সাউদী আরবের সাথে একই সময়ে রোজা ও ঈদ পালন – কতটুকু যৌক্তিক?

বাংলাদেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে চাদপুর ,দিনাজপুর ও চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় সাউদী আরবের সাথে মিলিয়ে রমজান মাস শুরু এবং ঈদ পালন করে থাকে।এতে কিছুটা ভুল-বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।আসুন দেখি কুরআন ও হাদীস এ এই সম্পর্কে কি ব্যাখ্যা আছে।সহীহ মুসলিমে বলা আছে,

প্রত্যেক দেশের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী, আর যখন মুসলিমগণ এক দেশে চাঁদ দেখবে তা হতে দূর দেশের জন্য সে হুকুম সাব্যস্ত হবে না।

উক্ত অধ্যায়ে ইবনে আব্বাস (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেনঃ

কুরাইব তাবেঈ বলেছেন, যে হারিসের কন্যা (লুবা-বা) তাকে শাম প্রদেশে সম্রাট মুআবিয়ার নিকট পাঠিয়ে দিলেন। অতঃপর আমি শামে এসে তাঁর প্রয়োজন সমাপন করলাম এবং আমার শামে থাকা অবস্থায় রামাযানের নতুন চাঁদ উদয় হল এবং আমি বৃহস্পতিবারের দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখলাম, তারপর মদীনা আসলাম; অতঃপর আমাকে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন যে, তোমরা (রামাযানের) চাঁদ কবে দেখেছ? আমি বললাম, জুমুআ রাত্রিতে; পুনরায় বললেন যে, তুমি নিজে দেখেছ? আমি বললাম, জি হ্যাঁ এবং অন্যান্য লোকেও দেখেছে এবং মুআবিয়া ও শামবাসীরা রোযা রেখেছেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমরা কিন্তু শুক্রবারের দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি, অতএব আমরা রোযা রাখতেই থাকব। ৩০-এ পর্যন্ত কিংবা ৩০শের পূর্বে ২৯শে চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মুআবিয়ার চাঁদ দেখা ও তাঁর রোযা রাখার উপর নির্ভর করতঃ রোযা ও ঈদ করবেন না? ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, না; এটাই আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আদেশ দিয়েছেন যে আমরা আপন দেশের লোকের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করব; অন্যান্য দূর দেশবাসীদের চাঁদ দেখাকে আমরা যথেষ্ট মান্য করব না।"

যেমন শাইখ আবুল হাসান সিন্ধি হানাফী নাসায়ীর টীকায় বলেনঃ

"আমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে দেশবাসীদের চাঁদ দেখার উপন নির্ভর করতে এবং অন্যান্য দেশবাসীদের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর না করা। "(নাসায়ী ১ম খন্ডঃ ৩০১ পৃঃ)

খতীব হিন্দ শাইখ মুহাম্মাদ মুহাম্মাদী উক্ত হাদীসের সারমর্মে এ বিষয়ে বলেনঃ

"অর্থাঃ শামবাসীদের চাঁদ দেখা হিজাযবাসীদের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। এটাই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর আদেশ এবং শরী'আতের বিধান।"

জগদ্বিখ্যাত হাদীসের কিতাব জামে আত্-তিরমিযীর লেখক ইমাম আবূ ঈসা (রহ.) বলেনঃ

প্রত্যেক দেশবাসীদের জন্য চাঁদ দেখা বিষয়টি উক্ত অধ্যায়ে উপরোল্লিখিত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করার পর বলেছেনঃ

এই হাদীসের প্রতি বিদ্বানগণের 'আমল আছে যে, আপন আপন দেশে চাঁদ দেখার পর রোযা ও ঈদ করা উচিত। (তিরমিযী ১ম খন্ডঃ ৯১ পৃষ্ঠা)

পঞ্চম শতকের স্বনামখ্যাত ইমাম মুজতাহিদ হাফিয ইবনে আবদুল বার (রহঃ) বলেনঃ

(পঞ্চম শতকের পূর্বের) মুসলিম মনীষীগণ ঐকমত্য পোষণ করেন যে, এক দেশের চাঁদে উদয় তা হতে দূর দেশেরও জন্য সর্বব্যাপী হবে না যেমন খোরাসান ও স্পেন।

এখানে কতগুলি লোক যাদের হাদীসের প্রতে আমাল করতে ইচ্ছা নয় তারা বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে, তোমরা চাঁদ দেখে রোযা কর। যে কোন স্থানে একজন চাঁদ দেখলেই সকল মুসলিমকে মান্য করতঃ 'আমল করতে হবে।

আর ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর শামবাসীদের চাঁদ দেখা অমান্য করা এজন্য ছিল যে, সংবাদ দাতা কুরাইব একাকী বলে তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেননি তা নয় বরং এজন্য যে, এক দেশের চাঁদ আর এক দেশের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রথম কথা (যে কোন স্থানে কোন মুসলিম চাঁদ দেখলে সকলকে সেই অনুযায়ী 'আমল করতে হবে) যদি মান্য করা যায় তবে যাবতীয় হাদীস ও সাহাবা তাবেঈনও মুসলিমদের ঐকমত্যকে ছিন্ন করে এক নতুন ধর্ম গঠন করতে হয়।

 

প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ডাঃ জাকির নায়েক একটি সাক্ষাতকার নিচে দেয়া হল যাতে উনি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন।

 

প্রশ্নঃ ইসলামি মাস কিভাবে শুরু হয়?

উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ ইসলামি মাস শুরু হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ কুরআনে পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন,

“তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম”

[সূরা বাকারা আয়াত ১৮৯]

মুহাম্মাদ (সাঃ) একাধিক সহীহ হাদীসে এ ব্যাপারে বলেছেন, যেমন- “আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন, "যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখ তখন রোযা রাখ এবং যখন শাওয়াল চাঁদ দেখ তখন রোযা ভেঙ্গে ফেল আর যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না যায় তবে রমযানের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো একইভাবে শাবানেরও”"

[বুখারী, অধ্যায় রোযা, হাদীস নং ১৯০৯]

আয়েশা (রা) বলেন, "মুহাম্মাদ (সা) শাবানের মাসের দিন গণনার ক্ষেত্রে অতিশয় সাবধানতা অবলম্বন করতেন এবং তিনি যখনই নতুন চাঁদ দেখতে পেতেন তখন রোযা শুরু করতেন। আর যদি নতুন চাঁদ না দেখতে পেতেন তাহলে শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করে রোযা রাখতেন"

[আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩১৮]

সুতরাং তিনি নির্দিষ্টভাবে বলেন নি যে, কখন রমজান শুরু হয়। চাঁদের প্রত্যক্ষদর্শী সম্পর্কে হাদীসে বলা হয়েছে যে, "যখন দুইজন মুসলিম চাঁদ দেখবে তখন রোযা ভেঙ্গে ফেল অথবা রাখ"

[নাসাঈ, হাদীস নং ২১১৮]

অর্থাৎ চাঁদ উঠেছে কিনা তা জানার জন্য দুইজন মুসলিম প্রত্যক্ষদর্শী প্রয়োজন।

কিছু আলেম বলেন যে, রোযা শুরু করার জন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শীই যথেষ্ট।

কারণ হাদীসে আছে, "“আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বলেন, যখন লোকজান রমজানের নতুন চাঁদ দেখার চেষ্টা করেছিলো তখন আমি মুহাম্মাদ (সা) বললাম, আমি নতুন চাঁদ দেখেছি, তখন তিনি রোযা আরম্ভ করলেন এবং সকলকে রোযার জন্য নির্দেশ দিলেন”"

[আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৩৫]

সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে রোযা রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে তবে রোযা ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন।

প্রশ্নঃ পৃথিবীতে মুসলমানরা সকলে একই দিনে রোযা রাখা, ইদুল ফিতর এবং ইদুল আযহা পালন করার ব্যাপারে একতাবদ্ধ নয় কেন?

উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ এই ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ আছে। একদল বলেন, সারা বিশ্বের মুসলমানদের মক্কার সময় অনুসরণ করা উচিত। অন্য দলের আলেমগণ বলেন, এই সময়টি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সময়ে হওয়া উচিৎ।

আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন,

“রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর”"

[বাকারা আয়াত ১৮৫]

মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, "“তোমরা যখন নতুন চাঁদ দেখ তখন রোযা রাখ এবং নতুন চাঁদ দেখলে রোযা ভেঙ্গে ফেল"

[বুখারী, হাদীস নং ১৯০৭ ও ১৯০৯]

সুতরাং এই হাদীসটির উপর ভিত্তি করে ইবনে তাইমিয়াহ (রহ) বলেন যে, সারা বিশ্বের সব জায়গা থেকে একই দিনে রমজানের চাঁদ দেখা অসম্ভব। সুতুরাং মক্কার সময়টি সারা বিশ্বে একযোগে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

"মুহাম্মাদ (সাঃ) আরো বলেছেন, “ঐ দিন রোযা আরম্ভ হবে যেদিন সকলে রোযা রাখবে, রোযা ভাঙ্গতে হবে ঐ দিন যেদিন সবাই রোযা ভাঙ্গে আর কুরবানি করতে হবে ঐ দিন যে দিন সকলে কুরবানী করে"

[তিরমিযী, হাদীস নং ৬৯৭]

কুরআনে বলা হয়েছে যে,

"আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত"

[বাকারাঃ ১৮৭]

কিন্তু সূর্যদয় সারা বিশ্বে একই সময়ে হয় না বরং একেক দেশে একেক সময়ে হয়। সুতরাং রোযা পালনে স্থানীয় সময় অনুসরণ করতে হবে।

প্রশ্নঃ যে শহরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রমযান এবং ঈদ পালন করা হয় সেই শহরের লোকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী ?

উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ এই ব্যাপারে হাদীসে পরিস্কার বলা হয়েছে।

যেমন,

"ঐ দিন রোযা আরম্ভ হবে যেদিন সকলে রোযা রাখবে, রোযা ভাঙ্গতে হবে ঐ দিন যেদিন সবাই রোযা ভাঙ্গে আর কুরবানি করতে হবে ঐ দিন যে দিন সকলে কুরবানী করে”"

[তিরমিযী, হাদীস নং ৬৯৭]

সুতরাং একই শহরের লোকদের একই সাথে রোযা এবং ঈদ পালন করা উচিৎ।

কারণ এমন কোন বড় শহর নেই যেখানে একই দিনে চাঁদ দেখতে পাওয়া যায়না। সুতরাং তাদের এক সাথে রোযা পালন করা উচিৎ।

 

অতএব হাদীস অনুসারে চাদ দেখে রোজা এবং ঈদ পালন সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত।

 

[লেখাগুলো বিভিন্ন বাংলা ব্লগ এর বিভিন্ন পোস্টথেকে সংকলিত করা হয়েছে]

Level 0

আমি নিশাচর নাইম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 47 টি টিউন ও 1182 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

তেমন কিছু জানি না, কিছু জানলে তা অন্যদের শিখানোর চেষ্টা করি যতটুকু সম্ভব।জ্ঞান নিজের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই প্রকৃত সার্থকতা।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভালো হয়েছে ।

আাপনার উল্লেখিত হাদিসটা হলো “কুরাইব তাবেঈ বলেছেন, যে হারিসের কন্যা (লুবা-বা) তাকে শাম প্রদেশে সম্রাট মুআবিয়ার নিকট পাঠিয়ে দিলেন। অতঃপর আমি শামে এসে তাঁর প্রয়োজন সমাপন করলাম এবং আমার শামে থাকা অবস্থায় রামাযানের নতুন চাঁদ উদয় হল এবং আমি বৃহস্পতিবারের দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখলাম, তারপর মদীনা আসলাম; অতঃপর আমাকে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন যে, তোমরা (রামাযানের) চাঁদ কবে দেখেছ? আমি বললাম, জুমুআ রাত্রিতে; পুনরায় বললেন যে, তুমি নিজে দেখেছ? আমি বললাম, জি হ্যাঁ এবং অন্যান্য লোকেও দেখেছে এবং মুআবিয়া ও শামবাসীরা রোযা রেখেছেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমরা কিন্তু শুক্রবারের দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি, অতএব আমরা রোযা রাখতেই থাকব। ৩০-এ পর্যন্ত কিংবা ৩০শের পূর্বে ২৯শে চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মুআবিয়ার চাঁদ দেখা ও তাঁর রোযা রাখার উপর নির্ভর করতঃ রোযা ও ঈদ করবেন না? ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, না; এটাই আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আদেশ দিয়েছেন যে আমরা আপন দেশের লোকের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করব; অন্যান্য দূর দেশবাসীদের চাঁদ দেখাকে আমরা যথেষ্ট মান্য করব না।”
এ হাদিসটি মওকুফ, আছার, মুদতারাব, হাসান হওয়া ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফয়ী, ইমাম মালেক রহ. গ্রহণ করেননি । অধিকাংশ মাযহাবের ইমামের রায় একই দিনে ঈদ করতে হবে । দেখুন বিস্তারিত লিখতে পারছি না , কাজে বরে হবো । দয়া করে দেখুন http://sonarbangladesh.com/blog/fakhrul/55104 এবং http://sonarbangladesh.com/blog/fakhrul/60175
পরবর্তীতে এ হাদিসটাকে কেন গ্রহণ করেননি মাযহাবের ইমামরা এবং হাদিসের বিভিন্ন পরিভাষা সম্পর্কে লিখবো ।
আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা । ঈদ মুবারক । আপনার উৎসব পালন মহিমান্বিত হোক ।

আমরা পৃথিবী কে ভাগ করে নানান দেশ করেছি , পুরা পৃথিবীটা যদি একটা দেশ হত তবে কি হত ?
সৌদি আরবের সাথে আমাদের ৩ ঘন্টার পার্থক্য , রুজা ও ঈদ সৌদি আরব থেকে এই ৩ ঘন্টার
পার্থক্য ই হওয়া উচিত ছিল , যেমনটা হয় নামাজের ক্ষেত্রে / নামাজের সময় যদি ৩ ঘন্টার পার্থক্য
মানতে পারি তবে রুজা ও ঈদ এর ক্ষেত্রে মানতে অসুবিদা কোথায় ?
সৌদি আরবের যদি চাদ দেখা দেয় তার ৩ ঘন্টা পর আমাদের দেশে কি দেথা দেবে না ?
পৃথিবী যদি তার নিয়ম মত এক ই গতিতে চালতে থাকে তবে আবশ্যই ৩ ঘন্টা পর আমাদের
দেশে চাদ দেখা দেবে./
এমন ও হয়েছে সৌদি আরবের ২ দিন পর আমার ঈদ করেছি / পৃথিবী কোন জায়গায়ই সৌদি আরবের
২ দিন পর চাদ উঠে না . বাংলাদেশে কি করে সৌদি আরবের ২ দিন পর চাদ উঠে তা আমরা এখনো
বুজতে পারলাম না .
অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে যেমন এখন আর কেউ মিলাদ শরিফ এর কথা বলে দাউয়াত করে না.
সবই পরিবর্তন হবে , বুজতে সময় নিবে ,

    @শফিক: ২দিন পর ঈদ পালন করার ব্যাপারটি হয় যখন কোন কারণে চাঁদ দেখা না যায়,এব্যাপারে হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে চাঁদ দেখা না গেলে ৩০ রমজান পুর্ন করে ঈদ পালন করার কথা বলা হয়েছে।সময়ের ব্যাপারটি খুবেই গুরুত্বপুর্ন, বিশ্বের সবচেয়ে সুউচ্চ ভবন বুর্জ আল আরবের তলা বেদে ২-৫-৭ মিনিট বাদে ইফতার করতে হয়।

    @শফিক: সৌদি কি রোজার ক্ষেত্রে কোনো স্টান্ডার্ড?
    যেখানে কুরআন ও হাদিসে স্পস্ট নির্দেশ দেয়া হল চাদ দেখে রোজা ও ঈদ পালনের সেখানে সৌদি আসে কুন দিক দিয়া?
    আপনি কি সৌদিতে সেহরী করেন নাকি ইফতার সারেন??

    কুরআন ও হাদীস ছাড়া অন্যকিছু কোন স্টান্ডার্ড হতে পারেনা। সৌদিকে বেকুব ছাড়া আর কেউ স্টান্ডার্ড বলে ভাবে বলে জানিনা। আগে হাদীস ও কুরআনকে ভালো করে শিখুন, সে অনুসারে আমল করুন।

    Level 0

    @শফিক:
    vai…..aponi ki pagol? saudi arob er 3 ghonta por bangladesh e chaad uthbe? aponar time nia kono dharona ase? saudi te jokhon iftar hoy tokhon bangladesh e raat 9:45 baje.er 3ghonta por ki bangladesh e chaad uthbe?

ঠিক

সময়োপোযোগী পোস্ট 🙂

Level 0

যারা সাউদী আরবের সাথে মিলিয়ে রমজান মাস শুরু এবং ঈদ পালন করেন তাদের উচিৎ সৌদি বাসিরা যখন সাহরী ও ইফতার করেন তারাও তখন সাহরী ও ইফতার করবেন।আযান হওয়ার অপেক্ষা করার দরকার কি?

    @faltu id: আসলেই যেটিই হোক না কেন, সবাইকে সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঈদ পালন করা উচিত ,যদি সৌদি আরবের সাথে পালন করতে হয় সেটিও সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।এভাবে আলাদা কিছু মানুষ দেশের অন্যদের সাথে না মিলে আলাদা ঈদ করে ফিতনাই বাড়িয়ে দিচ্ছে।

Level New

দারুন। যারা এটা করছে এটা হারাম, গুনাহর ভাগিদার হবে, মক্কার সাথে যদি ঈদ পালন করতে হয় তাহলে দেশে তারা মক্কার সময়ে সেহেরি -ইফতার করানা কেন?????

