বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর আবিষ্কার

প্রকাশিত
জোসস করেছেন

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু  একদিকে ছিলেন একজন প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, অন্যদিকে একজন সফল জীববিজ্ঞানী। আমাদের এই উপমহাদেশে তিনি ছিলেন প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া একজন বিজ্ঞানী। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কারিগরি, প্রযুক্তিবিদ এবং পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান  ইনস্টিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (IEEE) তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের একজন জনক হিসেবে অভিহিত করেছে।

জগদীশচন্দ্র বসু বৈদ্যুতিক তার ছাড়া কীভাবে দূরে রেডিও সংকেত পাঠানাে যায় এ বিষয়ে অনেক গবেষণা করেন। তিনি রেডিও সংকেতকে শনাক্ত করার জন্যে অর্ধপরিবাহী জংশন ব্যবহার করেন এবং ১৮৯৫ সালে তিনি প্রথম দূরবর্তী স্থানে বৈদুত্যিক সংকেত পাঠিয়ে দেখান। এই আবিষ্কার পেটেন্ট করে বাণিজ্যিক সুবিধা নেওয়ার পরিবর্তে তিনি সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন।

 

মাইক্রোওয়েভ গবেষণার ক্ষেত্রেও তার বড় অবদান আছে এবং তিনিই প্রথম বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যকে প্রায় ৫ মিলিমিটারে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন।

পরবর্তী সময়ে জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদ শরীরতত্ত্বের উপর অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। এর মাঝে উদ্ভিদের বৃদ্ধি রেকর্ড করার জন্য ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার করেন এবং খুব সুক্ষ্ম নাড়াচাড়া শনাক্ত করার এবং বিভিন্ন উদ্দীপকে সাড়া দেওয়ার বিষয়গুলাে শনাক্ত করার যন্ত্র আবিষ্কার করেন। তিনি দেখিয়েছিলেন বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়ার প্রকৃতি রাসায়নিক নয় বরং বৈদ্যুতিক। এসব গবেষণার মাধ্যমে তিনি গাছেরও যে প্রাণ আছে সে বিষয়টি প্রমাণ করেন।

Level 0

আমি তানভীরুল আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 22 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 6 টিউনারকে ফলো করি।

মূল্যহীন মানুষেরাই পানাহারের জন্যে বেঁচে থাকে; আর যারা মূল্যবান তারা পানাহার করে বেঁচে থাকার জন্যে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস