টেকটিউনসে আমার প্রথম সেঞ্চুরী !!! ১০০তম টিউন উপলক্ষে আজ থাকছে আমার জমানো কথার বস্তা। পড়ার অনুরোধ রইল।

কি যে খুশি লাগছে আজ বলে বুঝানো সম্ভব নয়। অনেক দিন ধরে দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। আজ পেরেছি! আজ আমার প্রথম সেঞ্চুরি টিউন টেকটিউনসে। আজ এই টিউনের মাধ্যমে বাংলার সবচেয়ে বড় টেকনোলোজি প্লাটফর্ম টেকটিউনসে আমার ১০০তম টিউন পূর্ণ হল। অনেকের কাছে ব্যাপারটা ছোট। কিন্তু আমার কাছে আজকের দিনটি, এই টিউনটি অনেক বড় পাওয়া। কারণ এই টিউন দেওয়ার অধিকার অর্জন করতে অনেক অনেক সময় ধরে নিয়মিত টিউন করতে হয়েছে। অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অবশেষে আমি পেরেছি। টেকটিউনসে মাধ্যমে আমি অনলাইন জীবনে অনেক এগিয়ে গিয়েছি। কৃতজ্ঞ থাকব সারা জীবন টিটির কাছে। আজ এই টিউনে কোন টিপস ট্রিকস, টিউটোরিয়াল কিচ্ছুই দিতে পারব না বলে প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি। আজ শুধুই থাকছে আমার জমানো বস্তা ভড়া জমানো প্যাচাল। হাতে সময় থাকলে আশা করি প্যাচাল পড়বেন, আমাকে পরামর্শ দিবেন। আপনার একটি মন্তব্যই আমার হয়ত পরবর্তী সেঞ্চুরী করার আশা জাগাবে।

