প্রযুক্তি (Bজ্ঞান Bচিত্রা-২)……..

১। বৃহত্তম সৌরবিদ্যুত কেন্দ্র......... ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপে সম্প্রতি একটি বৃহদাকারের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আকার ও উৎপাদনের পরিমাণে এখন পর্যন্ত এটি ইউরোপের এমনকি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র বলে জানা গেছে। এই কেন্দ্র চলতি বছরের শেষ দিকে সার্বিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়তন প্রায় ২০৭টি ফুটবল মাঠের মোট আয়তনের সমান। এখানে বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে এক লাখ মেগাওয়াট অর্থাৎ ৮০ মেগাওয়াট প্রতি ঘণ্টায়। এ কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ জোগান দেওয়া যাবে।

http://i.imgur.com/GPJMr.jpg

২। ক্ষুদ্রতম গিয়ার......... সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের ইনষ্টিটিউট অব ম্যাটারিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর গবেষকরা বিশ্বের ক্ষুদ্রতম গিয়ার তৈরির দাবী করেছেন। গবেষকরা বলছেন, মাত্র এক অণু আকারে এ গিয়ারটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মাইক্রোস্কোপিক এ গিয়ারটি মানুষের চুলের চেয়েও হাজার ভাগের এক ভাগ পাতা । এটি গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ক্ষুদ্রতম গিয়ার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ ম্যাটিরিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষকরা ক্ষুদে এ গিয়ার তৈরি করেছেন। এ গিয়ারটি সুপারকম্পিউটার এবং অন্যান্য উদ্ভাবনী কাজে ব্যবহার করা যাবে। *****গিয়ার কি? গিয়ার হল এক ধরণের ঘূর্ণনশীল যন্ত্র যার দাঁত এবং খাঁজ কাটা থাকে যা একইরকম আরেকটি দাঁতযুক্ত অংশের সাথে যুক্ত হয়ে টর্ক স্থানান্তর করে। এর মাধ্যমে যান্ত্রিক সুবিধা লাভ করা যায় বলে একে অন্যতম সরল যন্ত্র বলা হয়। গিয়ারযুক্ত যন্ত্রপাতি একটি শক্তি উৎসের গতি এবং মান ও দিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গিয়ার সাধারণত অন্য একটি গিয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়, তবে গিয়ার অঘূর্ণনশীল দাঁতযুক্ত যন্ত্রাংশের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারে, যাকে র্যা ক বলা হয়। এর মাধ্যমে সরণ গতি সৃষ্টি করা যায়। মাইক্রোস্কোপিক এ গিয়ারটি মানুষের চুলের চেয়েও হাজার ভাগের একভাগ পাতলা। গবেষকদের দাবী, তাদের উদ্ভাবিত অণুটি এক্সেল এর মতোই কাজ করে। মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে এ অনুটিকে ঘোরানো যায় যা চাকার  মতোই ঘুরতে থাকে। গবেষকদের মতে, ‘আজকের অণুই আগামী দিনের মেশিন’।

..............................................................................................................

,.............................................................................................

http://i.imgur.com/GiEuz.jpg

৩। সবচেয়ে সঠিক ঘড়ি.......... যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে

(এনপিএল) সংরক্ষিত সিএস এফ-২ ‘আণবিক’ ঘড়িকে বিশ্বের অন্য সব ঘড়ির চেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে সঠিক সময় দিতে সক্ষম বলে ভাবা হচ্ছে। গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এর আগে যেরকমটি ভাবা হতো, ঘড়িটি তার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি সঠিক সময় দিতে সক্ষম। প্রায় এক হাজার ৩৮০ বছরে ঘড়িটির সময় কেবল এক সেকেন্ড বেড়ে বা কমে যেতে পারে। এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি দ্য জার্নাল মেট্রোলজিয়াতে শিগগির প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এনপিএলের সিএস এফ-২ নামের ওই ঘড়িটি আসলে একটি ‘রুপালি রঙের ক্ষার ধাতুবিশিষ্ট ফোয়ারা (সিজিয়াম ফাউন্টেন)’ আণবিক ঘড়ি। ঘড়িটির পারমাণবিক পেন্ডুলামটি অন্যান্য ঘড়ির তুলনায় সঠিক সময়ের নিশ্চয়তা দেয়। বিশ্বব্যাপী ৩০০টিরও বেশি ঘড়ির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সময় নিরূপণ করা হয়। সেগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্যারিসে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস (বিআইপিএম) কেন্দ্রে পাঠানোর পর সেখানে গড় করা হয়। কিন্তু সেগুলোর নির্ভুলতা যেকোনো সময় বিঘ্ন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই বিআইপিএম বিশ্বব্যাপী ছয়টি ‘প্রাইমারি ফ্রিকোয়েন্সি স্ট্যান্ডার্ডসের সেকেন্ডকে মানের বিচারে তুলনা করে থাকে। এ ছয়টির মধ্যে যুক্তরাজ্যের সিএস এফ-২, ফ্রান্সের দুটি এবং যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও জাপানের একটি করে রয়েছে। ওই ছয়টি ‘প্রাইমারি ফ্রিকোয়েন্সি স্ট্যান্ডার্ডস’ ব্যবহার করে বিআইপিএম সেই ভুলগুলো সংশোধন করে থাকে। ২০১০ সালের সর্বশেষ গণনায় দেখা যায়,

