অন-পেজ এসইওঃ মিলিয়ে নিন সব ঠিক আছে কি না (আপডেট ২০১৬ সালে) – ২

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত

এই টিউনটি পূর্বেই আমার পার্সোনাল ব্লগে প্রকাশিত।

ভাল মানের এসইও এর কথা মাথায় আসলেই দুইটা প্লান মাথার মধ্যে ঘুরাঘুরি করে অন-পেজ এবং অফ-পেজ। আসেন, আজকে আমারা একটু অন-পেজ এসইও সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি।

প্রথমেই বলে রাখি, এই খানে যে সব পয়েন্টের কথা বলা হয়েছে সে গুল এখনকার মত ঠিক আছে কিন্তু কালকেও যে ঠিক থাকবে তার কিন্তু কোন গ্যারান্টি নেই। আমি সব সময় চেষ্টা করব লিস্টটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আপডেট রাখার জন্য।

আর্টিকেলটি ডাউনলোড করতে এই খানে ক্লিক করুন

একটা সময় ছিল যখন অন-পেজ এসইও মানেই হল সুধু মাত্র মেটাট্যাগ + কিওয়ার্ড ঘনত্ব। এ গুলর মুল্য যে এখন আর নেই তা কিন্তু না। তবে এই দুটার পাশাপাশি এখন নতুন করে কিছু গুরুত্ত পূর্ণ ইস্যু যোগ হয়েছে। আসেন সে গুল সম্পর্কে একটু জেনে আসি।

মনে রাখার মত ইয়উরলঃ

প্রথম আলো পত্রিকার কোন সংবাদের লিংক কপি করে দেখছেন, কেমন দেখায়। একবার এখন করে দ্যাখেন। পরে যদি কোন সময় আপনি ঐ লিংক দ্যাখেন, আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে আপনি বলতে পারবেন না  ঐ সংবাদটা কি বিষয়ের উপর ছিল।

এই জন্য আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব URL নিশ্চিত করতে হবে। আসলে, সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব মানে কিন্তু আপনি ভিজিটর বান্ধব URL ও বলতে পারেন।

আসেন একটা উদাহরণ দেখা যাকঃ

  • বান্ধবঃ aapnardomainname.com/your-keyword-tips
  • অবান্ধবঃ aapnardomainname.com/A6%A4%E0%A6%95
  • অথবা, aapnardomainname.com/on-page-and-you-need-to-learn-that

আপনার ব্লগের প্রত্যেকটা আর্টিকেল URL যত ছোট হয় তত ভাল। আর অবশ্যই টার্গেট কিওয়ার্ড জুড়ে দিতে ভুলবেন না।

উপাধি + কিওয়ার্ড:

টাইটেল ট্যাগ অন-পেজ এসইও খুব গুরুত্ত পূর্ণ অংশ। টাইটেলে আপনি যদি কিওয়ার্ড জুড়ে দিতে পারেন তাইলে অনেক ভাল হয়। তবে এই খানে একটা কথা আছে টাইটেলের যত সামনের দিকে কিওয়ার্ড দিতে পারবেন তত আপনার জন্য ভাল।

মনেকরেন, আপনি লিংক বিল্ডিং এর টিপস নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন। চেষ্টা করুন লিংকবিল্ডিং টিপস এই কিওয়ার্ড দিয়ে টাইটেল ট্যাগটা শুরু করতে।

সময় উপযোগী টাইটেলঃ

আপনি কখন বাংলা অনলাইন পত্রিকা গুলার টাইটেল দেখছেন। যারা অনলাইন পত্রিকা গুলা চালায় তারা আমার কাছে কেন জানি মনেহয় প্রত্যেকে এক এক জন বড় মাপের স্যাইকোলোজিস্ট। এমন এমন সব টাইটলে ব্যবহার করে যে আপনি পড়তে বাধ্য।

আপনার টাইটেল গুল যেন ঠিক ঐ রকম হয় দেখলেই পড়তে ইচ্ছা করবে। সময় থাকলে কিছু দিন অনলাইন পত্রিকা গুল একটু পড়েন।

টাইটেল + H1 ট্যাগঃ

আমি CMS হিসাবে ওয়ার্ডপ্রেস এর একজন অন্ধ ভক্ত। আমার মনে হয় আপনিও তার ব্যাতিক্রম না। আপনার আর্টিকেল এর টাইটেলের জন্য আপনি অবশ্যই H1 ট্যাগ ব্যবহার করবেন। সাধারণত ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম গুলতে ডিফল্ট ভাবে থাকে। কিন্তু, তারপরো চেক করে নিন যে ঠিক মত আছে কি না।