@নিশাচর নাইম
আপনি ঠিকই বলেছেন ,বিশ্বের সবচেয়ে সুউচ্চ ভবন বুর্জ আল আরবের তলা বেদে ২-৫-৭ মিনিট বাদে ইফতার করতে হয়। আমিও তা-ই বলতে চাই, ২-৩-৫ মিনিট স্থানের কারনে হয় . আমি মক্কার সাথে ঈদ পালন করার কথা কোথাও বলি নাই, আমি বলেছি — ইফতার ও নামাজের ক্ষেত্রে মক্কার সাথে আমাদের সময়ের বেবধান – ৩ ঘন্টার মত ( একই দিন) , তবে শুধু ঈদ পালনে কেন (মাঝে মাঝে ) ২ দিনের বেবধান হয় ? আমার মতে ঈদ পালনে সর্বোচ্চ ১ দেনের বেবধান হতে পারে এবং তা যুক্তিযত / আপনাকে ধন্নবাদ ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখার জন্য.

    @শফিক: ঈদ ও রোজা পালন নির্ভর করে চাদ দেখার সাপেক্ষে, চাদ ওঠার সাপেক্ষে নয়। চাদ তো তার কক্ষপথ অনুসারে নিয়মিতই উঠবে, কিন্তু সেদিন মুসল্লিরা সেটিকে দেখতে পারবে সেদিন রোজা শুধু করবে, চাদ দেখে রোজা ভাঙ্গবে। মেঘের কারণে চাদ ঢাকা থাকলে 30 রোজা পূর্ণ করবে।

    ইসলাম কোন যান্ত্রিকতা নির্ভর ধর্ম নয়, এটি আল্লাহর অনুগ্রহধীন একচি ধর্ম। যান্ত্রিকতার সাপেক্ষে চাদ সময় মতই উঠবে। তবে মুমীনরা আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষায় থাকেন। পরম করুণাময় যেদিন চাদকে দৃশ্যমান করে দেবেন সেদিনই কেবল রোজা ভেঙ্গে ঈদ পালন করতে হবে। সৌদিতে কবে ঈদ হল তার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। সৌদিতে 29 রোজা হলেও এখানে 30 রোজা হতে পারে, সেটি নির্ভর করবে পরমকরুণাময়ের আজ্ঞার অধীনে।

Level 0

একমত
” দারুন। যারা এটা করছে এটা হারাম, গুনাহর ভাগিদার হবে, মক্কার সাথে যদি ঈদ পালন করতে হয় তাহলে দেশে তারা মক্কার সময়ে সেহেরি -ইফতার করানা কেন????? “

Level 0

naim ami apnar shonge shohomot,
kintu-সুতরাং একই শহরের লোকদের একই সাথে রোযা এবং ঈদ পালন করা উচিৎ। – ei kotha ta mante parlamna bro, karon amader kichhu nirbodh Hujur achhe jader karone matro 3 ghonta difference r ekta desh r chaite 2 din pore ekbar eid korte hoeachhilo desh r manush ke,
Ami Saudi arab r porer din Eid korar pokkhopati, Hujur ra ghoshona dik ar na dik

    @learner: এখানে প্রশ্ন @learner:
    এখানে প্রশ্ন না করে সামহয়্যারে করতেন, ভালো মত ধরে বসে জবাব দিতাম 😀

    এখানেও জবাব দেয়া যায়-

    আরবী মাস ২৯/৩০ দিনে ছাড়া হয় না-তাহলে আমরা কীভাবে তা ৩১ দিনে করে ফেললাম ? আর তা না করে ফেললে সেদির আর বাংলাদেশের তারিখে এতো সমস্যা কেন ? সেদিতে ১তারিখ হলে আমাদের কী আরবী ৩১ তারিখ হবে–(নাকি ৩২ ; যেমন আরবীতে ৩১-শে মাস বলা হাস্যকর)
    —————————————————————————————–
    উত্তরঃ 1. সৌদিতে 29 রোজার পরে ঈদ হলে আর আমাদের 30 তম রোজার পরে হলে আরবী মাস কিভাবে 31 শে হয় ব্যাখা দিয়ে জানান? লুনার ক্যালেন্ডার কি জীবনে খুলে দেখছেন? আপনার কি ধারণা এটা ইংরেজী ক্যালেন্ডারের মত ইউনিভার্সেল?

    সৌদির সময় আমাদের সময় থেকে ৩ ঘন্টা পিছিয়ে-তাই আমাদের আরও আগে ঈদ পালন করা জরুরী—সূত্রমতে
    —————————————————————————
    উত্তরঃ 2. আপনের ধারণা সময়ে আগে থাকলেই আকাশে চাঁদ আগে উঠবো? চন্দ্রের কক্ষপথ সম্পর্কে ধারণা ক্লিয়ার তো? নতুন চাঁদ উঠার 30 মিনিটের পর সেই আর আকাশে থাকেনা সেটা জানেন তো? মাগরিবের পর চাদ না দেখে 3 ঘন্টা প্লাস করে রাত নয়টার সময় আকাশে চাদ খুজিয়েন। লুনার ক্যালেন্ডার আগে শেখেন, মানুষ হাসাইয়েন না।

    আমার এক আত্নীয় সৌদিতে থাকে । তার যেদিন জুম্মা’বার থাকে সেদিন আমারও জুম্মা’বার থাকে (শুক্রবার)-তাহলে একই দিনে জুমা’র সময় আসে কীভাবে ? তাহলে কি বলবেন ১ সপ্তাহের Difference ? আসলে নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত তাই… (volcano ভাই-র মতো ক্ষেপে উইঠেন না আবার !
    ————————————————————————————–
    উত্তরঃ 3. শুক্রবার কি তারিখ দিয়া কাউন্ট করা হয় না চাদ দেখে? (এমন একটা বেকুব টাইপ প্রশ্ন করলেন ক্যামনে?)। আচ্ছা বলেন তো, নরমালী ইংরেজী মাস 30 বা 31 দিনে হয়। যদি ফেব্রুয়ারীর 28 তারিখ শুক্রবার হয়, তবে 1 তারিখ কি বার হবে? রবিবার না সোমবার? 😀 ……. মাথাখান কাজে লাগান।

    আমরা যদি সৌদি আরবের অন্তর্ভূক্ত দেশ হতাম তা্হলে কী ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ পালন করতাম ? মানুষ ক্রমেই পৃথিবীটাকে কঠিন করে ফেলছে !!!
    ———————————————————————————
    উত্তরঃ 4. সৌদি আরবভুক্ত দেশ হলে একই সাথে রোজা শুরু করে একই সাথে ইফতার করা হইতো।

    সমগ্র বিশ্ব একই দিনে New year পালন করে যেমন করেন –আপনে আমিও ১২:০১ সেকেন্ডে
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 5. বোঝা যায় চন্দ্রমাস বা লুনার ক্যালেন্ডারের ব্যাপারে আপনের কোন ধারণাই নাই। ইংরেজী মাসের সাথে তুলনা চন্দ্র মাসের?? হা হা হা.. ইংরেজী মাস তো কন্সটেন্ট.. এটা কি চাদ দেখার উপর নির্ভর করে নাকি??

    জাতীয় ঈদ দেখা কমিটির কথা শুনে ঈদ পালন করতে পারলে সৌদির ঈদ দেখা কমিটি কী দোষ করলো ? আমি আপনি কয়বার চাঁদ দেখে রোযা/ঈদ পালন করছি বলতে পারবেন ? মনে না পড়লে থাক
    ——————————————————————————-
    উত্তরঃ 6. আপনি এক কাজ কইরেন, আপনার পরীক্ষা যদি থাকে সকাল 9 টায় তো সৌদির টাইমমত গিয়া পরীক্ষা দিয়েন, প্লেস আর টাইম যে লুনার ক্যালেন্ডার অনুসারে চেন্জ হয় সেই নলেজ সম্ভবত আপনার নাই। আপনার ধারণা চাদ কন্সট্যান্টলী গোটা দুনিয়াতে একটাইমেই উঠে! 😀

    শবে কদর পৃথিবীতে একরাতেই হবে -দু্ই রাতে নয় । তাই, সৌদিরা চাঁদ দেখেই রোযা থাকছে এবং কদর পালন করছে । অতএব, আমরা যদি ২৪ ঘন্টা পরে কদরের রাত খুজি তাহলে তা কোন সময়ই পাবো না –(কারণ শবে কদর জোড় রাতে ভাবা যায় না !) আপনার আমার জন্য সে জীবরাঈল (আ) তো আর ওভারডিউটি করবে না ।
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 8. শবে কদরের এই থিউরী কই পাইলেন? রেফারেন্স কই? গোটা দুনিয়ায় কদর একই টাইমে হইবে এই ওহী কি আপনার উপর নাযিল হইছে? জিবরাঈল (আ:) একবার আসবেন না হাজারবার আসবেন তার ফতোয়া আপনি দিলেন কোন রেফারেন্সে??

