মশা আপনাকে কতটুকু ভালবাসে ?!?

টাইটেল টা একটু উদ্ভট হয়ে গেল সেটা আমি বুঝতে পারছি। তবে এত মজার একটা ইনফরমেশান শেঢার করতে গিয়ে এর উপযুক্ত কোন বাংলা টার্ম খুজে পেলাম না। ভাবলাম এটাই থাক নাহলে আবার টিউনের গ্ল্যামারটা চলে যাবে।

যাই হোক, মনে করে দেখুন ত, কখনও ছাদে অথবা নদীর পাড়ে বসে বন্ধুদের সাথে জম্পেশ আড্ডা দিচ্ছেন। অথচ এক ঝাঁক মশা আপানার মাথার উপর ঘুরঘুর করছে। বিরক্তিতে আপনার মাথা খারাপ হওয়ার যোগাড় অথচ মশাগুলো আপনার বন্ধুদের মোটেও ঘাটাচ্ছে না। অনেক সময় বন্ধুরাও দুষ্টুমি করে বলে “দোস্ত, মশা গুলা তোরে অনেক ভালোবাসে। ” আসলেই কি ভালোবাসা? না কি অন্য কোন ব্যাপার? এ ও কি সম্ভব যে মশাগুলো শুধু আপনাকেই ঘিরে আছে?

হ্যাঁ! অবশ্যই সম্ভব যদি আপনি একজন NISQUITO MAGNET হয়ে থাকেন। টার্ম থেকে নিশ্চই অনুমান করতে পারছেন যে আমাদের মানুষদের মধ্যেই আছে এই মাসকিটো ম্যাগনেট। যাদের প্রতি মশাদের আসক্তি স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশি।

ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার প্রফেসর জেরি বাটলারের সাম্প্রতিক রিসার্চে দেখা যায় আমাদের মধ্যে প্রতি দশজনে একজন এই মাসকিটো ম্যাগনেট হয়ে থাকে। আমেরিকান মাসকিটো কন্ট্রোল এ্যাসোসিয়েশান এর ভাষ্য অনুযায়ী এখনও ৪০০ এর বেশী কম্পাউন্ডের উপর রিসার্চ করা বাকী রয়ে গেছে। যেগুলো সম্পন্য হলে আরো ভেতরের খবর উঠে আসবে বলে তারা ধারনা করছেন। আরো জানা যাবে ঠিক কোন ধরনের মানব রক্তের প্রতি মশাদের এই আসক্তি বেশি হয়ে থাকে।

তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা মশার এই কামড়ানো কে অনেকটা আমাদের জেনেটিক ব্যাপার বলে মনে করছেন। তাদের মতে, আমাদের বডি কেমিস্ট্রির কিছু কিছু কম্পাউন্ডই এই সমস্ত মশাকে আমাদের কাছে আকর্ষন করে নিয়ে আসে।

জেরি বাটলার আরো মনে করছেন “আমাদের যাদের ত্বকের উপরিতলে স্টেরিয়েড এবং কোলেস্টেরলের ঘনত্ব স্বাভাবিকের চাইতে কিছু বেশিউ বটে, তারাই সাধারণত মশা দ্বারা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে ”। এর মানে এই নয় যে আমরা যারা খাবার হিসেবে বেশী কোলেস্টেরল নিয়ে থাকি তারাই মশা দ্বারা আক্রান্ত হবে। ব্যাপারটা আসলে আমরা কে কে ন্যাচারালি নিজেদের ত্বকে এই কোলেস্টেরল ডেভেলাপ করতে পারি তারাই বেশি আক্রান্ত হবেন।

mosquito

আরো অনেকেই মশা দ্বারা একটু বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যারা কোন একটি স্পেসিফিক এসিড একটু বেশিই উৎপাদন করে থাকে। যেমন  - ইউরিক এসিড। এন্টোমলিজ্ষ্ট জন এডমানের মতে এই ধরনের এসিড মশার ঘ্রানশক্তিকে আরো বাড়িয়ে দেয়। মশারা এমনিতেই তাদের শিকারের গন্ধ ৫০মিটার দূর থেকে পেয়ে থাকে। আর শিকার যদি এই এসিড স্টিমিউলেটর হয়ে থাকেন তাহলে ত আর কথাই নেই।

একই ব্যখ্যা দেয়া যায় কার্বন ডাই অক্সাইডের ক্ষেত্রেও। বেশি কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘ্রানও অনেক দূর থেকেই তাদের আকৃষ্ট করে। আর এ কারণেই শিশুদের তূলনায় বয়স্কদেরই বেশি পছন্দ করে থাকেন। অন্তস্বত্বা মহিলাদের ঝুঁকি এই ক্ষেত্রে আরো বেশি। তারা স্বাভাবিকের তূলনায় অনেক বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড রিলিজ করে থাকে। এছাড়াও আরো স্টাডি থেকে দেখা যায় যে মুভমেন্ট এবং হিটের উপর ও মশার আক্রমন অনেকটাই নির্ভর করে।

Level 0

আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 33 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

রোজা রেখে এত বড় পোষ্ট পড়তে কেমন জানি লাগে…………

টিনটিন ভাই আসলেই মশা আমাকে অনেক বেশী ভালবাসে কারন রাতে সবাই যখন ঘুমায় আমার সাথে জেগে থাকে শুধু মশা তবে আমার প্রতি মশার আসক্তি অনেক কম মানে আমাকে মশা কম কামড়ায় জানিনা কেন হয়তো আমার রক্ত অতটা টেষ্টী না। ধন্যবাদ আপনাকে ব্যাতিক্রম টিউন করার জন্য্।

Thanks for your issue of fact.

আমার নানি বলতো- আমার রক্ত মিষ্টি তাই মসা আমাকে কামড়ায় বেশী। আমি বলতাম কুসংস্কার। এখন যতই দিন গড়াচ্ছে ততই দেখছি কুসংস্কারগুলোর একটা করে বৈজ্ঞানিক যুক্তি বের হচ্ছে।
আসলে আমাদের চিন্তাশক্তি অনেক কম। একজন অন্ধ আলো দেখে না । ঠিক তেমনি আমরাদেরও অনেক কিছুই অনুভব করার ক্ষমতা নেই।

Level 0

Very nice tune…

Thanks, anek kichhu jante parlam.

Level 0

মশা আমাকে ভালোবাসে না 😀 ।