বিনোদনঃ

মজা এবং শেখা এই দুইটা জিনিস যদি আপনি আপনার চোখের মত পাশাপাশি রাখতে পারেন তাইলেত আর কথাই নাই। কোন সময় কি এক চোখ বন্ধ করে কোন কিছু দেখার চেষ্টা করছেন? যদি না করে থাকেন তাইলে এখন আবার চেষ্টা করেন। পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

অবশ্যই আপনার আর্টিকেল যে মজা মুডে থাকে। আপনার আর্টিকেল অনেক বেশি তথ্য বহুল, কিন্তু পড়তে গেলে বঙ্কিম দাদুর লেখা মনে হয় তাইলে কিন্তু আপনার সব পরিশ্রম মাটি হয়ে যাবে।

লেখার মাঝে মাঝে ছোট ছবি, ভিডিও, গল্প দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেন।

সাবহেডিং + H2:

আর্টিকেলে যত বেশি কিওয়ার্ড সম্পর্কিত সাবহেডিং থাকে তত আপনার জন্য মঙ্গল। কিন্তু, মনে রাখবেন ব্যপারটা যেন স্পামিং এর পর্যায় পড়ে না যায়। এখন কথা হল সার্চ ইঞ্জিন কি ভাবে বুঝবে যে এই লাইনটা আর্টিকেল এর মধ্যে একটা সাবহেডিং। এর জন্য আপনাকে H2 ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

H2 ট্যাগ থাকলে তাকে সার্চ ইঞ্জিন সাব হেডিং হিসাবে ধরে নিবে।

প্রথম কিওয়ার্ডঃ

আপনার আর্টিকেল এর মুল লেখা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু এখন কথা হল আর্টিকেল এর মধ্যে আপনি কখন প্রথম আপনার কিওয়ার্ডটা ব্যবহার করবেন। এই ক্ষেত্রে সব থেকে ভাল হয় আপনি যদি প্রথম প্যারাগ্রাফের প্রথম লাইনের মধ্যে কিওয়ার্ড টা ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি না পারেন তাইলে চেষ্টা করেন প্রথম ১০০-১৫০ ওয়ার্ড এর মধ্যে দেয়ার জন্য।

মোবাইল বান্ধবঃ

গুগল কিন্তু গত বছর বলেই দিছে যে সে মোবাইল বান্ধব সাইট গুলকে বেশি প্রধান্য দিচ্ছে। আর আপনার টা যদি না করন তাইলে পশ্চাতে সিলেটের বাঁশবাগান যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং আপনার ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ করতে ভুলবেন না।

অন্যের প্রশংসা করুনঃ

আপনার লেখা সম্পর্কিত অন্য কারো লেখা থাকলে তার লেখাকে রিকমেন্ড করুন। যারে বলে লেখার মধ্যে আউটবাউন্ড লিংকের পরিমাণ বাড়ান। এই আউটবাউন্ড গুল দেখলে গুগল আসলে বুঝতে পারবে যে আপনার আর্টিকেলটা কোন বিষয় এর উপর লেখা।
অনেকের ধারনা আউটবাউন্ড লিংক দিলে মনে হয় ভিজিটর তার সাইট থেকে চলে যাবে। ব্যপারটা একদমই ঐরকম না।

সার্চ ইঞ্জিনে যেয়ে যদি আপনি আপনি নীল পাতিল লিখে সার্চ করেন তাইলে দেখবেন তার নিজেস্ব ব্লগ কুইক্সপারউট এবং নীলপাতিল প্রথম দিকে থাকবে। কিন্তু, এর পরে থাকবে অন্যান্য সাইট যারা নীল পাতিল নিয়ে কথা বলছে। এই জন্য আপনার ব্লগে যদি কোন বড় মানের ব্যক্তি কে নিয়ে লেখা থাকে, তাইলে আপনি অনেক কম পরিশ্রম করেই অনেক ভাল যায়গায় চলে আসতে পারেন।

উইকিপেডিয়াঃ

আপনি উইকিপেডিয়া তে কোন আর্টিকেল যদি পড়েন তাইলে দেখবেন সেখানে প্রচুর পরিমানে ইন্টারনাল লিংকের ব্যবহার আছে। আপনিও ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করেন ঠিক উইকিপেডিয়া এর মত। কিন্তু মনে রাখবেন ব্যাপারটা যেন উইকিপেডিয়া এর মত প্রচুর পরিমাণে না।