    মাস গনণা সবসময় চন্দ্রের সাথে আর নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত । এই মাস গণনা এবং নামায একসাথে গুলিয়ে ফেলা যাবে না । মক্কার সময়ে সেহেরি -ইফতার করবো বলে অন্যায় আবদার করা যাবে না ।
    ——————————————————————————————-
    উত্তরঃ 9. গুলিয়ে কে ফেলতেছে সেটা তো সবাই দেখতেছে।

    কোন মুসলিম ভাই যদি চাঁদ দেখে সাক্ষ্য দেয় তবে সবারই সেটা মেন নেয়া ওয়াজিব । এই প্রসঙ্গে তিরমিযী শরিফের হাদীস আছে যা ইমাম মালেক, হানিফা, আহমদ দ্বারা স্বীকৃত (আমি Sure না খুজে দেখবেন তো আমিও ভুল হতে পারি)- “একবার এক মুসলিম ইয়েমেন থেকে মহানবী (সা) এর কাছে এসে বললেন আপনি কী রোযা আছেন ? তখন তিনি বললেন হ্যাঁ, মুসলিম লোকটি বলল-আমরা তো চঁাদ দেখেছি ।আত:পর তিনি চঁাদ দেখার কথা শুনে তৎক্ষণাত রোযা ভঙ্গ করলেন ।
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 10. মক্কা আর ইয়েমেনের ডিসটেন্স জানেন তো? 816 কিলোমিটার। এই 816 কিমি তে কি চাঁদ আলাদা আলাদা হয়া যাবে? বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে তেতুলিয়ার ডেসটেন্স কত জানেন তো?
    না জানলে আজাইরা প্যাচাল পাইরেন না।

    সিন্ধি হানাফী নাসায়ীর টীকা নিয়ে কোন কাজ হবে না – কুআন/সীহাহ-সিত্তাহর আলোকে বলতে পারলে বলবেন- নইে আমার মতো চুপ থাকবেন । জানেন আজ (৩০/০৮/১১) টিভিতে এই বিষয়ে আমার পক্ষে মানে আমার টপিকের পক্ষে কথা হইছে ? তাইতো আর চুপ থাকবার পারলাম না । আসুন জাতীয় সমস্যা জাতীয়ভাবে দূর করি …(৭১ এর আগে ঠিক ছিল এ সমস্যা-জয় পূর্ব পাকলাদেশ )
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 7. কুরাআন হাদীসের আপনি কি দেখাইলেন? মুখের কথার চিড়া ভিজান?? সামুতে আইসেন আমার ব্লগে।

      Level 0

      @নেট মাস্টার: অসাধারন উত্তর দিয়েছেন নেট মাষ্টার ভাই…।।এই মানুষ আর যারা এদের ইমাম,আলেম গুলো কে আল্লাহ তায়ালা হেদায়াত দান করুক।

      Level 0

      net master bhaishaheb dekhi prosno-uttor r ashor boshaicen,kintu problem hoilo eikhane 10ta prosno korlo keda?lol
      tobe bhaijan, apnar copy – paste korar oshadharon khomota, kintu problem hoilo sheita to jayga moto korte hoibo. naki?ami ki 10 ta prosno korci?je apni 10 ta uttor dilen? lol. ganja ektu beshi poira gese?lol, eita ganja khawoar ashor na boss, apni bhul jayga te knock korechen, pore oboshsho apnar class bujhie dieachen shamu te invite kore,lol

      to bhaijan ki amar kotha bujhchhen, na bujhle shonen, jokhon ami 10 ta prosno korbo, tokhon apni 10 ta uttor diben,ar jokhon ekta prosno korbo, tokhon baki uttor gulo cut kore shudhu oi prosnotar answer copy kore ekhane paste korben,ok???????????????

      @নেট মাস্টার:
      এই রিপ্লাইগুলা যে আপনার প্রশ্নের না সেটা বুঝবার ক্ষমতা আপনের থাকলে অবশ্য আপনি, সারা দুনিয়ায় একদিনে ঈদ পালনের জন্য হাম্বা হাম্বা করতেন না। যাহোক, আপনার ভুলবশতঃ আপনার কমেন্টে জবাব চলে গেছিল (এবং ডিলেট কারার কোন উপায় ও দেখিনি) তাই আবার কপি-পেস্ট করে মূল প্রশ্নকর্তার জবাব দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মাথা খাটিয়ে কাজ করবেন, নাহলে লোকে কি বলবে বলুন তো, ভাববে টিটি কাঠালপাতায় ভরে গেল!! .. 😀

      Level 0

      ji , taito dekhchhi, kathal pata te to dekhi asholei TT bhore jachhe, karon,
      1) ek din e shob jayga te Eid paloner pokkhopati ami noi,jeta amar montobbo dekhle je kono goru o bujhte parbe, oboshsho tar chaiteo nimno srenir pranir eta na bojhar e kotha…
      2)bhul jayga te bhul comment kora kader(?) kaaj eituku buddhi amar mone hoy shobari achhe,lol

Level 0

নিশাচর নাইম ভাই মনে হচ্ছে ধর্মীয় গোড়ামির শিকার । আমি শফিক ভইয়ের সাথে একমত । ভেবেছিলাম এই নিয়ে একটা টিউন করবো কিন্তু জ্ঞানের ভান্ডার কম বলে সাহসে পেরে উঠিনি । অবশেষে দেখলাম ক্ষুদ্র জ্ঞানও কিভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তাই আমিও আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে উপস্থিত হলাম ।

একই সাথে সারা বিশ্বে ঈদ পালন করা উচিত । কারণ, পৃথিবীর কোথাও ২৪ ঘন্টা সময়ের পার্থক্য হয় না ; ১২ ঘন্টা আগে/পরে হয় । গ্রীনিচ সময় অনুযায়ী বেশী পূর্বে গেলে ১২ ঘন্টা যোগ এবং বেশী পশ্চিমে গেলে ১২ ঘন্টা সময় বিয়োগ করতে হয় । তাছাড়া আরও অনেক কিছু দ্বারা এটা মেনে নেয়া যায় যে, সৌদির নিয়ম মোতাবেক রোযা রাখতে হবে । যেমন-
১. আরবী মাস ২৯/৩০ দিনে ছাড়া হয় না-তাহলে আমরা কীভাবে তা ৩১ দিনে করে ফেললাম ? আর তা না করে ফেললে সেদির আর বাংলাদেশের তারিখে এতো সমস্যা কেন ? সেদিতে ১তারিখ হলে আমাদের কী আরবী ৩১ তারিখ হবে–(নাকি ৩২ ; যেমন আরবীতে ৩১-শে মাস বলা হাস্যকর)

২. সৌদির সময় আমাদের সময় থেকে ৩ ঘন্টা পিছিয়ে-তাই আমাদের আরও আগে ঈদ পালন করা জরুরী—সূত্রমতে

৩. আমার এক আত্নীয় সৌদিতে থাকে । তার যেদিন জুম্মা’বার থাকে সেদিন আমারও জুম্মা’বার থাকে (শুক্রবার)-তাহলে একই দিনে জুমা’র সময় আসে কীভাবে ? তাহলে কি বলবেন ১ সপ্তাহের Difference ? আসলে নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত তাই… (volcano ভাই-র মতো ক্ষেপে উইঠেন না আবার !)

৪. আমরা যদি সৌদি আরবের অন্তর্ভূক্ত দেশ হতাম তা্হলে কী ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ পালন করতাম ? মানুষ ক্রমেই পৃথিবীটাকে কঠিন করে ফেলছে !!!

৫. সমগ্র বিশ্ব একই দিনে New year পালন করে যেমন করেন –আপনে আমিও ১২:০১ সেকেন্ডে …

৬. জাতীয় ঈদ দেখা কমিটির কথা শুনে ঈদ পালন করতে পারলে সৌদির ঈদ দেখা কমিটি কী দোষ করলো ? আমি আপনি কয়বার চাঁদ দেখে রোযা/ঈদ পালন করছি বলতে পারবেন ? মনে না পড়লে থাক …

৮. শবে কদর পৃথিবীতে একরাতেই হবে -দু্ই রাতে নয় । তাই, সৌদিরা চাঁদ দেখেই রোযা থাকছে এবং কদর পালন করছে । অতএব, আমরা যদি ২৪ ঘন্টা পরে কদরের রাত খুজি তাহলে তা কোন সময়ই পাবো না –(কারণ শবে কদর জোড় রাতে ভাবা যায় না !) আপনার আমার জন্য সে জীবরাঈল (আ) তো আর ওভারডিউটি করবে না ।

৯. মাস গনণা সবসময় চন্দ্রের সাথে আর নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত । এই মাস গণনা এবং নামায একসাথে গুলিয়ে ফেলা যাবে না । মক্কার সময়ে সেহেরি -ইফতার করবো বলে অন্যায় আবদার করা যাবে না ।

১০. কোন মুসলিম ভাই যদি চাঁদ দেখে সাক্ষ্য দেয় তবে সবারই সেটা মেন নেয়া ওয়াজিব । এই প্রসঙ্গে তিরমিযী শরিফের হাদীস আছে যা ইমাম মালেক, হানিফা, আহমদ দ্বারা স্বীকৃত (আমি Sure না খুজে দেখবেন তো আমিও ভুল হতে পারি)- “একবার এক মুসলিম ইয়েমেন থেকে মহানবী (সা) এর কাছে এসে বললেন আপনি কী রোযা আছেন ? তখন তিনি বললেন হ্যাঁ, মুসলিম লোকটি বলল-আমরা তো চঁাদ দেখেছি ।আত:পর তিনি চঁাদ দেখার কথা শুনে তৎক্ষণাত রোযা ভঙ্গ করলেন ।“

৭. সিন্ধি হানাফী নাসায়ীর টীকা নিয়ে কোন কাজ হবে না – কুআন/সীহাহ-সিত্তাহর আলোকে বলতে পারলে বলবেন- নইে আমার মতো চুপ থাকবেন । জানেন আজ (৩০/০৮/১১) টিভিতে এই বিষয়ে আমার পক্ষে মানে আমার টপিকের পক্ষে কথা হইছে ? তাইতো আর চুপ থাকবার পারলাম না । আসুন জাতীয় সমস্যা জাতীয়ভাবে দূর করি …(৭১ এর আগে ঠিক ছিল এ সমস্যা-জয় পূর্ব পাকলাদেশ )

    Level 0

    @Tanjamin: তাঞ্জামিন ভাই…আপনি তো শফিক ভাই থেকেও বড় ছাগল।

    সৌদি আরবে যখন ইফতার হয় তখন বাংলাদেশ এ কয়টা বাজে জানেন? ৯ঃ৪৫। তাই যখন সৌদি আরবে চাঁদ উঠবে তখন বাংলাদেশ এ বাজবে ৯ঃ৪৫।ওই সময় কি বাংলাদেশ এ মাগ্রিবের নামাজ পরা যাবে? তাহলে আমরা তারাবী পরবো কখন?সউদি আরবের পরের দিন নাকি সৌদি আরবের সাথে?ভেবে বলুন।অপেক্ষায় রইলাম।

    আপনি বললেন সৌদি আরবে যেদিন জুম্মা হয়,সেদিন বাংলাদেশ এও হয়।আমরা কি মানা করেছি?কিন্তু সময় এর পার্থক্য জানেন?আমাদের দেশ এ জুম্মা আরম্ভ হয় ১টা থেকে ১:৩০ এর মধ্যে।কিন্তু সৌদি তে জুম্মা হয় বাংলাদেশ সময় ৪টায়।
    কোরআন-হাদীস ভালো ভাবে পড়ুন।মুহাম্মদ (সঃ) কি বলেছেন সেটা ভালো ভাবে বুঝতে শিখুন।

      @Mukut: এভাবে সম্বোধন করে প্রত্যুত্তর দেয়া উচিত না ভাই।আমার,আপনার বা উনার জ্ঞানের সল্পতা থাকেই পারে।

      Level 0

      @Mukut: ভাই, সৌদি আরবে যখন ইফতার হয় তখন বাংলাদেশ এ ০৯:৪৫ বাজে কীভাবে ? আমাদের সময় তো সৌদি আরবের থেকে ৩ ঘন্টা পিছিয়ে … তাহলে ? আর আমি তো বলেই দিয়েছি নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত (৩ নং পয়েন্ট)

      Level 0

      @Mukut: দুঃক্ষিত নাঈম ভাই।কিন্তু এই টাইপ এর মানুষ দের কথা শুনলে মাথা ঠিক থাকেনা।

      Level 0

      @Mukut:
      আপনি সৌদি আরবের সরকারি চ্যানেল এ কখনও লাইভ নামাজ দেখেছেন?মনে হয়না।আমাদের সময় পিছিয়ে না।সৌদি এর সময় পিছিয়ে।বর্তমান সময় অনুযায়ি যখন সৌদি তে মাগ্রিবের আযান দেয় তখন বাংলাদেশ এ ০৯ঃ৪৫ থেকে ১০টা বাজে।কোনো ব্যাপার এ লেখার আগে ভালো ভাবে গবেষনা করে নিয়েন।নাইলে ধরা খাবেন।

    Level 0

    @Tanjamin: সমগ্র দেশে নিউ ইয়ার পালন করে রাত ১২ঃ০১ মিনিট এ।কিন্তু সবাই একসাথে না।সবার আগে অষ্ট্রেলিয়া পালন করে।আর আমেরিকা পালন করে আমাদের ১১ঘন্টা পর।না জেনে কেনো যে কথা বলেন

      Level 0

      লাইক করার অপশন থাকলে এই কমেন্টটা লাইক করতাম

      Level 0

      @Mukut: ২৪ ঘন্টা পরে তো আর না । ১২ ঘন্টা সর্বোচ্চ পার্থক্য হতে পারে । তাহলে ? ১ দিন=২৪ ঘন্টা…

    @Tanjamin: আমি কিছু কিছু জিনিস যখন বিতর্ক হয় তখন ধর্মীয় উদাহরন বাদে সিম্পলি চিন্তা করি। আপনার কিছু কিছু প্রশ্ন আমার কাছে অমুলক মনে হয়েছে যেমন, বারের ব্যাপারটি কেন ঠিক করা হয়েছে সেটি আপনি একটু চিন্তা করুন।জুম্মাবার বা শুক্রবার সবখানে একই রাখা হয়েছে কাজ-কর্মে সুবিধা এবং সময়ের সাথে সবকিছু সামঞ্জস্যতা এর জন্য।শুক্রবার বা জুম্মাবার চাইলে শনিবারেও পরিবর্তন করা যায়।কিন্তু ধর্মীয় বিভিন্ন দিবস চাদ দেখার উপর নির্ভরশীল।চাদ না দেখেই যদি ধর্মীয় উপলক্ষ গুলো পালন করা হয় তাহলে আমাদের ধর্মীয় জীবনে চাদের আর প্রভাব থাকলো কই?চাদ দেখে ছোট ছেলেমেয়ে,লোকজন খুশি হয়ে ঈদ,রোজা পালন করবে,কিন্তু এইভাবে হলে সেই খুশী-আনন্দ কি হবে? সবকিছুতে সাউদী আরব কে অনুসরন করার কথা আল্লাহ তো কোথাও বলেননি।রাসুল (সাঃ) হাদীসে “তোমরা” বলতে শুধু উনার আশে-পাশের লোকজনকে বুঝায় না,তোমরা মানে পুরো উম্মত।রাসুল(সাঃ) বলেছেন,

    মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, ““তোমরা যখন নতুন চাঁদ দেখ তখন রোযা রাখ এবং নতুন চাঁদ দেখলে রোযা ভেঙ্গে ফেল”

    [বুখারী, হাদীস নং ১৯০৭ ও ১৯০৯]

    আলাদা আলাদা ঈদ পালন এক ধরনের বিচিত্রতা।এখানে ইউনিটি ভঙ্গের কোন কারন দেখছি না।তারপরে যদি আলেমরা একমত হয় যে, একই দিনে করা উচিত সেক্ষেত্রে সরকারীভাবেই সেটি পালন করা উচিত।একই এলাকায় আলাদা আলাদা করার কোন মানে হয় না।

    @Mithu:ঈদের পর রেডী হতে হবে কিন্তু। 😉

      Level 0

      @নিশাচর নাইম: নিশাচর নাঈম ভাই, আপনি মনে হচ্ছে ভালো লোক । ঠান্ডা মাথায় সবকাছু ভাবেন । তবে একটাই প্রশ্ন আমার থাকছে যে কয়বার আমরা চাঁাদ দেখে রোযা/ঈদ পালন করেন ?

    @Tanjamin: ধরে নিচ্ছি সময়ের পার্থক্য ৩ ঘন্টাই ঠিক তথ্য। তাহলে আপনার যুক্তি অনুসারে যখন বাংলাদেশ থেকে সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ দেখা যায়, তার ৩ ঘন্টা আগে সৌদিআরবেও দেখতে পারা উচিত; কিংবা উল্টাভাবে বললে সৌদি আরবে এমন দেখা গেলে তার ৩ ঘন্টা পর বাংলাদেশেও দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু এমন কিছু ঘটে না কেন জানেন? কারণ পৃথিবী বা চাঁদ প্রচন্ড গতিতে নিজ নিক কক্ষপথে ঘুরছে। চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে কত বেগে ঘুরছে জানেন? ১.০২২ কিমি/সেকেন্ড (http://en.wikipedia.org/wiki/Moon)। এই হিসেবে ৩ ঘন্টায় এটা তার পূর্বের অবস্থান থেকে এর কক্ষপথে ১.০২২*৩*৬০*৬০=১১,০৩৭.৬ কিমি সরে যায়। কাজেই সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেলেও একই কৌণিক অবস্থান থেকে বাংলাদেশে ৩ ঘন্টা পরে চাঁদ না-ও দেখা যেতে পারে।

    এই তথ্য জানার পর আশা করি আপনার মতামতের আগের অবস্থান থেকে সরে আসবেন।
    তবে, যখন মানুষ চাঁদের গায়ে বসতি গড়বে, কিংবা দুই চাঁদ ওয়ালা মঙ্গল গ্রহে বসতি গড়বে তখন কী হবে ভেবে দেখেছেন! চাঁদ, মঙ্গল বা স্পেসস্টেশনের কথা বাদ দেই, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতেই ছয়মাস দিন ছয়মাস রাত, ওখানে কোন উপায়ে হবে সেটাই চিন্তার বিষয়। পৃথিবীর ভেতরেই ৬৬.৫৬ ডিগ্রী উত্তর বা দক্ষিন অক্ষাংশের উত্তর বা দক্ষিনে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের কনসেপ্ট পুরা আলাদা 😉 (কানাডার কিছু অংশ, গ্রীনল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, রাশিয়া, সুইডেন, আলাস্কা, ল্যাপল্যান্ড + এন্টার্কটিকা)