আমি কে? কি আমার পরিচয়? আমার সংক্ষিপ্ত জীবনী

আমি মারুফ, পুরো নাম মোঃ আব্দুল্লাহ আল মারুফ। ব্লগ পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসি। তাই  আমার অবসর সময়টুকু ব্লগ লিখে বিভিন্ন কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি।  ব্লগের মাধ্যমে যতটুকু জানি ততটুকু জানানোর চেষ্টা করি। রংপুরে ১৯৯৬ সালের ৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করি এবং এখন পর্যন্ত রংপুরেই আছি। ছোটবেলাতেই পায়ে পোলিও রোগ ধরা পড়ে। যা আমাকে অচল করে দেয়। এই প্রতিবন্ধকতা নিয়েই বেড়ে উঠেছি। বাড়ির পাশের রংপুর ক্যাডেট কলেজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আমার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ছোটবেলায় বেশ কয়েক বছর মায়ের কোলে করেই স্কুল যাওয়া আসা করেছি। পঞ্চম শ্রেণীতে আমি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ার মধ্য দিয়ে আমার প্রাইমারি শিক্ষাজীবন শেষ হয়। আমার শারীরিক বাঁধা সত্ত্বেও আমার ভালো ফলাফলে সবাই অবাক হয়েছিল। আর আমার আজ পর্যন্ত সকল সাফল্যের অনুপ্রেরনা হয়ে রয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর এই ভালো ফলাফল। সেই থেকেই আমার মনোবল প্রচণ্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। পড়াশুনার পাশাপাশি শখের বশে অনেক ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে থাকি। আর সেখানেও আমি নিজেকে চমকে দিয়ে অনেক পুরষ্কার, সার্টিফিকেট, সম্মাননা পেয়েছি। রংপুরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম ষষ্ঠ শ্রেণীতে। অতঃপর দীর্ঘ ৫ বছর সেখানে পড়াশুনা করি। এসএসসি ২০১৩ পরীক্ষাতে জিপিএ-৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আমার শিক্ষা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এসএসসি পরীক্ষার এই ফলাফলে আমি খুশি হয়েছিলাম তো বটেই। কিন্তু সবচয়ে বেশি খুশি হয়েছি যখন শুনেছি সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে আমিই প্রথম ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই আমার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে থেকে ভালবাসা এবং সহযোগিতা পেয়েছি। বর্তমানে আমি কারমাইকেল কলেজ রংপুরে দ্বাদশ শ্রেনীর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়াশুনা করছি।
পড়াশুনার পাশাপাশি আমি ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালিত শিশুদের নিয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম হ্যালো ডট বিডি নিউজ ২৪ ডট কমে রংপুরের শিশু সাংবাদিক হিসেবে ১ বছর যাবত কাজ করার অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছি।
আমি ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেছিলাম সপ্তম শ্রেণীতে বড় ভাইয়ের হাত ধরে। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন? আজ আমি আমার বড় ভাইয়ের চেয়ে বেশি দক্ষ হয়ে উঠেছি। দীর্ঘ কয়েক বছর ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটে আজ আমি বেশ দক্ষ। নবম শ্রেণীতে আমার পায়ের অপারেশন করানো হয়েছিল। সেই সময়টাতে সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকায় আজ আমি কম্পিউটারের অনেক বিষয়ে পারদর্শী। জীবনে কম্পিউটার নিয়ে অনেক বেশি আগ্রহের কারণে অনেক সময় দিয়েছি এর পিছনে এখনও প্রতিনিয়ত শিখে যাচ্ছি। জীবনে সবাই তো তাঁর ক্যারিয়ার নিয়ে স্বপ্ন দেখে শৈশবকাল থেকেই। তাই আমিও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে। প্রথমত জীবনে একজন ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আর পেশা হিসেবে ওয়েব ডিজাইনিংকে বেছে নিতে চাই। অনলাইন জগতে হতে চাই বিরাট ব্যক্তিত্ব, হতে চাই মার্ক জুকারবারগ, বিল গেটস, স্টিভ জবস থেকেও বড় মাপের মানুষ। আর জীবনে যা কিছুই করিনা কেন সেই কাজটি করতে চাই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের বুকে থেকে। আমি বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে কিছু করার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছে নেই। যা করব একজন বাংলাদেশি হিসেবে। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, সাথে চাই আপনাদের দোয়া।
এসএসসি পরীক্ষার পরের ২-৩ মাসের চলাকালীন ছুটিতে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম এবং এখন অনলাইনেই ঘেঁটে ঘুটে শিখছি।

মোটামুটি আমার পুরো জীবন কাহিনী সংক্ষেপে বললাম। আমি খুব সাদাসিদে এক কিশোর। এর চেয়ে বেশি পরিচয় আমার নেই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। নিজের ঢাক ঢোল পেটানোর জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন।

টেকটিউনসে আমি ব্লগার মারুফ। টেকটিউনস নিয়ে আমার কথা

ক্লাস সেভেনে হাতে প্রথম কম্পিউটার নাড়তে শুরু করি মানুষের কম্পিউটারে। মানে কোথাও পেলেই টেপাটিপি। খারাপ লাগত নিজের কম্পিউটার ছিল না বলে। আর বাসায় বললে হয়ত পাবনায় পাঠিয়ে দিত। কারণ তখন তো খুব বড় মানুষদের কম্পিউটার ছিল। সামর্থ্যের বাহিরে গিয়ে তাও আবার ক্লাস সেভেনে কম্পিউটার কিনতে চাওয়া বাসায় পাগলামি ছাড়া আর কি ভাববে বাবা মা? সেই চিন্তায় আর এক বছর বলা হয়নি। বড় ভাইয়ের সাথে মাঝে মাঝে বাজারে যাওয়া হলে ভাইয়া আমাকে নিয়ে সাইবার ক্যাফে-তে ঢুকত। ভাইয়াকে শুধুই দেখতাম ইহাহু নামের একটা পর্দায় শুধু ঘাটাঘাটি। মাঝে মাঝে দেখতাম টেকটিউনস নামের কিছু একটা। আমি হা করে চেয়ে থাকতাম। কি-বোর্ডে হাত দেওয়ারও সাহস ছিল না। আস্তে আস্তে মেজাজ গরম হয়ে যায়। সামনে এমন মজার একটা মেশিন আর সেটা নাড়ব না? কেমন লাগে বলেন? তারপর থেকে কোথাও কম্পিউটার পেলে এবং আশে পাশে কেউ না থাকলে চুপ করে দুই একটা বাটন টিপতাম। কম্পিউটার বন্ধ থাকত!!! বাটন তো টিপেছি এটাতেই অনেক খুশি লাগত। এরপর থেকে বড় হতে শুরু করলাম আর ভাইয়ের সাথে সাইবার ক্যাফে তে যেতাম এবং ভাইয়ার লেকচার শুনতাম ইন্টারনেট নিয়ে। মজার ব্যাপার হল আমি কম্পিউটারের বেসিক ধারনার আগে ইন্টারনেট কি এই সম্পর্কে আগে জেনেছিলাম। এভাবেই চলতে থাকে। ভাইয়া ইহাহুতে মেইল চেক করে টেকটিউনসে দুই একটা লেখা পড়ত। আমিও রিডিং পড়তাম। কিছুই বুঝতাম না। কারণ কম্পিউটারই তো জানিনা টেকনোলোজি লেখা আবার কিভাবে বুঝব? ক্লাস এইটে জেএসসি পরীক্ষা শেষে আব্বা কিনে দিছিল সেই মজার জিনিস কম্পিউটার। হাতে পেয়ে তো কি খুশি হয়েছিলাম সেটা অন্য কারো জানার কথা না। ভাইয়া আমাকে বলেছিল ইন্টারনেটে কিছু শিখতে টেকটিউনস আর গুগল ছাড়া কিছু নেই। টেকটিউনসে ঢুকা শিখিয়ে দিল। গেম খেলতাম আর খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে গেলে টেকটিউনসে ঢুকে পড়তাম দুই একটা মজার কিছু। এভাবেই চলে যায় এক বছর। শিখেছি অনেক কিছু। একটা আইডি খুলেছিলাম টিটিতে নিজের নামে। এক সময় ইচ্ছে হল ব্লগার হবো, টেকনোলোজি ব্লগার। লিখব টিটিতে। খুললাম আরেকটি টিটি আইডি। নাম ব্লগার মারুফ। সাথে ব্লগসাইট বানিয়ে ঘুতাঘুতি চলতেই থাকল। একটা দুইটা তিনটা আর আজ একশ টা টিউন। মান সম্মত + মানসম্মতহীন সব টিউনই মিশিয়ে আছে আমার লেখায়। অনেকে অনুপ্রেরনা দিয়েছে, অনেকেই সমালোচনা করেছে। সব মিলিয়ে আজ আমি ব্লগার মারুফ। টিটিতে অনেক নিয়ম ভেঙ্গেছি নোটিশও হজম করেছি। তাই আজ এই টিউনের মাধ্যমে টেকটিউনস মডারেটরদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। ছোট ছিলাম তাই অনেক নীতিমালাই ভেঙ্গেছি। এখনও ছোট আছি। ভুল ত্রুটি হবেই তবে তা থেকে দুরে থাকার চেষ্টা তো অবশ্যই করব। তবুও আমার সকল ভুল ত্রুটি মাফ করবেন আশা করি। পরবর্তী টিউনগুলোতে আপনারা আমার সাথে থাকবেন। ইচ্ছে রয়েছে যতদিন অনলাইনে থাকব টেকটিউনসে ততদিন ব্লগার মারুফ হিসেবেই আপনাদের মাঝে থাকব। টেকটিউনস আমাকে অনেক দিয়েছে। অনলাইনে আমার এই অবস্থানের জন্য টেকটিউনস আর গুগল সমান ভাগিদার। এই দুই সাইট চষে বেরিয়ে অনেক শিখেছি। সেই কথা কখনও ভুলব না। এখন আমি টেকটিউনসে এই মাসের টপ টিউনারে ২য় অবস্থানে আর সব মিলিয়ে টপ টিউনার তালিখায় দেখালাম ২৫তম। এই পাওয়া আমার কাছে কি বড় পাওয়া এটা কাউকে বুঝিয়ে বলা সম্ভব না।

কিছু ছবিতে আমি...

একটি সেলফি...
আমার সেই চির চেনা বেক্ষাপ্পা ছবিটি
এক ভাইয়ের কম্পিউটারে আমি বসে আছি ভাব নিয়ে
আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব, লেখক, সাহিত্যিক আনিসুল হক স্যারের সাথে আমি
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে আমি (চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ বছর আগের ছবি)

আমাকে পেতে পারেন ফেসবুক, ফেসবুক পেজ, টুইটার, গুগল প্লাস, পিন্টারেস্ট, ইউটিউব, লিংকড ইন, টেকটিউনস , স্কাইপি: bloggermaruf , ইমেইলঃ [email protected] অথবা আমার ব্লগ সাইট -এ। ফেসবুকে রিকোয়েস্ট দিলে অবশ্যই সাথে একটি মেসেজ পাঠিয়ে রাখেন। বেঁচে থাকলে হাজির হব সামনের টিউনে। ধন্যবাদ।

Level 1

আমি ব্লগার মারুফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 196 টি টিউন ও 1301 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি মারুফ। প্রযুক্তিকে ভালোবাসি। তাই গড়তে চাই প্রযুক্তির বাংলাদেশ। পড়াশুনা করছি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে। আমার ওয়েবসাইটঃ https://virtualvubon.com এবং https://www.rupayon.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Onek valo laglo….paper e ki apnar pic?

    @Alone boy: হ্যাঁ, একদিন আমি গ্রামীনফোন প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসবে গিয়েছিলাম চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই। সেইখানে তোলা ছবি একদিন দেখি প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে ব্যবহার করেছে।

আমি টিটি তে নতুন ৷ সুন্দর লিখেছেন আরো সামনো এগিয়ে যান

Prothome Anek Anek Ovinondon Apnake.
.
Tobe Keno Janina Apnar 100 Tune Howar Karone Amaro Besh Anando Lagche.
.
R akta Kotha…
Apnar Tune Porte Porte Apnake Anek Porichito Loker Motoi Monehoy.
.
apnar fb link ta monehoy thik nei, ami akta reqst pathabo.

    @SAHEB BISWAS: অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতির কথা জেনে। সবসময় এমনটাই আশা করি। ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। আর আবার ধন্যবাদ লিংক ত্রুটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য। আইডি লিংকগুলো আপডেট করলাম। তবে ফেসবুকে রিকোয়েস্টের সাথে একটি মেসেজও পাঠাবেন।

অসাধারন টিউন…।। সামনে আরও এগিয়ে যান।

শুভ কামনা রইল…

শততম পোস্ট হিসাবে আপনাকে অনেক…..অনেক অভিনন্দন মারুফ ভাই এবং সাদা গোলাপের শুভেচ্ছা। আসলে যতটুকু টিটিতে সময় দিই প্রায় সব লেখকেরই পোস্ট দেখি। তার মধ্যে আপনার প্রায় সকল পোস্টই পড়েছি, অসম্ভব ভাল লেগেছে। এত অল্প বয়সে আপনার হাতের লেখনী সত্যিই অসাধারন, যা এখনকার তরুন-কিশোরদের এক মডেল হিসাবে আবির্ভূত হলেন। তবে সপ্তাহে একবার হলেও আপনার ওয়েব সাইটে ঢু মারি, বুকমার্ক করে রেখেছি। যাইহোক আপনার জীবনী পড়ে একদিকে বেশ ভাল লাগলো, অপরদিকে মর্মাহত হলাম। জীবণী হিসাবে বুঝতে পারলাম আপনি ছাত্র হিসাবে অনেক মেধাবী, অসম্ভব প্রতিভা আছে আপনার। অপরদিকে যে শারীরিক সমস্যা আছে, তার শান্তনা দেবার ভাষা আমার নাই! একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন- যে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই অবশ্যই আপনার যাবতীয় ফয়সালার দ্বায়িত্ব নিয়ে রেখেছেন। সুতরাং একটুও বিচলিত হবেন না। আরে দুনিয়া তো মাত্র ২ দিনের। যাইহোক এর মাঝে লেখাপড়া করছেন, তার সাথে ধর্ম-কর্মাদি যুক্ত থাকলে আশা করি আরো বেশী সফলতা পাবেন। আমি আমার অন্তস্থল থেকে দোয়া রাখি আল্লাহ তায়ালা যেন আপনাকে মনের নেক নেয়াত পরিপূর্ণ করুন এবং আরো কামিয়াবি করুন। পরিশেষে ভাল থাকবেন।

