প্রকৃতির বৈচিত্র্য: বিবর্তনবাদ তত্ত্বের নাইটমেয়ার-১

টিউন বিভাগ রিভিউ
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

ডারউইনবাদীদের দাবি অনুযায়ী বিবর্তন তত্ত্ব প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগতের বৈচিত্র্যকে ব্যাখ্যা করে – যদিও ব্যাখ্যা আর প্রমাণ এক জিনিস নয়। অথচ একটু গভীরভাবে ভেবে দেখলে দেখা যায় প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগতের বৈচিত্র্যই আসলে বিবর্তন তত্ত্বের জন্য নাইটমেয়ারস্বরূপ। কারণ প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত যত বেশী বৈচিত্র্যময় হবে, তত বেশী কল্পকাহিনীর আশ্রয় নিতে হবে সেই সব বৈচিত্র্যময়তাকে ব্যাখ্যার জন্য। প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত সরলরৈখিক হলেই বরং ডারউইনবাদীদের কিছু একটা বলার থাকতে পারতো। কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। বাস্তবে প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত এত বেশী বৈচিত্র্যময় ও বিষমরৈখিক যে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তো দূরে থাক প্রতি পদে পদে কল্পকাহিনী ফাঁদা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। অথচ অসচেতন লোকজনকে বিজ্ঞানের নামে প্রায় প্রতি পদে পদে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তবে "বৈচিত্র্য" বলতে যদি একই প্রজাতির মধ্যে পরিবেশগত কারণে সূক্ষ্ম কিছু পরিবর্তনকে বুঝানো হয় তাহলে কারোরই কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।

মজার ব্যাপার হচ্ছে ডারউইনবাদীরা কথায় কথায় প্রকৃতি থেকে উদাহরণ দিলেও প্রকৃতিতে এত অদ্ভুত সুন্দর সুন্দর উদ্ভিদ ও প্রাণী থাকতে তাদের লেখাতে সহজে জীবন্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীর ছবি দেয়া হয় না! তাদের প্রবন্ধে ঘুরেফিরে কিছু জীবাশ্ম আর হাড়-হাড্ডি দিয়ে বানানো কিছু ছবি দেখানো হয় – বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আবার বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জ্যস্যতা বজায় রেখে নিজের মতো করে তৈরী করা কাল্পনিক ছবি।

যাহোক, বিবর্তন মানে হচ্ছে ক্রমবিকাশ তথা সময়ের সাথে কোনো কিছুর পরিবর্তন। ডারউইনবাদীদের দাবি অনুযায়ী পরিবেশ ও জীনগত পরিবর্তনের কারণে সরল একটি অণুজীব থেকে "এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন" এর মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে জটিল সব জীব-জন্তু তথা পুরো উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়েছে। অর্থাৎ সরল একটি অণুজীবের দেহে ধীরে ধীরে নতুন নতুন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ‘সংযোজিত’ হয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন প্রকারের জটিল জীব-জন্তুর উদ্ভব হয়েছে। বিবর্তন তত্ত্ব সত্য হলে তা কিন্তু হতেই হবে। তাদের এই দাবি যে কতটা হাস্যকর আর অবাস্তব – তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিতে গেলে বিশাল এক বিশ্বকোষ হয়ে যাবে। তথাপি বেশ কিছু উদাহরণের সাহায্যে এই ধরণের কল্পকাহিনী-ভিত্তিক তত্ত্বের অসারতা তুলে ধরা হবে।

বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী যে অণুজীব থেকে বিবর্তন শুরু হওয়ার কথা বলা হয় সেই জীবের মাথা, ব্রেন, চুল, কান, নাক, চোখ, মুখ, জিহ্বা, হাত, পা, নখ, শিং, লেজ, পরিপাকতন্ত্র, প্রজননতন্ত্র, ও হৃৎপিণ্ড সহ কিছুই ছিল না। একেবারে প্রাথমিক অণুজীবের দেহে এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো আকস্মিকভাবে থাকার প্রশ্নও ওঠে না। অথচ প্রকৃতিতে শিং-বিহীন ও শিং-ওয়ালা উভয় প্রজাতিই দেখা যায়। প্রকৃতিতে যেহেতু শিং-বিহীন ও শিং-ওয়ালা উভয় প্রজাতিই আছে, এবং বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী এগুলোর উৎস যেহেতু এক, সেহেতু বিবর্তনের কোনো এক পর্যায়ে শিং-বিহীন প্রাণী থেকে শিং-ওয়ালা প্রাণী বিবর্তিত হতেই হবে। অন্যথায় বিবর্তন তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে কেনো ও কীভাবে শিং-বিহীন প্রজাতির মাথায় ধীরে ধীরে একদিন শিং গজানো শুরু করলো! এবার নিচের ছবিগুলো লক্ষ্য করুন এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবে দেখুন।

শিং-বিহীন, শিং-ওয়ালা, লেজ-বিহীন, ও লেজ-ওয়ালা কিছু প্রাণী

সরল একটি অণুজীব থেকে ধীরে ধীরে বিবর্তিত হতে হতে একদিন হঠাৎ করে শিং আর লেজ গজানো শুরু করল! এমনকি শতভাগ ক্ষেত্রে ঠিক মাথার উপরে শিং আর পেছনের দিকে লেজ গজালো, শরীরের অন্য কোনো অংশে নয়! শিং ও লেজ বিহীন প্রজাতির দেহে শিং ও লেজ গজাতে হলে কিন্তু নতুন তথ্য লাগবে। সেই নতুন তথ্য কোথা থেকে আসবে? এভাবে বিবর্তিত হতে হতে ডারউইনবাদীদের মতো শিং-ও-লেজ বিহীন মানুষে এসে ঠেকলো! লেজ আর শিং এক সাথে গজিয়ে আবার এক সাথে বিলুপ্ত হয়েছিল কি-না, কে জানে!

বাস্তবতা হচ্ছে শিং-ও-লেজ বিহীন প্রাণী থেকে ধীরে ধীরে শিং-ও-লেজ ওয়ালা প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার পক্ষে কোনোই প্রমাণ নেই। বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ও সাধারণ বোধ অনুযায়ী কিছু শিং-ও-লেজ বিহীন প্রাণীকে আলাদাভাবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে রেখে দিলেও তাদের দেহে একদিন শিং-ও-লেজ গজানো শুরু করবে না। ডারউইনবাদীরা যদি মনে করেন তা সম্ভব তাহলে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। তাছাড়া শুধু শিং-ও-লেজ গজালেই কিন্তু হবে না, সেই সাথে ধীরে ধীরে ভিন্ন প্রজাতিতে রূপান্তরিতও হতে হবে!

উপসংহার: শিং-বিহীন প্রাণী থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শিং-ওয়ালা প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার পক্ষে যেহেতু কোনোই প্রমাণ নেই এবং বাস্তবেও এমন বিবর্তন সম্ভব নয় সেহেতু শিং-বিহীন ও শিং-ওয়ালা প্রাণীর আলাদা আলাদা উৎস থাকতে হবে। আর আলাদা আলাদা উৎস থাকতে হলে বিবর্তন তত্ত্বের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। লেজ-বিহীন ও লেজ-ওয়ালা প্রাণীর ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য।

Level 0

আমি এস. এম. রায়হান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 123 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

নোট: আমার লেখাতে ‘ডারউইনবাদী’ বলতে মূলত তাদেরকেই বুঝানো হয় যারা বিবর্তন তত্ত্বকে সংশয়বাদীদের হাত থেকে ধর্মের মতো করে ডিফেন্ড করে, বিবর্তন তত্ত্বকে বিজ্ঞানের নামে এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা ও ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচার করে, বিবর্তন তত্ত্বের সত্যতা নিয়ে সংশয়কারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের ফতোয়া দেয়, এবং গালাগালি ও ব্যক্তি আক্রমণ থেকে শুরু করে দলবদ্ধ আক্রমণ পর্যন্ত করা হয়।

যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমার লেখার সমালোচনাকে স্বাগত জানানো হবে।

Level 0

হুম গবেষণার বিষয়, ভাল লাগল।
ডারউইন হচ্ছে মাথা মোটা বিজ্ঞানী। 😉

অনেক ভাল লিখেছেন,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে বিষয়টা উপস্থাপন করার জন্য।

Level 0

১।তাদের লেখাতে ঘুরেফিরে কিছু জীবাশ্ম আর ভাঙ্গা-চুড়া হাড়-হাড্ডি দিয়ে তৈরী করা ছবি দেখানো হয়
২।সরল জীবের দেহে ধীরে ধীরে নতুন নতুন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ‘সংযোজিত’ হয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন প্রকারের জটিল জীব-জন্তুর উদ্ভব হয়েছে
৩।সেহেতু বিবর্তনের কোন এক পর্যায়ে শিং-বিহীন প্রাণী থেকে শিং-ওয়ালা প্রাণী বিবর্তিত হতেই হবে
৪।ধীরে ধীরে বিবর্তিত হতে হতে একদিন হঠাৎ করে শিং আর লেজ গজানো শুরু করছে
এই রকম হাস্যকর কথা বলে কেন নিজেকে ছোট করছেন? আপনি জানেন আপনাকে কতটা সম্মানের চোখে দেখতাম?
ভাই আপনি কুরআন – হাদিস মুখস্ত করেন বসে বসে। এর বেশী আপনার ব্রেন এ কুলাবে না। বেশী চিন্তা ভাবনার চেষ্টা করলে এই রকম ফালতু আর হাস্যকর পয়েন্ট ছাড়া আর কিছু পাবেন না।

    [এই রকম হাস্যকর কথা বলে কেন নিজেকে ছোট করছেন?]

    কোন্‌ কথাটা হাস্যকর হয়েছে এবং কেন, তা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করুন।

    [ভাই আপনি কুরআন – হাদিস মুখস্ত করেন বসে বসে।]

    আমি বসে বসে কুরআন-হাদিস মুখস্ত করব কিনা তা আপনাকে বলে দিতে হবে না। লেখার প্রতি মনোযোগ দিলেই ভাল হয়।

    [এর বেশী আপনার ব্রেন এ কুলাবে না।]

    কেন, আপনার ব্রেন কি গরুর ব্রেনের সমান।

    [বেশী চিন্তা ভাবনার চেষ্টা করলে এই রকম ফালতু আর হাস্যকর পয়েন্ট ছাড়া আর কিছু পাবেন না।]

    এই ধরণের যুক্তিহীন মন্তব্য করতে হলে স্বনামে আসতে হবে। ছদ্মনামে অনেক কিছুই বলা যায়।

    biobot ভাই। দয়া করে "প্রকৃতি" নামক জিনিসটার সংগা বলবেন কি?

Level 0

little knowledge is too dangerous

    সত্যকে স্বীকার করার মতো সৎ সাহস যাদের নাই কিংবা এ বিষয়ে অজ্ঞ তারাই লেখা ছেড়ে এই ধরণের ব্যক্তি আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে। তারাই আসলে খুব বিপদজনক।

Level 0

চালিয়ে যান। আরো বস্তুনিষ্ট আলোচনা চাই। ডারউইন বাদীদের কিছু বক্তব্য প্যারা হিসেবে দিন এবং যুক্তি খন্ডন করুন তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছি।

    ডারউইনবাদীদের বক্তব্য এবং যুক্তি সরাসরি খণ্ডন করে লেখা পরের সীরিজে আসবে, এই সীরিজে নয়। তবে এই সীরিজেও যুক্তি দিয়ে তাদের বিশ্বাস বা দাবির অসারতা দেখিয়ে দেয়া হবে। ধন্যবাদ।

ডারউইনের তত্ত্ব উচ্চতর শ্রেণীর পাঠ্য — তাই এতে সকলের দাঁত ফুটানোর চেষ্টা না করাই ভাল।

আর, বেশি লেখাপড়া করলে লুকজন ডারউইনের মত বোকা হয়ে যায় — তাই ও পথে না যাওয়াই ভাল।

এই বোকাগুলো এতই বোকা যে হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীর জীবন্ত কিছু দেখাতে পারে না খালি কঙ্কাল দেখায় — আসলেই এরা পুরা ফাউল। এদের সাথে আরও ফাউল হল ইদানিংকার জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, শুধু উল্টাপাল্টা জিনিষ বানিয়ে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ধান্দা — আরে বাবা কয়টা লোক না খেয়ে মারা গেলে কী-ই বা এসে যায়, শুধু শুধু ফাউল ডারউইনের তত্ত্ব ফলো করা আর জীন নিয়ে নাড়াচাড়া … … … নাহ্ দুনিয়াটা রসাতলেই চলে যাবে!

    যা বলার তা স্পষ্ট করে বললেই মনে হয় ভাল হতো।

    ডারউইনের মিসিং লিংকগুলোর রহস্য সমাধানে ডারউইন যুগের অনেক পরে উন্নত গবেষণালব্ধ প্লেট টেকটনিকস পরিপূরক হিসেবে কাজ করেছে। এই প্লেট টেকটনিক্সে ১০ হাজার বছর হল অতি সাম্প্রতিক অতীত! একইভাবে বিবর্তনবাদে যেই সময়ের মাত্রা আর আমাদের দৃশ্যমান সময়ের মাত্রা তুলনা করুন। প্রাকৃতিক নির্বাচন আর বিবর্তনের সময় হাজার-সহস্র-লক্ষ বছরের স্কেলে হিসাব করা হয়। আপনার কাছে কি কয়েক সহস্র বছরের জীবন্ত স্যাম্পল আছে যার প্রমাণ দিয়ে এই ডারউনীয় গাঁজাখুরী বা বোকামী বন্ধ করা যাবে?

    তুলনীয় প্রমাণ দেখার আশায় গ্যালারীতে পপকর্ন নিয়ে বসলাম। 😀

    বিজ্ঞান হলো অবিশ্বাসের যন্ত্র। সবসময় অবিশ্বাসের ফলেই আগের তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়, আরও গ্রহণযোগ্য প্রামান্য তথ্য-তত্ত্ব সেই স্থান দখল করে। কাজেই নতুন দুনিয়া কাঁপানো বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের আশায় আমি গ্যালারীতে অপেক্ষায় … ….

    [বিজ্ঞান হলো অবিশ্বাসের যন্ত্র। সবসময় অবিশ্বাসের ফলেই আগের তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়, আরও গ্রহণযোগ্য প্রামান্য তথ্য-তত্ত্ব সেই স্থান দখল করে।]

    ঠিক তাই। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে শিং-বিহীন প্রাণী থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শিং-ওয়ালা প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার পক্ষে কোন প্রমাণ নাই এবং বাস্তবেও এমন বিবর্তন সম্ভব নয়। ফলে শিং-বিহীন ও শিং-ওয়ালা প্রাণীর আলাদা আলাদা উৎস থাকতে হবে। আর আলাদা আলাদা উৎস থাকতে হলে বিবর্তন তত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। লেজ-বিহীন ও লেজ-ওয়ালা প্রাণীর ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য।

    এবার আপনার প্রমাণ উপস্থাপন করুন। মানুষের মতো লেজ ও শিং বিহীন প্রাণীকে মিলিয়ন মিলিয়ন বছরে ধরে আলাদা করে রেখে দিলে তাদের মাথায় ও পেছনে যথাক্রমে শিং ও লেজ গজিয়ে ভিন্ন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হবে কিনা। এখানে এমনি এমনি মিলিয়ন মিলিয়ন বছর সময় আর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এসে কোন লাভ হবে না। প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।

    আপনার লেখায় একজায়গায় লিখেছেন
    "বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আবার বিশ্বাসের সাথে মিল রেখে নিজের মতো করে তৈরী করা কাল্পনিক ছবি।'

    আরেক জায়গায় আবার –
    "ডারউইনবাদীদের বিশ্বাস অনুযায়ী …..'
    "তাদের এই বিশ্বাস যে কতটা হাস্যকর আর অবাস্তব – ….'

    এই জায়গাগুলোই বলে দেয় আপনি আসলে ডারউইনের জিনিষগুলোকে বিশ্বাস মনে করছেন। বিশ্বাস আর বিজ্ঞান পুরাপুরি বিপরীত জিনিষ। বিশ্বাস হল একটা ধারণায় আটকে থাকা, সেটা যাচাই বাছাই নিষিদ্ধ। আর বিজ্ঞান হল অবিশ্বাস করার মন্ত্র। প্রতি মূহুর্তেই আরও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা খোঁজা হয়। তাই ডারউইনীয় মতবাদ সম্পর্কে আপনার ধারণার মূলটা ঠিক আছে কি না সেটা নিয়েই আমি চিন্তিত।

    ডারউইনের তত্ত্ব এবং এ সংক্রান্ত যৌক্তিক অনুমান এবং সেই অনুযায়ী অনুসন্ধান করে কিছু অনুমান ভুল আর কিছু সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের চেয়ে প্রমাণটাই প্রধান — নাহলে সেই চার্চের প্রভাবের যুগে ডারউইনের ঘাড়ে কল্লা থাকতো না।

    প্রমাণগুলো ইতিমধ্যেই লিখিত আকারে বিভিন্ন বইয়ে আছে। এটা নতুন করে আমার প্রমাণ করার প্রয়োজন নাই। আপনি যেহেতু একটা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ভাবে গ্রহণযোগ্য (এখন পর্যন্ত) বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে সেই প্রমানগুলোর সপক্ষের যুক্তি খন্ডনের দায়িত্ব আপনারই। ধন্যবাদ।

    আমি গ্যালারীতে ….

    শামীম ভাই খুব ভাল লিখেছেন ।
    অঃ টঃ আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে মনে হয় আমি আপনাকে চিনি ।

    শামীম ভাই আপনি আর কতকাল গ্যালারীতে বসে বসে পপকর্ন খাইবেন ? আমারেও কিছু দেন 🙁

Level 0

বিবর্তন নিয়ে আপনার আরো পড়াশুনার দরকার আছে। আপনি মিউটেশন নিয়ে পড়াশুনা করুন অনেক অজানা উত্তরের দেখা পাবেন।

    আমি বিবর্তন নিয়ে আজ ৫-৭ বছর ধরে নাড়াচাড়া আর পড়াশুনা করছি। ছোট-বড় মিলে প্রায় ২৫টি লেখাও আছে। ফলে আমি জানি আমি কী লিখছি। অথচ ডারউইনবাদীরা প্রায় সবাই দেখা যায় আমার ব্লগে এসে মূল লেখা নিয়ে কিছু না বলে আরো পড়াশুনার জন্য উপদেশ বিলি করেন। ব্যাপারটা খুবই কৌতূহলজনক। মূল লেখা নিয়ে কিছু না বলে এভাবে সস্তা উপদেশ বিলি করা কিন্তু ফ্যালাসি কিংবা ব্যক্তি আক্রমণের মধ্যে পড়ে। আমিও আপনাকে আরো পড়াশুনার জন্য উপদেশ দিতে পারি। কিন্তু এভাবে একে-অপরকে উপদেশ বিলি করলেই কিছু প্রমাণ/খণ্ডন হয় না।