      @শামীম ভাই: আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক। আমি নিজেও ব্যাপারটি সম্পর্কে আরো ক্লিয়ার হলাম।

    @learner: এখানে প্রশ্ন @learner:
    এখানে প্রশ্ন না করে সামহয়্যারে করতেন, ভালো মত ধরে বসে জবাব দিতাম 😀

    এখানেও জবাব দেয়া যায়-

    আরবী মাস ২৯/৩০ দিনে ছাড়া হয় না-তাহলে আমরা কীভাবে তা ৩১ দিনে করে ফেললাম ? আর তা না করে ফেললে সেদির আর বাংলাদেশের তারিখে এতো সমস্যা কেন ? সেদিতে ১তারিখ হলে আমাদের কী আরবী ৩১ তারিখ হবে–(নাকি ৩২ ; যেমন আরবীতে ৩১-শে মাস বলা হাস্যকর)
    —————————————————————————————–
    উত্তরঃ 1. সৌদিতে 29 রোজার পরে ঈদ হলে আর আমাদের 30 তম রোজার পরে হলে আরবী মাস কিভাবে 31 শে হয় ব্যাখা দিয়ে জানান? লুনার ক্যালেন্ডার কি জীবনে খুলে দেখছেন? আপনার কি ধারণা এটা ইংরেজী ক্যালেন্ডারের মত ইউনিভার্সেল?

    সৌদির সময় আমাদের সময় থেকে ৩ ঘন্টা পিছিয়ে-তাই আমাদের আরও আগে ঈদ পালন করা জরুরী—সূত্রমতে
    —————————————————————————
    উত্তরঃ 2. আপনের ধারণা সময়ে আগে থাকলেই আকাশে চাঁদ আগে উঠবো? চন্দ্রের কক্ষপথ সম্পর্কে ধারণা ক্লিয়ার তো? নতুন চাঁদ উঠার 30 মিনিটের পর সেই আর আকাশে থাকেনা সেটা জানেন তো? মাগরিবের পর চাদ না দেখে 3 ঘন্টা প্লাস করে রাত নয়টার সময় আকাশে চাদ খুজিয়েন। লুনার ক্যালেন্ডার আগে শেখেন, মানুষ হাসাইয়েন না।

    আমার এক আত্নীয় সৌদিতে থাকে । তার যেদিন জুম্মা’বার থাকে সেদিন আমারও জুম্মা’বার থাকে (শুক্রবার)-তাহলে একই দিনে জুমা’র সময় আসে কীভাবে ? তাহলে কি বলবেন ১ সপ্তাহের Difference ? আসলে নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত তাই… (volcano ভাই-র মতো ক্ষেপে উইঠেন না আবার !
    ————————————————————————————–
    উত্তরঃ 3. শুক্রবার কি তারিখ দিয়া কাউন্ট করা হয় না চাদ দেখে? (এমন একটা বেকুব টাইপ প্রশ্ন করলেন ক্যামনে?)। আচ্ছা বলেন তো, নরমালী ইংরেজী মাস 30 বা 31 দিনে হয়। যদি ফেব্রুয়ারীর 28 তারিখ শুক্রবার হয়, তবে 1 তারিখ কি বার হবে? রবিবার না সোমবার? 😀 ……. মাথাখান কাজে লাগান।

    আমরা যদি সৌদি আরবের অন্তর্ভূক্ত দেশ হতাম তা্হলে কী ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ পালন করতাম ? মানুষ ক্রমেই পৃথিবীটাকে কঠিন করে ফেলছে !!!
    ———————————————————————————
    উত্তরঃ 4. সৌদি আরবভুক্ত দেশ হলে একই সাথে রোজা শুরু করে একই সাথে ইফতার করা হইতো।

    সমগ্র বিশ্ব একই দিনে New year পালন করে যেমন করেন –আপনে আমিও ১২:০১ সেকেন্ডে
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 5. বোঝা যায় চন্দ্রমাস বা লুনার ক্যালেন্ডারের ব্যাপারে আপনের কোন ধারণাই নাই। ইংরেজী মাসের সাথে তুলনা চন্দ্র মাসের?? হা হা হা.. ইংরেজী মাস তো কন্সটেন্ট.. এটা কি চাদ দেখার উপর নির্ভর করে নাকি??

    জাতীয় ঈদ দেখা কমিটির কথা শুনে ঈদ পালন করতে পারলে সৌদির ঈদ দেখা কমিটি কী দোষ করলো ? আমি আপনি কয়বার চাঁদ দেখে রোযা/ঈদ পালন করছি বলতে পারবেন ? মনে না পড়লে থাক
    ——————————————————————————-
    উত্তরঃ 6. আপনি এক কাজ কইরেন, আপনার পরীক্ষা যদি থাকে সকাল 9 টায় তো সৌদির টাইমমত গিয়া পরীক্ষা দিয়েন, প্লেস আর টাইম যে লুনার ক্যালেন্ডার অনুসারে চেন্জ হয় সেই নলেজ সম্ভবত আপনার নাই। আপনার ধারণা চাদ কন্সট্যান্টলী গোটা দুনিয়াতে একটাইমেই উঠে! 😀

    শবে কদর পৃথিবীতে একরাতেই হবে -দু্ই রাতে নয় । তাই, সৌদিরা চাঁদ দেখেই রোযা থাকছে এবং কদর পালন করছে । অতএব, আমরা যদি ২৪ ঘন্টা পরে কদরের রাত খুজি তাহলে তা কোন সময়ই পাবো না –(কারণ শবে কদর জোড় রাতে ভাবা যায় না !) আপনার আমার জন্য সে জীবরাঈল (আ) তো আর ওভারডিউটি করবে না ।
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 8. শবে কদরের এই থিউরী কই পাইলেন? রেফারেন্স কই? গোটা দুনিয়ায় কদর একই টাইমে হইবে এই ওহী কি আপনার উপর নাযিল হইছে? জিবরাঈল (আ:) একবার আসবেন না হাজারবার আসবেন তার ফতোয়া আপনি দিলেন কোন রেফারেন্সে??

    মাস গনণা সবসময় চন্দ্রের সাথে আর নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত । এই মাস গণনা এবং নামায একসাথে গুলিয়ে ফেলা যাবে না । মক্কার সময়ে সেহেরি -ইফতার করবো বলে অন্যায় আবদার করা যাবে না ।
    ——————————————————————————————-
    উত্তরঃ 9. গুলিয়ে কে ফেলতেছে সেটা তো সবাই দেখতেছে।

    কোন মুসলিম ভাই যদি চাঁদ দেখে সাক্ষ্য দেয় তবে সবারই সেটা মেন নেয়া ওয়াজিব । এই প্রসঙ্গে তিরমিযী শরিফের হাদীস আছে যা ইমাম মালেক, হানিফা, আহমদ দ্বারা স্বীকৃত (আমি Sure না খুজে দেখবেন তো আমিও ভুল হতে পারি)- “একবার এক মুসলিম ইয়েমেন থেকে মহানবী (সা) এর কাছে এসে বললেন আপনি কী রোযা আছেন ? তখন তিনি বললেন হ্যাঁ, মুসলিম লোকটি বলল-আমরা তো চঁাদ দেখেছি ।আত:পর তিনি চঁাদ দেখার কথা শুনে তৎক্ষণাত রোযা ভঙ্গ করলেন ।
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 10. মক্কা আর ইয়েমেনের ডিসটেন্স জানেন তো? 816 কিলোমিটার। এই 816 কিমি তে কি চাঁদ আলাদা আলাদা হয়া যাবে? বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে তেতুলিয়ার ডেসটেন্স কত জানেন তো?
    না জানলে আজাইরা প্যাচাল পাইরেন না।

    সিন্ধি হানাফী নাসায়ীর টীকা নিয়ে কোন কাজ হবে না – কুআন/সীহাহ-সিত্তাহর আলোকে বলতে পারলে বলবেন- নইে আমার মতো চুপ থাকবেন । জানেন আজ (৩০/০৮/১১) টিভিতে এই বিষয়ে আমার পক্ষে মানে আমার টপিকের পক্ষে কথা হইছে ? তাইতো আর চুপ থাকবার পারলাম না । আসুন জাতীয় সমস্যা জাতীয়ভাবে দূর করি …(৭১ এর আগে ঠিক ছিল এ সমস্যা-জয় পূর্ব পাকলাদেশ )
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 7. কুরাআন হাদীসের আপনি কি দেখাইলেন? মুখের কথার চিড়া ভিজান?? সামুতে আইসেন আমার ব্লগে।
    ….

    @Tanjamin:
    এখানে প্রশ্ন না করে সামহয়্যারে করতেন, ভালো মত ধরে বসে জবাব দিতাম

    এখানেও জবাব দেয়া যায়-

    আরবী মাস ২৯/৩০ দিনে ছাড়া হয় না-তাহলে আমরা কীভাবে তা ৩১ দিনে করে ফেললাম ? আর তা না করে ফেললে সেদির আর বাংলাদেশের তারিখে এতো সমস্যা কেন ? সেদিতে ১তারিখ হলে আমাদের কী আরবী ৩১ তারিখ হবে–(নাকি ৩২ ; যেমন আরবীতে ৩১-শে মাস বলা হাস্যকর)
    —————————————————————————————–
    উত্তরঃ 1. সৌদিতে 29 রোজার পরে ঈদ হলে আর আমাদের 30 তম রোজার পরে হলে আরবী মাস কিভাবে 31 শে হয় ব্যাখা দিয়ে জানান? লুনার ক্যালেন্ডার কি জীবনে খুলে দেখছেন? আপনার কি ধারণা এটা ইংরেজী ক্যালেন্ডারের মত ইউনিভার্সেল?