হুম,অবশ্যই আপনি উইকিপেডিয়া এর মত প্রচুর পরিমাণে লিংক ব্যবহার করতে পারবেন যদি আপনার ব্লগের উইকিপেডিয়ার যত গুণ আছে সে গুল থাকে।

তবে সাধারণত প্রত্যেকটা আর্টিকেল দুই-তিনটা ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করা ভাল।

গতি বাড়ানঃ

বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, বর্তমান যুগ হল গতির যুগ। আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন সব কিছু যদি চিন্তা করার সাথে সাথে হয়ে যেত তাইলে অনেক ভাল হত।

ব্যাপারটা একটু ভাল ভাবে বোঝার জন্য আপনি একটু ফ্লাসব্যাক মেরে আসুন যখন আমাদের দেশে ইন্টার নেটের গতি খুব খারাপ ছিল। ইন্টারনেট এর গতি দেখে মনে হত, আমি সার্চ করছি আর আমার নাতি-নাতনি আইসে পরবে।

এখন সে সময় ইতিহাস হয়ে গেছে। কিন্তু, আপনার ব্লগের গতি যদি সেই আগের মত থাকে তাহলে আপনি ভিজিটর + গুগল এর কাছে ইতিহাস হয়ে যাবেন। আপনার সাইট লোড হতে যেন ৪ সেকন্ডের বেশি যেন না নেয়। যে সব সাইটের লোড টাইম অনেক বেশি ঐ সব সাইটে ভিজিটর সহজে আর যাইতে চায় না।

পেজের লোড টাইম দেখার জন্য আপনি গুগলের সাহায্য নিতে পারেন। আর তার থেকেও ভাল ভাবে জানার জন্য এই খানে যান

কিওয়ার্ড সম্পর্কিত কিওয়ার্ডঃ

আপনার মেইন কিওয়ার্ড সম্পর্কিত কিওয়ার্ড গুলার একটা তালিকা করে রাখেন। পরবর্তীতে ঐ গুল আর্টিকেল লেখার সময় ব্যবহার করার চেষ্টা করেন, ভাল ফলাফল পাবেন।

আসেন, একটা ভাল প্লান দেখা যাক। মনে করেন, আপনার ব্লগের জন্য আপনি ২০ কিওয়ার্ড বাছাই করছেন। এখন প্রত্যেকটা আর্টিকেল এর জন্য একটা করে অন্তত ২০০০ ওয়ার্ড এর আর্টিকেল লিখে ফেলেন, অবশ্যই যেন আপনার প্রতিপক্ষের থেকে ভাল হয়। এই আর্টিকেল লেখার সময় ঐ কিওয়ার্ড গুল ব্যবহার করেন।

আর পরে ইন্টারনাল লিংক হিসাবে ঐ আর্টিকেল গুল ব্যবহার করেন।

পিকচারের ব্যবহারঃ

আপনার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে পার্টিশন কয়টা? ধরে নিলাম চারটা যথাক্রমেঃ সি, মুভি, গান, টিউটোরিয়াল। এখন আপনি অবশ্যই মুভি ড্রাইভের মধ্যে কখন পাইথন প্রোগ্রামিং এর  ভিডিও রাখবেন না।

আপনার ব্লগের পিকচার গুলার নাম ঠিক ঐ ভাবে রাখার চেষ্টা করেন, যেন দেখে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যে পিকচারটা কোন বিষয়ের উপর। এই খানে আপনি পিকচারের অবশ্যই Alt Text ব্যবহার করেন। আর অবশ্যই Alt Text এর মধ্যে আপনার কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস কে CMS হিসাবে ব্যবহার করেন তাইলে, এই পিকচার অপটিমাইজেশন করা খুব সুবিধা হবে। প্রত্যেকটা পিকচার সাথে ঐ অপশন গুল খুব ভাল ভাবে দেয়া থাকে।

আধুনিক সামাজিক আর্টিকেলঃ

আপনি যে কোন আর্টিকেলকে ভাল রাঙ্ক করতে হলে তিনটা জিনিষ কে খুব গুরুত্ত দিয়ে চলবেন।

ভাল মানের (লেখা + ব্যাকলিংক + সামাজিক অবস্থান), এই গুল যদি নিশ্চিত করতে পারেন আপনি সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র‍্যাঙ্কে থাকবে প্রায় নিশ্চিত। অবশ্যই ব্যাপার গুল সৎ ভাবে নিশ্চিত করতে হবে। কোন ধরনের দুষ্টুমির সাহায্য নিলে সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে কোন প্রকার সংকেত ছাড়াই মাঠের বাইরে রেখে দিবে।

সুতরাং, আর্টিকেল এ যেন সোশ্যাল শেয়ার এর ব্যবস্থা থাকে। সোশ্যাল শেয়ারের ব্যবস্থা আপনার আর্টিকেল এর সোশ্যাল শেয়ারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

পেজ গুনে নাম্বারঃ

আমি যদি আপনার কাছে জিজ্ঞেস করি “আপনার কি এমন কোন স্যারের কথা মনে পড়ছে যিনি খাতার পেজ গুণ মার্ক দিতেন?” আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে আপনি বলবেন “হুম”। আসলে গুগল এখন অনেকাটা ঐ রকম হয়ে গেছে। কিন্তু, এই খানে গাজীর পাঠ শুধু লিখলে হবে না অন্যদের থেকে আপনার গাজীর পাঠটা যেন ভাল হয়।

আপনার গাজীর পাঠে যদি আপনার প্রতিপক্ষের থেকে খারাপ হয় তাইলে আপনার প্রতিপক্ষ #১ হবে, আর আপনি স্পামার হিসাবে সাব্বস্ত হয়ে অতল সমুদ্রে হারায় যাবেন।

আপনার প্রত্যেকটা আর্টিকেল যেন অন্তত ২০০০ শব্দের হয়।

আপনি যদি গুগল যে কোন কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ করেন তাইলে দেখবেন প্রথম যে ১০ টা আর্টিকেল শো করেছে তার প্রত্যেকটাই ১৯০০+ শব্দের।

তাইলে, আপনি কেন ছোট ছোট আর্টিকেল লিখে আপনার ব্লগ পূর্ণ করে ফেলবেন। ১০০ ছোট ছোট আর্টিকেলের থেকে ২০ টা ২০০০ শব্দের অসধারন লেখা অনেক ভাল।

আইল আর গেইলঃ

আপনার এমন কোন রেস্টুরেন্টের কথা কি মনে পড়ে যেখানে আপনার অনেক আদর করে পচা খাবার দিছিল? এখন যদি কেউ আপনারে অফার করে যে আপনাকে ঐ রেটুরেন্টে আবার খাওনো হবে। আপনি কিন্তু, চিন্তা না করেই বলবেন “আল্লার ওয়াস্তে মাফ করেন, অন্য কাওরে খোঁজেন”।

আপনার ব্লগের ভিজিটর গুলকে গুগল ঠিক ঐ ভাবে মুল্যায়ন করে। কোন ভিজিটর এসে যদি আপনার ব্লগে আসার সাথে সাথে দৌড় মারে গুগল মনে করবে তখন আপনার আর্টিকেল এর কুয়ালিটি ভাল না। সুতরাং, এমন কিছু করার চেষ্টা করেন যেন ভিজিটর আপনার ব্লগে “আইলআর গেইল” না হয়।

মান সম্মত লেখাঃ

আমি ভাল আর্টিকেল এর কথা এই খানে অনেক বার বলছি। কিন্তু, এখন আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় “ভাল আর্টিকেলের গুণ বলেন, তাইলে আমি কিন্তু নিজেও সব গুল বলতে পারব না, এমনি কি এই জগতের কেউ পারবে বলে আমার দ্বিধা আছে। কারণ ভাল জিনিসটাই আপেক্ষিক। আমার কাছে যা ভাল মনে হচ্ছে টা আপনার কাছে নাও মনে হতে পারে।”

তবে আমরা একটা ভাল আর্টিকেল এর রাঙ্ক করার জন্য কিছু ভেরিয়াবেল নিতে পারি। এর মধ্যে হতে পারেঃ

  • ·         বার বার ফিরে আসা ভিজিটরের পরিমাণ কেমন
  • ·         ক্রমে কেউ বুকমার্ক রাখছে কিনা?
  • ·         গুগল এ কেউ আপনার ব্র্যান্ড লিখে সার্চ করার পরিমাণ কেমন
  • ·         বাউঞ্চ রেটের অবস্থা কেমন