    @অচেনা পথিক: ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। তবে সত্যি কথা যে, আপনার কমেন্টে অনেক মনোবল খুঁজে পেলাম। আমার শারীরিক সমস্যায় আমি মোটেও বিচলিত নয়। এটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে। তিনি চেয়েছেন আমাকে এভাবে দেখতে। সেজন্য আমাকে যথেষ্ট মেধা শক্তিও দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক মানুষকে সমান ভাবে তৈরি করেছেন। কেউ এক দিক দিয়ে অপূর্ণ হলেও অন্য দিক দিয়ে পূর্ণ। আমি বাহিরে ঘুরে বেড়াতে অক্ষম বলেই কিন্তু আমি আজ কম্পিউটারে বসে থাকি। আর সে সুবাদে এখানে আসা। সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে। সবশেষে ধন্যবাদ, পাশে থাকবেন।

Level 0

ভালো লাগল খুব।আপনাকে অভিনন্দন বাট FB এর যে লিংকটা দিলেন সেটাতো TT হোমপেজে নিয়ে যাচ্ছে

    @backtrack5: ধন্যবাদ ভাই। আর দুঃখিত লিংক দিতে একটু সমস্যা হওয়ার কারণে। লিংক এখন আপডেটেড। ফেসবুকে রিকোয়েস্টের সাথে একটি মেসেজ পাঠাবেন প্লিজ।

Level 2

আপনার টিউন পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম।

    @omi97: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
    আপনাদের অনুপ্রেরনামূলক কমেন্টেও আমিও তেমনি অনুপ্রেরণা খুঁজে পাই।
    আবারো ধন্যবাদ। পাশে থাকবেন।

Level New

i wish ur good luck bro………………………………………………………………………………….

100 তম টিউনের শুভেচ্ছা, এগিয়ে যান মারফ ভাই, আপনি পারবেন। আপনার কিছু কথা আমার সাথে মিলে গেল দেখি। অনেক ভাল লাগল লেখাগুলো পড়ে। @ ধন্যবাদ

    @হোছাইন আহম্মদ: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আর আমি আপনার ছোট এটা চোখ বন্ধ করেই সবাই বলে দিতে পারবে। আপনি আমাকে নাম ধরে ডাকবেন।

তুমি করেই বলি। কারন আপনি বললে অনেক দূর মনে হয়। তোমার কঠিন মনোবলের যে ধার দেখেছি তাতে তোমার ঐ বাঁধা কে আমি মোটেই কিছু মনে করি না। আমি একজন সামান্য শিক্ষক মানুষ। অনেক কে পড়িয়েছি । একটা সময় বুঝতে পারতাম আমার কোন ছাত্র কি হবে। কিছুটা সেই দৃষ্টি কোন থেকেই বলছি । কেন জানি মনে হয় তুমি অনেক দূর যাবে। শুভ কামনা রইলো।

    অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার। বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্বের বুকে কিছু করার মিশনেই আছি। পারি কি না পারি সেটা দূরের কথা। কিন্তু আসলেই আমার স্বপ্ন এটা। অনলাইনের বড় বড় আইটি ব্যক্তিত্বরা শুধু ইউএসএ তেই থাকেনা বাংলাদেশেও এমন থাকতে পারে। এটা প্রমাণ করা আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। দোয়া করবেন আমার স্বপ্ন যাতে কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারি।

১০০তম পোস্টের জন্য অভিনন্দন 😀

পড়ে অনেক ভাল লাগলো 🙂

সামনের দিন গুলোর জন্য শুভ কামনা রইল

    @সারোয়ার হোসেন: ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। তবুও ধন্যবাদ। 😀 আপনাদেরকে সবসময় পাশে পেয়েছি, আশা করি সবসময়য়ই পাব।

দোয়া করি আপনি যাতে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।

Congratulation for your 100 tune.
And wish you a very very successful life.