    সৌদির সময় আমাদের সময় থেকে ৩ ঘন্টা পিছিয়ে-তাই আমাদের আরও আগে ঈদ পালন করা জরুরী—সূত্রমতে
    —————————————————————————
    উত্তরঃ 2. আপনের ধারণা সময়ে আগে থাকলেই আকাশে চাঁদ আগে উঠবো? চন্দ্রের কক্ষপথ সম্পর্কে ধারণা ক্লিয়ার তো? নতুন চাঁদ উঠার 30 মিনিটের পর সেই আর আকাশে থাকেনা সেটা জানেন তো? মাগরিবের পর চাদ না দেখে 3 ঘন্টা প্লাস করে রাত নয়টার সময় আকাশে চাদ খুজিয়েন। লুনার ক্যালেন্ডার আগে শেখেন, মানুষ হাসাইয়েন না।

    আমার এক আত্নীয় সৌদিতে থাকে । তার যেদিন জুম্মা’বার থাকে সেদিন আমারও জুম্মা’বার থাকে (শুক্রবার)-তাহলে একই দিনে জুমা’র সময় আসে কীভাবে ? তাহলে কি বলবেন ১ সপ্তাহের Difference ? আসলে নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত তাই… (volcano ভাই-র মতো ক্ষেপে উইঠেন না আবার !
    ————————————————————————————–
    উত্তরঃ 3. শুক্রবার কি তারিখ দিয়া কাউন্ট করা হয় না চাদ দেখে? (এমন একটা বেকুব টাইপ প্রশ্ন করলেন ক্যামনে?)। আচ্ছা বলেন তো, নরমালী ইংরেজী মাস 30 বা 31 দিনে হয়। যদি ফেব্রুয়ারীর 28 তারিখ শুক্রবার হয়, তবে 1 তারিখ কি বার হবে? রবিবার না সোমবার? ……. মাথাখান কাজে লাগান।

    আমরা যদি সৌদি আরবের অন্তর্ভূক্ত দেশ হতাম তা্হলে কী ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ পালন করতাম ? মানুষ ক্রমেই পৃথিবীটাকে কঠিন করে ফেলছে !!!
    ———————————————————————————
    উত্তরঃ 4. সৌদি আরবভুক্ত দেশ হলে একই সাথে রোজা শুরু করে একই সাথে ইফতার করা হইতো।

    সমগ্র বিশ্ব একই দিনে New year পালন করে যেমন করেন –আপনে আমিও ১২:০১ সেকেন্ডে
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 5. বোঝা যায় চন্দ্রমাস বা লুনার ক্যালেন্ডারের ব্যাপারে আপনের কোন ধারণাই নাই। ইংরেজী মাসের সাথে তুলনা চন্দ্র মাসের?? হা হা হা.. ইংরেজী মাস তো কন্সটেন্ট.. এটা কি চাদ দেখার উপর নির্ভর করে নাকি??

    জাতীয় ঈদ দেখা কমিটির কথা শুনে ঈদ পালন করতে পারলে সৌদির ঈদ দেখা কমিটি কী দোষ করলো ? আমি আপনি কয়বার চাঁদ দেখে রোযা/ঈদ পালন করছি বলতে পারবেন ? মনে না পড়লে থাক
    ——————————————————————————-
    উত্তরঃ 6. আপনি এক কাজ কইরেন, আপনার পরীক্ষা যদি থাকে সকাল 9 টায় তো সৌদির টাইমমত গিয়া পরীক্ষা দিয়েন, প্লেস আর টাইম যে লুনার ক্যালেন্ডার অনুসারে চেন্জ হয় সেই নলেজ সম্ভবত আপনার নাই। আপনার ধারণা চাদ কন্সট্যান্টলী গোটা দুনিয়াতে একটাইমেই উঠে!

    শবে কদর পৃথিবীতে একরাতেই হবে -দু্ই রাতে নয় । তাই, সৌদিরা চাঁদ দেখেই রোযা থাকছে এবং কদর পালন করছে । অতএব, আমরা যদি ২৪ ঘন্টা পরে কদরের রাত খুজি তাহলে তা কোন সময়ই পাবো না –(কারণ শবে কদর জোড় রাতে ভাবা যায় না !) আপনার আমার জন্য সে জীবরাঈল (আ) তো আর ওভারডিউটি করবে না ।
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 8. শবে কদরের এই থিউরী কই পাইলেন? রেফারেন্স কই? গোটা দুনিয়ায় কদর একই টাইমে হইবে এই ওহী কি আপনার উপর নাযিল হইছে? জিবরাঈল (আ:) একবার আসবেন না হাজারবার আসবেন তার ফতোয়া আপনি দিলেন কোন রেফারেন্সে??

    মাস গনণা সবসময় চন্দ্রের সাথে আর নামায/সেহরী/ইফতার সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত । এই মাস গণনা এবং নামায একসাথে গুলিয়ে ফেলা যাবে না । মক্কার সময়ে সেহেরি -ইফতার করবো বলে অন্যায় আবদার করা যাবে না ।
    ——————————————————————————————-
    উত্তরঃ 9. গুলিয়ে কে ফেলতেছে সেটা তো সবাই দেখতেছে।

    কোন মুসলিম ভাই যদি চাঁদ দেখে সাক্ষ্য দেয় তবে সবারই সেটা মেন নেয়া ওয়াজিব । এই প্রসঙ্গে তিরমিযী শরিফের হাদীস আছে যা ইমাম মালেক, হানিফা, আহমদ দ্বারা স্বীকৃত (আমি Sure না খুজে দেখবেন তো আমিও ভুল হতে পারি)- “একবার এক মুসলিম ইয়েমেন থেকে মহানবী (সা) এর কাছে এসে বললেন আপনি কী রোযা আছেন ? তখন তিনি বললেন হ্যাঁ, মুসলিম লোকটি বলল-আমরা তো চঁাদ দেখেছি ।আত:পর তিনি চঁাদ দেখার কথা শুনে তৎক্ষণাত রোযা ভঙ্গ করলেন ।
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 10. মক্কা আর ইয়েমেনের ডিসটেন্স জানেন তো? 816 কিলোমিটার। এই 816 কিমি তে কি চাঁদ আলাদা আলাদা হয়া যাবে? বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে তেতুলিয়ার ডেসটেন্স কত জানেন তো?
    না জানলে আজাইরা প্যাচাল পাইরেন না।

    সিন্ধি হানাফী নাসায়ীর টীকা নিয়ে কোন কাজ হবে না – কুআন/সীহাহ-সিত্তাহর আলোকে বলতে পারলে বলবেন- নইে আমার মতো চুপ থাকবেন । জানেন আজ (৩০/০৮/১১) টিভিতে এই বিষয়ে আমার পক্ষে মানে আমার টপিকের পক্ষে কথা হইছে ? তাইতো আর চুপ থাকবার পারলাম না । আসুন জাতীয় সমস্যা জাতীয়ভাবে দূর করি …(৭১ এর আগে ঠিক ছিল এ সমস্যা-জয় পূর্ব পাকলাদেশ )
    —————————————————————————————-
    উত্তরঃ 7. কুরাআন হাদীসের আপনি কি দেখাইলেন? মুখের কথার চিড়া ভিজান?? সামুতে আইসেন আমার ব্লগে।

সরাসরি বুখারী হাদীস থেকে জানুন।নিচের লিংকে দয়া করে দেখুন।

http://imageshack.us/photo/my-images/269/vol2page194245aboutmoon.jpg/

Level 0

তান্জামিন ভাই……………আপনার কথাগুলো sune না hese পারলাম না…………সৌদি তে রোজা ২৯ তা হলে আমাদের ৩০ তা হতে পারে…… তার মানে এই না যে ওদের মাস ৩১ এ হবে .আপনি মনে hoi নাস্তিক type মানুস …………আল্লাহ যকন আমাদের চাঁদ দেখাবেন তখনি আমাদের eid করা কর্তব্য ………তা যখনি হোক না কেন? ইমান হলো বিস্সের ওপর নাম ……….সবখানে logic চলে না………….তাছাড়া মাজহাব না মেনে সরাসরি হাদিস এবং কোরান এর আলোকে অমোল করার জন্য অনেক knowledge এর দরকার………বিশেষ করে তাফসির, ইজতেহাদ ,ইফতা,মন্টেক, এর knowledge থাকা দরকার………….যা আমদের মত ১ মাসের (রমজান) মসলমানদের ১ আনা ও নাই…….আর আপনের মত নাস্তিক দের কথা নাই বা বললাম…….তাই আপনাকে বলব……….মাঝ্হাব মেনে চলেন……..নিজে ও শান্তিতে থাকেন .এবং বাকিদের কেও শান্তিতে থাকতে দেন……….kisu olta পাল্টা প্রশ্ন করতে পারলেই তাকে knowledgble bola jai না………আমি যদি আপনাকে বলি……….আপনি akono বেছে আছেন কেন? আপনি যদি সত্যিকারের মসলমান hoi থাকেন তাহলে অবস্যই বলবেন যে ………..আল্লাহ আপনাকে বাচাই rakse বলেই আপনি বেছে
আছেন…………(naki aikaneo logic deben??) …..এইটাকেই ইমান বলে……..র অহেতক প্রশ্ন করাকে kofori বলে…….আসা করি বুজতে পারসেন আপনি কোনটা করসেন
আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত নসিব করক…………
আমার বানান ভুলের জন্য আমি ক্ষমা পার্থি……