আসল কথা হল, এমন ভাবে আর্টিকেলটা শেষ করেন যেন আপনি শেষ করে খুশি হউন। আপনার প্রতিপক্ষের আর্টিকেল গুল পড়ার পর আপনার কোন কোন খানে মনে হয়েছিল যে আরো একটু বিশদ হলে ভাল হত। সেই সব জায়গা গুল আপনার আর্টিকেল ভাল ভাবে তুলে ধরেন।

ফিডব্যাকঃ

প্রত্যেকটা ভাল ভাল প্রোডাক্টের দেখবেন রিভিউ এর ব্যবস্থা আছে। এই রিভিউ এর ব্যবস্থা তাদেরকে বলে দেয় যে তাদের প্রোডাক্টের গুনগত মান কেমন। আপনার আর্টিকেল এর গুণগত মান বিচার করার জন্য, অবশ্যই টিউমেন্ট করার সুযোগ রাখেন।

প্রত্যেকটা টিউমেন্টের রিপ্লে দেয়ার চেষ্টা করেন।

টিউমেন্ট গুলর উপর বেজ করে আর্টিকেল গুল আপডেট করেন।

বিজ্ঞাপনে ক্লিকঃ

অনেকে মনেকরেন “আপনার ব্লগ থেকে গুগলের বিজ্ঞাপনে কত % ক্লিক করে, গুগল এই ব্যপারটাকেও খুব গুরুত্ত দেয়”। ব্যাপারটা আপানি যদি একটু লজিকালি চিন্তা করেন তাইলে দেখবেন কথাটা ঠিক আছে যদি হয় গুগল থেকে সার্চ করে আপনার সাইটে আসা কোন ভিজিটর।

আমার ধরে নিলাম, আপনার সাইট গুগল রাঙ্ক #১ দিছে। সবাই তখন আপনার সাইটে আসতেছে কিন্তু কেউ বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে না। গুগল এর বুঝতে একটুও কষ্ট হবে না যে আপনার সাইটের ঘাপলা আছে।

তবে নিজ উদ্যোগে কখন নিজেরে ধূর্ত শিয়াল মনে করে এর রেট বাড়ানর চেষ্টা করবেন না। সব সময় মনে রাখবেন মামু কিন্তু অনেক সেয়ানা, ভাগ্নের প্রত্যেকটা কাজের ইতিহাস সে রাখে। নিজের ডিজুস পোলা ভাবলেই আবার সিলেটের বাঁশ পশ্চাতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ ভাগ।

অবশ্যই আপনার মতামত জানাবেন।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্ট করুন, অবশ্যই সদউত্তর দেয়ার জন্য সর্বচ্চ চেষ্টা করব। অন্তত সিলেটের বাঁশ যেন পশ্চাতে না যায় তার জন্য চেষ্টা করব।

আপনার ব্লগের জন্য শুভ কামনা রইল।

আমার পূর্বের লেখা গুলঃ

চৌধুরী সাহেবের ব্যাকলিংক কৌশল (আপডেট ২০১৬) – ১

Level 0

আমি Biddrup Mallick। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 25 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আপনার টিউনটি পড়ে খুভ ভালো লাগল। খুব সাবলীল ও সুন্দর করে গুছিয়ে লিখাতে শেষ অবধি পড়তে ধৈর্যের কোন বিচ্যুতি ঘটেনি। সর্বোপরি লিখাটার একেকটি অংশের দৈর্ঘ্যকাল ছিল পরিমিত কিন্তু তথ্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক এই ধরনের আর্টিকেল লিখলে ভিজিটর এমনিতেই আসবে তাতে কোন দ্বিধা নেই।
ধন্যবাদ,
http://how-2get.blogspot.com/

    Level 0

    লেখা ভাল লাগছে শুনে ভাল লাগল। 🙂

চরম,গরম,ফাটাফাটি টিউন৷ এরকম টিউন খুজছিলাম৷ আমার টা দেখেন তো কিছু করতে হবে নাকি
http://Www.ebookstallbd.blogspot.com

    Level 0

    আপনার কালেকশন গুল অসাধারণ। ইমেইল সাবস্ক্রাইবেরর ঐ খানে হ্যালোবার ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে মনেহয় আরো ভালহবে। সাবস্ক্রাইবার অপশন অনেক নিচে, অনেকে হয়ত মিস করতে পারে।

সুন্দর টিউনের জন্য ধন্যবাদ।।।