http://i.imgur.com/3ILLG.jpg

যুক্তরাজ্যের আণবিক ঘড়িটিই দীর্ঘ মেয়াদে সবচেয়ে সঠিক সময় দিতে সক্ষম।    ৪। গ্রহ এক সূর্য দুই....... আমাদের সৌরজগতের বাইরে দুটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরা একটি গ্রহণ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা ।বৃহস্পতিবার এই গ্রহটি তারা আবিষ্কার করেছে বলে জানান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্কাইওয়াকারের পার্শ্ববর্তী গ্রহ হলো তাতোইন। তাতোইন ছিল অনেকটাই উষ্ণ এবং মরুভূমি সাদৃশ। কিন্তু কেপলার-১৬বি নামের এই গ্রহটি খুবই ঠাণ্ডা এবং এর আয়তন অনেকটা শনি গ্রহের সমান। গ্রহটি পৃথিবী থেকে ২০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা মতে, গ্রহটি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা কেপলার মহাকাশ টেলিস্কোপ দিয়ে এক নজর দেখা যায়। এই টেলিস্কোপটি প্রতিনিয়ত এক লাখ ৫৫ হাজার আলোকোজ্জ্বল তারা পর্যবেক্ষণ করে থাকে। এই আবিষ্কারটি একটি মাইলফলক বলে অভিহিত করেন কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট-এর পৃথিবীসম্পর্কিত বিভাগের সহকারী গবেষক অ্যালেন বস। দুটি সূর্যই আমাদের সূর্যের চেয়ে ছোট ও তুলনামূলক ভাবে শীতল বলে গ্রহটিও শীতল । গ্রহটির ভূ-পৃষ্টের তাপমাত্র-৭৩ ডিগ্রি ও ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস । এটি ২২৯ দিনে একবার তার দুই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে । সূর্য দুটি থেকে গ্রহটির গড় দুরত্ব ১০ কোটি ৪০ লাখ কিলোমিটার । দুটি সূর্য থাকায় এ গ্রহে সূর্যাস্তও দুইবার হয় । ******আলোকবর্ষ: আলো সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার মাইল গতিতে চলে এক বছরে যতদুর যায়, তা এক আলোকবর্ষ ।

http://i.imgur.com/Xq2tF.jpg

http://i.imgur.com/Jsqqn.jpg

৫। হীরক গ্রহ............. বিজ্ঞানীরা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে এম এক নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যাকে বলা হচ্ছে হীরক গ্রহ৷ নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহটির বৈজ্ঞানিক কোন নাম এখনও দেওয়া হয়নি৷ তবে ইতিমধ্যে একে হীরক গ্রহ বলে ডাকছেন বিজ্ঞানীরা৷ কারণ, অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখতে এই গ্রহটিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন মহাকাশের অসীম শূন্যে এক খণ্ড হিরার টুকরা জ্বলজ্বল করে জ্বলছে৷ এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহটিতে কার্বনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি৷ উল্লেখ্য, কার্বন ঘন হওয়ার মাধ্যমেই হিরে তৈরি হয়৷ তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহটিতে কার্বনের ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি হওয়ায় এর ভূপৃষ্ঠ সম্ভবত হিরায় পরিণত হয়েছে৷ শুধু কার্বন নয়, গ্রহটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্রিস্টালাইজড অক্সিজেন৷আমাদের সৌরজগতে এমন গ্রহ নেই । গ্রহটির ঘনত্ব কেমন, একটি তথ্য দিলেই সেটি স্পষ্ট হবে৷ অত্যন্ত ছোট এই গ্রহটি আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির চেয়ে ২০ গুণ বেশি ঘন৷ অতি ঘনত্বের ফলে এর ওজনও বৃহস্পতি গ্রহের চেয়ে কিছুটা বেশি৷ তবে বৃহস্পতি গ্রহে যেমন হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম রয়েছে এই ছোট্ট গ্রহটিতে তেমন কিছু দেখতে পাননি বিজ্ঞানীরা৷ তারা মনে করছেন, কোন এক বিশাল নক্ষত্রের অবশিষ্টাংশ এই গ্রহটি৷ বর্তমানে যে তারা বা নক্ষত্রটিকে কেন্দ্র করে এটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আবর্তন করছে সেটিও অত্যন্ত উজ্জ্বল, যাকে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন পালজার স্টার৷পৃথিবী থেকে চার হাজার আলোকবর্ষ দূরে যেতে পারলে হয়তো এমন হিরা পাওয়া যাবে http://i.imgur.com/KSbte.jpg

..............................................................................................................

http://i.imgur.com/dyPwX.jpg

৬। দীর্ঘ টেলিস্কোপ...... বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পেরিস্কোপ তৈরির দাবি করেছে ভারত। ১০ মিটার দীর্ঘ পেরিস্কোপটি ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার ফর অ্যাটোমিক রিসার্চ (আইজিসিএআর)-এ ব্যবহারের জন্য তরি করেছে দেশটি। দীর্ঘ এ পেরিস্কোপটি তৈরি করতে ৩.৯ কোটি ভারতীয় টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এটি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল এডুকেশন এইড লিমিটেড (ভিইএ)। পেরিস্কোপ হলো এমন একটি যন্ত্র, যা দৃষ্টির আড়ালে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে দেখতে সাহায্য করে। ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার ফর অ্যাটোমিকরিসার্চের (আইজিসিএআর) পরিচালক এস সি চেতল জানিয়েছেন, ভারতের তৈরি এ পেরিস্কোপটিই দীর্ঘতম। এটি প্রটোটাইপ ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টরে ব্যবহৃত হবে। পরমাণু বিক্রিয়া কেন্দ্রের মধ্যে কি হচ্ছে সেটার দেখভালের জন্যই এ পেরিস্কোপ ব্যবহৃত হবে।

.http://i.imgur.com/b4tKy.jpg

http://i.imgur.com/jjcMr.jpg

৭। প্রথম বাণিজ্যিক নভোযান বন্দর........ মেক্সিকোর মরুভুমির ওপর নির্মিতব্য স্পেসপোর্ট আমেরিকাই হতে যাচ্ছে প্রথম বানিজ্যিক নভোযান বন্দর । নভোযান পরিচালনাকারী সংস্থা ভার্জিন গ্যালাকটিকসের যানগুলোর জন্য এক হাজার ৮০০ একর আয়তনের এ বন্দর নির্মিত হচ্ছে। বন্দরে দুই মাইল দীর্ঘ একটি রানওয়ে থাকছে। পাশাপাশি থাকছে সুপরিসর সিকিউরিটি অফিস। ২০১৩ সাল থেকে ভার্জিন গ্যালাকটিকসের বিমান ওই বন্দরটি ব্যবহার শুরু করবে। এ কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা নিউ মেক্সিকো স্পেসপোর্ট অথরিটির নতুন পরিচালক হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন। তিনি এ প্রকল্প নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তাঁর মতে, এটি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি তাঁদের প্রাগ্রসর ক্ষমতা, দক্ষতা অর্জনের নিদর্শন। তবে দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই এ প্রকল্প নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি। এ প্রকল্পের প্রাথমিক বাজেট অর্ধেকের বেশি কমিয়ে এনেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবুও আশাবাদী পরিচালক ক্রিস্টিন। তিনি জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বন্দরটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার কিছু কিছু করে শুরু হয়েছে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, ২০১৩ সালেই সফলভাবে কার্যশীল হবে স্পেসপোর্ট আমেরিকা। ......................

http://i.imgur.com/MZ80L.jpg

http://i.imgur.com/L8x2a.jpg

সূত্র : কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স+ছবি নেট থেকে.......... ======================================================================================= কাG ফাTeমা ছB

Level 0

আমি এই মেঘ এই রোদ্দুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 315 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

daaaaruuuunnnnn

Level 2

ভালো লাগলো

এক্সসেলেন্ট এফোর্ট ! নাম তো এই মেঘ এই রোদ্দুর ! অনেক দিন পর পর কেন ? এই ভিসুয়াল এই এই সায়েন্স !এই হারেই হওয়া উচিত .ভাল থাকবেন

সত্যিই একটি সুন্দর উদ্যোগ।
আশা করি সামনে আরও পাব।

টিউনের জন্য ধন্যবাদ। :mrgreen:

দারুন!!!!!!!!!!!!!

Level 2

খুব ভাল লাগলো।

খুবই ভাল মানের একটি টিউন করেছেন