    ধরা যাক আপনি বিবর্তন আর মিউটেশন নিয়ে অ-নে-ক পড়াশুনা করেছেন, সেই তুলনায় আমার পড়াশুনা নিতান্তই কম। কিন্তু তাতে কি প্রমাণ হয় যে শিং-লেজ বিহীন প্রাজাতি থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধীরে ধীরে শিং-লেজ ওয়ালা প্রাজাতি বিবর্তিত হয়েছে? তা যদি না হয় তাহলে এই ধরণের সস্তা উপদেশের মানে কী? একটু ব্যাখ্যা করেন দেখি।

Nothing but only ALLAHA

ভাই কোন কিছু সম্পর্কে বলার আগে ভালা ভাবে সেটা সম্পর্কে জান দরকার । আমরা যে এখন হাইব্রিড খাবার খাই একগুলাও কিন্তু একপ্রকার বিবর্তন । প্রতি বছর নতুন নতুন ভাইরাস আসছে এগুলা কিভাবে আসছে একটু বলতে পারবেন কি? মানুষ যে আজ আধুনিক হয়েছে এটাও বিবর্তন এর ধারায় পড়ে কারন পাচ হাজার বছর আগে মানুষের ব্রেন যেমন ছিল এখন তেমন নেই অনেক উন্নত হয়ছে । বিবর্তন একটা ধীর প্রক্রিয়া এটা হাজার বছর না লাখ লাখ বচর পার হয়ে যায় ।

    দিগন্তের মতো অন্যকে উপদেশ বিলি করতে এসে আপনিও কিন্তু নিজের অজ্ঞতাকে উন্মোচন করলেন। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে হাইব্রিড খাবার তৈরী করা বিবর্তন তত্ত্বের পক্ষে কোন প্রমাণ হয়। প্রতি বছর নতুন নতুন ভাইরাস এলেও সেগুলো ভাইরাস পর্যায়েই থেকে যায়, ভিন্ন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয় না। আর মানুষের আধুনিক হওয়া এবং ব্রেন বৃদ্ধিকে বিবর্তন তত্ত্বের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে চালিয়ে দিলে মানুষ হেসে দেবে। কারণ মানুষ আধুনিক হলেও এবং ব্রেন বৃদ্ধি পেলেও যে মানুষ সেই মানুষ-ই রয়ে গেছে, ভিন্ন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়নি, রূপান্তরিত হওয়া সম্ভব নয়।

    [বিবর্তন একটা ধীর প্রক্রিয়া এটা হাজার বছর না লাখ লাখ বচর পার হয়ে যায়।]

    তাই নাকি? জানতাম না তো! আপনি মনে হচ্ছে লাখ লাখ বছর বেঁচে থেকে নিজ চোখে দেখেছেন! ভাই, দেবতারাও কিন্তু এতদিন বেঁচে থাকেনি। 😀

Level 0

উত্তপ্ত আলোচনা, কিছু বলার সাহস পাইলামনা

Level 2

এ্যাতো খারাপ আর অবৈজ্ঞানিক টিউন আমি টেকটিউনের মতো অতি অগ্রণী সাইটে জীবনে কখনও পড়িনি।লেখকের চিন্তা ভাবনার স্তর এ্যাতো নিম্ন যে আলোচনায় অংশ নিতে ইচ্ছা জাগেনা।

    @mdmohosin: এ্যাতো খারাপ আর অবৈজ্ঞানিক মন্তব্যও আমি টেকটিউনের মতো অতি অগ্রণী সাইটে জীবনে কখনও পড়িনি। মন্তব্যকারীর চিন্তা ভাবনার স্তর এ্যাতো নিম্ন যে সেখানে জবাব দেয়ার মতো কিছুই নাই। আমার বিশ্বাস যে মন্তব্যকারী একজন ভণ্ড, শুধুমাত্র এই মন্তব্যটা করার জন্য নিক খুলেছেন। তার ব্লগে একটিও লেখা নাই।