টিটির এডমিনদের অনু্রোধ করছি কিছুদিনের জন্য হলেও এই টিউনটি টপে রাখেন
যাতে নতুন টিউনাররা অনুপ্রানিত হয় ব্লগিং করতে

    @সারোয়ার হোসেন: এটা সম্ভব নয় ভাই। তেমন প্রয়োজনীয় টিউন না ভাই এটি।

শুভ কামনা রইল ভাই।

শুভ কামনা রইল।

আপনার জন্য রইলো সুভকামনা…………

Level 0

চালিয়ে যাও ভাই!

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

keep it up who knows someday you will do something great.

মারুফ কংগ্রাচুলেশন।
ভাই এগিয়ে যাও।

    @আই,টি সরদার: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনাদেরকে পাশে চাই। আশা করি থাকবেন।

Level New

ছোট তোমার লেখা গুলো অনেক সময় কাজে দেয়, এ জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ । এত অল্প বয়সে তুমি অনেক সুন্দর লেখা উপহার দিয়েছ সাথে তোমার ব্লগ টিও অনেক সুন্দর। আসা করি তুমি সামনে অনেক ভাল লেখা আমাদের উপহার দিবে ।

    @Saif: দোয়া রাখবেন যেন আমার লেখায় খুব বড় উপকার না হলেও যেন কিছুটা হয়। ধন্যবাদ ভাই।

অভিনন্দন মারুফ ভাই।

অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাই। তুমি অনেক বড় হবে। sorry তুমি করে বল্লাম

    @ইফতি চৌধুরী: ছোটকে তো তুমি করেই বলতে হয়। Soory এর কি আছে ভাই। দোয়া করবেন এই ছোট ভাইয়ের জন্য, পাশে থাকবেন।

Level 0

অভিনন্দন ও অনেক শুভকামনা। ধন্যবাদ – সুন্দর লেখার জন্য।

মারুফ ভাই কংগ্রাচুলেশন।
এগিয়ে যাও।

শুভ কামনা রইল তোমার জন্য 🙂

শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ভাই। অনেক ভালোলাগলো টিউনটি পরে যারা নতুন ব্লগার তাদের অনুপ্রেরনা জাগবে

Level 0

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

Level 0

keep it up and go ahead.

একবার ভাবছিলাম টিউন টি পড়বো নাকি পড়বো না, একমনা দোমনা করতে করতেই Link টা Clicked হয়ে গেল। তারপর কিছু একটা হল। কি হল জানিনা-কিন্তু আপনাকে লিখতে ইচ্ছে হল। লিখছি। আমিও তো নতুন, শুধু ভাবি রবি ঠাকুরের মত করে। “দেখিস, একদিন আমরাও…”
বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্বের বুকে কিছু করার মিশনে আমি আপনার পিছনে থাকব, সামনে এগিয়ে যাবেন আপনি। শুভকামনা রইল, তেমনি অনুপ্রানিত হলাম। ভালো থাকবেন সব সময়। ধন্যবাদ।

    @মধু সমাদ্দার: অনেক ভালো লাগলো আপনার কথাগুলোতে। পিছনে নয় পাশে থাকবেন এটাই আমার কাম্য। সবসময় পাশেই থাকবেন।

শুভ কামনা রইল।

Level New

আমি তোমার প্রায় সব টিউন পড়ি ,অন্যদের টাও পড়ি, খুব কমি মন্তব্য করি।
আল্লাহ তোমার মনের সব আশা পুরন করেন এই দোয়া করি।

@ব্লগার মারুফ Congrats….

TT তে আপনারাই তো আমাদের মত ‘পিচ্চি’ টিউনারদের অনুপ্রেরণা! আপনাকে অসংখ্য অভিনন্দন!