআপ দিলাম ।
সেভেন সেটআপ দেয়ার পরে কম্পিউটারের সাউন্ড অনেকটা কমে গেছে ।
সমস্যা কোথায়ে বুঝে উঠতে পারছিনা ।ভাইরা সাহায্য করেন ।
আমার কম্পিউটারের কনফিগারেসন – GIGABITE MOTHERBOARD , INTEL DUEL COR,2 GB DDR2 RAM,REALTEK HD AUDIO MANAGER, SRS AUDIO LAB ,
ধন্যবাদ ।