    Level 0

    @samol: ভাই আমি বে-মাযহাব (কোন মাযহাব-কে Follow করি না )। আপনি মনে হচ্ছে হানাফি (আবূ হানিফার আনুসারী ) এই প্রথম কেউ আমাকে নাস্তিক বলল ! তবে হ্যাঁ, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এ কথা চরম সত্য -আর তাই আমি বেঁচে আছি কেন এ কথা আল্লাহই ভালো বলতে পারবেন । আর আপনি ১টা পয়েন্টে আমার সাথে দ্বিমত হয়েছেন তার মানে আর বাদবাকি পয়েন্ট গুলোর সাথে আপনি একমত …

Level 0

১)নামায রোজা ঈদ কোনোটাই ঘড়ির টাইমের সাথে সম্পর্কিত নয়। সম্পর্কিত চাদ-সূর্য ওঠার সাথে। সুতরাং সৌদিতে এত ঘন্টা পর এটা হয় তাই আমাদেরও এত ঘন্টা পরে এটা করতে হবে, এসব কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
২) মনে করুন, পৃথিবীতে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশ নেই। আছে শুধু বাংলাদেশ আর চাদ-সূর্য। এবার আপনি নামাজ,রোযা ঈদ যেভাবে করবেন সেভাবে করুন। এটাই হবে আসল নিয়ম।

Thik jemon World er Kono ek Muslim er gaye Aghat ashle(Iraq,Palestine) apni vaben : etoshob vebe ki hobe Bangladesh bachle baper naam @Mithu

আসলেই যেটিই হোক না কেন, সবাইকে সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঈদ পালন করা উচিত ,যদি সৌদি আরবের সাথে পালন করতে হয় সেটিও সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।এভাবে আলাদা কিছু মানুষ দেশের অন্যদের সাথে না মিলে আলাদা ঈদ করে ফিতনাই বাড়িয়ে দিচ্ছে।

পোস্টটিতে তো ভালই লিখেছেন । কিন্তু এখানে আবার কি বললেন । সরকারের ইসলামী কোন বিষয় চেন্জ্ করার কোন অধিকার নেই । সরকার তো মদ , পতিতালয়ের লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে আপনি কি এগুলোকে জায়েজ মনে করেন ।

    @ABU TASNEEM: কিসের ভিতরে কি বললেন!! কিছুদিন আগে সাউদী আরবে ফতোয়ার ঘটনাটি শুনেছেন নিশ্চই?তখন সাউদী সরকার যাতে গনহারে ফতোয়া দিতে না পারে সেই জন্য সরকারী তালিকাভুক্ত আলেম ছাড়া ফতোয়া দেয়া নিষিদ্ধ ঘোষনা করে এবং এটির সিদ্ধান্ত সরকারী অফিসিয়ালরা নেননি,শরীয়া বোর্ডের পরামর্শক্রমে নেয়া হয়েছে।আমাদের দেশেও সরকারের নিজের এব্যাপারে ডিক্লারেশানের কোন এখতিয়ার নেই,দেশের আলেমদের পরামর্শক্রমেই নিতে হবে।

যারা সাউদী আরবের সাথে মিলিয়ে রমজান মাস শুরু এবং ঈদ পালন করেন তাদের উচিৎ সৌদি বাসিরা যখন সাহরী ও ইফতার করেন তারাও তখন সাহরী ও ইফতার করবেন।আযান হওয়ার অপেক্ষা করার দরকার কি?

@Mithu:
আমি ব্যস্ত থাকাই সময় মত আপনার কমেন্ট পড়তে পারি নাই , আপনার মনে রাখা উচিত ইসলাম ধর্মের
একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন , আর এই আলোচনা করতে হলে আপনার ইসলাম ধর্ম সমন্ধে ধারনা
থাকতে হবে , যা আমি আপনার কাছে আছে বলে আমার মনে হয় না. আল্লার সৃস্ট মানব জাতির কাউকেই
পশু বলা যায় না , আর যদি কেউ বলে — তার যে পরিচয় শেষ বিচারের দিন আল্লাহ কি দেবেন , তা যারা
হাদিস জানেন তাদের কাছ থেকে জেনে নিবেন . আর আমার লিখায় আমি একটা কথাই বুজাতে চেয়েছিলাম
তা হল — ঈদ , নামাজ বা রোজা কোনটাই আমাদের সাথে সৌদির ২ দিনের বেবধান হতে পারেনা /
আমার মতে সর্বোচ্চ ১ দেনের বেবধান হতে পারে এবং তা যুক্তিযত. আপনি হয়ত আমার সাথে একমত না
হতে পারেন -. আপনি আপনার ভাল কোন মতামত দিতে পারেন আর তা আমর কাছে গ্রহনযোগ্য হলে আমি
অবশ্যই গ্রহন করব -আর গ্রহনযোগ্য না হলে কিন্তু আপনাকে পশু বানাব না . আপনি লিখায় যা যা উল্লেখ
করেছেন তার কোনটাতেই আমাদের সাথে সৌদির ২ দিনের বেবধান দেথাতে পারেন নাই , কয়েক ঘন্টার
বেবধান , দেথিয়েছেন মাত্র / তার মানে কি আমাদের সাথে সৌদির ২ দিনের বেবধানে ঈদ হওয়া —
কে কি লিখে তা ভাল করে বুজে বাজে কমান্ট করেবন / যারা আমার এ লিখা পড়ছেন -আমি ভাল বাংলা
লিখতে পারি না , ভুল হতে পারে ক্ষমা করবেন —

Level 2

নিশাচর নাইম@আপনাকে ধন্যবাদ।
কোন দেশ কি করল সেটা না দেখে,আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন ঠিক সে দেশের চাদ ও সূর্যের উঠা ও নামার অবস্থার উপর পালন করুন নামাজ,রোযা ও ঈদ ।(নবী (সঃ)সহ সাহবি-ইকরাম গন পালন করেছেন)।আবার এমন দেশে থেকে তা পালন করবেন না যেখানে মানুষ থাকে না (যেমন;উওর ও দক্ষিন মেরুর দেশে)।আর এখন তো আরো সুবিধা হয়েছে,নামাজের সময় হলে আযানের ধ্বনি শুনে তা পালন করবো।আরো,বলতে গেলে

*নামজ=এর সাথে সূর্যের দিক নির্নয় দিয়ে ওয়াক্ত নির্ধারন করা হত।
*রোযা=রমজান মাসে সর্বদা আকাশ পরিষ্কার না দেখা গেলে(যেমন;হাতের লোম না দেখা যাও পর্যন্ত) সে্হরি শেষ সময় ও চাদ দেখে রোযা রাখা এবং ইফতারি করা সূর্য অস্থ হওয়ার পর।

কোন দেশ কি করলো আমরা সে দিকে সবাই না তাকাই।কোরআন ও হাদিস নিয়ে, আমরা না জেনে যে ভাবে ঈমানের দূবর্লতা তৈরি করছি সে দিকে আমাদের খেয়াল নেই।
সঠিক ভাবে চলার জন্য আ ল্লাহ তা’আলা কোরআনের সুরা আল ইমরানের ৬৪ নাম্বার আয়াতে বলেছেন “ এসো সেই কথায় যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে এক” । প্রত্যেক্ টি মুসলমানকে আল্লাহ নির্দেশ করেছেন আহলে কিতাব বা অমুসলিমদের সাথে শুধু মাত্র সাদৃশ্য গুলো নিয়েই আলোচনা করতে । আমরা যখন কারো সাথে অমিল নিয়ে আলোচনা করি তখন আমাদের মধ্যে সবাভাবিক ভাবেই বিরোধ বাধে । অশান্তির সৃস্টি হয় ।

আশুন সবাই;প্রথমত সঠিক টা জেনে সবাই ঈমান আনবো,কোরআন ও হাদিস নিজে বুঝে পড়ব এবং নিজে মেনে চলবো ।আল্লাহর প্রত্যেক বান্দা কে সঠিক পথে আনার জন্য তা পালন করার চেষ্টা করবো। বেশি বেশি ইসলামের দাওয়াত দিবো।তর্কে না।

আমরা কোনটা গ্রহণ করব? আমদের দেশের আলেম রা ত একমত হতেপারে না কখনই। যখন যে সরকার আসে তার তাদের মতো করে ফতোয়া দেয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর প্রধান হয় সেই সরকারের লোকজন????????????????????????????