অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স, যেন এক ম্যাজিক শো!!!

এটি একটি Sponsored টিউন। এই Sponsored টিউনটির নিবেদন করছে 'OnnoRokom Electronics Ltd.'
Sponsored টিউন by Techtunes tAds | টেকটিউনস এ বিজ্ঞাপন দিতে ক্লিক করুন এখানে

লেলিনের স্বভাব হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স পণ্য দেখলেই তার ওপর গবেষণা চালানো। বাবার ঘড়িটার ভেতর কী আছে? ভাইয়ার মোবাইলটা কীভাবে ভাইব্রেট করে? সেদিন আবার বাবার গুপ্তধনের বাক্সটা ঘেঁটেঘুঁটে প্রাচীন আমলের একটা ফাউন্টেন পেন পেয়ে গেলো। আজকাল তো আর এই কলমের ব্যবহারই নেই! দেখেই চোখ চকচক করে উঠলো তার। হাজারো জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে কলম এবং কালির দোয়াত দিয়ে সারা মেঝে ভাসিয়ে একাকার করে ফেললো। পরে বাবা এসে তাকে দেখে খুব করে বকে দিলো। লেলিনের মন খারাপ হলো। সে তো আসলে দুষ্টুমী করতে চায় না। তার জানার আগ্রহটা একটু বেশি। এটা কি কোন অপরাধ? একটু চুপচাপ স্বভাবের বলে বাবা-মাকে কিছু গুছিয়ে বলতেও পারে না। তার জন্মদিনে কমিকস, খেলনার বদলে যদি একটা পেরিস্কোপ বানানোর ম্যানুয়াল দেয়া হতো, তাতেই সে বেশি খুশি হতো। মন খারাপ করে পরদিন সে কথা বললো তার একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার তানিমের সাথে।  তানিম লেলিনের বেস্ট ফ্রেন্ড হলেও তাদের স্বভাব সম্পূর্ণ আলাদা। তানিমের মধ্যে বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহ, প্রশ্ন করার খেয়াল নেই। সে টিভিতে মিস্টার বিন দেখতেই বেশি ভালোবাসে। কিন্তু সেদিন তানিমের সাথে কথা বলতে গিয়ে লেলিন তো অবাক! অন্যান্য দিন টিভিতে কী দেখলো তা নিয়েই সে মেতে থাকতো। কিন্তু আজ! ইলেকট্রিকাল সার্কিটের কানেকশন নিয়ে কথা বলছে!

তানিম- বুঝলি লেলিন, ইলেকট্রনিক্সের ভেতর যে এত মজা তা আগে বুঝি নাই। কালকে শিখলাম সিরিজ আর প্যারালাল সার্কিট কীভাবে বানায়। শিখলাম  ম্যাজিক মোটর বানানো। এগুলো যে এত মজার আগে বলিস নাই কেন?

লেলিন- বলি নাই মানে! কতবার বললাম, তুই’ই তো পাত্তা দিতি না। এখন বুঝেছিস তো এগুলো কত ইন্টারেস্টিং?

তানিম- হ্যাঁ! বিজ্ঞানবাক্স না থাকলে জানতামই না এসব!

লেলিন- বিজ্ঞানবাক্স! সেটা আবার কী রে?

তানিম- খুব মজার একটা বাক্স। আমার মামা আমাকে গিফট করেছে। এর ভেতর অনেক গুলো ইনসট্রুমেন্ট আছে, যা দিয়ে দারুণ সব এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম এসব আমি পারবো না। কিন্তু এত সুন্দর করে ছবি, ভিডিও, আর বই দিয়ে সব বুঝিয়ে দিয়েছে যে এক্সপেরিমেন্ট গুলো না করা পর্যন্ত শান্তি নেই! সবগুলো এখনও করতে পারি নি। বাসায় ফেরার তর সইছে না!

বন্ধুর এই পরিবর্তন দেখে লেলিন খুব খুশি হলো। সাথে এও ভাবলো যে এবার জন্মদিনে একটা বিজ্ঞানবাক্স বাগিয়ে নিতে হবে।

তিন মাস পর-

লেলিন আর তানিম মিলে একটা বিজ্ঞান ক্লাব খুলেছে। পাড়ার সবাই তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ! দুষ্টু –শান্ত, সব ছেলে-মেয়ে এখন বিজ্ঞান এক্সপেরিমেন্ট করে আর সবাইকে প্রশ্ন করে বেড়ায়। এটা কীভাবে হলো, ওটা কেন হলো না! মুরুব্বীরা তো অবাক! এ কেমন ম্যাজিক! কীভাবে ছেলে-মেয়ে গুলো এমন বদলে গেলো! তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে একটা জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব নিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলে, বিজ্ঞানবাক্স, করেছে এই ম্যাজিক শো!”

বড় ভালো লাগে এসব দেখতে। এই প্রশ্ন করতে শেখা ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাই তো বদলে দেবে দেশকে, সৃষ্টি করবে নতুন ইতিহাস! সাধারণের ভিড়ে তৈরি হবে এক অন্যরকম মানুষ।

 

 

বিস্তারিত জানতে সরাসরি যোগাযোগ- ০১৮৪৭ ১০৩ ১০২

অনলাইনে যোগাযোগ- http://www.facebook.com/OnnoRokomBigganBaksho

এটি একটি Sponsored টিউন। এই Sponsored টিউনটির নিবেদন করছে 'OnnoRokom Electronics Ltd.'
Sponsored টিউন by Techtunes tAds | টেকটিউনস এ বিজ্ঞাপন দিতে ক্লিক করুন এখানে

Level 0

আমি Techtunes tAds। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 134 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস